নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় প্রকাশ ও আপিল বিভাগে স্থিতাবস্থা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে যাবেন বলে ধরে নিয়েছিল সরকার; কিন্তু সেটা হয়নি। তাঁরা এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, দিয়ে যাচ্ছেন কর্মসূচি। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পিছু হটানোর জন্য নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়-ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বাধা এবং পুলিশের মামলা ও বক্তব্য এরই অংশ।
তবু আন্দোলনে দাবি আদায়ের ব্যাপারে অনড় শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার তাঁরা কর্মসূচি পালন করেছেন এবং আজ রোববারের জন্য নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আজ বেলা ১১টায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়-বঙ্গভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা করবেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এই গণপদযাত্রা শুরু হবে। এই গণপদযাত্রা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, নজরুল ইসলাম কলেজ, তিতুমীর কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।
শাহবাগ থানায় পুলিশের মামলা
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা ও ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার ডিএমপির শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি প্রদান করার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত বৃহস্পতিবার শাহবাগ মোড়ে অজ্ঞাতনামা ছাত্ররা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও এলোপাতাড়ি মারধর করে সাধারণ জখম করে। এ সময় বিএসএমএমইউর পাশে রাখা পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে ওপরে উঠে নৃত্য শুরু করে। এতে গাড়ির প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
আইন না মানলে যৌক্তিক কাজ করবে ডিবি
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, কেউ যদি আদালতের আদেশ না মানে, পুলিশের কথা না মানে, আন্দোলনের নামে জানমালের ক্ষতি করে, সড়ক অবরোধ করে তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে যৌক্তিক কাজ, সেটাই করা হবে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন হারুন। তিনি বলেন, ‘কোটা শুধু বাংলাদেশে নয়, অনেক দেশেই প্রচলন রয়েছে। কোটার বিরোধিতা করে কিছু লোক, কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় আন্দোলন করছে।’
ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধার অভিযোগ
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের শুরু থেকেই ঢাবিসহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের হলগুলোতে নানাভাবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে বাধা দিয়েছেন। তবে সেই বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা অংশ নিলেও আন্দোলনের সংগঠকদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে ভয়ভীতি-হুমকি দিয়েছে।
শুক্রবার মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ব্যানার-প্ল্যাকার্ড কেড়ে নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এরপর গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগ বলেছে, সরকারি চাকরিতে ‘কোটা’ ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তসংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলাপন, যৌক্তিক উপায় গ্রহণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার জন্য ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন করবেন তাঁরা। এমন কর্মসূচিকে আন্দোলন দমনের পাল্টা কর্মসূচি বলেই মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বাকের মজুমদার আজকের পত্রিকাকে জানান, শিক্ষার্থীরা যেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিতে না পারেন, সেজন্য একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে কর্মসূচি দিয়ে রাখে ছাত্রলীগ। সেখানে অংশ না নিলে রাতে সেই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ছাত্রলীগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে আন্দোলন দমনের চেষ্টার অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে প্রশাসন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। দুপুরে প্রক্টরের সঙ্গে দেখা করার পর কোটা সংস্কারের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান সেখানকার নেতারা। তবে অন্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হওয়া শুরু করলে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের বের হতে নিষেধ করা হয়।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেদিন প্রক্টরের সঙ্গে দেখা করতে আমি যাইনি। জুনিয়র যারা আছে, তারা গিয়েছিল। তাদের হয়তো কিছু বলেছে। কী বলেছে আমি শিওর না, তবে ভয়ভীতির মতো হয়তো কিছু বলেছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রশাসন সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে বাধা দিচ্ছে। সরকার নানাদিক উসকে দিয়ে আন্দোলনকে সহিংস অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় প্রকাশ ও আপিল বিভাগে স্থিতাবস্থা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে যাবেন বলে ধরে নিয়েছিল সরকার; কিন্তু সেটা হয়নি। তাঁরা এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, দিয়ে যাচ্ছেন কর্মসূচি। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পিছু হটানোর জন্য নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়-ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বাধা এবং পুলিশের মামলা ও বক্তব্য এরই অংশ।
তবু আন্দোলনে দাবি আদায়ের ব্যাপারে অনড় শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার তাঁরা কর্মসূচি পালন করেছেন এবং আজ রোববারের জন্য নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আজ বেলা ১১টায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়-বঙ্গভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা করবেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এই গণপদযাত্রা শুরু হবে। এই গণপদযাত্রা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, নজরুল ইসলাম কলেজ, তিতুমীর কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।
শাহবাগ থানায় পুলিশের মামলা
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা ও ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার ডিএমপির শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি প্রদান করার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত বৃহস্পতিবার শাহবাগ মোড়ে অজ্ঞাতনামা ছাত্ররা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও এলোপাতাড়ি মারধর করে সাধারণ জখম করে। এ সময় বিএসএমএমইউর পাশে রাখা পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে ওপরে উঠে নৃত্য শুরু করে। এতে গাড়ির প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
আইন না মানলে যৌক্তিক কাজ করবে ডিবি
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অন্য কেউ ইন্ধন দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, কেউ যদি আদালতের আদেশ না মানে, পুলিশের কথা না মানে, আন্দোলনের নামে জানমালের ক্ষতি করে, সড়ক অবরোধ করে তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে যৌক্তিক কাজ, সেটাই করা হবে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন হারুন। তিনি বলেন, ‘কোটা শুধু বাংলাদেশে নয়, অনেক দেশেই প্রচলন রয়েছে। কোটার বিরোধিতা করে কিছু লোক, কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় আন্দোলন করছে।’
ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধার অভিযোগ
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের শুরু থেকেই ঢাবিসহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের হলগুলোতে নানাভাবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে বাধা দিয়েছেন। তবে সেই বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা অংশ নিলেও আন্দোলনের সংগঠকদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে ভয়ভীতি-হুমকি দিয়েছে।
শুক্রবার মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ব্যানার-প্ল্যাকার্ড কেড়ে নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এরপর গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগ বলেছে, সরকারি চাকরিতে ‘কোটা’ ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তসংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলাপন, যৌক্তিক উপায় গ্রহণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার জন্য ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন করবেন তাঁরা। এমন কর্মসূচিকে আন্দোলন দমনের পাল্টা কর্মসূচি বলেই মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বাকের মজুমদার আজকের পত্রিকাকে জানান, শিক্ষার্থীরা যেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিতে না পারেন, সেজন্য একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে কর্মসূচি দিয়ে রাখে ছাত্রলীগ। সেখানে অংশ না নিলে রাতে সেই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ছাত্রলীগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে আন্দোলন দমনের চেষ্টার অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে প্রশাসন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। দুপুরে প্রক্টরের সঙ্গে দেখা করার পর কোটা সংস্কারের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান সেখানকার নেতারা। তবে অন্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হওয়া শুরু করলে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের বের হতে নিষেধ করা হয়।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেদিন প্রক্টরের সঙ্গে দেখা করতে আমি যাইনি। জুনিয়র যারা আছে, তারা গিয়েছিল। তাদের হয়তো কিছু বলেছে। কী বলেছে আমি শিওর না, তবে ভয়ভীতির মতো হয়তো কিছু বলেছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রশাসন সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে বাধা দিচ্ছে। সরকার নানাদিক উসকে দিয়ে আন্দোলনকে সহিংস অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে সরকার। স্ক্যাম চক্রের প্রতারণা এড়াতে নিয়োগ যাচাই এবং সাইবার নিরাপত্তা মেনে চলার পরামর্শ।
২ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৮ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৯ ঘণ্টা আগে