অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শুক্রবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বৈঠক করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই সরকারপ্রধান পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংলাপের জন্য উন্মুক্ত মনোভাব নিয়ে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তাঁদের ৪০ মিনিটের আলোচনা খোলামেলা, ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক ছিল।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব আন্তসম্পর্কিত ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য এবং সাংস্কৃতিক আত্মীয়তার ওপর প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭১ সালে আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়ে ভারত সরকার ও জনগণের অবিচল সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
যদিও এই দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে এটি ছিল প্রথম সরাসরি বৈঠক, অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, গত আট মাসে দুই দেশ অসংখ্য দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় জড়িত ছিল।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আমাদের উভয় জনগণের স্বার্থে সম্পর্ককে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই।’
বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণকারী অধ্যাপক ইউনূস এই গোষ্ঠীর সাত সদস্যের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য ভারতের সমর্থন চেয়েছেন।
তিনি গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আলোচনার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নয়াদিল্লি সব সময় ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ দিয়েছে। তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশীর ইতিহাস জটিলভাবে জড়িত এবং এটি বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে সম্পর্কিত।
প্রধানমন্ত্রী মোদি অধ্যাপক ইউনূসের বৈশ্বিক মর্যাদার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভারত সব সময় একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক জনগণের সঙ্গে জনগণের।’
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনো সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস জানতে চান।
তিনি উল্লেখ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন এবং বাংলাদেশে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন, যা ভারত তাঁর প্রতি যে আতিথেয়তা দেখিয়েছে, তার অপব্যবহার বলে মনে হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উসকানিমূলক অভিযোগ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করছি, ভারত সরকার যেন সেখানে থাকাকালীন শেখ হাসিনা যাতে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’
অধ্যাপক ইউনূস ওএইচসিএইচআরের ফ্যাক্টফাইন্ডিং রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করেন। ওই প্রতিবেদনে নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র আওয়ামী লীগ কর্মীরা যে গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন করেছে, তার সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে।
ড. ইউনূস বলেন, ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, আন্দোলনের সময় ১ হাজার ৪০০টি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে যুক্তিসংগত কারণ পাওয়া গেছে যে বিক্ষোভের সময় নির্বিচার হত্যা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক কর্মকাণ্ডের মতো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বিশেষভাবে তাঁদের ‘হোতাদের গ্রেপ্তার, হত্যা এবং তাদের লাশ লুকিয়ে রাখার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ভারতের সম্পর্ক একটি দেশের সঙ্গে, কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে নয়।
অধ্যাপক ইউনূস সীমান্ত হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, প্রাণহানি কমাতে একসঙ্গে কাজ করলে তা কেবল অনেক পরিবারের চরম কষ্ট লাঘব করবে না, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলতে এবং সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটলে আমি সব সময় কষ্ট পাই।’ এই ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করার ‘উপায় ও মাধ্যম’ খুঁজে বের করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারতীয় সীমান্ত সেনারা শুধু আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
দুই নেতা এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বিমসটেকের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমসটেকের দৃশ্যমানতা বাড়াতে চায় এবং আশা করে, সংস্থাটি এই অঞ্চলের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সক্ষম একটি কার্যকর ও প্রাণবন্ত সত্তা হিসেবে আবির্ভূত হবে, যা তাদের বিশ্বজুড়ে পণ্য রপ্তানি ও আমদানির জন্য একটি দক্ষ পথ দেবে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্বেগের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরগুলো ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত এবং ‘এগুলোর অধিকাংশই ছিল ভুয়া খবর’। তিনি নরেন্দ্র মোদিকে কথিত হামলা ঘটনাগুলোর তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশে সাংবাদিক পাঠানোর অনুরোধ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি দেশে ধর্মীয় ও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করেছেন এবং তাঁর সরকার এ ধরনের ঘটনার যেকোনো সংঘটন বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
দুই নেতা একে অপরের সুস্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত মঙ্গল কামনা করেন এবং উভয় দেশের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য শুভকামনা জানিয়ে তাঁদের সংলাপ শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শুক্রবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বৈঠক করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই সরকারপ্রধান পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংলাপের জন্য উন্মুক্ত মনোভাব নিয়ে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তাঁদের ৪০ মিনিটের আলোচনা খোলামেলা, ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক ছিল।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব আন্তসম্পর্কিত ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য এবং সাংস্কৃতিক আত্মীয়তার ওপর প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭১ সালে আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়ে ভারত সরকার ও জনগণের অবিচল সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
যদিও এই দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে এটি ছিল প্রথম সরাসরি বৈঠক, অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, গত আট মাসে দুই দেশ অসংখ্য দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় জড়িত ছিল।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আমাদের উভয় জনগণের স্বার্থে সম্পর্ককে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই।’
বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণকারী অধ্যাপক ইউনূস এই গোষ্ঠীর সাত সদস্যের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য ভারতের সমর্থন চেয়েছেন।
তিনি গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আলোচনার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নয়াদিল্লি সব সময় ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ দিয়েছে। তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশীর ইতিহাস জটিলভাবে জড়িত এবং এটি বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে সম্পর্কিত।
প্রধানমন্ত্রী মোদি অধ্যাপক ইউনূসের বৈশ্বিক মর্যাদার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভারত সব সময় একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক জনগণের সঙ্গে জনগণের।’
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনো সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস জানতে চান।
তিনি উল্লেখ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন এবং বাংলাদেশে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন, যা ভারত তাঁর প্রতি যে আতিথেয়তা দেখিয়েছে, তার অপব্যবহার বলে মনে হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উসকানিমূলক অভিযোগ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করছি, ভারত সরকার যেন সেখানে থাকাকালীন শেখ হাসিনা যাতে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’
অধ্যাপক ইউনূস ওএইচসিএইচআরের ফ্যাক্টফাইন্ডিং রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করেন। ওই প্রতিবেদনে নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র আওয়ামী লীগ কর্মীরা যে গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন করেছে, তার সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে।
ড. ইউনূস বলেন, ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, আন্দোলনের সময় ১ হাজার ৪০০টি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে যুক্তিসংগত কারণ পাওয়া গেছে যে বিক্ষোভের সময় নির্বিচার হত্যা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক কর্মকাণ্ডের মতো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বিশেষভাবে তাঁদের ‘হোতাদের গ্রেপ্তার, হত্যা এবং তাদের লাশ লুকিয়ে রাখার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ভারতের সম্পর্ক একটি দেশের সঙ্গে, কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে নয়।
অধ্যাপক ইউনূস সীমান্ত হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, প্রাণহানি কমাতে একসঙ্গে কাজ করলে তা কেবল অনেক পরিবারের চরম কষ্ট লাঘব করবে না, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলতে এবং সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটলে আমি সব সময় কষ্ট পাই।’ এই ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করার ‘উপায় ও মাধ্যম’ খুঁজে বের করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারতীয় সীমান্ত সেনারা শুধু আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
দুই নেতা এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
অধ্যাপক ইউনূস বিমসটেকের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমসটেকের দৃশ্যমানতা বাড়াতে চায় এবং আশা করে, সংস্থাটি এই অঞ্চলের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সক্ষম একটি কার্যকর ও প্রাণবন্ত সত্তা হিসেবে আবির্ভূত হবে, যা তাদের বিশ্বজুড়ে পণ্য রপ্তানি ও আমদানির জন্য একটি দক্ষ পথ দেবে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্বেগের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরগুলো ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত এবং ‘এগুলোর অধিকাংশই ছিল ভুয়া খবর’। তিনি নরেন্দ্র মোদিকে কথিত হামলা ঘটনাগুলোর তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশে সাংবাদিক পাঠানোর অনুরোধ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি দেশে ধর্মীয় ও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করেছেন এবং তাঁর সরকার এ ধরনের ঘটনার যেকোনো সংঘটন বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
দুই নেতা একে অপরের সুস্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত মঙ্গল কামনা করেন এবং উভয় দেশের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য শুভকামনা জানিয়ে তাঁদের সংলাপ শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মার্চ মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৮৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৬০৪ জন এবং আহত ১ হাজার ২৩১ জন। ২৪২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৩৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১ দশমিক ২২ শতাংশ বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
২৫ মিনিট আগেশনিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে (বিএআরসি) ‘ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রজনন সাফল্য নিরূপণ, জাটকা সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তারের আগে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারের উপযুক্ত প্রমাণও পেশ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে