প্রতিনিধি, (আশাশুনি) সাতক্ষীরা
ইউনেসকোর ‘ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যাটিসটিকস’-এর তথ্য মতে বিশ্বে গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ প্রতি তিনজনে একজন। ইউনেসকোর ২০২১ বিজ্ঞান রিপোর্ট অনুসারে সার্কভুক্ত দেশ সমূহের মধ্যে বাংলাদেশে গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ কেবলমাত্র ১৩.৯৬% আর ৪৬.৬২% নারীদের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে শ্রীলঙ্কা অবস্থান তালিকার সবার ওপরে। বাংলাদেশের চেয়ে এদিকে পিছিয়ে থাকা সার্কভুক্ত দেশ হলো নেপাল।
পরিসংখ্যানগত তারতম্য যাই থাকুক না কেন এটি প্রমাণিত যে, বাংলাদেশে অন্যান্য পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ সময়ের সঙ্গে যে হারে অগ্রসর হচ্ছে গবেষণায় তার বিপরীত চিত্র দেখা মেলে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর জরিপের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের শ্রম শক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণের হার ২০১৭ এর তুলনায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪২.৬৮% এ উপনীত হয়। যা সামগ্রিক বেকারত্ব দূরীকরণে প্রভাব রেখেছে। কিন্তু আলাদাভাবে যদি গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ এর দিকে নজর দেওয়া হয়, তা সত্যিই হতাশাময়।
হতাশার এই চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমূহের দিকে তাকালে। সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে মানব সম্পদ বিভাগের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ কেবলমাত্র ২০ %। তবে বিপরীত দিকে আইসিডিডিআরবি, ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ, বিআইজিডি, বিআইইডিসহ প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নারী ও পুরুষ গবেষকের অনুপাত প্রায় ১: ১। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পুরুষ গবেষকদের চেয়ে নারী গবেষকের সংখ্যা বেশিই বলে জানা যায়—প্রতিষ্ঠান সমূহের মানব সম্পদ বিভাগের প্রাপ্ত তথ্য মতে। এই তথ্য অবশ্যই ভবিষ্যতে গবেষণায় নারীদের পদচারণার সোনালি ভবিষ্যৎকে নির্দেশ করে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষ অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন রূপরেখা প্রদান করে।
পেশাগত জীবনে একজন উন্নয়নকর্মী ও উন্নয়ন অধ্যয়নের শিক্ষার্থী হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে আমার অভিজ্ঞতা সত্যিই আশা জাগানিয়া। আজ থেকে এক দশক আগে ও গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ ছিল খুব যৎসামান্য। যদিও এর পেছনে ছিল কিছু বাস্তব ও প্রাগৈতিহাসিক প্রেক্ষাপট, বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি নারীদের অনাগ্রহ ছিল, লিঙ্গবৈষম্য, পরিবার ও পেশাজীবনের মাঝে ধ্রুপদি দ্বন্দ্ব, পর্যাপ্ত তহবিলের অভাব, কর্মসহায়ক পরিবেশের অনুপস্থিতি। যা গবেষণায় নারীদের নিরুৎসাহিত করতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও সমন্বিত উন্নয়নের ধারণা প্রচলিত হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠান সমূহের নারী বান্ধব কর্ম পরিবেশ; বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে (স্টেম) নারীদের আগ্রহ তৈরি; সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন; উচ্চতর শিক্ষার বিস্তৃত সুযোগ সৃষ্টি; গবেষণায় সরকারি অর্থায়নের বরাদ্দ বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের নারী গবেষকদের সফলতার কারণে গবেষণা সংক্রান্ত পাঠ্যক্রমে তরুণ নারী গবেষকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি সত্যিই আশা জাগানিয়া।
গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও সফলতার মূলে যে কয়েকটি বিষয় ভূমিকা রেখেছে তা তুলে ধরেছেন স্বনামধন্য কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ বিভাগ। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় বিশ্লেষণধর্মী জ্ঞান, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, তথ্য বিশ্লেষণের দক্ষতা, মাঠ পর্যায়ে কাজ করার আগ্রহ বৃদ্ধি, সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মপরিবেশ এই বিষয় সমূহ গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। শুরু ও মধ্যম পর্যায়ে নারী গবেষকদের অগ্রগতির চিত্র স্পষ্ট হলে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে নারী গবেষকদের সংখ্যা এখনো সীমিত।
তবে ২০২৩ সালে আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌস কাদরীর দেশের বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ম্যাগাজিন এশিয়ার সায়েন্টিসের ‘দ্য এশিয়ান সায়েন্টিস ১০০’-এ ঢাবির অধ্যাপক ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী ও সিএইচআরএফ এর ড. সেজুঁতি সাহার স্থান করে নেওয়া, ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইসের ডিন হিসেবে ড. সাবিনা ফাইজ রশীদের ১০ বছরের দায়িত্ব পালন বাংলাদেশের তরুণ ও আগ্রহী নারী গবেষকদের প্রেরণা হয়ে রইবে।
গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সঙ্গে নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাবন ও সৃজনে সমান সুযোগ সৃষ্টি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শক্ত বুনিয়াদ হয়ে থাকবে। একজন নারী গবেষকের এগিয়ে চলা সামগ্রিকভাবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে সমর্থন করে। আর এই এগিয়ে চলার উপযুক্ত ক্ষেত্র সৃষ্টি কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার ও সরকারের নীতি নির্ধারকদের ওপর নির্ভর করবে না, এর জন্য প্রয়োজন সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। প্রতিষ্ঠান সমূহের উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নারীকে সক্ষম হয়ে গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি, মাঠ পর্যায়ে কাজ করার অদম্য মানসিকতা, সমবেতন কাঠামোর বিন্যাস, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে গবেষণার মৌলিক বিষয় সমূহের যথাযথ পাঠদান, শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার গবেষণা ব্যাংক প্রতিষ্ঠার এ ক্ষেত্রে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখবে।
গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সকল বাঁধা সমূহ দূর হোক। নিশ্চিত হোক গবেষণায় নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন তখনই নিশ্চিত হবে যখন সর্বক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সরাসরি নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। নারী গবেষকদের এগিয়ে চলা হোক নিরবচ্ছিন্ন ও নিরন্তর। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গবেষণায় কর্মরত সকল নারীকে জানায় প্রাণঢালা অভিনন্দন, আর উদীয়মান সকল গবেষকদের প্রতি রইল নিরন্তর শুভকামনা।
লেখক: উন্নয়ন কর্মী, বিএইচডব্লিউ, ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ
ইউনেসকোর ‘ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যাটিসটিকস’-এর তথ্য মতে বিশ্বে গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ প্রতি তিনজনে একজন। ইউনেসকোর ২০২১ বিজ্ঞান রিপোর্ট অনুসারে সার্কভুক্ত দেশ সমূহের মধ্যে বাংলাদেশে গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ কেবলমাত্র ১৩.৯৬% আর ৪৬.৬২% নারীদের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে শ্রীলঙ্কা অবস্থান তালিকার সবার ওপরে। বাংলাদেশের চেয়ে এদিকে পিছিয়ে থাকা সার্কভুক্ত দেশ হলো নেপাল।
পরিসংখ্যানগত তারতম্য যাই থাকুক না কেন এটি প্রমাণিত যে, বাংলাদেশে অন্যান্য পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ সময়ের সঙ্গে যে হারে অগ্রসর হচ্ছে গবেষণায় তার বিপরীত চিত্র দেখা মেলে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর জরিপের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের শ্রম শক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণের হার ২০১৭ এর তুলনায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪২.৬৮% এ উপনীত হয়। যা সামগ্রিক বেকারত্ব দূরীকরণে প্রভাব রেখেছে। কিন্তু আলাদাভাবে যদি গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ এর দিকে নজর দেওয়া হয়, তা সত্যিই হতাশাময়।
হতাশার এই চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমূহের দিকে তাকালে। সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে মানব সম্পদ বিভাগের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ কেবলমাত্র ২০ %। তবে বিপরীত দিকে আইসিডিডিআরবি, ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ, বিআইজিডি, বিআইইডিসহ প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নারী ও পুরুষ গবেষকের অনুপাত প্রায় ১: ১। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পুরুষ গবেষকদের চেয়ে নারী গবেষকের সংখ্যা বেশিই বলে জানা যায়—প্রতিষ্ঠান সমূহের মানব সম্পদ বিভাগের প্রাপ্ত তথ্য মতে। এই তথ্য অবশ্যই ভবিষ্যতে গবেষণায় নারীদের পদচারণার সোনালি ভবিষ্যৎকে নির্দেশ করে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষ অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন রূপরেখা প্রদান করে।
পেশাগত জীবনে একজন উন্নয়নকর্মী ও উন্নয়ন অধ্যয়নের শিক্ষার্থী হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে আমার অভিজ্ঞতা সত্যিই আশা জাগানিয়া। আজ থেকে এক দশক আগে ও গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ ছিল খুব যৎসামান্য। যদিও এর পেছনে ছিল কিছু বাস্তব ও প্রাগৈতিহাসিক প্রেক্ষাপট, বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি নারীদের অনাগ্রহ ছিল, লিঙ্গবৈষম্য, পরিবার ও পেশাজীবনের মাঝে ধ্রুপদি দ্বন্দ্ব, পর্যাপ্ত তহবিলের অভাব, কর্মসহায়ক পরিবেশের অনুপস্থিতি। যা গবেষণায় নারীদের নিরুৎসাহিত করতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও সমন্বিত উন্নয়নের ধারণা প্রচলিত হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠান সমূহের নারী বান্ধব কর্ম পরিবেশ; বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে (স্টেম) নারীদের আগ্রহ তৈরি; সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন; উচ্চতর শিক্ষার বিস্তৃত সুযোগ সৃষ্টি; গবেষণায় সরকারি অর্থায়নের বরাদ্দ বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের নারী গবেষকদের সফলতার কারণে গবেষণা সংক্রান্ত পাঠ্যক্রমে তরুণ নারী গবেষকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি সত্যিই আশা জাগানিয়া।
গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও সফলতার মূলে যে কয়েকটি বিষয় ভূমিকা রেখেছে তা তুলে ধরেছেন স্বনামধন্য কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ বিভাগ। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় বিশ্লেষণধর্মী জ্ঞান, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, তথ্য বিশ্লেষণের দক্ষতা, মাঠ পর্যায়ে কাজ করার আগ্রহ বৃদ্ধি, সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মপরিবেশ এই বিষয় সমূহ গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। শুরু ও মধ্যম পর্যায়ে নারী গবেষকদের অগ্রগতির চিত্র স্পষ্ট হলে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে নারী গবেষকদের সংখ্যা এখনো সীমিত।
তবে ২০২৩ সালে আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌস কাদরীর দেশের বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ম্যাগাজিন এশিয়ার সায়েন্টিসের ‘দ্য এশিয়ান সায়েন্টিস ১০০’-এ ঢাবির অধ্যাপক ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী ও সিএইচআরএফ এর ড. সেজুঁতি সাহার স্থান করে নেওয়া, ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইসের ডিন হিসেবে ড. সাবিনা ফাইজ রশীদের ১০ বছরের দায়িত্ব পালন বাংলাদেশের তরুণ ও আগ্রহী নারী গবেষকদের প্রেরণা হয়ে রইবে।
গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সঙ্গে নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাবন ও সৃজনে সমান সুযোগ সৃষ্টি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শক্ত বুনিয়াদ হয়ে থাকবে। একজন নারী গবেষকের এগিয়ে চলা সামগ্রিকভাবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে সমর্থন করে। আর এই এগিয়ে চলার উপযুক্ত ক্ষেত্র সৃষ্টি কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার ও সরকারের নীতি নির্ধারকদের ওপর নির্ভর করবে না, এর জন্য প্রয়োজন সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। প্রতিষ্ঠান সমূহের উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নারীকে সক্ষম হয়ে গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি, মাঠ পর্যায়ে কাজ করার অদম্য মানসিকতা, সমবেতন কাঠামোর বিন্যাস, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে গবেষণার মৌলিক বিষয় সমূহের যথাযথ পাঠদান, শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার গবেষণা ব্যাংক প্রতিষ্ঠার এ ক্ষেত্রে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখবে।
গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সকল বাঁধা সমূহ দূর হোক। নিশ্চিত হোক গবেষণায় নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন তখনই নিশ্চিত হবে যখন সর্বক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সরাসরি নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। নারী গবেষকদের এগিয়ে চলা হোক নিরবচ্ছিন্ন ও নিরন্তর। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গবেষণায় কর্মরত সকল নারীকে জানায় প্রাণঢালা অভিনন্দন, আর উদীয়মান সকল গবেষকদের প্রতি রইল নিরন্তর শুভকামনা।
লেখক: উন্নয়ন কর্মী, বিএইচডব্লিউ, ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ
সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে অটোরিকশা বন্ধের প্রস্তাবে চালকদের রাস্তায় নেমে আসা এবং শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ অবরোধে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
৪৪ মিনিট আগেআগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কি পারবে না, তাদেরকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি হবে না—এ নিয়ে গরম এখন রাজনীতির মাঠ। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক হিসেবে দাবিদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি তো আরও একধাপ বেশি। আওয়ামী লীগকে কেবল নির্বাচনের বাইরে রাখাই নয়, দাবি তাদের দেশের প্রাচী
৮ ঘণ্টা আগেহুমায়ূন আহমেদ ও মেহের আফরোজ শাওনের ছেলে নিষাদ হুমায়ূনের একটা ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ দেখলাম। বেশ মজা পেলাম। সত্যি বললে মজার চেয়েও ছোট্ট বাচ্চার কথায় ভাবনার উদ্রেক হলো। চিন্তার দুয়ার উন্মুক্ত হলো।
৮ ঘণ্টা আগেপরিবেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সার্কুলার অর্থনীতি বা বৃত্তাকার অর্থনীতি এক নবদিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। বাংলাদেশে স্বল্প সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে সার্কুলার অর্থনীতির বিকল্প নেই।
৮ ঘণ্টা আগে