ওমর শেহাব
আইনস্টাইন যখন বিশেষ অপেক্ষবাদ প্রস্তাব করেন, তখন হ্যানস ইজরায়েল, এরিখ রুখেবার ও রুডলফ ওয়াইনম্যানের নেতৃত্বে ১০০ বিজ্ঞানী একটি বই লিখেছিলেন—কেন আইনস্টাইন ভুল! আইনস্টাইন বলেছিলেন, তিনি যদি ভুলই হয়ে থাকেন, তাহলে ১০০ জন কেন লাগবে, এক জনই তো যথেষ্ট হওয়ার কথা।
আজকের লেখাটি ঠিক সেরকম। এর আগে আমি অনেক লম্বা-চওড়া গদ্য লিখেছি। কিন্তু আমার আলমা ম্যাটার শাবিপ্রবিতে যে আন্দোলন চলছে, তার নৈতিক অবস্থান খুব পরিষ্কার। কাজেই এই লেখাটিও খুব ছোট।
শাবিপ্রবিতে অনেক দিন ধরে চলে আসা অন্যায় ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য তাঁদের পুলিশ ডেকে ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে পিটিয়েছেন। এটি ভীষণ অন্যায়। এই উপাচার্যের শুধু পদত্যাগ করাই যথেষ্ট নয়, বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁর কোনো পদে থাকা উচিত নয়।
অনেকে বলতে পারেন, তাহলে ৩৪ জন উপাচার্য যে তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন, তার কী হবে? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপাচার্য কোনো সম্মানজনক পদ নয়। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যাতে পরের নির্বাচন পর্যন্ত বড় কোনো আন্দোলন বা অচলাবস্থা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানবিজ্ঞানে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়। কাজেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কী করা উচিত বা উচিত নয়, সে ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
এই ৩৪ জন উপাচার্যের একটাই ভয়। একবার যদি ছাত্রছাত্রীরা খারাপ উপাচার্যদের ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া শিখে যায়, তাহলে তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ‘এই দিন আসবে’।
যা হোক, আশা করি সরকার আর এক মুহূর্ত দেরি না করে এই উপাচার্যকে বিদেয় করবে।
লেখক: তত্ত্বীয় কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিজ্ঞানী, নিউইয়র্ক আইবিএম থমাস জে. ওয়াটসন রিসার্চ সেন্টার ও গবেষক, ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সদস্য
আইনস্টাইন যখন বিশেষ অপেক্ষবাদ প্রস্তাব করেন, তখন হ্যানস ইজরায়েল, এরিখ রুখেবার ও রুডলফ ওয়াইনম্যানের নেতৃত্বে ১০০ বিজ্ঞানী একটি বই লিখেছিলেন—কেন আইনস্টাইন ভুল! আইনস্টাইন বলেছিলেন, তিনি যদি ভুলই হয়ে থাকেন, তাহলে ১০০ জন কেন লাগবে, এক জনই তো যথেষ্ট হওয়ার কথা।
আজকের লেখাটি ঠিক সেরকম। এর আগে আমি অনেক লম্বা-চওড়া গদ্য লিখেছি। কিন্তু আমার আলমা ম্যাটার শাবিপ্রবিতে যে আন্দোলন চলছে, তার নৈতিক অবস্থান খুব পরিষ্কার। কাজেই এই লেখাটিও খুব ছোট।
শাবিপ্রবিতে অনেক দিন ধরে চলে আসা অন্যায় ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য তাঁদের পুলিশ ডেকে ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে পিটিয়েছেন। এটি ভীষণ অন্যায়। এই উপাচার্যের শুধু পদত্যাগ করাই যথেষ্ট নয়, বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাঁর কোনো পদে থাকা উচিত নয়।
অনেকে বলতে পারেন, তাহলে ৩৪ জন উপাচার্য যে তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন, তার কী হবে? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপাচার্য কোনো সম্মানজনক পদ নয়। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যাতে পরের নির্বাচন পর্যন্ত বড় কোনো আন্দোলন বা অচলাবস্থা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানবিজ্ঞানে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়। কাজেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কী করা উচিত বা উচিত নয়, সে ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
এই ৩৪ জন উপাচার্যের একটাই ভয়। একবার যদি ছাত্রছাত্রীরা খারাপ উপাচার্যদের ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া শিখে যায়, তাহলে তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ‘এই দিন আসবে’।
যা হোক, আশা করি সরকার আর এক মুহূর্ত দেরি না করে এই উপাচার্যকে বিদেয় করবে।
লেখক: তত্ত্বীয় কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিজ্ঞানী, নিউইয়র্ক আইবিএম থমাস জে. ওয়াটসন রিসার্চ সেন্টার ও গবেষক, ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সদস্য
শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। যাঁরা পালাতে পারেননি তাঁদের জনাকয়েক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের দুঃশাসনকালে বিএনপিসহ অন্য নেতাদের যেভাবে হেলমেট পরিয়ে জেলখানা থেকে আদালতে হাজির করা হতো, এখন আওয়ামী লীগের নেতাদের একই কায়দায়
১ দিন আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দিন যত যাচ্ছে, ততই নতুন নতুন কিছু প্রশ্নের উদ্ভব হচ্ছে। প্রশ্নগুলো যে গভীরতর রাজনৈতিক বিষয়সংশ্লিষ্ট, তা বলাই বাহুল্য। অনেক সময়ই প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে সংবাদ সম্মেলন বা সংবাদ ব্রিফিং করে বিষয়গুলো খোলাসার চেষ্টা করা হয়েছে।
১ দিন আগেবাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও জনমনে আস্থার সংকটের প্রেক্ষাপটে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগেসম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে অটোরিকশা বন্ধের প্রস্তাবে চালকদের রাস্তায় নেমে আসা এবং শহর কার্যত অচল হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ অবরোধে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
২ দিন আগে