রাজীব কুমার সাহা
মারপ্যাঁচ বাংলা ভাষার একটি অতিপরিচিত শব্দ। এ শব্দটির কবলে পড়েনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যে ভারি মুশকিল এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। যাপিত জীবনে কখনো কখনো আমরা অন্যের কথার মারপ্যাঁচে পড়েছি, আবার কখনো নিজের কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে উদ্দেশ্যও হাসিল করেছি।
কিন্তু জানা দরকার, মারপ্যাঁচ কি শুধুই প্যাঁচ নাকি এ শব্দের মূলে অন্য কোনো কিছুর আরও গভীর প্যাঁচ রয়েছে। এই মারপ্যাঁচে কি ভীতিকর কোনো ব্যাপার রয়েছে? কী মনে হয়? তবে চলুন আজ মারপ্যাঁচের প্যাঁচ খুলব এর ব্যুৎপত্তির স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে।
মার এবং প্যাঁচ শব্দ সহযোগে গঠিত হয়েছে ‘মারপ্যাঁচ’ শব্দটি। এটি বিশেষ্য পদ। আভিধানিকভাবে মারপ্যাঁচ শব্দের অর্থ হলো কূটকৌশল, প্রতারণা, কারসাজি, জাল, ফাঁদ, চতুর কৌশল প্রভৃতি। মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কিছু কিছু ভুক্তিশব্দে দৃষ্টি দিলেই আমরা এর অর্থ সম্পর্কে অবগত হতে পারি। মারপ্যাঁচ তেমনই একটি শব্দ। কারও কারও হয়তো এর অর্থ জানার জন্য অভিধানও খোলার প্রয়োজন হবে না।
বাংলা মার শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে। একটি হলো প্রহার বা আঘাত আর অপরটি হলো লোকসান বা ক্ষতি; যে অর্থে আমরা বলি ব্যবসায় মার খাওয়া। অপরদিকে সংস্কৃত মার শব্দের পাঁচটি অর্থ রয়েছে, যথা: এক. মরণ, মৃত্যু, ধ্বংস বা বিনাশ; দুই. কেরামতি, যে অর্থে আমরা বলি ওস্তাদের মার শেষ রাতে; তিন. ভারতীয় পুরাণ অনুসারে কামদেবতা কন্দর্প বা মদন; চার. বৌদ্ধশাস্ত্রমতে বুদ্ধের তপস্যায় বিঘ্নসৃষ্টিকারী দেবতাবিশেষ; পাঁচ. মারণ বা বধ। সুতরাং প্রচলিত অর্থ বিশ্লেষণে আমরা মারপ্যাঁচ শব্দে যে ‘মার’ তার দেখা কিন্তু পাইনি। তাহলে প্রশ্ন হলো মারপ্যাঁচ শব্দের ‘মার’ কোন ভাষার শব্দ? আর এর অর্থইবা কী?
মারপ্যাঁচ শব্দের যে মার সেই মার বাংলা ভাষায় আলাদা অর্থে ব্যবহৃত হয় না। এই মার শব্দটি হলো ফারসি ভাষার শব্দ। এর অর্থ হলো সাপ। প্যাঁচ শব্দটিও ফারসি ভাষার শব্দ। প্যাঁচ শব্দের অর্থ হলো কুণ্ডলী, মোচড়, পাক; স্ক্রু; চক্রান্ত; জটিল সমস্যা; আঁকড়ে ধরার কায়দা; পরস্পর আক্রমণ বা জড়াজড়ি প্রভৃতি। সুতরাং দুটি ফারসি শব্দের জোটবাঁধা বাংলা মারপ্যাঁচ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো সাপের কুণ্ডলী বা সাপের ন্যায় কুণ্ডলায়িত চক্র এবং এর আলংকারিক অর্থ হলো কূটকৌশল, ফন্দিফিকির, অতিশয় জটিল আবর্ত প্রভৃতি। সাপের কুণ্ডলী ভয়াবহ হোক বা না হোক এর মধ্যে কিন্তু অবশ্যই ভীতিকর একটি ব্যাপার রয়েছে। ঠিক তেমনই মারপ্যাঁচ শব্দের আলংকারিক অর্থে একটি ভীতিযুক্ত অপকৌশল নিরন্তর ক্রিয়াশীল।
ভাষা বহমান স্রোতের মতো। জীবনের নিয়ত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভাষাও বদলে যায়। পরিবেশ-পরিস্থিতি হেতু বদলে যায় ভাষা ব্যবহারের অভ্যাসও। পারস্পরিক ভাষিক প্রতিবেশে এক ভাষায় বিরাজ করে অপরাপর ভাষার শব্দাবলি। তেমনই একটি শব্দের উদাহরণ হলো মারপ্যাঁচ, যা পারস্যদেশের ভাষা থেকে আগত হলেও প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বাংলা ভাষায় রীতিমতো জিলাপির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
মারপ্যাঁচ বাংলা ভাষার একটি অতিপরিচিত শব্দ। এ শব্দটির কবলে পড়েনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যে ভারি মুশকিল এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। যাপিত জীবনে কখনো কখনো আমরা অন্যের কথার মারপ্যাঁচে পড়েছি, আবার কখনো নিজের কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে উদ্দেশ্যও হাসিল করেছি।
কিন্তু জানা দরকার, মারপ্যাঁচ কি শুধুই প্যাঁচ নাকি এ শব্দের মূলে অন্য কোনো কিছুর আরও গভীর প্যাঁচ রয়েছে। এই মারপ্যাঁচে কি ভীতিকর কোনো ব্যাপার রয়েছে? কী মনে হয়? তবে চলুন আজ মারপ্যাঁচের প্যাঁচ খুলব এর ব্যুৎপত্তির স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে।
মার এবং প্যাঁচ শব্দ সহযোগে গঠিত হয়েছে ‘মারপ্যাঁচ’ শব্দটি। এটি বিশেষ্য পদ। আভিধানিকভাবে মারপ্যাঁচ শব্দের অর্থ হলো কূটকৌশল, প্রতারণা, কারসাজি, জাল, ফাঁদ, চতুর কৌশল প্রভৃতি। মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কিছু কিছু ভুক্তিশব্দে দৃষ্টি দিলেই আমরা এর অর্থ সম্পর্কে অবগত হতে পারি। মারপ্যাঁচ তেমনই একটি শব্দ। কারও কারও হয়তো এর অর্থ জানার জন্য অভিধানও খোলার প্রয়োজন হবে না।
বাংলা মার শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে। একটি হলো প্রহার বা আঘাত আর অপরটি হলো লোকসান বা ক্ষতি; যে অর্থে আমরা বলি ব্যবসায় মার খাওয়া। অপরদিকে সংস্কৃত মার শব্দের পাঁচটি অর্থ রয়েছে, যথা: এক. মরণ, মৃত্যু, ধ্বংস বা বিনাশ; দুই. কেরামতি, যে অর্থে আমরা বলি ওস্তাদের মার শেষ রাতে; তিন. ভারতীয় পুরাণ অনুসারে কামদেবতা কন্দর্প বা মদন; চার. বৌদ্ধশাস্ত্রমতে বুদ্ধের তপস্যায় বিঘ্নসৃষ্টিকারী দেবতাবিশেষ; পাঁচ. মারণ বা বধ। সুতরাং প্রচলিত অর্থ বিশ্লেষণে আমরা মারপ্যাঁচ শব্দে যে ‘মার’ তার দেখা কিন্তু পাইনি। তাহলে প্রশ্ন হলো মারপ্যাঁচ শব্দের ‘মার’ কোন ভাষার শব্দ? আর এর অর্থইবা কী?
মারপ্যাঁচ শব্দের যে মার সেই মার বাংলা ভাষায় আলাদা অর্থে ব্যবহৃত হয় না। এই মার শব্দটি হলো ফারসি ভাষার শব্দ। এর অর্থ হলো সাপ। প্যাঁচ শব্দটিও ফারসি ভাষার শব্দ। প্যাঁচ শব্দের অর্থ হলো কুণ্ডলী, মোচড়, পাক; স্ক্রু; চক্রান্ত; জটিল সমস্যা; আঁকড়ে ধরার কায়দা; পরস্পর আক্রমণ বা জড়াজড়ি প্রভৃতি। সুতরাং দুটি ফারসি শব্দের জোটবাঁধা বাংলা মারপ্যাঁচ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো সাপের কুণ্ডলী বা সাপের ন্যায় কুণ্ডলায়িত চক্র এবং এর আলংকারিক অর্থ হলো কূটকৌশল, ফন্দিফিকির, অতিশয় জটিল আবর্ত প্রভৃতি। সাপের কুণ্ডলী ভয়াবহ হোক বা না হোক এর মধ্যে কিন্তু অবশ্যই ভীতিকর একটি ব্যাপার রয়েছে। ঠিক তেমনই মারপ্যাঁচ শব্দের আলংকারিক অর্থে একটি ভীতিযুক্ত অপকৌশল নিরন্তর ক্রিয়াশীল।
ভাষা বহমান স্রোতের মতো। জীবনের নিয়ত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভাষাও বদলে যায়। পরিবেশ-পরিস্থিতি হেতু বদলে যায় ভাষা ব্যবহারের অভ্যাসও। পারস্পরিক ভাষিক প্রতিবেশে এক ভাষায় বিরাজ করে অপরাপর ভাষার শব্দাবলি। তেমনই একটি শব্দের উদাহরণ হলো মারপ্যাঁচ, যা পারস্যদেশের ভাষা থেকে আগত হলেও প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় বাংলা ভাষায় রীতিমতো জিলাপির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
গ্রিক পুরাণের পাঠকমাত্রই প্যান্ডোরাকে চেনেন। তাঁরা জানেন, এই প্যান্ডোরা হলো দুনিয়ার প্রথম নারী, যাকে দেবরাজ জিয়ুসের তত্ত্বাবধানে খুব যত্ন করে সৃষ্টি করেছিলেন অন্য দেবতারা। সৃষ্টির পর দেবতারা প্যান্ডোরাকে অতুলনীয় সব উপহার দিয়েছিলেন—সৌন্দর্য, মাধুর্য, সংগীত, কৌতূহল, ইতি ও আদি। তাকে একটি বয়ামও উপহার দে
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ঘটা করে অনুষ্ঠিত হলো বিএনপির বর্ধিত সভা। সভাটির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, প্রায় সাত বছর পরে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য রেখেছেন। লন্ডনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সভাটিতে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রেখেছেন। চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী কাউকে আক্রমণ না করে অত্যন্ত
২ ঘণ্টা আগেকিছু লিখতে বসলে এখন সাতপাঁচ অনেক কিছু ভাবতে হয়। কোনো লাইন বা শব্দের কারণে না জানি ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী শাসকের পক্ষের ট্যাগ লাগিয়ে জীবন অতিষ্ঠ করে তোলা হয়! দেশে এখন নাকি মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতার বাতাস বইছে। কিন্তু পত্রিকা পড়ে কি মনে হয়, যা ঘটছে তার চিত্র ফুটে উঠছে? ভয়ের সংস্কৃতি কি সত্যি দূর হয়েছ
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় আবারও একটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৪ মার্চ রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যেই স্থানীয়‘তৌহিদি জনতা’ মিছিল নিয়ে হামলা চালায়। তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে ৫ মার্চ আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত
৩ ঘণ্টা আগে