ঘুষ খুবই পরিচিত শব্দ। আমাদের দেশে শুধু কেন, সারা বিশ্বে বহু আগে থেকেই ঘুষ একটা মর্যাদাকর স্থান পেয়ে গেছে। দুর্নীতি আর ঘুষের বিরুদ্ধে যাঁরা বক্তৃতা দেন, তাঁরাও মাঝে মাঝে এই শব্দগুলোর প্রেমে পড়ে নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হন। আর এ তো জানা কথাই, সরকার পরিবর্তন হলে পূর্ববর্তী সরকারের ডাকসাইটে নেতাদের নামে একের পর এক ঘুষ-দুর্নীতির মামলা হতে থাকে!
সেখানে মিথ্যা মামলাও থাকে বটে, তবে সত্য মামলার সংখ্যাও কম নয়। ইতিহাস ঘেঁটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এ রকম অনেক নজির হাজির করা সম্ভব।
ঘুষ যে স্বাস্থ্যকর খাবার, সে গল্প তো অনেকেই শুনেছে! ব্রিটিশ আমলে এক ইংরেজ কর্মকর্তাকে বলা হয়েছিল, কোনো এক বাঙালি ব্যক্তি ঘুষ খান। সরেজমিনে সেই ইংরেজ ভদ্রলোক দেখেন, এক ঘুষখোরকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে কলাসহ। ঘুষ হিসেবে কলা নিয়ে তিনি কাজ উদ্ধার করে দিয়েছেন। ইংরেজ ভদ্রলোককে যখন বলা হলো, এই কলাই ঘুষ। তখন তিনি বললেন, ‘এটা ঘুষ? এটা তো স্বাস্থ্যকর খাবার! ঘুষ খাওয়া ভালো!’
উপনিবেশ আমলের এ গল্পটিকে হয়তো আমাদের প্রজাতন্ত্রের অনেক ঘুষখোর অবশ্য-মান্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাই ‘ঘুষ’ শব্দটিকে ঘৃণা করলেও ঘুষকে হয়তো ঘৃণা করা হয় না।
গুরুদাসপুর থেকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আয়ার চাকরি পাওয়ার জন্য ছয় লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন এক নারী। কাকে দিয়েছেন? একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দিয়েছেন। এখানে ঘুষদাতা আর ঘুষগ্রহীতার নাম উচ্চারণ করলাম না শুধু এই কারণে যে, তাতে এর চেয়েও বড় ঘুষের লেনদেনকারীদের ব্যাপারে অবিচার করা হবে। কোটি কোটি টাকা ঘুষের মাধ্যমে যাঁরা লেনদেন করছেন, তাঁদের নাম নেওয়া কঠিন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা নিজেদের গোপন রাখতে সমর্থ হন।
বিশাল লেনদেনে দুই পক্ষের লাভের পরিমাণ এত বেশি থাকে যে তাঁরা নিজেদের আলোচনার আড়ালে রাখার জন্য অনেকগুলো পথকে টাকার জোরেই বন্ধ করে দিতে পারেন। গুরুদাসপুরের ঘটনা আলাদা। যিনি স্রেফ বেঁচে থাকার জন্য সর্বস্ব বিক্রি করে ঘুষের টাকা জোগাড় করলেন এবং কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পেলেন না, তিনি মরিয়া হয়েই ঘটনাটি খুলে বলতে বাধ্য হলেন। তিনি চাকরি পেয়ে গেলে বিষয়টি আর খবর হয়ে উঠত না।
ঘুষের আয় অবৈধ আয়, এটা আপ্তবাক্য। ঘুষ ছাড়া কাজ হাসিল করা কঠিন, এটা সামগ্রিকভাবে মেনে নেওয়া সত্য। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশের এসআই প্রত্যাহার, বরগুনার এলজিইডি কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনা দুটি অতিসাম্প্রতিক। ঘুষের কারবার চলছেই।
ঘুষের রাজনীতি এতটাই শক্তিশালী যে একে নিশ্চিহ্ন করা সহজ নয়। সামাজিক কাঠামোয় যে জায়গাগুলো ঘুষের কারণে রিক্ত, তা চিহ্নিত করা সম্ভব, কিন্তু চিহ্নিত করার পর অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে ঘুষমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার ব্যাপারে যে সদিচ্ছা ও পারঙ্গমতা দরকার, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার দেখা মেলে না।
ফলে ঘুষ-দুর্নীতির খবর সংবাদমাধ্যমকে আরও অনেক দিন মুখরোচক সংবাদ উপহার দেবে, এ কথা বিষণ্ণ মনে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপাতত মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়।
ঘুষ খুবই পরিচিত শব্দ। আমাদের দেশে শুধু কেন, সারা বিশ্বে বহু আগে থেকেই ঘুষ একটা মর্যাদাকর স্থান পেয়ে গেছে। দুর্নীতি আর ঘুষের বিরুদ্ধে যাঁরা বক্তৃতা দেন, তাঁরাও মাঝে মাঝে এই শব্দগুলোর প্রেমে পড়ে নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হন। আর এ তো জানা কথাই, সরকার পরিবর্তন হলে পূর্ববর্তী সরকারের ডাকসাইটে নেতাদের নামে একের পর এক ঘুষ-দুর্নীতির মামলা হতে থাকে!
সেখানে মিথ্যা মামলাও থাকে বটে, তবে সত্য মামলার সংখ্যাও কম নয়। ইতিহাস ঘেঁটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এ রকম অনেক নজির হাজির করা সম্ভব।
ঘুষ যে স্বাস্থ্যকর খাবার, সে গল্প তো অনেকেই শুনেছে! ব্রিটিশ আমলে এক ইংরেজ কর্মকর্তাকে বলা হয়েছিল, কোনো এক বাঙালি ব্যক্তি ঘুষ খান। সরেজমিনে সেই ইংরেজ ভদ্রলোক দেখেন, এক ঘুষখোরকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে কলাসহ। ঘুষ হিসেবে কলা নিয়ে তিনি কাজ উদ্ধার করে দিয়েছেন। ইংরেজ ভদ্রলোককে যখন বলা হলো, এই কলাই ঘুষ। তখন তিনি বললেন, ‘এটা ঘুষ? এটা তো স্বাস্থ্যকর খাবার! ঘুষ খাওয়া ভালো!’
উপনিবেশ আমলের এ গল্পটিকে হয়তো আমাদের প্রজাতন্ত্রের অনেক ঘুষখোর অবশ্য-মান্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাই ‘ঘুষ’ শব্দটিকে ঘৃণা করলেও ঘুষকে হয়তো ঘৃণা করা হয় না।
গুরুদাসপুর থেকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আয়ার চাকরি পাওয়ার জন্য ছয় লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন এক নারী। কাকে দিয়েছেন? একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দিয়েছেন। এখানে ঘুষদাতা আর ঘুষগ্রহীতার নাম উচ্চারণ করলাম না শুধু এই কারণে যে, তাতে এর চেয়েও বড় ঘুষের লেনদেনকারীদের ব্যাপারে অবিচার করা হবে। কোটি কোটি টাকা ঘুষের মাধ্যমে যাঁরা লেনদেন করছেন, তাঁদের নাম নেওয়া কঠিন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা নিজেদের গোপন রাখতে সমর্থ হন।
বিশাল লেনদেনে দুই পক্ষের লাভের পরিমাণ এত বেশি থাকে যে তাঁরা নিজেদের আলোচনার আড়ালে রাখার জন্য অনেকগুলো পথকে টাকার জোরেই বন্ধ করে দিতে পারেন। গুরুদাসপুরের ঘটনা আলাদা। যিনি স্রেফ বেঁচে থাকার জন্য সর্বস্ব বিক্রি করে ঘুষের টাকা জোগাড় করলেন এবং কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পেলেন না, তিনি মরিয়া হয়েই ঘটনাটি খুলে বলতে বাধ্য হলেন। তিনি চাকরি পেয়ে গেলে বিষয়টি আর খবর হয়ে উঠত না।
ঘুষের আয় অবৈধ আয়, এটা আপ্তবাক্য। ঘুষ ছাড়া কাজ হাসিল করা কঠিন, এটা সামগ্রিকভাবে মেনে নেওয়া সত্য। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশের এসআই প্রত্যাহার, বরগুনার এলজিইডি কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনা দুটি অতিসাম্প্রতিক। ঘুষের কারবার চলছেই।
ঘুষের রাজনীতি এতটাই শক্তিশালী যে একে নিশ্চিহ্ন করা সহজ নয়। সামাজিক কাঠামোয় যে জায়গাগুলো ঘুষের কারণে রিক্ত, তা চিহ্নিত করা সম্ভব, কিন্তু চিহ্নিত করার পর অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে ঘুষমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার ব্যাপারে যে সদিচ্ছা ও পারঙ্গমতা দরকার, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার দেখা মেলে না।
ফলে ঘুষ-দুর্নীতির খবর সংবাদমাধ্যমকে আরও অনেক দিন মুখরোচক সংবাদ উপহার দেবে, এ কথা বিষণ্ণ মনে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপাতত মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়।
তথ্যের অফুরন্ত ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও আজ লেখাটির ইতি টানব। আশা করব, ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের কেউ একজন আমার হাত থেকে রিলে রেসের ব্যাটনটি তুলে নেবেন এবং ইতিহাসের এই স্বল্প আলোকপাত করা বিষয়টি নিয়ে গভীর গবেষণা করবেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে বিজয় দিবস এক অনন্য দিন। স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের সব দিন সমান গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিজয় দিবস সবচেয়ে বেশি গৌরবের। কেন জানি না, দিনটি তেমনভাবে উদ্যাপিত হয় না। তেমন আলোড়নও দেখি না, যা সত্যিকার অর্থে ছিল বিজয়ের প্রাপ্য। অথচ আমি এমন দুজন বিদেশির কথা জানি, যাঁরা আমার সঙ্গে...
১৩ ঘণ্টা আগেবিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রতিবছর উদ্যাপনের যেমন উদ্যোগ-আয়োজন দেখা যায়, এবার তেমন দেখা যায়নি। আমার কাছে অন্তত তা-ই মনে হয়েছে। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পালাবদল কি সত্যি আমাদের চিন্তাচেতনায় বড় পরিবর্তন এনেছে? গণতন্ত্রের ঢং দেখিয়ে টানা ক্ষমতায় থাকা শাসকগোষ্ঠীকে পরাভূত করা নিশ্চয়ই গৌরবের। কিন্তু সে গৌরব কি...
১৩ ঘণ্টা আগে১৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে এক মাতাল চালকের গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ নিহত হন। আহত হন মেহেদী হাসান খান ও অমিত সাহা নামের বুয়েটের সিএসই বিভাগের আরও দুই শিক্ষার্থী। মেহেদী রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ
১৩ ঘণ্টা আগে