সাড়ে ১৪ বছরের গুমের ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৯: ৫৯
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ২১: ২৭

২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৪ বছর র‌্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে ৫ সদস্যের এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।

কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন– হাইকোর্ট বিভাগের (অতিরিক্ত বিচারক) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন। 

কমিশনকে তদন্ত করে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। 

কমিশনের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক এবং কমিশনের সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের মর্যাদা এবং অন্যান্য সুবিধা ভোগ করিবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬– এর ৩ ধারার ক্ষমতাবলে আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করলো।

কমিশনের কার্যপরিধির বিষয়ে বলা হয়েছে– 
(ক) বিগত ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করা। 

(খ) জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনাসমূহের বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করা এবং এই বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা। 

(গ) জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের আত্মীয়- স্বজনকে অবহিত করা। 

(ঘ) জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত