অনলাইন ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশের প্রথম দিকেই তাঁর প্রশাসন প্রায় সব বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি হ্রাস বা স্থগিত করেছে। এই সিদ্ধান্ত সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা পর্যালোচনা ও সম্ভবত সংস্কারের পরিকল্পনারও ইঙ্গিত।
এই প্রাথমিক কাটছাঁট ও স্থগিতাদেশের অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউস বাংলাদেশেও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সব প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ বা স্থগিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার গত গ্রীষ্মে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশের অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে এবং দেশ এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। অনেক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এখনো সঠিকভাবে কার্যকর নয় বা দুর্নীতি ও নজরদারির অভাবের শিকার। দেশ কার্যত ‘দেউলিয়া’।
প্রাথমিকভাবে এই সহায়তা স্থগিতাদেশ ৯০ দিনের জন্য কার্যকর থাকবে। তবে এটি সহজেই অনুমেয় যে, এটি দীর্ঘায়িত হতে পারে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক সহায়তার প্রতি অনীহা রয়েছে এবং ৯০ দিনের মধ্যে সব সহায়তা কর্মসূচির বিস্তৃত পর্যালোচনা সম্ভব হবে না। তবে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য দেওয়া সহায়তা এই স্থগিতাদেশের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা গত বছর এক স্বৈরশাসককে ক্ষমতাচ্যুত করেছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস সত্যিকার অর্থেই সংস্কার ও পুনর্গঠনে নিবেদিত। এখন সহায়তা বন্ধ হলে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। সেটি হলো—এই কাটছাঁট বাংলাদেশের বৃহৎ জনসংখ্যার ও অত্যন্ত কৌশলগত অবস্থানে থাকা দেশকে বিকল্প অর্থায়নের উৎস সন্ধানে বাধ্য করবে। শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গেও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল।
বাংলাদেশ যখন সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী তখন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশে তার ভূমিকা কার্যত পরিত্যাগ করে সে ক্ষেত্রে ঢাকা চীনের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠতে পারে এবং তাহলে বেইজিং নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশকে আরও বেশি অর্থায়ন ও ঋণ দেবে। চীন এরই মধ্যে বাংলাদেশে একাধিক ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে সহায়তা দিয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নিজস্ব সমর্থন জানিয়েছে। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিতের পর অন্তর্বর্তী সরকার চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছে। এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক কৌশলগত স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
লেখক: মার্কিন থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ ফেলো জোশুয়া কুরলান্তজিক
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশের প্রথম দিকেই তাঁর প্রশাসন প্রায় সব বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি হ্রাস বা স্থগিত করেছে। এই সিদ্ধান্ত সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা পর্যালোচনা ও সম্ভবত সংস্কারের পরিকল্পনারও ইঙ্গিত।
এই প্রাথমিক কাটছাঁট ও স্থগিতাদেশের অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউস বাংলাদেশেও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সব প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ বা স্থগিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার গত গ্রীষ্মে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশের অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে এবং দেশ এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। অনেক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এখনো সঠিকভাবে কার্যকর নয় বা দুর্নীতি ও নজরদারির অভাবের শিকার। দেশ কার্যত ‘দেউলিয়া’।
প্রাথমিকভাবে এই সহায়তা স্থগিতাদেশ ৯০ দিনের জন্য কার্যকর থাকবে। তবে এটি সহজেই অনুমেয় যে, এটি দীর্ঘায়িত হতে পারে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক সহায়তার প্রতি অনীহা রয়েছে এবং ৯০ দিনের মধ্যে সব সহায়তা কর্মসূচির বিস্তৃত পর্যালোচনা সম্ভব হবে না। তবে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য দেওয়া সহায়তা এই স্থগিতাদেশের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা গত বছর এক স্বৈরশাসককে ক্ষমতাচ্যুত করেছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস সত্যিকার অর্থেই সংস্কার ও পুনর্গঠনে নিবেদিত। এখন সহায়তা বন্ধ হলে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। সেটি হলো—এই কাটছাঁট বাংলাদেশের বৃহৎ জনসংখ্যার ও অত্যন্ত কৌশলগত অবস্থানে থাকা দেশকে বিকল্প অর্থায়নের উৎস সন্ধানে বাধ্য করবে। শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গেও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল।
বাংলাদেশ যখন সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী তখন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশে তার ভূমিকা কার্যত পরিত্যাগ করে সে ক্ষেত্রে ঢাকা চীনের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠতে পারে এবং তাহলে বেইজিং নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশকে আরও বেশি অর্থায়ন ও ঋণ দেবে। চীন এরই মধ্যে বাংলাদেশে একাধিক ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে সহায়তা দিয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নিজস্ব সমর্থন জানিয়েছে। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিতের পর অন্তর্বর্তী সরকার চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছে। এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক কৌশলগত স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
লেখক: মার্কিন থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ ফেলো জোশুয়া কুরলান্তজিক
বাংলাদেশের জাতীয় জনসংখ্যা দিবস প্রতিবছর ২ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এই দিবসটি জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব, পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যসেবা এবং টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পালন করা হয়। ২০২৫ সালে এই দিবসটি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কারণ, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত
১২ ঘণ্টা আগেযোদ্ধা ও ভিক্ষুকের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং চরিত্র নিয়ে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটি অসাধারণ লেখা ছাপা হয়েছে। লেখাটি নানা কারণেই একটা বড় চিন্তার বিষয় হয়ে পড়েছে। যদিও এসব কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এমন তুলনামূলক বিশ্লেষণ কখনোই সেভাবে আসেনি।
১ দিন আগেঅভূতপূর্ব এক গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সামনে প্রকৃত অর্থেই এক নবযাত্রার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। মনে হয়েছিল এক নতুন ভোরের সূর্যোদয়। কিন্তু ছয় মাস না পেরোতেই আশা ফিকে হয়ে আসছে। ঈষান কোণের কালো মেঘ তার বিস্তার ঘটাচ্ছে।
১ দিন আগেঘুণে ধরা সমাজ বা কাঁচা বাশে ঘুণে ধরার কথা দৈনন্দিন জীবনে আমরা কে না শুনেছি? আবার ঘুণাক্ষরে টের না পাওয়ার বিষয়টিও আমরা কমবেশি শুনেছি। নেতিবাচক অর্থে এই ঘুণে ধরার বিষয়টি আমাদের সমাজব্যবস্থায় যেন পাকাপোক্ত স্থান করে নিয়েছে।
১ দিন আগে