অনলাইন ডেস্ক
গত বছর জুলাইয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের রংপুরে সহিংসতায় নিহত আবু সাঈদের ২০ ফুট দীর্ঘ একটি ভাস্কর্য থাকছে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায়। দুই হাত প্রসারিত ও বুক টান করে দাঁড়ানোর দৃশ্যটি সেই ভাস্কর্যে তুলে আনা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখের বরাতে প্রথম আলো এতথ্য জানিয়েছে।
চারুকলা অনুষদের ডিন জানান, এবার প্রাথমিকভাবে বড় আকারের চারটি ভাস্কর্য রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ২০ ফুট দীর্ঘ জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য।
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন কর্মসূচি নিয়ে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অংশীজনদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এতে যোগ দেন।
সভা শেষে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এবারের উদ্যাপনটা দুই দিনব্যাপী হবে। চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ দুটি উদ্যাপনই জাতীয়ভাবে আয়োজন করা হবে। এর মধ্যেই রয়েছে শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কাজ শুরু করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ আয়োজনে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মানুষজন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যোগ দেবেন। সবার অংশগ্রহণের ফলে এ বারের উদ্যাপন পূর্বের তুলনায় বৃহৎ ও রঙিন হবে।’
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘নাম পরিবর্তন নিয়ে আমরা কোনো আলোচনা করিনি। গত রোববারের মিটিং শেষে এ নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমাকে ‘মিসকোট’ করে প্রচার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহার ইসলাম শেখ বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আজকের সভায় প্রতিপাদ্য চূড়ান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু কমিটি এবং উপকমিটি গঠনেরও কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত একটি উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা। শোভাযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন। এছাড়া আরও কিছু কমিটি গঠনও প্রক্রিয়াধীন।’
বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখে কয়েক দশক ধরে চলছে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বানের মর্মধারণে এর নাম হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকাভুক্ত করে।
বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী এই শোভাযাত্রার নাম অন্তর্বর্তী সরকার পরিবর্তনের চিন্তা করছে বলে দুদিন আগে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছিলেন। তবে গতকালের বৈঠক শেষে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি। সেসঙ্গে গণমাধ্যমে তাকে ‘মিসকোট’ করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
গত বছর জুলাইয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের রংপুরে সহিংসতায় নিহত আবু সাঈদের ২০ ফুট দীর্ঘ একটি ভাস্কর্য থাকছে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায়। দুই হাত প্রসারিত ও বুক টান করে দাঁড়ানোর দৃশ্যটি সেই ভাস্কর্যে তুলে আনা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখের বরাতে প্রথম আলো এতথ্য জানিয়েছে।
চারুকলা অনুষদের ডিন জানান, এবার প্রাথমিকভাবে বড় আকারের চারটি ভাস্কর্য রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ২০ ফুট দীর্ঘ জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য।
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন কর্মসূচি নিয়ে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অংশীজনদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এতে যোগ দেন।
সভা শেষে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘এবারের উদ্যাপনটা দুই দিনব্যাপী হবে। চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ দুটি উদ্যাপনই জাতীয়ভাবে আয়োজন করা হবে। এর মধ্যেই রয়েছে শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা নিয়ে ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কাজ শুরু করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ আয়োজনে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মানুষজন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যোগ দেবেন। সবার অংশগ্রহণের ফলে এ বারের উদ্যাপন পূর্বের তুলনায় বৃহৎ ও রঙিন হবে।’
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘নাম পরিবর্তন নিয়ে আমরা কোনো আলোচনা করিনি। গত রোববারের মিটিং শেষে এ নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমাকে ‘মিসকোট’ করে প্রচার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহার ইসলাম শেখ বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আজকের সভায় প্রতিপাদ্য চূড়ান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু কমিটি এবং উপকমিটি গঠনেরও কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত একটি উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা। শোভাযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন। এছাড়া আরও কিছু কমিটি গঠনও প্রক্রিয়াধীন।’
বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখে কয়েক দশক ধরে চলছে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বানের মর্মধারণে এর নাম হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকাভুক্ত করে।
বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী এই শোভাযাত্রার নাম অন্তর্বর্তী সরকার পরিবর্তনের চিন্তা করছে বলে দুদিন আগে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছিলেন। তবে গতকালের বৈঠক শেষে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি। সেসঙ্গে গণমাধ্যমে তাকে ‘মিসকোট’ করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলের অপচয় ও দুর্নীতি কমাতে সচিব ও মহাপরিচালককে (ডিজি) সুনির্দিষ্ট টার্গেট দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এখন রেলে ১ টাকা আয় করতে যে আড়াই টাকা খরচ হয় তা অবিলম্বে ২ টাকার নিচে নামিয়ে আনতেও বলা হয়েছে।
৮ মিনিট আগেরেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। এক ১ রোজগার করার জন্য আড়াই টাকার মতো খরচ হয়। এটার পেছনে দুইটা কারণ—রেলের দুর্নীতি ও অপচয়। অপচয় এবং দুর্নীতি কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।’
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘৭১ এ দেশকে জন্ম দিয়েছে, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি; রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা। আমরা মনে করি ২৪ সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে।’
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন মার্কো রুবিও। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
৩ ঘণ্টা আগে