তামান্না তাসকীন
বিশ্বের মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পরিচিতি বিশ্ববাসীর কাছে নানান কারণে গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগোলিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোনো দিক থেকেই এই দেশকে এখন অবহেলা করার অবকাশ নেই। এর অন্যতম যৌক্তিক কারণ হচ্ছে, এ দেশের বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম জনসংখ্যা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির কারণে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, সেখানে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কাজ করতে সক্ষম এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা ঈর্ষণীয়। এটি যেমন একদিকে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক, অন্যদিকে এই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আবার বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত, যারা তাদের উৎপাদনশীলতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পেরে দিন দিন হতাশার সমুদ্রে নিমজ্জিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস বা বিবিএস-এর পরিসংখানে বর্তমানে এ দেশে ২৬ লাখ লোক বেকার, যার মধ্যে ২১.৪৬ লাখের বয়সসীমা ১৫ থেকে ২৯ বছর। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের ৬৮ লোখ লোকের উৎপাদনক্ষমতা অব্যবহৃত থেকে যায়, যার মধ্যে ১৩.১৮ শতাংশ রয়েছে ডিগ্রিধারী। আর সিপিডির মতে, বাংলাদেশে ১২ লাখ ব্যক্তি সরকারি চাকরি করে। এ কথা বলার কারণ হলো, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান মনে করে, সরকারি চাকরিতে ২০১৫ সালের পে-স্কেল ঘোষণার কারণে বেসরকারি চাকরির প্রতি মানুষের ঝোঁক কমে গিয়েছে। এই পরিসংখ্যানিক চিত্র তুলে ধরার মূল কারণ হলো, বর্তমানে সময় এসেছে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের জনমিতিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কর্মক্ষেত্রের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আর এই কর্মক্ষেত্রের এক বিশাল সম্ভাবনাময় পেশা হতে পারে কেয়ারগিভার।
কেয়ারগিভিং হলো কোনো ব্যক্তিকে কার্যকর কৌশল বা উপায়ে সেবা প্রদানের এক ধরনের সেবামূলক ব্যবস্থা বা কার্যক্রম। যিনি এই দায়িত্ব পালন করেন, তাঁকে বলা হয় কেয়ারগিভার। একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রই শেষ কথা নয়। রোগীর সুস্থতা বা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের সার্বক্ষণিক দেখাশোনায় যাবতীয় সব কাজের দায়িত্ব পালন করেন একজন কেয়ারগিভার। বাংলাদেশে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড কেয়ারগিভিং কোর্সের ডিজাইন করেছে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশে এই পেশার সূচনা সেভাবে লক্ষ করা যায় না।
কেয়ারগিভার সম্পর্কে কম-বেশি সবাই, বিশেষ করে নাগরিক ব্যস্ত জীবনের অভ্যস্ততায় থাকা মানুষেরা দিন দিন উপলব্ধি করছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উন্নত বিশ্বে বৃদ্ধ ব্যক্তিরা বৃদ্ধাশ্রমে যেতে চান শুধু কেয়ারগিভিং সেবা পাওয়ার জন্য। বাংলাদেশে আমরা হাসপাতালে ভর্তি হলে কেয়ারগিভার খুঁজতে থাকি। এ ছাড়া যাদের পরিবারে বেড রিডেন পেশেন্ট, ডিমেনশিয়া, প্যারালাইজড বা শারীরিক অক্ষম রোগী, অটিজম আক্রান্ত শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি আছেন তাদের কাছে কেয়ারগিভার কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আশপাশের গড়ে ওঠা কেয়ারগিভিং প্রতিষ্ঠানের চাহিদা থেকেই বোঝা যায়।
একজন দক্ষ কেয়ারগিভারের মাসিক আয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার নিচে নয়। মাত্র ছয় মাসের একটি ট্রেনিং নিয়ে একজন ব্যক্তি চাকরির পেছনে না ছুটে এই স্বেচ্ছাব্রতী পেশায় সৎভাবে আয় করতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই পেশায় রয়েছে আন্তরিকতা ও ভালোবাসার চাক্ষুষ প্রশান্তি ও প্রতিদান। যাঁরা বেশিদূর লেখাপড়া করতে আগ্রহী নন বা বিদেশে লেবার হিসেবে যেতে চান, তাঁদের জন্য এই পেশাটি অপূর্ব সুযোগ হতে পারে। ২০১৮ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী এই পেশার চাহিদা এতটাই যে উন্নত বিশ্ব থেকে কেয়ারগিভারের সুবিধা ও সম্মান ক্রমে বেড়েই চলেছে। শুধু জাপান থেকেই ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ লাখ কেয়ারগিভার নেওয়া হবে বলে জানা যায়। উন্নত দেশ ছাড়াও সৌদি আরব, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কেয়ারগিভারের প্রচুর চাহিদার কারণে যেখানে ভারত, ফিলিপাইন থেকে কাজ করতে যায়, সেখানে আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা কত কষ্ট করে অল্প টাকায় ক্লিনার বা অন্যান্য কাজ করে অর্থ আয় করে থাকেন। অথচ ছয় মাসের ট্রেনিং করে প্রশিক্ষিত হয়ে গেলে একজন লেবারের থেকে তিন গুণ বেশি বেতনে সম্মানজনক এই পেশায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে অনেক মজবুত করে দিতে পারবে। স্বেচ্ছাব্রতী এমন একটি সম্মানজনক পেশা বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে একদিকে যেমন আয়ের সুযোগ করে দেবে, অন্যদিকে সুস্থ ও সুন্দর সামাজিক মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই নবদিগন্তের সূচনায় এই পেশা নিয়ে সুশীল সমাজকে গভীরভাবে ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি।
বিশ্বের মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পরিচিতি বিশ্ববাসীর কাছে নানান কারণে গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগোলিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোনো দিক থেকেই এই দেশকে এখন অবহেলা করার অবকাশ নেই। এর অন্যতম যৌক্তিক কারণ হচ্ছে, এ দেশের বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম জনসংখ্যা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির কারণে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, সেখানে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কাজ করতে সক্ষম এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা ঈর্ষণীয়। এটি যেমন একদিকে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক, অন্যদিকে এই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আবার বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত, যারা তাদের উৎপাদনশীলতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পেরে দিন দিন হতাশার সমুদ্রে নিমজ্জিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস বা বিবিএস-এর পরিসংখানে বর্তমানে এ দেশে ২৬ লাখ লোক বেকার, যার মধ্যে ২১.৪৬ লাখের বয়সসীমা ১৫ থেকে ২৯ বছর। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের ৬৮ লোখ লোকের উৎপাদনক্ষমতা অব্যবহৃত থেকে যায়, যার মধ্যে ১৩.১৮ শতাংশ রয়েছে ডিগ্রিধারী। আর সিপিডির মতে, বাংলাদেশে ১২ লাখ ব্যক্তি সরকারি চাকরি করে। এ কথা বলার কারণ হলো, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান মনে করে, সরকারি চাকরিতে ২০১৫ সালের পে-স্কেল ঘোষণার কারণে বেসরকারি চাকরির প্রতি মানুষের ঝোঁক কমে গিয়েছে। এই পরিসংখ্যানিক চিত্র তুলে ধরার মূল কারণ হলো, বর্তমানে সময় এসেছে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের জনমিতিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কর্মক্ষেত্রের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আর এই কর্মক্ষেত্রের এক বিশাল সম্ভাবনাময় পেশা হতে পারে কেয়ারগিভার।
কেয়ারগিভিং হলো কোনো ব্যক্তিকে কার্যকর কৌশল বা উপায়ে সেবা প্রদানের এক ধরনের সেবামূলক ব্যবস্থা বা কার্যক্রম। যিনি এই দায়িত্ব পালন করেন, তাঁকে বলা হয় কেয়ারগিভার। একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রই শেষ কথা নয়। রোগীর সুস্থতা বা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের সার্বক্ষণিক দেখাশোনায় যাবতীয় সব কাজের দায়িত্ব পালন করেন একজন কেয়ারগিভার। বাংলাদেশে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড কেয়ারগিভিং কোর্সের ডিজাইন করেছে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশে এই পেশার সূচনা সেভাবে লক্ষ করা যায় না।
কেয়ারগিভার সম্পর্কে কম-বেশি সবাই, বিশেষ করে নাগরিক ব্যস্ত জীবনের অভ্যস্ততায় থাকা মানুষেরা দিন দিন উপলব্ধি করছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উন্নত বিশ্বে বৃদ্ধ ব্যক্তিরা বৃদ্ধাশ্রমে যেতে চান শুধু কেয়ারগিভিং সেবা পাওয়ার জন্য। বাংলাদেশে আমরা হাসপাতালে ভর্তি হলে কেয়ারগিভার খুঁজতে থাকি। এ ছাড়া যাদের পরিবারে বেড রিডেন পেশেন্ট, ডিমেনশিয়া, প্যারালাইজড বা শারীরিক অক্ষম রোগী, অটিজম আক্রান্ত শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি আছেন তাদের কাছে কেয়ারগিভার কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আশপাশের গড়ে ওঠা কেয়ারগিভিং প্রতিষ্ঠানের চাহিদা থেকেই বোঝা যায়।
একজন দক্ষ কেয়ারগিভারের মাসিক আয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার নিচে নয়। মাত্র ছয় মাসের একটি ট্রেনিং নিয়ে একজন ব্যক্তি চাকরির পেছনে না ছুটে এই স্বেচ্ছাব্রতী পেশায় সৎভাবে আয় করতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই পেশায় রয়েছে আন্তরিকতা ও ভালোবাসার চাক্ষুষ প্রশান্তি ও প্রতিদান। যাঁরা বেশিদূর লেখাপড়া করতে আগ্রহী নন বা বিদেশে লেবার হিসেবে যেতে চান, তাঁদের জন্য এই পেশাটি অপূর্ব সুযোগ হতে পারে। ২০১৮ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী এই পেশার চাহিদা এতটাই যে উন্নত বিশ্ব থেকে কেয়ারগিভারের সুবিধা ও সম্মান ক্রমে বেড়েই চলেছে। শুধু জাপান থেকেই ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ লাখ কেয়ারগিভার নেওয়া হবে বলে জানা যায়। উন্নত দেশ ছাড়াও সৌদি আরব, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কেয়ারগিভারের প্রচুর চাহিদার কারণে যেখানে ভারত, ফিলিপাইন থেকে কাজ করতে যায়, সেখানে আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা কত কষ্ট করে অল্প টাকায় ক্লিনার বা অন্যান্য কাজ করে অর্থ আয় করে থাকেন। অথচ ছয় মাসের ট্রেনিং করে প্রশিক্ষিত হয়ে গেলে একজন লেবারের থেকে তিন গুণ বেশি বেতনে সম্মানজনক এই পেশায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে অনেক মজবুত করে দিতে পারবে। স্বেচ্ছাব্রতী এমন একটি সম্মানজনক পেশা বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে একদিকে যেমন আয়ের সুযোগ করে দেবে, অন্যদিকে সুস্থ ও সুন্দর সামাজিক মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই নবদিগন্তের সূচনায় এই পেশা নিয়ে সুশীল সমাজকে গভীরভাবে ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি।
গ্রিক পুরাণের পাঠকমাত্রই প্যান্ডোরাকে চেনেন। তাঁরা জানেন, এই প্যান্ডোরা হলো দুনিয়ার প্রথম নারী, যাকে দেবরাজ জিয়ুসের তত্ত্বাবধানে খুব যত্ন করে সৃষ্টি করেছিলেন অন্য দেবতারা। সৃষ্টির পর দেবতারা প্যান্ডোরাকে অতুলনীয় সব উপহার দিয়েছিলেন—সৌন্দর্য, মাধুর্য, সংগীত, কৌতূহল, ইতি ও আদি। তাকে একটি বয়ামও উপহার দে
৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ঘটা করে অনুষ্ঠিত হলো বিএনপির বর্ধিত সভা। সভাটির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, প্রায় সাত বছর পরে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য রেখেছেন। লন্ডনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সভাটিতে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রেখেছেন। চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী কাউকে আক্রমণ না করে অত্যন্ত
৩ ঘণ্টা আগেকিছু লিখতে বসলে এখন সাতপাঁচ অনেক কিছু ভাবতে হয়। কোনো লাইন বা শব্দের কারণে না জানি ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী শাসকের পক্ষের ট্যাগ লাগিয়ে জীবন অতিষ্ঠ করে তোলা হয়! দেশে এখন নাকি মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতার বাতাস বইছে। কিন্তু পত্রিকা পড়ে কি মনে হয়, যা ঘটছে তার চিত্র ফুটে উঠছে? ভয়ের সংস্কৃতি কি সত্যি দূর হয়েছ
৩ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় আবারও একটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৪ মার্চ রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যেই স্থানীয়‘তৌহিদি জনতা’ মিছিল নিয়ে হামলা চালায়। তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে ৫ মার্চ আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত
৩ ঘণ্টা আগে