জাহাঙ্গীর আলম শোভন
আগামী বাজেটে ই–কমার্সের প্রত্যাশার কথা বলার আগে আমরা যদি বিগত বছরগুলোর বাজেটে প্রাপ্তির কথা বলি তাহলে দেখতে পাব: ২০২৩–২৪ বাজেটে এই খাতের প্রাপ্তি ছিল শুধু একটি সংজ্ঞা! এতে মার্কেটপ্লেস ও অনলাইন শপকে সংজ্ঞার ভিত্তিতে আলাদা করে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০২২–২৩ অর্থবছরে অনলাইন শিক্ষার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক স্বীকৃতি ছিল। বিগত ২ বছরে ২ শতাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এসেছে যারা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে। বাস্তবতা হলো, যেহেতু প্রথাগত শিক্ষায় ভ্যাট নেই সেহেতু অনলাইন শিক্ষাও থাকবে না। বিষয়টি সমন্বয় করা হয়েছে মাত্র।
২০১৮ সালের বাজেটের সময় ই–কমার্সকে আইটি–আইটিইএস (আইটি এনাবল সার্ভিসেস) থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল, বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে এই খাতের জন্য আইটি খাতের চেয়ে বেশি সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
এবারের বাজেটে ই–কমার্স খাতের প্রত্যাশা বা দাবি–দাওয়া কম নয়। কিছু নিয়মিত চাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কয়েক বছর ধরে রাজস্ব বোর্ডের কিছু অপ্রত্যাশিত আরোপিত শর্ত। যেগুলো এখন গলার কাঁটা। স্বভাবতই সেগুলোকেও চাওয়া হিসেবে তুলে ধরতে হয়। এই পর্বে ভ্যাট খাতের বিষয়গুলো আলোচনা করা যাক।
স্থাপনা ভাড়ার মূসক
এসআরও নং–১৪১–আইন/ ২০২১ / ১৩৮–মূসক। তারিখ–৩ জুন, ২০২১, টেবিল–৪, সেবার কোড এস ০৭৪.০০ স্থান ও স্থাপনা ভাড়া গ্রহণকারী ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের অফিস ভাড়া ও ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। যা আইটি ও আইটিইএস প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রযোজ্য নয় কিন্তু ই–কমার্সকে তো সে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন এই খাতের উদ্যোক্তাদের দাবি হলো, ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের অফিস/ব্যাক–অফিস, গোডাউন, ফুলফিলমেন্ট সেন্টার ও সর্টিং হাউসের ভাড়ার ওপর ভ্যাট রহিত করতে হবে। তাদের বক্তব্য, এই খরচ পণ্যের মূল্য নির্ধারণে প্রভাব ফেলে।
যেহেতু ই–কমার্সে নানাবিধ খরচ এবং সে তুলনায় লাভ কম তাই এটা রহিত করা যুক্তিযুক্ত। যদিও রাজস্ব বোর্ডের ধারণা, ই–কমার্সের ব্যবস্থাপনা ব্যয় প্রচলিত ব্যবসার চেয়ে কম। কিন্তু বোর্ডের ধারণাটি মোটেও সঠিক নয়। কারণ, একটি সুপারশপ যদি ১ হাজার ক্রেতাকে দিতে হয় তাহলে ১০ জন দিয়ে সম্ভব। কিন্তু ই–কমার্সে এই সেবার জন্য শুধু ডেলিভারিম্যান লাগবে ৩০ জন। অন্যান্য সেকশনের কর্মীতো রয়েছেই।
ই–কমার্স ভিত্তিক ডেলিভারি চার্জের ন্যূনতম ভ্যাট
এসআরও নং–২৪০–আইন/ ২০২১ / ১৬৩–মূসক। তারিখ–১৯ জুন, ২০২১, সেবার কোড এস ০২৮.০০। ই–কমার্স ভিত্তিক ডেলিভারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি চার্জের ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। শুরু থেকে এই বিশাল চাপ থেকে পরিত্রাণ চায় এই খাতের ব্যবসায়ীরা। যেখানে লাভের অংশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের ঘরের কাছে, সেখানে মূসক ১৫ শতাংশ!
ই–কমার্স উদ্যোক্তারা চান, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নিজের পণ্য নিজে ডেলিভারি করে তাহলে সে ক্ষেত্রে ভ্যাট না থাকুক। কারণ এর ওপর ই–কমার্স কোম্পানি কোনো লাভ করে না। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান শুধু ই–কমার্সের পণ্য তৃতীয় পক্ষের হয়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেন তাঁদের জন্য ৫ শতাংশ মূসক প্রস্তাব তাঁদের রয়েছে। এতে পণ্যমূল্যের দাম বেড়ে যায় ও ক্রেতার আগ্রহ কমে যায়। এই কারণে ই–কমার্সে প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের সমপর্যায়ের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কম। এমনকি মোট খুচরা বাজারের ১ শতাংশ এখনো ই–কমার্সে হয় না বলে অনেকে মনে করেন।
উৎসে কর সংক্রান্ত আদায়কৃত অর্থ পরিশোধের সময়সীমা
বিগত ৫ বছর ধরে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে উৎসে কর কর্তনকারী থেকে তাঁদের অব্যাহতি দিতে। যেহেতু সকল লিমিটেড কোম্পানির জন্য এটি প্রযোজ্য তাই সে আর হওয়ার নয়। এখন তাঁরা এ সংক্রান্ত নতুন ঝামেলা থেকে মুক্তি চায়। এসআরও নং–২৪০–আইন/ ২০২১ / ১৬৩–মূসক। ২০২১ সালের ১৯ জুন অনুসারে, সরবরাহ গ্রহীতা উৎসে কর্তন কৃত বা আদায় কৃত মূসক পণ পরিশোধের সাত দিনের মধ্যে নির্ধারিত কোডে জমা দেবেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই সময় যেন কমপক্ষে চৌদ্দ দিন করা হয়। নানা কারণে এটি সাত দিনে সম্ভব হয় না। এটি খুব ন্যায্য দাবি। যারা রাজস্ব দিতে চান, তাঁদের জন্য প্রক্রিয়াটা কঠিন করে ফেলা কোনো কাজের কথা নয়। কেনইবা বাস্তবতার নিরিখে এসব সময় ঠিক হয় না সে বোঝা খুব মুশকিল।
চাল ও ফলমূল ১ম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২–এর ধারা ১২৬ অনুসারে চাল ও ফলমূল প্রজ্ঞাপন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত। সহজ কথায় এসব পণ্যে মূসক প্রযোজ্য নয়। কিন্তু সব স্তরে এটা প্রয়োগ হচ্ছে না। বিশেষ ই–কমার্সে এটা অন্যান্য পণ্যের অনুরূপ বিবেচনা করা হয় কখনো কখনো। চাল ডাল নিত্যপণ্যের সঙ্গে অন্তত অতি প্রয়োজনীয় ফল ও দেশীয় ফলকে এই সুবিধা দেওয়া জরুরি। তাই প্রস্তাব হলো, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪–এর সঙ্গে সম্প্রীতি রেখে ১ম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সর্বক্ষেত্রে এটা মেনে চলা। এখন প্রশ্ন হলো, তফসিল মেনে চলতে সমস্যা কোথায়? এখানে ব্যবসার ধরন ও সংজ্ঞার কারণে এমন সমস্যা হয় কারণ ব্যবসার ধরন আলাদা হলেও পণ্যটি এক। তবে এর সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের মানসিকতা ও বোঝাপড়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
জোগানদার কর্তৃক সরবরাহকৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্যসেবা
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর এস, আর, ও নং–২৪০–আইন/ ২০২১ / ১৬৩–মূসক এর বিধি ৪ (খ), মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর এস, আর, ও নং–২৪০–আইন/ ২০২১ / ১৬৩–মূসক এর বিধি ৪ এর উপবিধি খ–এ প্রজ্ঞাপন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোন পণ্য বা সেবা জোগানদার কর্তৃক সরবরাহ করা হলে জোগানদার হিসেবে উৎসে মূসক কর্তন করতে হবে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাব হলো—প্রজ্ঞাপন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো পণ্য বা সেবা জোগানদার কর্তৃক সরবরাহ করা হলে সেই পণ্য ও সেবা মূসক অব্যাহতিপ্রাপ্ত করার বিধান করা উপযোগী। কারণ, প্রজ্ঞাপন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো পণ্য বা সেবা জোগানদার কর্তৃক সরবরাহ করা হলে সেই পণ্য ও সেবা মূসক অব্যাহতিপ্রাপ্ত করা হলে কোম্পানির ব্যয় হ্রাস পাবে ফলে গ্রাহকদের কাছে সুলভ মূল্যে পণ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বিজ্ঞাপন আয়ে ভ্যাট
বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের বিক্রেতাদের পণ্যগুলো বেশি বেশি প্রদর্শনের জন্য বিজ্ঞাপন বাবদ আয় করে থাকে। সাধারণ বিজ্ঞাপনের মতো এতেও মূসক ধরা হয়েছে ১৫ শতাংশ। এনবিআরের ব্যাখ্যা পত্র নং–০২ /মূসক/ ২০১৯ অনুসারে, অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান অর্জিত সেবা ফি/মার্জিন ছাড়া অন্যবিধ আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেবে। অনলাইন প্রতিষ্ঠানসমূহের বক্তব্য হচ্ছে, সরকার এখানে কৌশলী হলে দেশের টাকা বাইরে যাওয়ার হার কিছুটা হলেও কমবে। যদি দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মসমূহে এই ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ এর বদলে ৫ শতাংশ করে দেওয়া হয় তাহলে ফেসবুক ইউটিউবে বিজ্ঞাপনের খরচের তুলনায় এখানে খরচ কম হবে। তখন উদ্যোক্তারা বিদেশ পরিচালিত সাযোমা (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ও অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে বিজ্ঞাপন কমিয়ে দেশীয় বা দেশে পরিচালিত প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেবে। তাতে বিদেশে টাকা যাওয়ার পরিমাণ ও হার কমবে।
এখন দেখা যাক, রাজস্ব বোর্ড কি করে, একটি ছোট চাওয়া পূরণ করে নতুন ৪টি এমন বিধি যুক্ত করে কিনা যেগুলো নিয়ে বাকি ১ বছর উদ্যোক্তাদের পড়ে থাকতে হবে। রাজস্ব বোর্ড এবং ব্যবসায়ী একে অপরের বিষয়ে দুটি বৈরী ধারণা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। প্রথমত, রাজস্ব বোর্ড সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের ধারণা তারা ব্যবসায়ীদের দিকটা দেখেন না। অযাচিত কর ধার্য করেন, এমন নিয়ম ও বিধি রাখেন যাতে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যায়। সমালোচকদের মুখেও এমন কথা শোনা যায়, আমাদের দেশে অনেক নিয়ম এমন ভাবে রাখা হয় যাতে নিয়ম ভাঙার সুযোগ থাকে আর নিয়ম ভাঙার পর কাউকে ধরা যায়। কিংবা সুবিধামতো ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে চাইলে আটকানো যায় অথবা পার পাইয়ে দেওয়া যায়। আর ব্যবসায়ী বা সাধারণ কর দিতে চায় না বা ফাঁকি দিতে চায় এটা হলো রাজস্ব আদায়কারী কর্তৃপক্ষের ধারণা।
সব ব্যবসায়ী দোষমুক্ত নয় আবার সব ব্যবসায়ী দোষী নয়। বিশেষ করে ব্যবসায়ী কিংবা ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে কেউ কেউ থাকে। তা ছাড়া আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সাধারণত প্রবণতা যে সর্বক্ষেত্রে রয়েছে ধারণা করা হয়। সেটাও সর্বাংশে মিথ্যা নয়। এ ক্ষেত্রে ই–কমার্স উদ্যোক্তা বিশেষ যারা পেশাদার এবং উন্নত সিস্টেম ও বিধিবদ্ধভাবে ব্যবসা করে তাদের ক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কমই থাকে। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে চলতে চায় এবং তার মধ্য দিয়ে নিজেরা লাভ করে দেশকেও রাজস্ব দিতে চায়। তা ছাড়া ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল সিস্টেম ও ইআরপি ব্যবহার করে বিধায় এখানে একশ ভাগ সঠিক তথ্যমতে ব্যবসা পরিচালিত হয়। তবে অসাধু সুবিধাভোগী সমাজের সর্বত্রই থাকতে পারে। সেটা প্রতিনিধিত্বশীল নয়।
কিন্তু ব্যবসায়ীরা যখন কোনো বিষয়ে দাবি দাওয়া উত্থাপন করে তখন সে দাবিটি এনবিআর যদি যৌক্তিক মনে করে সেটা মানবে অথবা মানাবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সংক্রান্ত দাবি উত্থাপন করা হয়, সেটা মানা হয় খুব কম ক্ষেত্রে। তার সঙ্গে উল্টো একটা নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। তখন ব্যবসায়ীরা নতুন ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য দেন দরবার শুরু করে। মূল দাবিটি তখন ঊহ্য হয়ে যায়। রাজস্ব বোর্ড যে কারণেই এমনটা করুক না কেন? হোক তাদের নিজস্ব লক্ষ্যপূরণ কিংবা অভ্যন্তরীণ চাপ ফলাফলটা আসলে কি সেটা দেখেই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া উচিত। কারণ এই খাতে এখনো কোনো প্রতিষ্ঠান লাভের মুখ দেখেনি তাই এদের একটা নিশ্বাস নেওয়ার সময়টুকু দিতে হবে। তাই দেখার বিষয় এবারের বাজেটে এই খাতের প্রত্যাশার বেলুন কতটা ওড়ে।
সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সে জন্য পথও অনেক রয়েছে। যারা রাজস্ব দিতে আসবে তাদের লেবুচোষা করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে যারা রাজস্ব দিতে আসছে না এবং দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে না তাদের রাজস্ব প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা জরুরি।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই–ক্যাব)
আগামী বাজেটে ই–কমার্সের প্রত্যাশার কথা বলার আগে আমরা যদি বিগত বছরগুলোর বাজেটে প্রাপ্তির কথা বলি তাহলে দেখতে পাব: ২০২৩–২৪ বাজেটে এই খাতের প্রাপ্তি ছিল শুধু একটি সংজ্ঞা! এতে মার্কেটপ্লেস ও অনলাইন শপকে সংজ্ঞার ভিত্তিতে আলাদা করে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০২২–২৩ অর্থবছরে অনলাইন শিক্ষার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক স্বীকৃতি ছিল। বিগত ২ বছরে ২ শতাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এসেছে যারা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে। বাস্তবতা হলো, যেহেতু প্রথাগত শিক্ষায় ভ্যাট নেই সেহেতু অনলাইন শিক্ষাও থাকবে না। বিষয়টি সমন্বয় করা হয়েছে মাত্র।
২০১৮ সালের বাজেটের সময় ই–কমার্সকে আইটি–আইটিইএস (আইটি এনাবল সার্ভিসেস) থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল, বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে এই খাতের জন্য আইটি খাতের চেয়ে বেশি সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
এবারের বাজেটে ই–কমার্স খাতের প্রত্যাশা বা দাবি–দাওয়া কম নয়। কিছু নিয়মিত চাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কয়েক বছর ধরে রাজস্ব বোর্ডের কিছু অপ্রত্যাশিত আরোপিত শর্ত। যেগুলো এখন গলার কাঁটা। স্বভাবতই সেগুলোকেও চাওয়া হিসেবে তুলে ধরতে হয়। এই পর্বে ভ্যাট খাতের বিষয়গুলো আলোচনা করা যাক।
স্থাপনা ভাড়ার মূসক
এসআরও নং–১৪১–আইন/ ২০২১ / ১৩৮–মূসক। তারিখ–৩ জুন, ২০২১, টেবিল–৪, সেবার কোড এস ০৭৪.০০ স্থান ও স্থাপনা ভাড়া গ্রহণকারী ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের অফিস ভাড়া ও ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। যা আইটি ও আইটিইএস প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রযোজ্য নয় কিন্তু ই–কমার্সকে তো সে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন এই খাতের উদ্যোক্তাদের দাবি হলো, ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের অফিস/ব্যাক–অফিস, গোডাউন, ফুলফিলমেন্ট সেন্টার ও সর্টিং হাউসের ভাড়ার ওপর ভ্যাট রহিত করতে হবে। তাদের বক্তব্য, এই খরচ পণ্যের মূল্য নির্ধারণে প্রভাব ফেলে।
যেহেতু ই–কমার্সে নানাবিধ খরচ এবং সে তুলনায় লাভ কম তাই এটা রহিত করা যুক্তিযুক্ত। যদিও রাজস্ব বোর্ডের ধারণা, ই–কমার্সের ব্যবস্থাপনা ব্যয় প্রচলিত ব্যবসার চেয়ে কম। কিন্তু বোর্ডের ধারণাটি মোটেও সঠিক নয়। কারণ, একটি সুপারশপ যদি ১ হাজার ক্রেতাকে দিতে হয় তাহলে ১০ জন দিয়ে সম্ভব। কিন্তু ই–কমার্সে এই সেবার জন্য শুধু ডেলিভারিম্যান লাগবে ৩০ জন। অন্যান্য সেকশনের কর্মীতো রয়েছেই।
ই–কমার্স ভিত্তিক ডেলিভারি চার্জের ন্যূনতম ভ্যাট
এসআরও নং–২৪০–আইন/ ২০২১ / ১৬৩–মূসক। তারিখ–১৯ জুন, ২০২১, সেবার কোড এস ০২৮.০০। ই–কমার্স ভিত্তিক ডেলিভারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি চার্জের ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। শুরু থেকে এই বিশাল চাপ থেকে পরিত্রাণ চায় এই খাতের ব্যবসায়ীরা। যেখানে লাভের অংশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের ঘরের কাছে, সেখানে মূসক ১৫ শতাংশ!
ই–কমার্স উদ্যোক্তারা চান, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নিজের পণ্য নিজে ডেলিভারি করে তাহলে সে ক্ষেত্রে ভ্যাট না থাকুক। কারণ এর ওপর ই–কমার্স কোম্পানি কোনো লাভ করে না। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান শুধু ই–কমার্সের পণ্য তৃতীয় পক্ষের হয়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেন তাঁদের জন্য ৫ শতাংশ মূসক প্রস্তাব তাঁদের রয়েছে। এতে পণ্যমূল্যের দাম বেড়ে যায় ও ক্রেতার আগ্রহ কমে যায়। এই কারণে ই–কমার্সে প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের সমপর্যায়ের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কম। এমনকি মোট খুচরা বাজারের ১ শতাংশ এখনো ই–কমার্সে হয় না বলে অনেকে মনে করেন।
উৎসে কর সংক্রান্ত আদায়কৃত অর্থ পরিশোধের সময়সীমা
বিগত ৫ বছর ধরে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে উৎসে কর কর্তনকারী থেকে তাঁদের অব্যাহতি দিতে। যেহেতু সকল লিমিটেড কোম্পানির জন্য এটি প্রযোজ্য তাই সে আর হওয়ার নয়। এখন তাঁরা এ সংক্রান্ত নতুন ঝামেলা থেকে মুক্তি চায়। এসআরও নং–২৪০–আইন/ ২০২১ / ১৬৩–মূসক। ২০২১ সালের ১৯ জুন অনুসারে, সরবরাহ গ্রহীতা উৎসে কর্তন কৃত বা আদায় কৃত মূসক পণ পরিশোধের সাত দিনের মধ্যে নির্ধারিত কোডে জমা দেবেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই সময় যেন কমপক্ষে চৌদ্দ দিন করা হয়। নানা কারণে এটি সাত দিনে সম্ভব হয় না। এটি খুব ন্যায্য দাবি। যারা রাজস্ব দিতে চান, তাঁদের জন্য প্রক্রিয়াটা কঠিন করে ফেলা কোনো কাজের কথা নয়। কেনইবা বাস্তবতার নিরিখে এসব সময় ঠিক হয় না সে বোঝা খুব মুশকিল।
চাল ও ফলমূল ১ম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২–এর ধারা ১২৬ অনুসারে চাল ও ফলমূল প্রজ্ঞাপন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত। সহজ কথায় এসব পণ্যে মূসক প্রযোজ্য নয়। কিন্তু সব স্তরে এটা প্রয়োগ হচ্ছে না। বিশেষ ই–কমার্সে এটা অন্যান্য পণ্যের অনুরূপ বিবেচনা করা হয় কখনো কখনো। চাল ডাল নিত্যপণ্যের সঙ্গে অন্তত অতি প্রয়োজনীয় ফল ও দেশীয় ফলকে এই সুবিধা দেওয়া জরুরি। তাই প্রস্তাব হলো, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪–এর সঙ্গে সম্প্রীতি রেখে ১ম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সর্বক্ষেত্রে এটা মেনে চলা। এখন প্রশ্ন হলো, তফসিল মেনে চলতে সমস্যা কোথায়? এখানে ব্যবসার ধরন ও সংজ্ঞার কারণে এমন সমস্যা হয় কারণ ব্যবসার ধরন আলাদা হলেও পণ্যটি এক। তবে এর সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের মানসিকতা ও বোঝাপড়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
জোগানদার কর্তৃক সরবরাহকৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্যসেবা
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর এস, আর, ও নং–২৪০–আইন/ ২০২১ / ১৬৩–মূসক এর বিধি ৪ (খ), মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর এস, আর, ও নং–২৪০–আইন/ ২০২১ / ১৬৩–মূসক এর বিধি ৪ এর উপবিধি খ–এ প্রজ্ঞাপন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোন পণ্য বা সেবা জোগানদার কর্তৃক সরবরাহ করা হলে জোগানদার হিসেবে উৎসে মূসক কর্তন করতে হবে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাব হলো—প্রজ্ঞাপন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো পণ্য বা সেবা জোগানদার কর্তৃক সরবরাহ করা হলে সেই পণ্য ও সেবা মূসক অব্যাহতিপ্রাপ্ত করার বিধান করা উপযোগী। কারণ, প্রজ্ঞাপন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো পণ্য বা সেবা জোগানদার কর্তৃক সরবরাহ করা হলে সেই পণ্য ও সেবা মূসক অব্যাহতিপ্রাপ্ত করা হলে কোম্পানির ব্যয় হ্রাস পাবে ফলে গ্রাহকদের কাছে সুলভ মূল্যে পণ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বিজ্ঞাপন আয়ে ভ্যাট
বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের বিক্রেতাদের পণ্যগুলো বেশি বেশি প্রদর্শনের জন্য বিজ্ঞাপন বাবদ আয় করে থাকে। সাধারণ বিজ্ঞাপনের মতো এতেও মূসক ধরা হয়েছে ১৫ শতাংশ। এনবিআরের ব্যাখ্যা পত্র নং–০২ /মূসক/ ২০১৯ অনুসারে, অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান অর্জিত সেবা ফি/মার্জিন ছাড়া অন্যবিধ আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেবে। অনলাইন প্রতিষ্ঠানসমূহের বক্তব্য হচ্ছে, সরকার এখানে কৌশলী হলে দেশের টাকা বাইরে যাওয়ার হার কিছুটা হলেও কমবে। যদি দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মসমূহে এই ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ এর বদলে ৫ শতাংশ করে দেওয়া হয় তাহলে ফেসবুক ইউটিউবে বিজ্ঞাপনের খরচের তুলনায় এখানে খরচ কম হবে। তখন উদ্যোক্তারা বিদেশ পরিচালিত সাযোমা (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ও অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে বিজ্ঞাপন কমিয়ে দেশীয় বা দেশে পরিচালিত প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেবে। তাতে বিদেশে টাকা যাওয়ার পরিমাণ ও হার কমবে।
এখন দেখা যাক, রাজস্ব বোর্ড কি করে, একটি ছোট চাওয়া পূরণ করে নতুন ৪টি এমন বিধি যুক্ত করে কিনা যেগুলো নিয়ে বাকি ১ বছর উদ্যোক্তাদের পড়ে থাকতে হবে। রাজস্ব বোর্ড এবং ব্যবসায়ী একে অপরের বিষয়ে দুটি বৈরী ধারণা প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। প্রথমত, রাজস্ব বোর্ড সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের ধারণা তারা ব্যবসায়ীদের দিকটা দেখেন না। অযাচিত কর ধার্য করেন, এমন নিয়ম ও বিধি রাখেন যাতে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যায়। সমালোচকদের মুখেও এমন কথা শোনা যায়, আমাদের দেশে অনেক নিয়ম এমন ভাবে রাখা হয় যাতে নিয়ম ভাঙার সুযোগ থাকে আর নিয়ম ভাঙার পর কাউকে ধরা যায়। কিংবা সুবিধামতো ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে চাইলে আটকানো যায় অথবা পার পাইয়ে দেওয়া যায়। আর ব্যবসায়ী বা সাধারণ কর দিতে চায় না বা ফাঁকি দিতে চায় এটা হলো রাজস্ব আদায়কারী কর্তৃপক্ষের ধারণা।
সব ব্যবসায়ী দোষমুক্ত নয় আবার সব ব্যবসায়ী দোষী নয়। বিশেষ করে ব্যবসায়ী কিংবা ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে কেউ কেউ থাকে। তা ছাড়া আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সাধারণত প্রবণতা যে সর্বক্ষেত্রে রয়েছে ধারণা করা হয়। সেটাও সর্বাংশে মিথ্যা নয়। এ ক্ষেত্রে ই–কমার্স উদ্যোক্তা বিশেষ যারা পেশাদার এবং উন্নত সিস্টেম ও বিধিবদ্ধভাবে ব্যবসা করে তাদের ক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কমই থাকে। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে চলতে চায় এবং তার মধ্য দিয়ে নিজেরা লাভ করে দেশকেও রাজস্ব দিতে চায়। তা ছাড়া ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল সিস্টেম ও ইআরপি ব্যবহার করে বিধায় এখানে একশ ভাগ সঠিক তথ্যমতে ব্যবসা পরিচালিত হয়। তবে অসাধু সুবিধাভোগী সমাজের সর্বত্রই থাকতে পারে। সেটা প্রতিনিধিত্বশীল নয়।
কিন্তু ব্যবসায়ীরা যখন কোনো বিষয়ে দাবি দাওয়া উত্থাপন করে তখন সে দাবিটি এনবিআর যদি যৌক্তিক মনে করে সেটা মানবে অথবা মানাবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সংক্রান্ত দাবি উত্থাপন করা হয়, সেটা মানা হয় খুব কম ক্ষেত্রে। তার সঙ্গে উল্টো একটা নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। তখন ব্যবসায়ীরা নতুন ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য দেন দরবার শুরু করে। মূল দাবিটি তখন ঊহ্য হয়ে যায়। রাজস্ব বোর্ড যে কারণেই এমনটা করুক না কেন? হোক তাদের নিজস্ব লক্ষ্যপূরণ কিংবা অভ্যন্তরীণ চাপ ফলাফলটা আসলে কি সেটা দেখেই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া উচিত। কারণ এই খাতে এখনো কোনো প্রতিষ্ঠান লাভের মুখ দেখেনি তাই এদের একটা নিশ্বাস নেওয়ার সময়টুকু দিতে হবে। তাই দেখার বিষয় এবারের বাজেটে এই খাতের প্রত্যাশার বেলুন কতটা ওড়ে।
সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সে জন্য পথও অনেক রয়েছে। যারা রাজস্ব দিতে আসবে তাদের লেবুচোষা করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে যারা রাজস্ব দিতে আসছে না এবং দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে না তাদের রাজস্ব প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা জরুরি।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই–ক্যাব)
শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। যাঁরা পালাতে পারেননি তাঁদের জনাকয়েক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের দুঃশাসনকালে বিএনপিসহ অন্য নেতাদের যেভাবে হেলমেট পরিয়ে জেলখানা থেকে আদালতে হাজির করা হতো, এখন আওয়ামী লীগের নেতাদের একই কায়দায়
৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দিন যত যাচ্ছে, ততই নতুন নতুন কিছু প্রশ্নের উদ্ভব হচ্ছে। প্রশ্নগুলো যে গভীরতর রাজনৈতিক বিষয়সংশ্লিষ্ট, তা বলাই বাহুল্য। অনেক সময়ই প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে সংবাদ সম্মেলন বা সংবাদ ব্রিফিং করে বিষয়গুলো খোলাসার চেষ্টা করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও জনমনে আস্থার সংকটের প্রেক্ষাপটে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে অটোরিকশা বন্ধের প্রস্তাবে চালকদের রাস্তায় নেমে আসা এবং শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ অবরোধে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
১ দিন আগে