সাক্ষাৎকার

বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তে সম্পূর্ণ নতুন অবস্থা তৈরি হয়েছে

Thumbnail Image

আলতাফ পারভেজ দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষক। নানা বিষয়ে গবেষণাধর্মী তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী: ইতিহাসের পুনপাঠ’, ‘মাওলানা মওদূদীর রাষ্ট্রচিন্তা’, ‘শ্রীলঙ্কার তামিল ইলম্’, ‘বার্মা: জাতিগত সংঘাতের সাত দশক’, ‘সোহরাওয়ার্দী ও বাংলায় মুসলমানের রাষ্ট্রসাধনা’ প্রভৃতি। সম্প্রতি মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানা

মিয়ানমারের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখন কোন পর্যায়ে আছে?

ব্যাপক গৃহযুদ্ধের শিকার মিয়ানমার। সেখানে দুই ধরনের গৃহযুদ্ধ চলছে। একটা হচ্ছে বিভিন্ন অ-বামার জাতিসত্তার সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বামারদের। বামাররা হচ্ছে মিয়ানমারের প্রধান জাতি। এই যুদ্ধের একদিকে আছে কারেন, কাচিন, শান, তাঙ, রাখাইন ইত্যাদি জাতিসত্তার গেরিলা দলগুলো এবং অপরদিকে আছে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী—যাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় ‘টাটমা-দো’। এ রকম গেরিলা সংঘাত চলছে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রান্তিক প্রদেশগুলোতে প্রায় পঞ্চাশ বছর। তবে এখন তা আগের চেয়ে বেশি তীব্র।

আরেক ধরনের গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে দুই-তিন বছর হলো। এটা শুরু হয় গণতন্ত্রের দাবিতে, সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে। খোদ বামার আর্মির বিরুদ্ধে বামার তরুণ-তরুণীরা এই যুদ্ধে নেমেছে। যারা মূলত বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডির নেতা-কর্মী-সমর্থক।

সুতরাং আমরা বলতে পারি, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী দুই ধরনের গৃহযুদ্ধে লড়ছে। একদিকে তাদের প্রতিপক্ষ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগুলোর বিভিন্ন সশস্ত্র গেরিলা দল। এরা মূলত স্বায়ত্তশাসন চায়। অন্য যুদ্ধে টাটমা-দোর সঙ্গে লড়ছে গণতন্ত্রপন্থী মানুষেরা। টাটমা দোর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষ আবার কোথাও কোথাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। তবে সেটা সব জায়গায় নয়। যেমন আরাকানে রাখাইনরা টাটমা-দোর সঙ্গে যুদ্ধ করলেও গণতন্ত্রপন্থীদের সঙ্গে আরাকান আর্মির কোনো সমঝোতা নেই।

১১ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এতে বাংলাদেশের সীমান্তে নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা আছে কি?

এ প্রশ্নের উত্তর জটিল, যা ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। প্রথমত, আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের পুরোটা নিয়ন্ত্রণে নেয়নি। তবে প্রায় ৮০ ভাগের মতো তাদের নিয়ন্ত্রণে। এর মাঝে তারা যে অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে তার পুরোটাই বাংলাদেশ লাগোয়া। সুতরাং বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের যে সীমান্ত, সেটা এখন পুরোটাই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এর মানে হলো, বাংলাদেশের সঙ্গে এখন মিয়ানমারের সরাসরি আর সীমানা নেই। মিয়ানমারের কেউ আর সেখানে পাহারা দিচ্ছে না। এই অর্থে এটা একটা বিপজ্জনক অবস্থাই বটে। প্রচুর অবৈধ ব্যবসাপাতির সুযোগ অবারিত হয়েছে এখানে। যার মাঝে মাদকের চোরাচালানও হতে পারে। এ অবস্থায় এই সীমান্তের ব্যবস্থাপনার জন্য অপরদিকের নতুন বাহিনী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশকে এখন যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। সেটা করা গেলে বাংলাদেশের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা থাকবে না বা কমবে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ সেটা করতে পারবে কি না বা করছে কি না। তা ছাড়া, এই সীমানার দুই দিকেই আরেক সম্প্রদায় রোহিঙ্গারা আছে। যাদের সঙ্গে এই মুহূর্তে আরাকান আর্মির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে আমি বলব, বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তে একটা সম্পূর্ণ নতুন অবস্থা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন এই নতুন অবস্থাকে নতুনভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এতদিনকার পুরোনো কূটনীতিক বুঝ বা পুরোনো কূটনৈতিক বোঝাপড়া দিয়ে এই নতুন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা দুরূহ হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু সম্প্রতি বলেছেন, মিয়ানমার পরিস্থিতি শোচনীয় পর্যায়ে যেতে পারে। এ নিয়ে তাঁরা বাংলাদেশ ও ভারতকে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন। এ সতর্ক করার ব্যাপারটি আসলে কী?

মিয়ানমারের পরিস্থিতি ইতিমধ্যে যথেষ্ট শোচনীয়। আরও শোচনীয় হলে তো সেটা আসলে বিপদের কথাই। আমি দেখিনি তিনি কোথায় সেটা বলেছেন। তবে কথাটা মিথ্যা নয়। এখানে তিন ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। প্রথমত, দেশটা কয়েক খণ্ডে ভাগ হয়ে যেতে পারে। যে ভাগগুলোর একটার সঙ্গে আরেকটার ব্যাপক সাংস্কৃতিক ফারাক আছে। দ্বিতীয় শঙ্কা হলো, দেশটায় গৃহযুদ্ধ আরও বেড়ে মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে। আরাকানে যেটা এখনই দেখা গেছে। তৃতীয় হলো, গৃহযুদ্ধ এভাবেই চলবে, কোনো পক্ষ কাউকে পরাজিত করতে পারবে না। কিন্তু পুরো দেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব হতে থাকবে। মানুষ কিন্তু তখনো পালাতে চাইবে। অর্থাৎ মিয়ানমারে সামনে যা-ই ঘটুক, সেটাই প্রতিবেশীদের জন্য শঙ্কার। বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য শঙ্কার দিক হলো, বিপদে পড়ে আরও মানুষ ওই দিক থেকে এদিকে চলে আসতে পারে। ভারতের মিজোরামে মিয়ানমারের চিন প্রদেশ থেকে এবং বাংলাদেশে আরাকান প্রদেশ থেকে মানুষ আসতে পারে। সেটা আসছেও। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ৬০ হাজার নতুন শরণার্থী এসেছে। এই সংখ্যাটা তো কম নয়। ইতিমধ্যে মিজোরামেও মিয়ানমারের অনেকে আছে। এ রকম ব্যাপারগুলো আরও বাড়বে। আরেকটি বিপদ হলো, ভারত ও বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র চোরাচালান বাড়তে পারে। যেমন আরাকানে টাটমা-দো বিপুল অস্ত্র খুইয়েছে বা রেখে চলে গেছে। এসবের একাংশ অবৈধ বাজারে চলে আসবে। সেখান থেকে এসব অস্ত্র আশপাশের বিভিন্ন দেশে ঢুকতে পারে।

শেষ পর্যন্ত কি মিয়ানমার ভেঙে যাবে? এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

আসলে সত্য হলো এই, মিয়ানমার এখনই একটা বহুভাবে বিভক্ত দেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটা বিভক্ত না হলেও তার একাংশের সঙ্গে অন্য অংশের সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক তেমন যোগাযোগ নেই। দেশটির প্রতিটি প্রদেশ এবং কয়েকটি বিভাগও পৃথক পৃথক সশস্ত্র দল দ্বারা শাসিত হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের ব্যবস্থাপনা আলাদা। দেশটির সবদিকের প্রতিবেশী দেশগুলোতে মিয়ানমারের শরণার্থী আছেই। আবার এই দেশটি নিয়ে তার প্রতিটি প্রতিবেশী ‍উদ্বিগ্ন। সেই উদ্বেগ হলো মিয়ানমার অখণ্ড দেশ হিসেবে টিকে থাকতে পারবে কি না। আসলে বর্তমান সংবিধান ও বর্তমান শাসকদের অধীনে এই দেশের টিকে থাকার শর্ত দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক প্রদেশগুলো স্বায়ত্তশাসনের জন্য এতটাই মরিয়া যে কেবল সেনাবাহিনী দিয়ে এতগুলো জাতিকে জোর করে দশকের পর দশক এক রাখার চেষ্টা বাস্তবসম্মত নয়। আবার দ্বিতীয় আরেকটি কারণেও মিয়ানমার ঝুঁকিতে আছে। সেটা হলো, দেশের মানুষের কাছ থেকে গণতন্ত্র কেড়ে নিয়ে এবং রোহিঙ্গাসহ অনেক জাতিসত্তার ওপর ক্রমাগত অত্যাচার চালিয়ে এখানকার সেনাবাহিনী বিশ্বসমাজকে তার বিরুদ্ধে নিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু দেশ মিয়ানমারে পরিবর্তন দেখতে চায়। চীন আবার চায় উল্টোটা। এর ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ানমার নিয়ে একটা বিরোধ বাধতে যাচ্ছে। এটাও মিয়ানমারের অখণ্ডতাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বন্দ্বের বলি হতে পারে মিয়ানমারের অখণ্ডতা। যে বাস্তবতায় আবার দেশটির সেনাবাহিনীই জ্বালানি জোগাচ্ছে নিজ জনগণের বিরুদ্ধে অবিরত যুদ্ধ জারি রেখে।

আমরা জানি, জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে চীন। এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ‘বার্মা অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছে। এতে করে চীনের মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ কি খর্ব হবে না?

আসলে মিয়ানমারের মানুষ চীনকে তেমন পছন্দ করে না। কিন্তু তারপরও দেশটিতে চীনের ব্যাপক প্রভাব। এর কয়েকটি কারণ আছে। নিজেদের বিভিন্ন নীতিকৌশলের কারণে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন এখন। এই বিচ্ছিন্নতার মাঝে কেবল গণচীনের নেতারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন এবং সাহায্য করেন। এর ফলে টাটমা-দো চীনকে খুব পছন্দ করে। চীনের নেতাদের কথা শোনে তারা। এভাবে মিয়ানমারের প্রশাসনে চীনের একচেটিয়া প্রভাব আছে। রাশিয়ারও কিছুটা আছে। মিয়ানমারে চীনের প্রভাব থাকার আরেক কারণ অর্থনৈতিক। দেশটিতে চীনের বিনিয়োগ অনেক। আবার মিয়ানমারের চীন সীমান্তসংলগ্ন অনেক এলাকায় চীনের মুদ্রা, চীনের বিদ্যুৎ, চীনের পণ্য চলছে। এর বাইরেও একটা অদ্ভুত ব্যাপার আছে। মিয়ানমারে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের যে গৃহযুদ্ধ চলছে, তাতে উভয় পক্ষের অস্ত্রের বড় এক জোগানদার চীন। তারা সরকারকে যেমন অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে, তেমনি অনেক গেরিলা দলকেও তারা অস্ত্র দিচ্ছে। এভাবে যুদ্ধরত উভয় পক্ষকে তারা নির্ভরশীল করে রেখেছে।

মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক মসৃণ না হওয়ার কারণ কী?

মিয়ানমার ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী হলেও সম্পর্ক ভালো নয়। এর জন্য দেশটির সেনাবাহিনী প্রধানত দায়ী। টাটমা-দোর রোহিঙ্গাবিরোধী নীতিকৌশল বাংলাদেশকে বেশ বিপদে ফেলেছে। ১০-১১ লাখ মানুষ বাংলাদেশে গত সাড়ে সাত বছর ধরে রয়েছে। আবার প্রতিনিয়ত নতুন মানুষ আসছে। বাংলাদেশের জন্য এটা তো বড় এক সমস্যা। এমনিতে বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ। তার মাঝে এভাবে যদি লাখ লাখ নতুন মানুষকে বনজঙ্গল কেটে থাকতে দেওয়া হয়, সেটা একটা খারাপ ফলই বয়ে আনবে। এক দশক পর এই জনগোষ্ঠী আরও কয়েক লাখ বাড়বে। ধরা যাক, তারা ২০ লাখ হলো। এত বিপুল মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান দেওয়া তো সহজ হবে না। আবার কোনো দুষ্ট মহল চাইলে এদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক-সামাজিক অস্থিতিশীলতাও তৈরি করতে পারে। এ রকম একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তৈরি করেছে বাংলাদেশে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী। তারাই আবার সেখানে সরকার চালায়। এ রকম একটা শক্তি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় কীভাবে সম্পর্ক ভালো হবে? তবে আরাকানে নতুন শক্তি আধিপত্য বিস্তার করায় এখন অন্তত সীমান্তে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তি তৈরি হলো। মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী আর এই সীমান্তে জোর-জুলুম করতে পারবে না। সেটা আপাতত ইতিহাস হয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কূটনৈতিকভাবে করণীয় কী?

বাংলাদেশের প্রথম করণীয় হলো প্রকাশ্যে না হলেও অপ্রকাশ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা এবং একটা সমঝোতায় উপনীত হওয়া। সেই সমঝোতাটা হবে—তাদের কিছু সাহায্য-সহযোগিতার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের জন্মভিটায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি। এটা যত সহজে বললাম, তত সহজে করার উপায় নেই। কারণ, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আরাকান আর্মির সম্পর্ক ভালো নয়। রোহিঙ্গারা আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে এই সম্পর্ককে তিক্ত করেছে। বাংলাদেশকে উদ্যোগী হয়ে এখন এই তিক্ততার অবসান ঘটিয়ে দিতে হবে। আরাকান আর্মি প্রদেশে কর্তৃত্ব পেলেও তাদের এখন অনেক ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দরকার। বাংলাদেশ চাইলে মানবিক সহায়তাগুলো দিতে পারে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার সুযোগও চাইতে পারে আরাকান আর্মির কাছে। অর্থাৎ উভয়ে লাভবান হয় এমন একটা সমঝোতা তাদের সঙ্গে লাগবে এখন। বাংলাদেশকে আপাতত এই কাজটাই জোরের সঙ্গে করতে হবে বা করা দরকার। কিন্তু এ বিষয়ে বাংলাদেশের ভেতরে রাজনৈতিক ঐকমত্য লাগবে। সেটা কীভাবে হবে?

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত