অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে হাসিনা সরকার উৎখাত হওয়ার এক সপ্তাহ পরই বিদ্যুৎ রপ্তানির নিয়ম সংশোধন করেছে ভারত সরকার। এর ফলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা সংস্থাগুলো বিশেষ শর্তে দেশের ভেতরেই বিদ্যুৎ বিক্রি করার সুযোগ পাবে। ভারত কেন এমন সংশোধনী আনল, তার একটি সূত্র বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দিয়েছেন বলে মনে করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা ভারতের আদানি গ্রুপ।
সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনসুর জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুতের বৃহত্তম রপ্তানিকারক আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়।
সোমবার দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় তার ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ রপ্তানির নিয়ম সংশোধন করেছে। একটি নোটিশ জারি করে এই সংশোধনীর বিষয়ে বলা হয়—বিদ্যুৎ রপ্তানিকারকেরা বিলম্বিত অর্থ প্রদানসহ যেকোনো ডিফল্টের ক্ষেত্রে রপ্তানি বন্ধ করে প্রয়োজনে ভারতীয় গ্রিডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সংযোগ করার অনুমতি পাবে। তবে প্রাথমিকভাবে সেই সংশোধনীর বিরোধিতা করেছিল ভারতের কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধী দল। এই সংশোধনী নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলগুলো বলেছিল, আদানি গোষ্ঠীকে লাভবান করাই এর উদ্দেশ্য।
জানা যায়, বাংলাদেশ বর্তমানে শুধু ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে। এই বিদ্যুতের সিংহভাগই আসে ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানি গ্রুপের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে। এটি ভারতের একমাত্র তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, যেখানে উৎপাদিত বিদ্যুতের শতভাগই রপ্তানি করা হয়।
আদানি গ্রুপ ৮০ কোটি ডলার পায় জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মনসুর ব্লুমবার্গকে বলেছিলেন, ‘আমরা যদি তাদের অর্থ প্রদান না করি, তবে তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।’
আদানি গ্রুপ অবশ্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিকে সম্মান করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। বিদ্যুৎ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতীয় সংশোধনীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দ্য প্রিন্ট পত্রিকাকে এর জবাব দেন আদানি গ্রুপের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনী আদানি পাওয়ার এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে থাকা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিকে প্রভাবিত করবে না।’
বকেয়া থাকার পরও আদানি গ্রুপ নিরবচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে বলেও জানান ওই মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদার সময়সূচি এবং বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বিধান অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড লিমিটেড (এপিজেএল) আদানি পাওয়ারের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী সংস্থা। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুযায়ী আদানি গ্রুপ তাদের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে ২৫ বছরের জন্য সংযুক্ত ৪০০ কেভি ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ গ্রিডে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট নেট ক্ষমতা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ সালে মোট ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে দেশে। সবটুকু বিদ্যুৎই ভারত থেকে এসেছে। এর মধ্যে আদানি গ্রুপের গোড্ডা প্ল্যান্ট সরবরাহ করেছে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বা ৫৬ শতাংশ।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশে হাসিনা সরকার উৎখাত হওয়ার এক সপ্তাহ পরই বিদ্যুৎ রপ্তানির নিয়ম সংশোধন করেছে ভারত সরকার। এর ফলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা সংস্থাগুলো বিশেষ শর্তে দেশের ভেতরেই বিদ্যুৎ বিক্রি করার সুযোগ পাবে। ভারত কেন এমন সংশোধনী আনল, তার একটি সূত্র বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দিয়েছেন বলে মনে করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা ভারতের আদানি গ্রুপ।
সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনসুর জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুতের বৃহত্তম রপ্তানিকারক আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়।
সোমবার দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় তার ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ রপ্তানির নিয়ম সংশোধন করেছে। একটি নোটিশ জারি করে এই সংশোধনীর বিষয়ে বলা হয়—বিদ্যুৎ রপ্তানিকারকেরা বিলম্বিত অর্থ প্রদানসহ যেকোনো ডিফল্টের ক্ষেত্রে রপ্তানি বন্ধ করে প্রয়োজনে ভারতীয় গ্রিডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সংযোগ করার অনুমতি পাবে। তবে প্রাথমিকভাবে সেই সংশোধনীর বিরোধিতা করেছিল ভারতের কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধী দল। এই সংশোধনী নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলগুলো বলেছিল, আদানি গোষ্ঠীকে লাভবান করাই এর উদ্দেশ্য।
জানা যায়, বাংলাদেশ বর্তমানে শুধু ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে। এই বিদ্যুতের সিংহভাগই আসে ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানি গ্রুপের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে। এটি ভারতের একমাত্র তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, যেখানে উৎপাদিত বিদ্যুতের শতভাগই রপ্তানি করা হয়।
আদানি গ্রুপ ৮০ কোটি ডলার পায় জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মনসুর ব্লুমবার্গকে বলেছিলেন, ‘আমরা যদি তাদের অর্থ প্রদান না করি, তবে তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।’
আদানি গ্রুপ অবশ্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিকে সম্মান করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। বিদ্যুৎ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতীয় সংশোধনীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দ্য প্রিন্ট পত্রিকাকে এর জবাব দেন আদানি গ্রুপের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনী আদানি পাওয়ার এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে থাকা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিকে প্রভাবিত করবে না।’
বকেয়া থাকার পরও আদানি গ্রুপ নিরবচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে বলেও জানান ওই মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদার সময়সূচি এবং বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বিধান অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড লিমিটেড (এপিজেএল) আদানি পাওয়ারের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী সংস্থা। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুযায়ী আদানি গ্রুপ তাদের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে ২৫ বছরের জন্য সংযুক্ত ৪০০ কেভি ডেডিকেটেড ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ গ্রিডে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট নেট ক্ষমতা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ সালে মোট ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে দেশে। সবটুকু বিদ্যুৎই ভারত থেকে এসেছে। এর মধ্যে আদানি গ্রুপের গোড্ডা প্ল্যান্ট সরবরাহ করেছে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বা ৫৬ শতাংশ।
আরও খবর পড়ুন:
উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হওয়ার পর প্রকল্পে ব্যবহৃত গাড়ির বেশির ভাগই সরকারি দপ্তরে জমা হয় না। প্রভাবশালীরা কৌশলে এসব গাড়ি ব্যবহার করেন। ফলে প্রকল্পের গাড়ির ব্যবহার ও জমা দেওয়ার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
৪৪ মিনিট আগেবিচারপতি রুহুল আমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিদিন ১ হাজার ৩৪০টি অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে। সে হিসাবে ঘণ্টায় অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে ৫৬টি। দেশে অপরিণত শিশু জন্মে প্রতিরোধ কার্যক্রমে গতি নেই। এখনো বছরে সাড়ে চার লাখ অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে