ঢাকায় ফিরে আসা সবাই শ্রমিক নয়

ফারুক হাসান, সভাপতি, বিজিএমইএ 
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২১, ১১: ০০

রপ্তানিমুখী কারখানা বন্ধ থাকলে নানা ধরনের ক্ষতি হয়। এতে করে শুধু উদ্যোক্তারাই যে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন, তা কিন্তু নয়। এই যেমন চট্টগ্রাম বন্দর, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর। পণ্য আমদানি-রপ্তানির সিংহভাগ হয় এই বন্দর দিয়ে। বিগত বছরগুলোতে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালন সক্ষমতা বাড়ানো হলেও আয়তন বাড়েনি। এই বন্দরে একটানা চার দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকলে, পণ্য রাখার জায়গা থাকে না।

আমরা চাই, পোশাক খাতের কর্মীদের সবাইকে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে। কারখানা বন্ধ থাকলে তাঁদের খুঁজে খুঁজে টিকা দেওয়া কষ্টসাধ্য হবে। এসব কারণেই মূলত কারখানা চালুর জন্য আমরা জোর দিই।

সরকার আমাদের যুক্তি মেনে নিয়ে কারখানা চালুর অনুমতি দিয়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত ঠিক কতগুলো কারখানা খোলা হয়েছে, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য আমাদের হাতে নেই। আমাদের তদারকি দল কাজ করছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।

এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় ব্যাখ্যা দেওয়া জরুরি বলে আমি মনে করি, তা হলো দেশের নানা প্রান্ত থেকে ঢাকায় যাঁরাই প্রবেশ করছেন, এ জন্য আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ঢাকায় আমাদের মোট কারখানার ১০ ভাগও নেই। আমাদের কারখানাগুলো নারায়ণগঞ্জ, ভালুকা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়ানো আছে। তা ছাড়া, আমাদের শ্রমিকদের একটা বড় অংশ স্থানীয়। এর বাইরে ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়াদের বেশির ভাগই নির্ধারিত ছুটির মধ্যেই কর্মস্থলের এলাকায় ফিরেছেন। সব মিলিয়ে আমাদের ১০ শতাংশ শ্রমিক হয়তো বাইরে ছিলেন। এখন যেটা করা হচ্ছে, ঢাকার বাইরে থেকে যাঁরাই আসছেন, তাঁদের সবাইকে পোশাক কারখানার কর্মী হিসেবে উল্লেখ করে আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ ধারণানির্ভর একটি প্রচার।

আর আমরা কর্মীদের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কর্মস্থলে আসতে নিষেধ করেছি। এ ক্ষেত্রে ৫ আগস্টের পর তাঁরা কর্মস্থলে এসে যোগ দিতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে। চাকরি হারাবেন না বলেও নিশ্চিত করেছি। তবু যাঁরা দেশের নানা প্রান্তে চলে গেছেন, তাঁরা কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত