অরুণ কর্মকার
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ নিয়ে দলের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে দেশবাসীর কাছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে সরকারের বক্তব্যের ইতি-নেতি সম্পর্কে তাদের বক্তব্য জানাচ্ছে। আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচির কথা বলেছেন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে। ওই ১৬ ডিসেম্বরেই জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, আগামী দু-এক মাসের মধ্যে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হবে। বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে তারুণ্যনির্ভর একটি সুন্দর দল উপহার দেবে।
অবশ্য এসব ঘোষণার অনেক আগে জাতীয় নাগরিক কমিটি যে রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, সে-সংক্রান্ত খবরাখবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও তাদের সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃত করছে। এই পটভূমিতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, নতুন এই রাজনৈতিক দল গঠন এবং তার ফলে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের আগে আগামী জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে সময়সূচি ঘোষণা করেছেন এবং তাঁর প্রেস সচিব সেই ঘোষণার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তার মধ্যেও নির্বাচনের প্রকৃত সময়সূচির কোনো হদিস পাওয়া যায় না। অন্তত দেশের প্রধান ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল তেমন কোনো হদিস পাচ্ছে না।
অবশ্য এর যৌক্তিক কারণও আছে। যেমন প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা যেতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের অবসানের পর রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থাসহ সংস্কারের যে উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর অংশবিশেষ সম্পন্নের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হলেও সেটা আগামী এক বছরের মধ্যে (২০২৫ সালের) সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের শেষে নির্বাচন করার কথা ভাবা যায় না।
২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে যদি সংস্কারপ্রক্রিয়া এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করা না যায়, তাহলে তা আবার ২০২৬ সালের শেষে অথবা ২০২৭ সালের শুরুর দিকে করতে হবে। তবে নির্বাচনের সময় যেটাই চূড়ান্ত করা হবে, সেটাই হবে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন ও নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ সম্পন্ন হওয়া সাপেক্ষে। গঠনের প্রক্রিয়াধীন এই দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে।
এই পর্যবেক্ষণের যৌক্তিক ও বাস্তব কারণ হলো, জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে ও সাংগঠনিক স্তরে কমিটি গঠনের কাজ চালাচ্ছে। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করছে। দুই সংগঠনই নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করেছে। জাতীয় নাগরিক কমিটিতে দুই দফায় সদস্য বেড়ে এখন ১৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সারা দেশকে ২০টি জোনে (এলাকা) ভাগ করে সংগঠকদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে নাগরিক কমিটি। গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজও অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দুটি সংগঠনের নেতারাই বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন জেলা সফর করছেন।
গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত বাংলাদেশ সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের এক সেমিনারে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, ‘আগামীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে যে একটি রাজনৈতিক দল আসছে, সেই দলে আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা আশা করি, সেই রাজনৈতিক দলে আপনাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার মূল্যায়ন করব। জনতা এবং মানুষের মধ্যে যে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক, সেখানে আমরা আপনাদের পাশে পাব। এই কমিটমেন্টের মধ্যে যদি আমরা যেতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী দল আমরা উপহার দিতে পারব।’
ওই একই অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে একটা আহ্বান করি। সেটা হচ্ছে, পুরো বাংলাদেশের মানুষের নতুন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তাদের মনের ভেতর থেকে একটি প্রত্যাশা।...আপনারা কে কোথায় যাবেন, সেটি আপনাদের বিষয়। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনারা যদি সেই প্রত্যাশাকে সামনে রেখে আগামী বাংলাদেশে কাজ না করেন, তাহলে শেখ হাসিনার পরিস্থিতিটা একবার অনুমান করবেন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি কাজ না করেন, তাহলে এক বছর, দুই বছর, পাঁচ বছর পার পেয়ে যাবেন, কিন্তু তারপর পরিস্থিতি এবং অবস্থা তাঁর (শেখ হাসিনা) মতোই হবে। তাহলে তাঁর অবস্থাই যদি এমন হয়, তাহলে আমাদের মতো ছোটখাটো মানুষের অবস্থান জনগণ কোথায় নিয়ে ফেলবে, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’
দল গঠনের প্রক্রিয়ায় সিটি করপোরেশনগুলোর কাউন্সিলরদের মতো তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টার পাশাপাশি তাঁরা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কিছু শর্তও আরোপ করছেন। বুধবারের ওই কাউন্সিলর সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিচার ছাড়া এবং যারা আমাদের ওপর ডিরেক্টলি (সরাসরি) গুলি চালিয়েছিল, তাদের বিচার ছাড়া আমরা আর কোনো নির্বাচনে যাব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যে মানুষগুলো জেলে অকাতরে জীবন দিয়েছিল, গুম হয়েছিল, খুন হয়েছিল, পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল, তাদের ন্যায্য হিস্যা ব্যতীত আগামীতে কোনো দল বা পক্ষ যদি নির্বাচনে যায়, তাহলে আমরা মনে করব, তারা জাতীয় শত্রু। তারা জনগণের কাছে বেইমান হিসেবে পরিচিত হবে।’
এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচনের মাঠে বিএনপি অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে ও নেতৃত্বে যে নতুন দল নির্বাচনের ময়দানে নামতে যাচ্ছে, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সেই দল বিএনপির জন্য বেশি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে বলেই অনুমান করা যায়। কিন্তু সেই দলের নির্বাচনের ময়দানে নামার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাও ক্ষীণ বলে আমাদের কাছে মনে হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ নিয়ে দলের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে দেশবাসীর কাছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে সরকারের বক্তব্যের ইতি-নেতি সম্পর্কে তাদের বক্তব্য জানাচ্ছে। আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচির কথা বলেছেন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে। ওই ১৬ ডিসেম্বরেই জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, আগামী দু-এক মাসের মধ্যে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হবে। বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে তারুণ্যনির্ভর একটি সুন্দর দল উপহার দেবে।
অবশ্য এসব ঘোষণার অনেক আগে জাতীয় নাগরিক কমিটি যে রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, সে-সংক্রান্ত খবরাখবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও তাদের সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃত করছে। এই পটভূমিতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, নতুন এই রাজনৈতিক দল গঠন এবং তার ফলে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের আগে আগামী জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে সময়সূচি ঘোষণা করেছেন এবং তাঁর প্রেস সচিব সেই ঘোষণার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তার মধ্যেও নির্বাচনের প্রকৃত সময়সূচির কোনো হদিস পাওয়া যায় না। অন্তত দেশের প্রধান ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল তেমন কোনো হদিস পাচ্ছে না।
অবশ্য এর যৌক্তিক কারণও আছে। যেমন প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা যেতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের অবসানের পর রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থাসহ সংস্কারের যে উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর অংশবিশেষ সম্পন্নের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হলেও সেটা আগামী এক বছরের মধ্যে (২০২৫ সালের) সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের শেষে নির্বাচন করার কথা ভাবা যায় না।
২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে যদি সংস্কারপ্রক্রিয়া এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করা না যায়, তাহলে তা আবার ২০২৬ সালের শেষে অথবা ২০২৭ সালের শুরুর দিকে করতে হবে। তবে নির্বাচনের সময় যেটাই চূড়ান্ত করা হবে, সেটাই হবে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন ও নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ সম্পন্ন হওয়া সাপেক্ষে। গঠনের প্রক্রিয়াধীন এই দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে।
এই পর্যবেক্ষণের যৌক্তিক ও বাস্তব কারণ হলো, জাতীয় নাগরিক কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে ও সাংগঠনিক স্তরে কমিটি গঠনের কাজ চালাচ্ছে। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করছে। দুই সংগঠনই নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করেছে। জাতীয় নাগরিক কমিটিতে দুই দফায় সদস্য বেড়ে এখন ১৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সারা দেশকে ২০টি জোনে (এলাকা) ভাগ করে সংগঠকদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে নাগরিক কমিটি। গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজও অনেকটা এগিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দুটি সংগঠনের নেতারাই বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন জেলা সফর করছেন।
গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত বাংলাদেশ সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের এক সেমিনারে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, ‘আগামীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে যে একটি রাজনৈতিক দল আসছে, সেই দলে আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা আশা করি, সেই রাজনৈতিক দলে আপনাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার মূল্যায়ন করব। জনতা এবং মানুষের মধ্যে যে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক, সেখানে আমরা আপনাদের পাশে পাব। এই কমিটমেন্টের মধ্যে যদি আমরা যেতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী দল আমরা উপহার দিতে পারব।’
ওই একই অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে একটা আহ্বান করি। সেটা হচ্ছে, পুরো বাংলাদেশের মানুষের নতুন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তাদের মনের ভেতর থেকে একটি প্রত্যাশা।...আপনারা কে কোথায় যাবেন, সেটি আপনাদের বিষয়। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনারা যদি সেই প্রত্যাশাকে সামনে রেখে আগামী বাংলাদেশে কাজ না করেন, তাহলে শেখ হাসিনার পরিস্থিতিটা একবার অনুমান করবেন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি কাজ না করেন, তাহলে এক বছর, দুই বছর, পাঁচ বছর পার পেয়ে যাবেন, কিন্তু তারপর পরিস্থিতি এবং অবস্থা তাঁর (শেখ হাসিনা) মতোই হবে। তাহলে তাঁর অবস্থাই যদি এমন হয়, তাহলে আমাদের মতো ছোটখাটো মানুষের অবস্থান জনগণ কোথায় নিয়ে ফেলবে, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’
দল গঠনের প্রক্রিয়ায় সিটি করপোরেশনগুলোর কাউন্সিলরদের মতো তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টার পাশাপাশি তাঁরা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কিছু শর্তও আরোপ করছেন। বুধবারের ওই কাউন্সিলর সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিচার ছাড়া এবং যারা আমাদের ওপর ডিরেক্টলি (সরাসরি) গুলি চালিয়েছিল, তাদের বিচার ছাড়া আমরা আর কোনো নির্বাচনে যাব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যে মানুষগুলো জেলে অকাতরে জীবন দিয়েছিল, গুম হয়েছিল, খুন হয়েছিল, পঙ্গুত্ব বরণ করেছিল, তাদের ন্যায্য হিস্যা ব্যতীত আগামীতে কোনো দল বা পক্ষ যদি নির্বাচনে যায়, তাহলে আমরা মনে করব, তারা জাতীয় শত্রু। তারা জনগণের কাছে বেইমান হিসেবে পরিচিত হবে।’
এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচনের মাঠে বিএনপি অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে ও নেতৃত্বে যে নতুন দল নির্বাচনের ময়দানে নামতে যাচ্ছে, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সেই দল বিএনপির জন্য বেশি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে বলেই অনুমান করা যায়। কিন্তু সেই দলের নির্বাচনের ময়দানে নামার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাও ক্ষীণ বলে আমাদের কাছে মনে হয়।
২০২৪ সালটি চিহ্নিত হয়ে থাকবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের জন্য। সেনা অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সরকারের পতন তো আরও কয়েকবার হয়েছে। মাঝে নব্বইয়ের ‘গণ-আন্দোলনে’ অবসান ঘটে সেনাশাসনের। তারপর আর সেনাশাসন না এলেও সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল।
১৪ ঘণ্টা আগেডিসেম্বর চলে যাচ্ছে। বছর শেষ হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে খেলাপি ঋণের হিসাবকিতাবও তৈরি হবে এই ডিসেম্বরেই। বছরে চারবার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই হিসাব করা হয়ে থাকে। মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে। ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় (গ্রেস পিরিয়ড) পরও যদি ঋণটি পরিশোধিত না হয়, তাহলে ঋণটিকে খেলাপি হিসেবে..
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরের শুরুতে সারা দেশে বসে বইমেলা। রাজধানী ঢাকা শহরে ফেব্রুয়ারি মাসে হয় মাসব্যাপী বইমেলা। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা শহরগুলোতেও এ সময়ে বইমেলার হিড়িক পড়ে। মেলা উপলক্ষে নির্ধারিত এলাকা অপূর্ব সাজে সেজে ওঠে।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশের উন্নয়নের প্রধান সোপান হলো সুষ্ঠু নির্বাচন, যেখানে গণতন্ত্রের মজবুত ভিত্তি রচিত হয়। তবে শুধু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়; নির্বাচন-পূর্ববর্তী সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐক্য তার সহায়ক হাতিয়ার।
১৫ ঘণ্টা আগে