সাইফুল মাসুম, ঢাকা
সনাতনি হালচাষের বদলে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ছোঁয়া লেগেছে বহু আগেই। কৃষকের কাছে মানসম্পন্ন যন্ত্র পৌঁছানো নিশ্চিত করতে দেশে কৃষিযন্ত্রের মান যাচাইয়ের টেস্টিং ল্যাব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১১ বছর আগে। তবে সে উদ্যোগ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ফলে যন্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষককে মানহীন কৃষিযন্ত্র গছিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে চাষাবাদে কৃষককে লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, খামার যান্ত্রিকীকরণ দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে গাজীপুরের মৌচাকে কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এ সময়ে কৃষিযন্ত্রের মান পরীক্ষায় একটি ভবন ও কয়েকটি মেশিন স্থাপন করা হলেও ল্যাব সচল করা হয়নি। পরে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাব কার্যকর করার বিষয়ে ডিপিপিতে উল্লেখ করা হয়। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনে। অথচ এখনো টেস্টিং ল্যাব চালুই হয়নি। এদিকে এরই মধ্যে আগের প্রকল্পে কেনা যন্ত্রপাতিগুলো অকেজো হতে শুরু করেছে। কিছু সচল যন্ত্রপাতি বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে।
গাজীপুরের কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাব সেন্টারের জ্যেষ্ঠ কৃষি প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মোহাম্মদ আবদুল আহাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টেস্টিং ল্যাবে এখনো সবগুলো মেশিন বসানো হয়নি। আগের প্রকল্পে যন্ত্রপাতি কম কেনা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায়ও কোনো যন্ত্রপাতি কেনা হয়নি। ফলে টেস্টিং ল্যাব চালু করতে পারিনি।’
সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের ডিপিপিতে দেখা যায়, কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাব চালু করার জন্য প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দের মধ্যে যন্ত্র কেনার কথা ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণ, ডরমিটরি নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ লাইন বসানোর জন্য ২১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন বসানোর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কৃষি যন্ত্রপাতি টেস্টিং ল্যাব কার্যকর করতে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। সাত সদস্যের কমিটিতে সভাপতি করা হয় তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তারিক মাহমুদুল ইসলাম এবং সদস্যসচিব করা হয় কৃষি যন্ত্রপাতি টেস্টিং অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (গাজীপুর) জ্যেষ্ঠ কৃষি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল আহাদকে।
কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি বৈঠকের পর আর কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বারবার নির্দেশনা সত্ত্বেও তৎকালীন পিডি কারিগরি বিষয়ে দক্ষ না হওয়ায় টেস্টিং ল্যাব নিয়ে আগ্রহ দেখাননি। মূলত তাঁর মনোযোগ ছিল ভর্তুকির যন্ত্রের অর্থ লোপাটে।’
এ বিষয়ে যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সফিউজ্জামানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অসুস্থতার তথ্য জানিয়ে পরদিন কথা বলবেন বলে জানান। তবে পরদিন তিনি আর ফোন ধরেননি।
জানা গেছে, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় হাওর ও উপকূলীয় এলাকার কৃষকেরা কৃষিযন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ এবং অন্য সব এলাকার কৃষকেরা ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পাচ্ছেন। কিন্তু কৃষকেরা ভর্তুকির যন্ত্র কিনে লাভবান হওয়ার বদল উল্টো ঠকছেন। এ বিষয়ে ‘কৃষকের ভর্তুকিতে কার লাভ’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৩ জুলাই আজকের পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকল্পের তথ্য অনুসারে, ৩৪টি কোম্পানি এ প্রকল্পে যন্ত্র সরবরাহ করছে। এর মধ্যে ১৪টি কোম্পানি যন্ত্র আমদানি করে সরবরাহ করেছে। ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মূল্য দেখিয়ে মানহীন কৃষিযন্ত্র গছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষিযন্ত্রের মান যাচাইয়ের প্রকল্প থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কোম্পানিগুলোর যোগসাজশে ভর্তুকি মূল্যের চেয়ে কৃষকেরা বেশি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাবের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
সনাতনি হালচাষের বদলে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ছোঁয়া লেগেছে বহু আগেই। কৃষকের কাছে মানসম্পন্ন যন্ত্র পৌঁছানো নিশ্চিত করতে দেশে কৃষিযন্ত্রের মান যাচাইয়ের টেস্টিং ল্যাব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১১ বছর আগে। তবে সে উদ্যোগ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ফলে যন্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষককে মানহীন কৃষিযন্ত্র গছিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে চাষাবাদে কৃষককে লাভের পরিবর্তে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, খামার যান্ত্রিকীকরণ দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে গাজীপুরের মৌচাকে কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এ সময়ে কৃষিযন্ত্রের মান পরীক্ষায় একটি ভবন ও কয়েকটি মেশিন স্থাপন করা হলেও ল্যাব সচল করা হয়নি। পরে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাব কার্যকর করার বিষয়ে ডিপিপিতে উল্লেখ করা হয়। ২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনে। অথচ এখনো টেস্টিং ল্যাব চালুই হয়নি। এদিকে এরই মধ্যে আগের প্রকল্পে কেনা যন্ত্রপাতিগুলো অকেজো হতে শুরু করেছে। কিছু সচল যন্ত্রপাতি বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে।
গাজীপুরের কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাব সেন্টারের জ্যেষ্ঠ কৃষি প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মোহাম্মদ আবদুল আহাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টেস্টিং ল্যাবে এখনো সবগুলো মেশিন বসানো হয়নি। আগের প্রকল্পে যন্ত্রপাতি কম কেনা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায়ও কোনো যন্ত্রপাতি কেনা হয়নি। ফলে টেস্টিং ল্যাব চালু করতে পারিনি।’
সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের ডিপিপিতে দেখা যায়, কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাব চালু করার জন্য প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দের মধ্যে যন্ত্র কেনার কথা ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণ, ডরমিটরি নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ লাইন বসানোর জন্য ২১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন বসানোর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কৃষি যন্ত্রপাতি টেস্টিং ল্যাব কার্যকর করতে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। সাত সদস্যের কমিটিতে সভাপতি করা হয় তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তারিক মাহমুদুল ইসলাম এবং সদস্যসচিব করা হয় কৃষি যন্ত্রপাতি টেস্টিং অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (গাজীপুর) জ্যেষ্ঠ কৃষি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল আহাদকে।
কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি বৈঠকের পর আর কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বারবার নির্দেশনা সত্ত্বেও তৎকালীন পিডি কারিগরি বিষয়ে দক্ষ না হওয়ায় টেস্টিং ল্যাব নিয়ে আগ্রহ দেখাননি। মূলত তাঁর মনোযোগ ছিল ভর্তুকির যন্ত্রের অর্থ লোপাটে।’
এ বিষয়ে যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সফিউজ্জামানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অসুস্থতার তথ্য জানিয়ে পরদিন কথা বলবেন বলে জানান। তবে পরদিন তিনি আর ফোন ধরেননি।
জানা গেছে, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় হাওর ও উপকূলীয় এলাকার কৃষকেরা কৃষিযন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ এবং অন্য সব এলাকার কৃষকেরা ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পাচ্ছেন। কিন্তু কৃষকেরা ভর্তুকির যন্ত্র কিনে লাভবান হওয়ার বদল উল্টো ঠকছেন। এ বিষয়ে ‘কৃষকের ভর্তুকিতে কার লাভ’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৩ জুলাই আজকের পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকল্পের তথ্য অনুসারে, ৩৪টি কোম্পানি এ প্রকল্পে যন্ত্র সরবরাহ করছে। এর মধ্যে ১৪টি কোম্পানি যন্ত্র আমদানি করে সরবরাহ করেছে। ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মূল্য দেখিয়ে মানহীন কৃষিযন্ত্র গছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষিযন্ত্রের মান যাচাইয়ের প্রকল্প থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কোম্পানিগুলোর যোগসাজশে ভর্তুকি মূল্যের চেয়ে কৃষকেরা বেশি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কৃষিযন্ত্র টেস্টিং ল্যাবের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
৩ ঘণ্টা আগেগত ৫ মাসে (৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে) সারা দেশের ৪০টি মাজারে ৪৪টি হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ শনিবার পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে...
৭ ঘণ্টা আগে