নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যৌনকর্মীদের জীবনযাত্রার বাস্তব চিত্রের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের পুনর্বাসনে করণীয় ঠিক করতে সাবকমিটি গঠন করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী। আজ বৃহস্পতিবার কমিটির বৈঠকে সদস্য আরমা দত্তকে আহ্বায়ক করে এই সাবকমিটি গঠন করা হয়। সাবকমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ বিষয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করবে স্থায়ী কমিটি।
বৈঠকে যৌনকর্মীদের নিয়ে যেসব বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) কাজ করছে, তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিটি।
বৈঠক শেষে সাবকমিটির প্রধান আরমা দত্ত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিষয়টির প্রস্তাব তুলেছিলাম। সকলে আলোচনা করে সাবকমিটি গঠন করে দিয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান সাবকমিটি করে স্টাডি করার প্রস্তাব দেন। সাবকমিটির টার্মস অব রেফারেন্স এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য এখনো কোনো সময় বেঁধে দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যৌনকর্মীদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। যৌনকর্মীরা যাতে সমাজে অন্য দশজন মানুষের মতো নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারেন, এর একটি নীতি দরকার আছে।’
বৈঠকে জানানো হয়, ১৮ বছর বয়সের কম বয়সী যৌনকর্মীদের ধর্মীয় অনুশাসন শেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌনকর্মীদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর জানায়, বিদ্যমান শিশু আইন-২০১৩, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০, ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় (ব্যক্তি) পুনর্বাসন আইন-২০১১ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান মোতাবেক বিভিন্ন যৌনপল্লি ও অন্যান্য স্থান থেকে উদ্ধারের পর তাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ছয়টি বিভাগে অবস্থিত ছয়টি সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিচালনা করা হয়।
এ কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানকালীন ধর্মীয় অনুশাসন, নিবিড় কাউন্সেলিং ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মানসিক উৎকর্ষ সাধন এবং অবৈধ যৌনাচারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা হয়। পাশাপাশি নিবাসীদের প্রাথমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং বিভিন্ন ট্রেডভিত্তিক (কম্পিউটার, সেলাই ও এমব্রয়ডারি, ব্লক-বাটিক, ইলেকট্রনিকস, পোলট্রি ও সবজি বাগান ইত্যাদি) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা হয়। পরে কর্মসংস্থান, বিয়ে কিংবা প্রকৃত অভিভাবক, নিকটাত্মীয় অথবা অন্য কোনো বৈধ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, মোট ছয়টি কেন্দ্রের অনুমোদিত আসনসংখ্যা ৬০০। বর্তমানে ছয়টি কেন্দ্রের মধ্যে চারটি কেন্দ্রে নিবাসীর সংখ্যা ১৩৮ এবং শুরু থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৬২১ জন ভর্তি হয়েছে। সর্বমোট ১ হাজার ৪৮৩ জনকে বিভিন্ন মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সাগুফতা ইয়াসমিন, নাসরিন জাহান, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন ও আরমা দত্ত অংশ নেন।
যৌনকর্মীদের জীবনযাত্রার বাস্তব চিত্রের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের পুনর্বাসনে করণীয় ঠিক করতে সাবকমিটি গঠন করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী। আজ বৃহস্পতিবার কমিটির বৈঠকে সদস্য আরমা দত্তকে আহ্বায়ক করে এই সাবকমিটি গঠন করা হয়। সাবকমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ বিষয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করবে স্থায়ী কমিটি।
বৈঠকে যৌনকর্মীদের নিয়ে যেসব বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) কাজ করছে, তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিটি।
বৈঠক শেষে সাবকমিটির প্রধান আরমা দত্ত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিষয়টির প্রস্তাব তুলেছিলাম। সকলে আলোচনা করে সাবকমিটি গঠন করে দিয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান সাবকমিটি করে স্টাডি করার প্রস্তাব দেন। সাবকমিটির টার্মস অব রেফারেন্স এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য এখনো কোনো সময় বেঁধে দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যৌনকর্মীদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। যৌনকর্মীরা যাতে সমাজে অন্য দশজন মানুষের মতো নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারেন, এর একটি নীতি দরকার আছে।’
বৈঠকে জানানো হয়, ১৮ বছর বয়সের কম বয়সী যৌনকর্মীদের ধর্মীয় অনুশাসন শেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌনকর্মীদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর জানায়, বিদ্যমান শিশু আইন-২০১৩, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০, ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় (ব্যক্তি) পুনর্বাসন আইন-২০১১ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান মোতাবেক বিভিন্ন যৌনপল্লি ও অন্যান্য স্থান থেকে উদ্ধারের পর তাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ছয়টি বিভাগে অবস্থিত ছয়টি সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিচালনা করা হয়।
এ কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানকালীন ধর্মীয় অনুশাসন, নিবিড় কাউন্সেলিং ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মানসিক উৎকর্ষ সাধন এবং অবৈধ যৌনাচারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা হয়। পাশাপাশি নিবাসীদের প্রাথমিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং বিভিন্ন ট্রেডভিত্তিক (কম্পিউটার, সেলাই ও এমব্রয়ডারি, ব্লক-বাটিক, ইলেকট্রনিকস, পোলট্রি ও সবজি বাগান ইত্যাদি) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা হয়। পরে কর্মসংস্থান, বিয়ে কিংবা প্রকৃত অভিভাবক, নিকটাত্মীয় অথবা অন্য কোনো বৈধ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, মোট ছয়টি কেন্দ্রের অনুমোদিত আসনসংখ্যা ৬০০। বর্তমানে ছয়টি কেন্দ্রের মধ্যে চারটি কেন্দ্রে নিবাসীর সংখ্যা ১৩৮ এবং শুরু থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৬২১ জন ভর্তি হয়েছে। সর্বমোট ১ হাজার ৪৮৩ জনকে বিভিন্ন মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সাগুফতা ইয়াসমিন, নাসরিন জাহান, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন ও আরমা দত্ত অংশ নেন।
মার্চ মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৮৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৬০৪ জন এবং আহত ১ হাজার ২৩১ জন। ২৪২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৩৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১ দশমিক ২২ শতাংশ বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
১ ঘণ্টা আগেশনিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে (বিএআরসি) ‘ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রজনন সাফল্য নিরূপণ, জাটকা সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারের উপযুক্ত প্রমাণও পেশ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে