সম্পাদকীয়
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির যেসব তথ্য বিভিন্ন সময়ে উদ্ঘাটিত হয়েছে, তা এককথায় ভয়াবহ। দেশের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত খাতগুলোর অন্যতম হলো স্বাস্থ্য খাত—এমন কথা সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচলিত আছে। বলা চলে, তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সর্বত্রই চলছে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিযোগিতা। একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য খাত ঘিরে অপ্রতিরোধ্য যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, সর্বত্র তাদের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। এবার জানা গেল, একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসামগ্রী লোপাটের খবর।
বিস্ময়কর হলেও সত্য, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে কেনা ১৩টি অবজারভেশন টেবিল, ফ্রন্ট প্যানেল লাইট, ১০টি আইসিইউ শয্যা, ডেন্টাল চেয়ার, ২টি ফোরডি আলট্রাসাউন্ড যন্ত্র লোপাটের খবর প্রকাশিত হয়েছে বুধবারের আজকের পত্রিকায়। খবর থেকে জানা যায়, হাসপাতালটির জন্য এসব যন্ত্রপাতি কেনা হয় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে। আর মালপত্র সরবরাহ করা হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক দল ওই হাসপাতালে গিয়ে মহা ফাঁকিবাজি দেখতে পায়। এমনকি যন্ত্রগুলো হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে কি না, তা জানতে স্টক লেজার বইও দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। দরপত্রে ঋণপত্র (এলসি) খোলার শর্ত থাকলেও, এলসি খোলার কোনো প্রমাণপত্র পায়নি তদন্ত কমিটি।
এমনিতেই আমাদের দেশের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা অপ্রতুল। সরকারি হাসপাতালে মূলত গরিব, দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চিকিৎসা নিতে যায়। আর যাদের অবস্থা একটু ভালো, তারা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। একটু জটিল রোগ হলে, বেশি টাকা খরচ করে চিকিৎসা করার সামর্থ্য দরিদ্র মানুষের থাকে না। তাই তাদের শেষ ভরসার জায়গা সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু এখানেও তারা শুধু যন্ত্রপাতির অভাবে চিকিৎসাসেবা পায় না।
সরকার স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকার যেভাবে চিন্তা করছে, বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটছে না। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ভালো উদ্যোগগুলো ব্যাহত হচ্ছে এই দুর্নীতিবাজদের কারণে। স্বাস্থ্য খাত আর দশটি খাতের মতো নয়। একটি হাসপাতালের অনিয়ম বহু মানুষের জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ একটি হাসপাতালে যথেষ্ট যন্ত্র না থাকলে সঠিক রোগ পরীক্ষা করা কখনো সম্ভব হবে না। এতে রোগীর মৃত্যুই শুধু ত্বরান্বিত হবে।
আমরা মনে করি, স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করা অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য বড় ধরনের শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের ভূমিকাও থাকতে হবে। নিয়মিতভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নিতে হবে। অনিয়মের প্রতিটি ঘটনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ ছাড়া দেশের স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির বিস্তৃতি রোধ করতে হলে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা উচিত, দুর্নীতিবাজেরা যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে, সেদিকে থাকতে হবে কঠোর নজরদারি। শুধু আইন নয়, স্বাস্থ্য খাত থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে গণসচেতনতা গড়ে তোলাও জরুরি।
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির যেসব তথ্য বিভিন্ন সময়ে উদ্ঘাটিত হয়েছে, তা এককথায় ভয়াবহ। দেশের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত খাতগুলোর অন্যতম হলো স্বাস্থ্য খাত—এমন কথা সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচলিত আছে। বলা চলে, তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সর্বত্রই চলছে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিযোগিতা। একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য খাত ঘিরে অপ্রতিরোধ্য যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, সর্বত্র তাদের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। এবার জানা গেল, একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসামগ্রী লোপাটের খবর।
বিস্ময়কর হলেও সত্য, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে কেনা ১৩টি অবজারভেশন টেবিল, ফ্রন্ট প্যানেল লাইট, ১০টি আইসিইউ শয্যা, ডেন্টাল চেয়ার, ২টি ফোরডি আলট্রাসাউন্ড যন্ত্র লোপাটের খবর প্রকাশিত হয়েছে বুধবারের আজকের পত্রিকায়। খবর থেকে জানা যায়, হাসপাতালটির জন্য এসব যন্ত্রপাতি কেনা হয় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে। আর মালপত্র সরবরাহ করা হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক দল ওই হাসপাতালে গিয়ে মহা ফাঁকিবাজি দেখতে পায়। এমনকি যন্ত্রগুলো হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে কি না, তা জানতে স্টক লেজার বইও দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। দরপত্রে ঋণপত্র (এলসি) খোলার শর্ত থাকলেও, এলসি খোলার কোনো প্রমাণপত্র পায়নি তদন্ত কমিটি।
এমনিতেই আমাদের দেশের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা অপ্রতুল। সরকারি হাসপাতালে মূলত গরিব, দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চিকিৎসা নিতে যায়। আর যাদের অবস্থা একটু ভালো, তারা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। একটু জটিল রোগ হলে, বেশি টাকা খরচ করে চিকিৎসা করার সামর্থ্য দরিদ্র মানুষের থাকে না। তাই তাদের শেষ ভরসার জায়গা সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু এখানেও তারা শুধু যন্ত্রপাতির অভাবে চিকিৎসাসেবা পায় না।
সরকার স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকার যেভাবে চিন্তা করছে, বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটছে না। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ভালো উদ্যোগগুলো ব্যাহত হচ্ছে এই দুর্নীতিবাজদের কারণে। স্বাস্থ্য খাত আর দশটি খাতের মতো নয়। একটি হাসপাতালের অনিয়ম বহু মানুষের জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ একটি হাসপাতালে যথেষ্ট যন্ত্র না থাকলে সঠিক রোগ পরীক্ষা করা কখনো সম্ভব হবে না। এতে রোগীর মৃত্যুই শুধু ত্বরান্বিত হবে।
আমরা মনে করি, স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করা অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য বড় ধরনের শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের ভূমিকাও থাকতে হবে। নিয়মিতভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নিতে হবে। অনিয়মের প্রতিটি ঘটনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ ছাড়া দেশের স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির বিস্তৃতি রোধ করতে হলে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা উচিত, দুর্নীতিবাজেরা যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে, সেদিকে থাকতে হবে কঠোর নজরদারি। শুধু আইন নয়, স্বাস্থ্য খাত থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে গণসচেতনতা গড়ে তোলাও জরুরি।
৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে সংস্কারের আহ্বান শোনা যাচ্ছে বেশ জোরেশোরেই। সব ক্ষেত্রে। চলচ্চিত্রাঙ্গনেও এই সংস্কারের জোয়ার এসে লেগেছে। জোয়ারের আগে মূলধারার চলচ্চিত্রের লোকজন নানাভাবে জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে। অভ্যুত্থান শুরুর পর তাঁদের মনে হয়েছে ভবিষ্যৎ বুঝি অন্ধকারে প্রবেশ করতে যাচ্
১ দিন আগেইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করেছে। ইরানের ওপর সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলা ঝুঁকি বাড়ালেও তা পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের পথে পা বাড়ানোর কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না। ইসরায়েলের এখনকার লক্ষ্য তার সীমানা সুরক্ষিত করা। অন্যদিকে ইরানের দরকার বর্তমান শাসন-ক্ষমত
১ দিন আগেবিকেল গড়িয়ে তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। গ্রামের এক হাটে কৃষকের আনাগোনা, শোরগোল। ভ্যানে তুলে বস্তা বোঝাই আলু এনে আশানুরূপ দাম না পেয়ে হতাশ তাঁরা। বলছিলেন, কৃষিকাজই বাদ দিয়ে দেবেন। তাঁরা যে আলু বিক্রি করেন কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকায়, সেই আলুই ভোক্তার হাতে যায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। মাঝের এই মূল্য বৃদ্ধির পথ প
১ দিন আগেলিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েই বাগিয়ে নিতে হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পদগুলো। লিখিত পরীক্ষায় যাঁরা বাকিদের টেক্কা দিতে পারেন, পরবর্তী মওকা তাঁদের জন্য সুরক্ষিত। মৌখিক পরীক্ষায় উতরে গেলেই চাকরি নিজের। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ পায় কী করে কিছু পরীক্ষার্থী—বিষয়টি শুধু অ
১ দিন আগে