রাজীব কুমার সাহা
বাংলা ভাষায় প্রচলিত বাগধারাসমূহের মধ্যে একটি অতিপরিচিত বাগধারা হলো শুভঙ্করের ফাঁকি। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই এই বাগধারাটি প্রয়োগ করেছি। কিন্তু এই শুভঙ্কর আসলে কে? আর শুভঙ্করের ফাঁকির ইতিহাসটিইবা কী? শুভঙ্করের কী ফাঁকি দিয়ে বাংলা ভাষার প্রবাদের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে গেল? তবে চলুন আজ জানব শুভঙ্করের ফাঁকি দেওয়ার ইতিবৃত্ত।
শুভঙ্কর হলেন আর্যাপ্রণেতা ও গণিতশাস্ত্রের পণ্ডিত। তাঁর পূর্ণ নাম শুভঙ্কর দাস। তাঁর ফাঁকি দেওয়ার কৌশলটি থেকেই এসেছে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ বাগধারাটি। এটি বিশেষ্য পদ। এর অর্থ হলো হিসাবনিকাশের মারপ্যাঁচে প্রকৃত বিষয় রেখে কর্তৃপক্ষ কিংবা সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অনৈতিকভাবে ফায়দা হাসিল করার কৌশল। মধ্যযুগে শুভঙ্কর নামে একজন গণিতবিদ ছিলেন, যিনি লোকতোষ ছন্দের আকারে গণিতসংক্রান্ত কতগুলো বিধি (আর্যা) প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি প্রধানত মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষায় বিধি বা আর্যাগুলো প্রণয়ন করেছিলেন, যার মধ্যে প্রাকৃত, অপভ্রংশ, অবহট্ট ও অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা থেকে ধার করা বহু শব্দের সমাবেশ ঘটেছিল। উল্লেখ্য, মধ্যযুগে বাংলা ও আসামে এমন বহু আর্যা রচয়িতা ছিলেন।
সুবলচন্দ্র মিত্রের ‘সরল বাঙ্গালা অভিধান’ অনুসারে বলা যায় ‘শুভঙ্কর একজন বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ও শুভঙ্করী নামক পাটিগণিতের রচয়িতা। বঙ্গদেশে কায়স্থ বংশে তাঁর জন্ম। গণিতবিদ্যায় তিনি নিত্যব্যবহার্য অঙ্কসমূহ সমাধান করার সহজসরল সংকেত নির্ধারণ করে জনসাধারণের অশেষ উপকার করে গেছেন। নগেন্দ্রনাথ বসু সংকলিত ‘বিশ্বকোষ’ অনুসারে, শুভঙ্কর ছিলেন একজন বিখ্যাত মানসাঙ্কবেত্তা। অঙ্কের কঠিন নিয়ম সংক্ষিপ্তভাবে সুললিত ভাষায় হৃদয়গ্রাহী কবিতার ছন্দে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ওই ছন্দোবদ্ধ নিয়মগুলোই আর্যা নামে পরিচিত। তাঁর আসল নাম শুভঙ্কর দাস। তিনি জাতিতে ছিলেন কায়স্থ। নবাবি আমলে অর্থাৎ অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে রাজকীয় বিভিন্ন বিভাগে কীরূপ বন্দোবস্ত ছিল এবং কী নিয়মে নবাব সরকারের কাজকর্ম পরিচালিত হতো তা শুভঙ্কর দাস তাঁর লেখা ‘ছত্রিশ কারখানা’ নামক পুস্তকে বিবৃত করেছেন। ‘ছত্রিশ কারখানা’ পুস্তকে দুই হাজার শ্লোক ছিল বলে জানা যায়। এতে বহু ফারসি শব্দ রয়েছে। তাঁর অঙ্কশাস্ত্রের নাম শুভঙ্করী। সুবোধকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘বাংলাদেশে মুখে মুখে অঙ্ক শেখানোর রেওয়াজ শুভঙ্করের আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। তবে শুভঙ্কর তাঁর অতিপরিচিত মানসাঙ্কের ছড়াগুলোতে এ রেওয়াজকে আরও সুন্দরভাবে সুগঠিত রূপ প্রদান করেছেন।’
বাংলার বিখ্যাত গণিতজ্ঞ শুভঙ্কর পাটিগণিতের রচয়িতা। আগেকার দিনে মানুষের হাতে যখন গণনাযন্ত্র ছিল না, তখন মানুষ মুখে মুখেই জটিল সব অঙ্ক করে ফেলতে পারত, যা মানসাঙ্ক নামে পরিচিত। এই মানসাঙ্ক আর এর সঙ্গে জমির হিসাব, জিনিসপত্রের দাম ও রাজস্বসংক্রান্ত কঠিন সব গণিত কবিতার ছন্দে প্রকাশ করে গিয়েছিলেন গণিতজ্ঞ শুভঙ্কর। শুভঙ্কর গণিতকে যেভাবে কবিতার মতো করে তুলে ধরতেন, শিক্ষার্থীদের কাছে তা মনে হতো রীতিমতো কাব্যের উপস্থাপন। গণিতে তিনিই মূলত এই বঙ্গে ঐকিক নিয়মকে জনপ্রিয় করে তোলেন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় মানুষ তাঁর সঠিক অঙ্কগুলোকে ভুলভাবে প্রয়োগ করে অর্থাৎ হিসাবে ফাঁক বা প্রকৃত হিসাবের ধার না ধেরে মানুষকে ঠকাতে শুরু করল। আর এর সঙ্গেই শুভঙ্করের ফাঁকির প্রচলনও হয়ে গেল। তবে এ বিষয়ে কোনো কোনো পণ্ডিতের মতান্তরও রয়েছে।
সাধারণ গণিতের হিসাবনিকাশের ধারণাটা পুরোনো হলেও ষাটের দশক পর্যন্ত এ দেশে শুভঙ্করী ধারাপাত ও হিসাবনিকাশের পদ্ধতি বেশ প্রচলিত ছিল। আজও প্রবীণ ব্যক্তিরা ছোটবেলার পড়ালেখার গল্প শোনাতে গিয়ে একের পর এক শুভঙ্করের আর্যা মুখস্থ বলে যান। আর নবীন শ্রোতারা হতবাক হয়ে আনা, পাই, বিঘা, কাঠা, ছটাক, ক্রান্তি, যব, তিল, কাহন, পণ, গণ্ডা, কড়া, চোক, সের, পোয়া, তোলা, রতি প্রভৃতির গল্প শুনতে থাকেন। সুকুমার সেনের ভাষায় ‘ষোড়শ শতাব্দীর পূর্ব হইতে জ্ঞানগর্ভ হেঁয়ালি ও সংক্ষিপ্ত ছড়াকে বলা হতো আর্যা।’ শুভঙ্করের একটি আর্যা নিম্নরূপ: ত্রিশ হাত উচ্চ বৃক্ষ ছিল এক স্থানে/চূড়ায় উঠিবে এক কীট করে মনে।/দিবাভাগে দশ হাত উঠিতে লাগিলো/নিশাযোগে অষ্ট হাত নীচেতে নামিলো/না পায় যাবৎ চূড়া করে সে অটন/কত দিনে উঠেছিল কর নিরূপণ!’
পরিশেষে বলা যায়, সাধারণের মাঝে গণিতকে সহজ করে তোলার একটি ইতিবাচক প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে বিষয়টির সূত্রপাত ঘটলেও কালের পরিক্রমায় এই শব্দগুচ্ছের অর্থ সম্পূর্ণ নেতিবাচক রূপ পরিগ্রহ করে। শুভঙ্করের আর্যার অপব্যবহার কিংবা বিকৃত করে কারও সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিষয়টি সর্বজনীন রূপে হয়ে গিয়েছে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’। আমাদের চারপাশের তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তিরা যেন সাধারণ মানুষকে কোনো বিষয়েই শুভঙ্করের ফাঁকি দিতে না পারেন সে বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বাংলা ভাষায় প্রচলিত বাগধারাসমূহের মধ্যে একটি অতিপরিচিত বাগধারা হলো শুভঙ্করের ফাঁকি। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই এই বাগধারাটি প্রয়োগ করেছি। কিন্তু এই শুভঙ্কর আসলে কে? আর শুভঙ্করের ফাঁকির ইতিহাসটিইবা কী? শুভঙ্করের কী ফাঁকি দিয়ে বাংলা ভাষার প্রবাদের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে গেল? তবে চলুন আজ জানব শুভঙ্করের ফাঁকি দেওয়ার ইতিবৃত্ত।
শুভঙ্কর হলেন আর্যাপ্রণেতা ও গণিতশাস্ত্রের পণ্ডিত। তাঁর পূর্ণ নাম শুভঙ্কর দাস। তাঁর ফাঁকি দেওয়ার কৌশলটি থেকেই এসেছে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ বাগধারাটি। এটি বিশেষ্য পদ। এর অর্থ হলো হিসাবনিকাশের মারপ্যাঁচে প্রকৃত বিষয় রেখে কর্তৃপক্ষ কিংবা সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অনৈতিকভাবে ফায়দা হাসিল করার কৌশল। মধ্যযুগে শুভঙ্কর নামে একজন গণিতবিদ ছিলেন, যিনি লোকতোষ ছন্দের আকারে গণিতসংক্রান্ত কতগুলো বিধি (আর্যা) প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি প্রধানত মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষায় বিধি বা আর্যাগুলো প্রণয়ন করেছিলেন, যার মধ্যে প্রাকৃত, অপভ্রংশ, অবহট্ট ও অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা থেকে ধার করা বহু শব্দের সমাবেশ ঘটেছিল। উল্লেখ্য, মধ্যযুগে বাংলা ও আসামে এমন বহু আর্যা রচয়িতা ছিলেন।
সুবলচন্দ্র মিত্রের ‘সরল বাঙ্গালা অভিধান’ অনুসারে বলা যায় ‘শুভঙ্কর একজন বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ও শুভঙ্করী নামক পাটিগণিতের রচয়িতা। বঙ্গদেশে কায়স্থ বংশে তাঁর জন্ম। গণিতবিদ্যায় তিনি নিত্যব্যবহার্য অঙ্কসমূহ সমাধান করার সহজসরল সংকেত নির্ধারণ করে জনসাধারণের অশেষ উপকার করে গেছেন। নগেন্দ্রনাথ বসু সংকলিত ‘বিশ্বকোষ’ অনুসারে, শুভঙ্কর ছিলেন একজন বিখ্যাত মানসাঙ্কবেত্তা। অঙ্কের কঠিন নিয়ম সংক্ষিপ্তভাবে সুললিত ভাষায় হৃদয়গ্রাহী কবিতার ছন্দে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ওই ছন্দোবদ্ধ নিয়মগুলোই আর্যা নামে পরিচিত। তাঁর আসল নাম শুভঙ্কর দাস। তিনি জাতিতে ছিলেন কায়স্থ। নবাবি আমলে অর্থাৎ অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে রাজকীয় বিভিন্ন বিভাগে কীরূপ বন্দোবস্ত ছিল এবং কী নিয়মে নবাব সরকারের কাজকর্ম পরিচালিত হতো তা শুভঙ্কর দাস তাঁর লেখা ‘ছত্রিশ কারখানা’ নামক পুস্তকে বিবৃত করেছেন। ‘ছত্রিশ কারখানা’ পুস্তকে দুই হাজার শ্লোক ছিল বলে জানা যায়। এতে বহু ফারসি শব্দ রয়েছে। তাঁর অঙ্কশাস্ত্রের নাম শুভঙ্করী। সুবোধকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘বাংলাদেশে মুখে মুখে অঙ্ক শেখানোর রেওয়াজ শুভঙ্করের আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। তবে শুভঙ্কর তাঁর অতিপরিচিত মানসাঙ্কের ছড়াগুলোতে এ রেওয়াজকে আরও সুন্দরভাবে সুগঠিত রূপ প্রদান করেছেন।’
বাংলার বিখ্যাত গণিতজ্ঞ শুভঙ্কর পাটিগণিতের রচয়িতা। আগেকার দিনে মানুষের হাতে যখন গণনাযন্ত্র ছিল না, তখন মানুষ মুখে মুখেই জটিল সব অঙ্ক করে ফেলতে পারত, যা মানসাঙ্ক নামে পরিচিত। এই মানসাঙ্ক আর এর সঙ্গে জমির হিসাব, জিনিসপত্রের দাম ও রাজস্বসংক্রান্ত কঠিন সব গণিত কবিতার ছন্দে প্রকাশ করে গিয়েছিলেন গণিতজ্ঞ শুভঙ্কর। শুভঙ্কর গণিতকে যেভাবে কবিতার মতো করে তুলে ধরতেন, শিক্ষার্থীদের কাছে তা মনে হতো রীতিমতো কাব্যের উপস্থাপন। গণিতে তিনিই মূলত এই বঙ্গে ঐকিক নিয়মকে জনপ্রিয় করে তোলেন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় মানুষ তাঁর সঠিক অঙ্কগুলোকে ভুলভাবে প্রয়োগ করে অর্থাৎ হিসাবে ফাঁক বা প্রকৃত হিসাবের ধার না ধেরে মানুষকে ঠকাতে শুরু করল। আর এর সঙ্গেই শুভঙ্করের ফাঁকির প্রচলনও হয়ে গেল। তবে এ বিষয়ে কোনো কোনো পণ্ডিতের মতান্তরও রয়েছে।
সাধারণ গণিতের হিসাবনিকাশের ধারণাটা পুরোনো হলেও ষাটের দশক পর্যন্ত এ দেশে শুভঙ্করী ধারাপাত ও হিসাবনিকাশের পদ্ধতি বেশ প্রচলিত ছিল। আজও প্রবীণ ব্যক্তিরা ছোটবেলার পড়ালেখার গল্প শোনাতে গিয়ে একের পর এক শুভঙ্করের আর্যা মুখস্থ বলে যান। আর নবীন শ্রোতারা হতবাক হয়ে আনা, পাই, বিঘা, কাঠা, ছটাক, ক্রান্তি, যব, তিল, কাহন, পণ, গণ্ডা, কড়া, চোক, সের, পোয়া, তোলা, রতি প্রভৃতির গল্প শুনতে থাকেন। সুকুমার সেনের ভাষায় ‘ষোড়শ শতাব্দীর পূর্ব হইতে জ্ঞানগর্ভ হেঁয়ালি ও সংক্ষিপ্ত ছড়াকে বলা হতো আর্যা।’ শুভঙ্করের একটি আর্যা নিম্নরূপ: ত্রিশ হাত উচ্চ বৃক্ষ ছিল এক স্থানে/চূড়ায় উঠিবে এক কীট করে মনে।/দিবাভাগে দশ হাত উঠিতে লাগিলো/নিশাযোগে অষ্ট হাত নীচেতে নামিলো/না পায় যাবৎ চূড়া করে সে অটন/কত দিনে উঠেছিল কর নিরূপণ!’
পরিশেষে বলা যায়, সাধারণের মাঝে গণিতকে সহজ করে তোলার একটি ইতিবাচক প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে বিষয়টির সূত্রপাত ঘটলেও কালের পরিক্রমায় এই শব্দগুচ্ছের অর্থ সম্পূর্ণ নেতিবাচক রূপ পরিগ্রহ করে। শুভঙ্করের আর্যার অপব্যবহার কিংবা বিকৃত করে কারও সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিষয়টি সর্বজনীন রূপে হয়ে গিয়েছে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’। আমাদের চারপাশের তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তিরা যেন সাধারণ মানুষকে কোনো বিষয়েই শুভঙ্করের ফাঁকি দিতে না পারেন সে বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বড়দিনের সপ্তাহ চলছে। গতকাল সারা বিশ্বেই পালিত হয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব। আমাদের দেশেও শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আনন্দের বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল বড়দিন। আমারও বেশ কয়েকবার সৌভাগ্য হয়েছে একবারে গ্রামে হাজার হাজার খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীর মাঝে বড়দিনের উৎসবে অংশ নেওয়ার। এর মধ্যে রয়েছে বরি
৭ ঘণ্টা আগেমারপ্যাঁচ বাংলা ভাষার একটি অতিপরিচিত শব্দ। এ শব্দটির কবলে পড়েনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যে ভারি মুশকিল এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। যাপিত জীবনে কখনো কখনো আমরা অন্যের কথার মারপ্যাঁচে পড়েছি, আবার কখনো নিজের কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে উদ্দেশ্যও হাসিল করেছি।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনীতিতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে চললেও ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর এই আলোচনা ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিগুলো কাজ করছে।
৮ ঘণ্টা আগেবীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
১ দিন আগে