রাকিব হাসান, ঢাকা
সাংবাদিক না হলে তো জানতামই না আজ দেশে একটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে! যারা সাংবাদিক না তাঁদের বলছি—আজ একটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সেটি চট্টগ্রাম–১০ আসন। এই খবর আপনি আগে থেকে জেনে থাকলে, দয়া করে ওই এলাকার মানুষকে জানানোর উদ্যোগ না নিলে ভারী অন্যায় করেছেন! কারণ ওই এলাকার ভোটারেরা জানতেন না, আজ সেখানে ভোট! সে জন্যই কেউ একজন মসজিদের মাইকে গিয়ে বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, ‘সম্মানিত এলাকাবাসী, আপনার মূল্যবান ভোটটি কেন্দ্রে গিয়ে দিয়ে আসার অনুরোধ করছি।’
এই তো সেদিন ঢাকা–১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোট হলো। সেই নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কতটা ছিল তা ভোট পড়ার হারের অংক দেখলেই বোঝা যায়। গত ১৭ জুলাই ঢাকার ওই উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল মাত্র সাড়ে ১১ শতাংশ। এটা নির্বাচন কমিশনের হিসাব। যদিও দিনভর ভোটার উপস্থিতি ছিল নগন্য। ভোটার উপস্থিতির চেয়ে সেই নির্বাচন বেশি আলোচিত হয়েছিল হিরো আলমের জন্য। তিনি এমনিতেই ভাইরাল মানুষ, ভাইরাল কন্টেন্ট বানান। আবার সংসদ নির্বাচন করছেন। ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে ব্যাপক মারধরও খেয়েছেন তিনি। এই ঘটনা আমেরিকা–ইউরোপ থেকে জাতিসংঘ পর্যন্ত গড়িয়েছে। এগুলো সবার জানা।
আমরা বরং আজকের উপনির্বাচনের ওপর আলো ফেলি। আজকের পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত খবরে দেখছি, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং-হালিশহর-পাঁচলাইশ) আসনের উপনির্বাচনে আজ সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়। উপনির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৫৬টি। ভোটকক্ষ ১ হাজার ২৫১টি। মোট প্রার্থী ছয়জন। এরই মধ্যে স্বতন্ত্র এক প্রার্থী কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন।
আজকের পত্রিকার প্রতিবেদন মারফত আরও জানতে পারি, ভোটার না আসায় মসজিদের মাইক থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়, ‘সম্মানিত এলাকাবাসী, আপনার মূল্যবান ভোটটি কেন্দ্রে গিয়ে দিয়ে আসার অনুরোধ করছি।’ আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের বাদুরতলা এলাকার জঙ্গি শাহ মাজার মসজিদের মাইকে কয়েকবার এই আহ্বান জানানো হয়। ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জঙ্গিশাহ মাজার গেটের সামনের মুদি দোকানদার আরিফুল ইসলাম এমন আহ্বান শুনেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা আবিদুর রহমানও এমন ঘোষণা শোনার কথা নিশ্চিত করেন। তবে বেলা ২টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে এমন ঘোষণা আর শোনা যায়নি। জঙ্গিশাহ মাজারে যিনি ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁকেও পাওয়া যায়নি। সেখানকার বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে মসজিদের মাইকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওই ব্যক্তির আহ্বানে শেষপর্যন্ত ভোটার এসেছেন কি না তা জানা যাবে নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণার পর। তবে পরিচয় না পাওয়া গেলেও যিনিই এই কাজ করেছেন তাঁকে কি নির্বাচন কমিশন একটা ধন্যবাদ দেবে? অবশ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রায়ই বলতে শোনা যায়—কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব তো তাঁদের নয়।
নির্বাচন কমিশন আজই জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবেন তাঁরা। ওই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন থেকে কী এমন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে, যিনি মাইকে বলবেন— ‘সম্মানিত এলাকাবাসী, আপনার মূল্যবান ভোটটি কেন্দ্রে গিয়ে দিয়ে আসার অনুরোধ করছি।’
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশেও ‘স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত একটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনে ভোটারের এমন আকাল পড়বে সেটি কেউ কি ভেবেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দেখেছেন তাঁদের অনেকে জীবদ্দশাতেই এমন দৃশ্যও দেখার ‘সৌভাগ্য’ অর্জন করলেন!
সাংবাদিক না হলে তো জানতামই না আজ দেশে একটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে! যারা সাংবাদিক না তাঁদের বলছি—আজ একটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সেটি চট্টগ্রাম–১০ আসন। এই খবর আপনি আগে থেকে জেনে থাকলে, দয়া করে ওই এলাকার মানুষকে জানানোর উদ্যোগ না নিলে ভারী অন্যায় করেছেন! কারণ ওই এলাকার ভোটারেরা জানতেন না, আজ সেখানে ভোট! সে জন্যই কেউ একজন মসজিদের মাইকে গিয়ে বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, ‘সম্মানিত এলাকাবাসী, আপনার মূল্যবান ভোটটি কেন্দ্রে গিয়ে দিয়ে আসার অনুরোধ করছি।’
এই তো সেদিন ঢাকা–১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোট হলো। সেই নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কতটা ছিল তা ভোট পড়ার হারের অংক দেখলেই বোঝা যায়। গত ১৭ জুলাই ঢাকার ওই উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল মাত্র সাড়ে ১১ শতাংশ। এটা নির্বাচন কমিশনের হিসাব। যদিও দিনভর ভোটার উপস্থিতি ছিল নগন্য। ভোটার উপস্থিতির চেয়ে সেই নির্বাচন বেশি আলোচিত হয়েছিল হিরো আলমের জন্য। তিনি এমনিতেই ভাইরাল মানুষ, ভাইরাল কন্টেন্ট বানান। আবার সংসদ নির্বাচন করছেন। ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে ব্যাপক মারধরও খেয়েছেন তিনি। এই ঘটনা আমেরিকা–ইউরোপ থেকে জাতিসংঘ পর্যন্ত গড়িয়েছে। এগুলো সবার জানা।
আমরা বরং আজকের উপনির্বাচনের ওপর আলো ফেলি। আজকের পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত খবরে দেখছি, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং-হালিশহর-পাঁচলাইশ) আসনের উপনির্বাচনে আজ সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়। উপনির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৫৬টি। ভোটকক্ষ ১ হাজার ২৫১টি। মোট প্রার্থী ছয়জন। এরই মধ্যে স্বতন্ত্র এক প্রার্থী কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন।
আজকের পত্রিকার প্রতিবেদন মারফত আরও জানতে পারি, ভোটার না আসায় মসজিদের মাইক থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়, ‘সম্মানিত এলাকাবাসী, আপনার মূল্যবান ভোটটি কেন্দ্রে গিয়ে দিয়ে আসার অনুরোধ করছি।’ আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের বাদুরতলা এলাকার জঙ্গি শাহ মাজার মসজিদের মাইকে কয়েকবার এই আহ্বান জানানো হয়। ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জঙ্গিশাহ মাজার গেটের সামনের মুদি দোকানদার আরিফুল ইসলাম এমন আহ্বান শুনেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা আবিদুর রহমানও এমন ঘোষণা শোনার কথা নিশ্চিত করেন। তবে বেলা ২টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে এমন ঘোষণা আর শোনা যায়নি। জঙ্গিশাহ মাজারে যিনি ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁকেও পাওয়া যায়নি। সেখানকার বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে মসজিদের মাইকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওই ব্যক্তির আহ্বানে শেষপর্যন্ত ভোটার এসেছেন কি না তা জানা যাবে নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণার পর। তবে পরিচয় না পাওয়া গেলেও যিনিই এই কাজ করেছেন তাঁকে কি নির্বাচন কমিশন একটা ধন্যবাদ দেবে? অবশ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রায়ই বলতে শোনা যায়—কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব তো তাঁদের নয়।
নির্বাচন কমিশন আজই জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবেন তাঁরা। ওই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন থেকে কী এমন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে, যিনি মাইকে বলবেন— ‘সম্মানিত এলাকাবাসী, আপনার মূল্যবান ভোটটি কেন্দ্রে গিয়ে দিয়ে আসার অনুরোধ করছি।’
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশেও ‘স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত একটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনে ভোটারের এমন আকাল পড়বে সেটি কেউ কি ভেবেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দেখেছেন তাঁদের অনেকে জীবদ্দশাতেই এমন দৃশ্যও দেখার ‘সৌভাগ্য’ অর্জন করলেন!
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে নীতিনির্ধারণী একটি বিষয় অগ্রাধিকার বিবেচনার জন্য অপেক্ষমাণ আছে, আর তা হলো, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন করা, নাকি যথাশিগগির নির্বাচন আয়োজন করা? অনেক ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সংসদের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না।
১১ ঘণ্টা আগেকিছু কিছু বিতর্ক তৈরি করা হয় সমসাময়িক বিষয় থেকে দৃষ্টি দূরে সরিয়ে রাখার জন্য। পুরো পাকিস্তান আমলেই রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে বিতর্ক জারি রাখা হয়েছিল। আমলাতন্ত্র আর সামরিক আমলাতন্ত্র মিলে পাকিস্তান নামক দেশটায় যে স্বৈরশাসন কায়েম করে রেখেছিল, সেদিকে যেন সচেতন মানুষের চোখ না যায়, সে অভিসন্ধি থেকেই রবীন্দ্রনাথ
১১ ঘণ্টা আগেএকটি কলা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। একটি সাধারণ কলা, যা নিলামে বিক্রি হলো ৭৪ কোটি টাকায়। এটি শিল্প, না কৌতুক, না সামাজিক শ্লেষ—নাকি তিনটির মিশেল? ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটালানের এই ‘কমেডিয়ান’ আমাদের শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আর বাজারজাত সৃজনশীলতার প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
১১ ঘণ্টা আগে‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১ দিন আগে