অনলাইন ডেস্ক
গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি অংশ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বিদ্যমান রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিকদের পলায়নের পর, তাঁরা ভিডিও ও সাক্ষাৎকারে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়েছেন। আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাঁদের মধ্যে অনুশোচনা নেই।
‘নতুন বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী ১০০ দিন’ শীর্ষক টিআইবির পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি মাইডাস সেন্টারে গবেষণা তথ্য তুলে ধরা হয়। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের সময়কাল ছিল ৫ আগস্ট থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক শাহজাদা এম আকরাম।
বিএনপির বিষয়ে টিআইবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার নির্দেশ সত্ত্বেও সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের একটি অংশ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, হামলা, চাঁদাবাজি, দখল, আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ ও হাঙ্গামায় জড়িয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান (মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর), স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (সিটি করপোরেশন), সড়ক পরিবহন খাতে দখল ও আধিপত্য বিস্তার করেছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ১ হাজার ২৩ জন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিএনপি। এর মধ্যে রয়েছে—কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা, কমিটি থেকে অব্যাহতি এবং কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান।
আওয়ামী লীগের বিষয়ে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সরকার পতনের পর শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিকদের পলায়ন ও রাজনীতিতে দৃশ্যমান না থাকা, ভিডিও বার্তা ও সাক্ষাৎকারে বিভ্রান্তিমূলক ও প্ররোচণামূলক বার্তা প্রচার। বিশেষ করে—আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয়; ভারত আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন নিশ্চিত করবে বলে ঘোষণা; শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি; আওয়ামী লীগ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে এবং এই নির্বাচন তিন মাসের মধ্যে হতে হবে; শেখ হাসিনা কোনো ভুল করেননি; বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করতে শেখ হাসিনা কাউকে কোনো নির্দেশ দেননি; গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে শেখ হাসিনা আবার দেশে ফিরবেন ইত্যাদি।
টিআইবির মন্তব্যে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ পাচার, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন, বাক্স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার বা কোনো প্রকার অনুশোচনা প্রকাশ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গণ-অভুত্থানের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে যাঁরা নিজেদের বিজয়ী ভাবছেন, তাঁদের কারও কারও মধ্যে ইতিবাচক রাজনৈতিক চর্চার ঘাটতি দৃশ্যমান। বিশেষ করে দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ৫ আগস্ট বিকেল থেকে শুরু হয়েছে। সেটা এখনো অব্যাহত আছে। দলবাজি, দখলবাজি কেন্দ্র করে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। যেটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি অংশ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি বিদ্যমান রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিকদের পলায়নের পর, তাঁরা ভিডিও ও সাক্ষাৎকারে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়েছেন। আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাঁদের মধ্যে অনুশোচনা নেই।
‘নতুন বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী ১০০ দিন’ শীর্ষক টিআইবির পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি মাইডাস সেন্টারে গবেষণা তথ্য তুলে ধরা হয়। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের সময়কাল ছিল ৫ আগস্ট থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক শাহজাদা এম আকরাম।
বিএনপির বিষয়ে টিআইবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার নির্দেশ সত্ত্বেও সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের একটি অংশ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, হামলা, চাঁদাবাজি, দখল, আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ ও হাঙ্গামায় জড়িয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান (মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর), স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (সিটি করপোরেশন), সড়ক পরিবহন খাতে দখল ও আধিপত্য বিস্তার করেছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ১ হাজার ২৩ জন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিএনপি। এর মধ্যে রয়েছে—কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা, কমিটি থেকে অব্যাহতি এবং কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান।
আওয়ামী লীগের বিষয়ে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সরকার পতনের পর শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিকদের পলায়ন ও রাজনীতিতে দৃশ্যমান না থাকা, ভিডিও বার্তা ও সাক্ষাৎকারে বিভ্রান্তিমূলক ও প্ররোচণামূলক বার্তা প্রচার। বিশেষ করে—আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয়; ভারত আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন নিশ্চিত করবে বলে ঘোষণা; শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি; আওয়ামী লীগ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে এবং এই নির্বাচন তিন মাসের মধ্যে হতে হবে; শেখ হাসিনা কোনো ভুল করেননি; বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করতে শেখ হাসিনা কাউকে কোনো নির্দেশ দেননি; গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে শেখ হাসিনা আবার দেশে ফিরবেন ইত্যাদি।
টিআইবির মন্তব্যে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ পাচার, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন, বাক্স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার বা কোনো প্রকার অনুশোচনা প্রকাশ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গণ-অভুত্থানের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে যাঁরা নিজেদের বিজয়ী ভাবছেন, তাঁদের কারও কারও মধ্যে ইতিবাচক রাজনৈতিক চর্চার ঘাটতি দৃশ্যমান। বিশেষ করে দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ৫ আগস্ট বিকেল থেকে শুরু হয়েছে। সেটা এখনো অব্যাহত আছে। দলবাজি, দখলবাজি কেন্দ্র করে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। যেটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। আজ শনিবার বিকেলে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস
২১ মিনিট আগেপ্রকৃত মৎস্যচাষিদের স্বার্থে হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কোনো হাওরে ইজারা থাকা উচিত নয়। হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে। হাওর সেখানকার মানুষের অধিকারের জায়গা, আর তা রক্ষা করাই আমাদের কাজ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে
১ ঘণ্টা আগেপুলিশ সদস্যদের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলসহ দলীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা বরদাস্ত করা হবে না বলে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের মিছিল প্রতিরোধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে