আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। বর্তমানে তিনি ‘অলটারনেটিভস’ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক। বাংলাদেশ ও ভারতের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানা।
মাসুদ রানা
৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরার কারণ কী?
বড় একটা কারণ হলো, দিল্লি শুধু বিগত সরকারের সঙ্গে বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। আবার এটাও বলা যেতে পারে দলের সঙ্গে দলের সম্পর্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাতে যেটা হয়েছে, জনগণের মধ্যে ভারত সম্পর্কে যেসব নেতিবাচক বিষয় ছিল, সেগুলো প্রকাশ পায়নি।
শুধু দলের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ভারতের ব্যাপারে জনগণের একধরনের অসন্তোষ থাকার কারণে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত সেটার কোনো উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার একটা মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর কি উত্তেজনা আরও বাড়ল?
বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেছে, সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যদিও সরকার বলছে এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু আমার মতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের অভিযোগে ইসকন বা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের তৎপরতা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গে বসে সেটা নিয়ে সমাধানের পথ বের করা দরকার ছিল। সমস্যার প্রকৃতি বুঝে তার গভীরে গিয়ে আমরা যদি সমাধান না করি এবং এসব শুধু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা বলে এড়িয়ে যাই, তাহলে সমাধানের সূত্রটা বের করা যাবে না। বরং সামনে সমস্যাটা আরও বাড়তে পারে। এটাকে সমাধান করার নানা উপায় আছে। ভারতের মিডিয়া এটা নিয়ে বড় অপপ্রচার চালাচ্ছে, যার হয়তো তেমন ভিত্তি নেই। তারপরেও তাদের মিডিয়ার লোকদের এখানে এনে বাস্তব অবস্থা দেখানো দরকার। শুধু তা-ই নয়, আন্তর্জাতিক মিডিয়াকেও এখানে নিয়ে আসা দরকার। যেহেতু ভারতের মিডিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার একটা সম্পর্ক আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিডিয়ার লোকগুলো যদি স্বচক্ষে বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, তাহলে বড় আকারে যে সমালোচনাটা হচ্ছে, সেটা থামানো সম্ভব হবে। পরবর্তী সময়ে সেটাকে আর বড় করে দেখানোর সুযোগ পাবে না। যদি আমরা বারবার শুধু বলতে থাকি এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তাহলে দেখা যাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ শক্তি এই পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার সুযোগ পাবে।
ভারত বড় দেশ হওয়ার জন্যই কি বাংলাদেশকে পদানত করে রাখতে চায়?
বড় দেশের কাঠামোগত কারণে সেটা হয়ে থাকে। আমরা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার কথা ধরি—মেক্সিকো বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে বড় ভাইয়ের মতো আচরণ করে থাকে। দেখার বিষয়, সে ধরনের আচরণের কারণে ছোট দেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না। বড় আকারে আমরা যেটা দেখে থাকি, সেটা হলো, দিল্লি সব সময়ই শুধু দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেই বিনিয়োগ করেছে। তারা এ দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে কখনো বিনিয়োগ করেনি। আমি ব্যতিক্রম উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডা সরকারের পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র অনেক সময় বড়ত্বের ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কানাডার জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বড় আকারে আছে বলে, সেটাতে জনগণ খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। মানে সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের ব্যতিক্রম থাকলেও সেটা জনগণের ওপর পড়ে না। যদি ভারত আমাদের জনগণের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখত, তাহলে এ দেশের মানুষ ভারতবিরোধী হতো না।
কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভারতের সরকারের সঙ্গে আমাদের সরকারের ঝামেলা হয়, তখন সেটা এ দেশের জনগণের ওপর ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করে। এখন যেমন ভারতের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সেই জায়গায় এখন পর্যন্ত সম্পর্কের পরিবর্তন করতে পারিনি।
ভারত কি এভাবেই চলবে?
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে ভারত একটা বড় শিক্ষা নিতে পারে, সেটা হলো যে শুধু সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক করলে তার একটা সীমাবদ্ধতা থাকে। সেটা কিছু দূর পর্যন্ত চলতে পারে। সেটা হলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কিছু চুক্তির কিছু সুবিধা হতে পারে। দুই দেশের সম্পর্ক যদি ভালো করতে হয়, তাহলে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করতে হবে। সেই জায়গায় যে একটা বড় ঘাটতি আছে, সেটা তাদের না বোঝার কোনো কারণ নেই। এখন তারা এটাকে কীভাবে ঠিক করবে, সেটা তো আমরা বলতে পারব না। তবে আমাদের আশা থাকবে, ভারত যেন এ দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্কটা নির্মাণ করে। আগে যেভাবে তারা চলেছে, সেখানে যেন নতুনত্ব আসে।
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশের কী করণীয়?
প্রথমত, পেশাদারত্ব বাড়ানো দরকার। দুই দেশের সম্পর্ক সম পর্যায়ে আনার জন্য পেশাদারত্বের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই উপমহাদেশের একটা ঝামেলা আছে। সবাই আমরা পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলে থাকি। সাম্প্রতিক ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব না থাকার পরেও (যেটা আসলে দিল্লির দায়িত্ব) তিনি বললেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানোর কথা। এটা দিয়ে বোঝা গেল, তিনি তাঁর রাজনীতির ফায়দা নিতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার সূত্র ধরে বাংলাদেশের কেউ কেউ পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কূটনীতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিপক্বতা দেখা যায় না এই উপমহাদেশে।
ইউরোপ বা আমেরিকার দেশগুলোয় আমরা দেখি না একজন আইনমন্ত্রীকে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলতে। যার পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলা দরকার, তিনি সেটা করবেন। এটা করলে যা হয়, সেটা হলো, যিনি পররাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকেন তাঁর তখন সমস্যা হয়। আমি তাই বারবার বলছি, পেশাদারত্ব বাড়ানো দরকার। এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে, তখন দরকার প্রটোকল অনুযায়ী হাইকমিশনারকে তলব করা। এটা হলো শুরুর কাজ। তাঁকে তলব করে বলা দরকার, এটা কেন হচ্ছে? যদিও প্রায় এক সপ্তাহ পর সেটা করা হয়েছে।
বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। আপনি কি তাঁর বক্তব্যকে সঠিক মনে করেন?
আমি মনে করি না যে কূটনীতিকদের নিয়ে সভা করে কথা বলে কোনো লাভ হয়। যাদের এখানে মিশন আছে, তাদের সবারই নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ আছে। এটা যদি কোনো গোষ্ঠীর কাজ হয়ে থাকে, সেটা তাদের অজানা থাকার কথা নয়। তাদের ডেকে এনে এভাবে বলার দরকার পড়ে না।
আমাদের সঙ্গে ভারতের সমস্যা যেহেতু তৈরি হয়েছে, সেহেতু আপাতত করণীয় হলো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সে দেশের হাইকমিশনারকে তলব করা। সবাইকে নিয়ে কথা বলার সমস্যা হলো, কূটনীতিকেরা এমনিতেই একটু কনজারভেটিভ ধরনের। আবার বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনাররা থাকার কারণে অনেক দেশের প্রতিনিধিরা কথা বলতে চান না। অবশ্য এ ধরনের বৈঠকের নিউজ ভ্যালু থাকতে পারে। কিন্তু আমরা আপাতত যে সমস্যায় পড়েছি, এটা তো আমাদেরই সমাধান করতে হবে। আর কূটনীতি ছাড়া সমাধানের অন্য কোনো উপায় নেই। তাই এসব ব্যাপারে আরও একটু চিন্তাভাবনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
আগরতলায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে হামলা, সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশেও প্রতিবাদ হচ্ছে। এভাবে চললে পরিস্থিতি কি আরও খারাপের দিকে যাবে না?
আগরতলার ঘটনায় তিনটি বিষয়ে নজর রাখা দরকার। ভিয়েনা কনভেনশনে যা যা লেখা আছে, একটি দেশের হাইকমিশনে নিরাপত্তার জন্য কী কী করতে হবে। এই ঘটনায় সেটা বড় আকারের বিঘ্ন হয়েছে। আমি মনে করি, এ দেশের পক্ষ থেকে সেটা ফরমালি জানানো দরকার, সেটা অবশ্যই পত্রিকার মাধ্যমে না। ফরমালি জানানোর সহজ উপায়—একটা নোট আকারে পাঠানো যেতে পারে। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হলো, তাদের হাইকমিশনারকে তলব করে জানানো।
দ্বিতীয়ত, বড় আকারে প্রচার করা দরকার যে ভারতের বিভিন্ন দেশের মিশন বিভিন্ন সময় টার্গেট হয়েছে। লন্ডন, কানাডায় হয়েছে। ভারত কিন্তু বরাবরই সেসব দেশকে বলেছে, কেন এসব হচ্ছে? এমনও হয়েছে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে ভারতের মিশনে। সেই জায়গা থেকে ভারতে কেন বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে হামলা করা হলো? আমরা বলতে পারি, তোমরা নিজেরাও তো সেসব চাও না। তাহলে তোমাদের দেশে কেন এ রকম হচ্ছে?
তৃতীয়ত, প্রতিবাদ হতেই পারে। এক দেশের ঘটনায় অন্য দেশে প্রতিবাদ হতে পারে। যেমন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদটা যেন সীমা লঙ্ঘন না করে, সেই ব্যবস্থাটা করা জরুরি। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে প্রতিবাদ হয়েছে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু আগরতলায় যেভাবে প্রতিবাদ করে উপহাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে, সেটায় সীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা কীভাবে উপহাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে যেতে পারল? ব্যাপারটাকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। আমি মনে করি, সেটা ভারত সরকারের না জানার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
ভারত কি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারছে না?
আপাতত বড় কারণ হলো, ভারত দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে একটি দল এবং সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। আমরা যদি একটু গভীরভাবে দেখি, বাংলাদেশে তো একাধিক পার্টি আছে। তারা কিন্তু একাধিক পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি। একইভাবে জনগণের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখেনি। এতে করে তারাই কিন্তু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন সেই সরকারের যখন পতন হলো, তারা দেখল তারা যেভাবে একটি দলের সঙ্গে কাঠামো নির্মাণ করেছে, সেটা আকস্মিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমার কাছে মনে হয়, আপাতত তাদের যে পরাজয় হয়েছে, সেটা কীভাবে ঢাকা দেবে? এখন ঢাকা দেওয়ার জন্য নতুন করে সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে।
সে জন্য তারা সংখ্যালঘু ইস্যুটাকে সামনে আনছে। এখন যদি ইসকনের ঘটনাটা না ঘটত এবং চিন্ময়কে মুক্তি দেওয়া হতো, তাহলে তারা কোনো সুযোগ পেত না। তারপর একজন আইনজীবীকে হত্যা করার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলো। এসব ঘটনায় তারা সুযোগ গ্রহণ করেছে। এ সময় আমাদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যেটা নিয়ে অন্য দেশ কোনো সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। বিভিন্ন দেশ তার স্বার্থের কারণে সুযোগ গ্রহণ করতে চাইবে।
ভারতের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো কূটনৈতিক ঘাটতি আছে বলে মনে করেন?
এখন পর্যন্ত কোনো কূটনীতিই শুরু হয়নি। আবার শুরু করার পথগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রথম কথা হলো কূটনীতি দিয়েই তো সমাধানে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু কীভাবে সেটা শুরু হবে? আমরা কি লন্ডন বা তৃতীয় কোনো দেশে বসে আলোচনা করব? আমরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কাজটা শুরু করব? যখন কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হবে, তখন সেটা বলা যাবে। এখন পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি কথার মধ্যে ব্যাপারটি রয়ে গেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করব। এখন দেখা দরকার তারা কীভাবে সেটা শুরু করে।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকা ও আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরার কারণ কী?
বড় একটা কারণ হলো, দিল্লি শুধু বিগত সরকারের সঙ্গে বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। আবার এটাও বলা যেতে পারে দলের সঙ্গে দলের সম্পর্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাতে যেটা হয়েছে, জনগণের মধ্যে ভারত সম্পর্কে যেসব নেতিবাচক বিষয় ছিল, সেগুলো প্রকাশ পায়নি।
শুধু দলের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ভারতের ব্যাপারে জনগণের একধরনের অসন্তোষ থাকার কারণে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত সেটার কোনো উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার একটা মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর কি উত্তেজনা আরও বাড়ল?
বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেছে, সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি এ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যদিও সরকার বলছে এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু আমার মতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের অভিযোগে ইসকন বা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের তৎপরতা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গে বসে সেটা নিয়ে সমাধানের পথ বের করা দরকার ছিল। সমস্যার প্রকৃতি বুঝে তার গভীরে গিয়ে আমরা যদি সমাধান না করি এবং এসব শুধু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা বলে এড়িয়ে যাই, তাহলে সমাধানের সূত্রটা বের করা যাবে না। বরং সামনে সমস্যাটা আরও বাড়তে পারে। এটাকে সমাধান করার নানা উপায় আছে। ভারতের মিডিয়া এটা নিয়ে বড় অপপ্রচার চালাচ্ছে, যার হয়তো তেমন ভিত্তি নেই। তারপরেও তাদের মিডিয়ার লোকদের এখানে এনে বাস্তব অবস্থা দেখানো দরকার। শুধু তা-ই নয়, আন্তর্জাতিক মিডিয়াকেও এখানে নিয়ে আসা দরকার। যেহেতু ভারতের মিডিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার একটা সম্পর্ক আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিডিয়ার লোকগুলো যদি স্বচক্ষে বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, তাহলে বড় আকারে যে সমালোচনাটা হচ্ছে, সেটা থামানো সম্ভব হবে। পরবর্তী সময়ে সেটাকে আর বড় করে দেখানোর সুযোগ পাবে না। যদি আমরা বারবার শুধু বলতে থাকি এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তাহলে দেখা যাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ শক্তি এই পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার সুযোগ পাবে।
ভারত বড় দেশ হওয়ার জন্যই কি বাংলাদেশকে পদানত করে রাখতে চায়?
বড় দেশের কাঠামোগত কারণে সেটা হয়ে থাকে। আমরা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার কথা ধরি—মেক্সিকো বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে বড় ভাইয়ের মতো আচরণ করে থাকে। দেখার বিষয়, সে ধরনের আচরণের কারণে ছোট দেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না। বড় আকারে আমরা যেটা দেখে থাকি, সেটা হলো, দিল্লি সব সময়ই শুধু দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেই বিনিয়োগ করেছে। তারা এ দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে কখনো বিনিয়োগ করেনি। আমি ব্যতিক্রম উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডা সরকারের পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র অনেক সময় বড়ত্বের ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কানাডার জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বড় আকারে আছে বলে, সেটাতে জনগণ খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। মানে সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের ব্যতিক্রম থাকলেও সেটা জনগণের ওপর পড়ে না। যদি ভারত আমাদের জনগণের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখত, তাহলে এ দেশের মানুষ ভারতবিরোধী হতো না।
কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভারতের সরকারের সঙ্গে আমাদের সরকারের ঝামেলা হয়, তখন সেটা এ দেশের জনগণের ওপর ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করে। এখন যেমন ভারতের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সেই জায়গায় এখন পর্যন্ত সম্পর্কের পরিবর্তন করতে পারিনি।
ভারত কি এভাবেই চলবে?
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে ভারত একটা বড় শিক্ষা নিতে পারে, সেটা হলো যে শুধু সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক করলে তার একটা সীমাবদ্ধতা থাকে। সেটা কিছু দূর পর্যন্ত চলতে পারে। সেটা হলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কিছু চুক্তির কিছু সুবিধা হতে পারে। দুই দেশের সম্পর্ক যদি ভালো করতে হয়, তাহলে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করতে হবে। সেই জায়গায় যে একটা বড় ঘাটতি আছে, সেটা তাদের না বোঝার কোনো কারণ নেই। এখন তারা এটাকে কীভাবে ঠিক করবে, সেটা তো আমরা বলতে পারব না। তবে আমাদের আশা থাকবে, ভারত যেন এ দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্কটা নির্মাণ করে। আগে যেভাবে তারা চলেছে, সেখানে যেন নতুনত্ব আসে।
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশের কী করণীয়?
প্রথমত, পেশাদারত্ব বাড়ানো দরকার। দুই দেশের সম্পর্ক সম পর্যায়ে আনার জন্য পেশাদারত্বের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই উপমহাদেশের একটা ঝামেলা আছে। সবাই আমরা পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলে থাকি। সাম্প্রতিক ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব না থাকার পরেও (যেটা আসলে দিল্লির দায়িত্ব) তিনি বললেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানোর কথা। এটা দিয়ে বোঝা গেল, তিনি তাঁর রাজনীতির ফায়দা নিতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার সূত্র ধরে বাংলাদেশের কেউ কেউ পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কূটনীতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিপক্বতা দেখা যায় না এই উপমহাদেশে।
ইউরোপ বা আমেরিকার দেশগুলোয় আমরা দেখি না একজন আইনমন্ত্রীকে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলতে। যার পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কথা বলা দরকার, তিনি সেটা করবেন। এটা করলে যা হয়, সেটা হলো, যিনি পররাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকেন তাঁর তখন সমস্যা হয়। আমি তাই বারবার বলছি, পেশাদারত্ব বাড়ানো দরকার। এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে, তখন দরকার প্রটোকল অনুযায়ী হাইকমিশনারকে তলব করা। এটা হলো শুরুর কাজ। তাঁকে তলব করে বলা দরকার, এটা কেন হচ্ছে? যদিও প্রায় এক সপ্তাহ পর সেটা করা হয়েছে।
বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। আপনি কি তাঁর বক্তব্যকে সঠিক মনে করেন?
আমি মনে করি না যে কূটনীতিকদের নিয়ে সভা করে কথা বলে কোনো লাভ হয়। যাদের এখানে মিশন আছে, তাদের সবারই নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ আছে। এটা যদি কোনো গোষ্ঠীর কাজ হয়ে থাকে, সেটা তাদের অজানা থাকার কথা নয়। তাদের ডেকে এনে এভাবে বলার দরকার পড়ে না।
আমাদের সঙ্গে ভারতের সমস্যা যেহেতু তৈরি হয়েছে, সেহেতু আপাতত করণীয় হলো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সে দেশের হাইকমিশনারকে তলব করা। সবাইকে নিয়ে কথা বলার সমস্যা হলো, কূটনীতিকেরা এমনিতেই একটু কনজারভেটিভ ধরনের। আবার বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনাররা থাকার কারণে অনেক দেশের প্রতিনিধিরা কথা বলতে চান না। অবশ্য এ ধরনের বৈঠকের নিউজ ভ্যালু থাকতে পারে। কিন্তু আমরা আপাতত যে সমস্যায় পড়েছি, এটা তো আমাদেরই সমাধান করতে হবে। আর কূটনীতি ছাড়া সমাধানের অন্য কোনো উপায় নেই। তাই এসব ব্যাপারে আরও একটু চিন্তাভাবনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
আগরতলায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে হামলা, সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশেও প্রতিবাদ হচ্ছে। এভাবে চললে পরিস্থিতি কি আরও খারাপের দিকে যাবে না?
আগরতলার ঘটনায় তিনটি বিষয়ে নজর রাখা দরকার। ভিয়েনা কনভেনশনে যা যা লেখা আছে, একটি দেশের হাইকমিশনে নিরাপত্তার জন্য কী কী করতে হবে। এই ঘটনায় সেটা বড় আকারের বিঘ্ন হয়েছে। আমি মনে করি, এ দেশের পক্ষ থেকে সেটা ফরমালি জানানো দরকার, সেটা অবশ্যই পত্রিকার মাধ্যমে না। ফরমালি জানানোর সহজ উপায়—একটা নোট আকারে পাঠানো যেতে পারে। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হলো, তাদের হাইকমিশনারকে তলব করে জানানো।
দ্বিতীয়ত, বড় আকারে প্রচার করা দরকার যে ভারতের বিভিন্ন দেশের মিশন বিভিন্ন সময় টার্গেট হয়েছে। লন্ডন, কানাডায় হয়েছে। ভারত কিন্তু বরাবরই সেসব দেশকে বলেছে, কেন এসব হচ্ছে? এমনও হয়েছে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে ভারতের মিশনে। সেই জায়গা থেকে ভারতে কেন বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে হামলা করা হলো? আমরা বলতে পারি, তোমরা নিজেরাও তো সেসব চাও না। তাহলে তোমাদের দেশে কেন এ রকম হচ্ছে?
তৃতীয়ত, প্রতিবাদ হতেই পারে। এক দেশের ঘটনায় অন্য দেশে প্রতিবাদ হতে পারে। যেমন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদটা যেন সীমা লঙ্ঘন না করে, সেই ব্যবস্থাটা করা জরুরি। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে প্রতিবাদ হয়েছে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু আগরতলায় যেভাবে প্রতিবাদ করে উপহাইকমিশনে হামলা করা হয়েছে, সেটায় সীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা কীভাবে উপহাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে যেতে পারল? ব্যাপারটাকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। আমি মনে করি, সেটা ভারত সরকারের না জানার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
ভারত কি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারছে না?
আপাতত বড় কারণ হলো, ভারত দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে একটি দল এবং সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। আমরা যদি একটু গভীরভাবে দেখি, বাংলাদেশে তো একাধিক পার্টি আছে। তারা কিন্তু একাধিক পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি। একইভাবে জনগণের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখেনি। এতে করে তারাই কিন্তু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন সেই সরকারের যখন পতন হলো, তারা দেখল তারা যেভাবে একটি দলের সঙ্গে কাঠামো নির্মাণ করেছে, সেটা আকস্মিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমার কাছে মনে হয়, আপাতত তাদের যে পরাজয় হয়েছে, সেটা কীভাবে ঢাকা দেবে? এখন ঢাকা দেওয়ার জন্য নতুন করে সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে।
সে জন্য তারা সংখ্যালঘু ইস্যুটাকে সামনে আনছে। এখন যদি ইসকনের ঘটনাটা না ঘটত এবং চিন্ময়কে মুক্তি দেওয়া হতো, তাহলে তারা কোনো সুযোগ পেত না। তারপর একজন আইনজীবীকে হত্যা করার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলো। এসব ঘটনায় তারা সুযোগ গ্রহণ করেছে। এ সময় আমাদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যেটা নিয়ে অন্য দেশ কোনো সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। বিভিন্ন দেশ তার স্বার্থের কারণে সুযোগ গ্রহণ করতে চাইবে।
ভারতের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো কূটনৈতিক ঘাটতি আছে বলে মনে করেন?
এখন পর্যন্ত কোনো কূটনীতিই শুরু হয়নি। আবার শুরু করার পথগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রথম কথা হলো কূটনীতি দিয়েই তো সমাধানে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু কীভাবে সেটা শুরু হবে? আমরা কি লন্ডন বা তৃতীয় কোনো দেশে বসে আলোচনা করব? আমরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কাজটা শুরু করব? যখন কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হবে, তখন সেটা বলা যাবে। এখন পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি কথার মধ্যে ব্যাপারটি রয়ে গেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করব। এখন দেখা দরকার তারা কীভাবে সেটা শুরু করে।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকা ও আপনাকেও ধন্যবাদ।
বড়দিনের সপ্তাহ চলছে। গতকাল সারা বিশ্বেই পালিত হয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব। আমাদের দেশেও শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আনন্দের বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল বড়দিন। আমারও বেশ কয়েকবার সৌভাগ্য হয়েছে একবারে গ্রামে হাজার হাজার খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীর মাঝে বড়দিনের উৎসবে অংশ নেওয়ার। এর মধ্যে রয়েছে বরি
১৭ ঘণ্টা আগেমারপ্যাঁচ বাংলা ভাষার একটি অতিপরিচিত শব্দ। এ শব্দটির কবলে পড়েনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যে ভারি মুশকিল এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। যাপিত জীবনে কখনো কখনো আমরা অন্যের কথার মারপ্যাঁচে পড়েছি, আবার কখনো নিজের কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে উদ্দেশ্যও হাসিল করেছি।
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনীতিতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে চললেও ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর এই আলোচনা ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিগুলো কাজ করছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
২ দিন আগে