Ajker Patrika

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাবের শেষ দিন আজ, দিতে হবে যেসব তথ্য

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১: ২৬
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাবের শেষ দিন আজ, দিতে হবে যেসব তথ্য

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার শেষ সময় আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি। দেশের ১৫ লাখের মতো সরকারি কর্মচারীকে আজকের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। গত ২৬ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এর আগে গত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদবিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান গত ২ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বছরে একবার এ বিবরণী জমা দিতে হবে। এখন থেকে যাঁদের কোনো সম্পদ নেই, তাঁদেরও তথ্য বা বিবরণী জমা দিতে হবে। এটি জনস্বার্থে দিতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, সারা দেশে ১৫ লাখের মতো সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। সম্পদের বিবরণী জমা না দিলে দণ্ড কী হবে, তা আইনে বলে দেওয়া আছে। সোজা কথা, জমা না দিলে আইনানুগ খবর আছে। যত বড় যে-ই হোক, চোরকে চোর বলতে হবে।

যেসব তথ্য দিতে হবে:

ক. সাধারণ তথ্য:

১। কর্মচারীর নাম: ২। পরিচিতি নম্বর (যদি থাকে) : ৩। পদবি: ৪। ক্যাডার (যদি থাকে) : ৫। বর্তমান কর্মস্থল: ৬। চাকরিতে যোগদানের তারিখ: ৭। যোগদানকালে পদবি: ৮। স্থায়ী ঠিকানা: ৯। এনআইডি নম্বর: ১০। জন্মতারিখ: ১১। টিআইএন: ১২। বেতন স্কেল: ১৩। মূল বেতন: ১৪। মোবাইল ফোন নম্বর: ১৫। ই-মেইল (যদি থাকে) : ১৬। বর্তমান ঠিকানা: ১৭। পরিবারের সদস্যদের (স্বামী বা স্ত্রীবা সন্তান) বিবরণ:

খ. স্থাবর সম্পত্তি:

১। জমি (ক) কৃষি (খ) অকৃষি: ২। ইমারত: ৩। বসতবাড়ি: ৪। ফ্ল্যাট: ৫। খামার বা বাগানবাড়ি: ৬। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ আরও কিছু থাকলে।

গ. অস্থাবর সম্পত্তি:

১। অলংকারাদি: ২। স্টকস/শেয়ার/ডিবেঞ্চার/বন্ড/সিকিউরিটিজ: ৩। সঞ্চয়পত্র/প্রাইজবন্ড/মঞ্চয় স্কিম: ৪। বিমা: ৫। নগদ/ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ/ঋণপ্রদান করা অর্থ: ৬। এফডিআর/ডিপিএস: ৭। জিপিএস/সিপিএফ: ৮। মোটরযান (ব্যক্তিগত/বাণিজ্যিক) : ৯। ইলেকট্রনিকস চিনিস/আসবাবপত্র: ১০ আগ্নেয়াস্ত্র।

সম্পদবিবরণী দাখিল না করলে ব্যবস্থা: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদবিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসংগতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলা আছে।

শাস্তি: সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৪(৫) (গ) উপবিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর জন্য ওই বিধিমালার ৪(২) ও ৪(৩) উপবিধিতে উল্লিখিত যেকোনো লঘুদণ্ড বা গুরুদণ্ড আরোপ করার বিধান রয়েছে।

৪(২)-এ উল্লিখিত লঘুদণ্ড নিম্নরূপ:

ক. তিরস্কার

খ. চাকরি বা পদসম্পর্কিত বিধি বা আদেশ অনুযায়ী পদোন্নতি বা আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির অযোগ্যতার ক্ষেত্র ছাড়া, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা;

গ. কর্তব্যে অবহেলা বা সরকারি আদেশ অমান্য করার কারণে সংঘটিত সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ অংশ বা তার অংশবিশেষ, বেতন বা আনুতোষিক হতে আদায় করা; অথবা

ঘ. বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ।

৪(৩)-এ উল্লিখিত গুরুদণ্ডগুলো নিম্নরূপ:

ক. নিম্ন পদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ;

খ. বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান;

গ. চাকরি থেকে অপসারণ;

ঘ. চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত