সম্পাদকীয়
শিক্ষক ছাত্রদের মাথায় ঘ্যাচ ঘ্যাচ কাঁচি চালাচ্ছেন। কাঁচি হাতে ছাত্রদের চুল কেটে তাদের নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষা দেওয়া কোনো কাজের কথা নয়। এ ঘটনা বুঝিয়ে দেয়, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক সম্পর্ক হয়ে ওঠেনি। মানসিক এই দূরত্ব শিক্ষাদান ও শিক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও প্রভাব ফেলে কি না, তা নিয়ে গবেষকেরা ভেবে দেখতে পারেন।
যেকোনো প্রতিষ্ঠানই কিছু নিয়ম-নীতি তৈরি করে, যা মেনে চলতে হয়। সে প্রতিষ্ঠানের জন্য সেই নিয়ম-নীতি অবশ্যপালনীয়। এ কথা মনে রেখে এগোলে দেখা যাবে, স্কুল-কলেজ তথা বিদ্যাপীঠেরও কিছু নিয়মকানুন আছে। যেমন কোনো কোনো স্কুল-কলেজে ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক। সেখানে ইউনিফর্ম পরে যাওয়াই নিয়ম। যদি স্কুলে নির্দেশ থাকে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য চুল ছোট করে আসতে হবে, তাহলে সেটাই সেখানকার রীতি। যদি এমন কোনো নিয়ম থাকে, যা আদতে শিক্ষার মূল সুরের ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে সে নিয়ম পরিবর্তন করাও জরুরি কাজ।
কথাগুলো বলা হলো এই কারণে যে, শিক্ষার্থীজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সবাই জানে, ওই বয়সে নিয়ম ভাঙার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। ফলে যা কিছু স্কুলের নিয়ম, তা ভাঙার আনন্দ ভর করে তাদের কাজে। স্কুল পালিয়ে সিনেমা হল অথবা খেলার মাঠে যাওয়ার ঘটনা যে কত সহস্র-কোটি শিক্ষার্থী ঘটিয়েছে, তার কি ইয়ত্তা আছে? ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর একটা অলিখিত দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। পড়াশোনার চাপের মধ্যে সেই প্রতিযোগিতার অনেক কিছুই মধুময় হয়, অনেক কিছুই হয়ে ওঠে তিক্ত। আমরা পরপর কিছুদিনের মধ্যে ছাত্রদের চুল কাটা নিয়ে যে দুটি অভিজ্ঞতার সামনে দাঁড়ালাম, তা মোটেই মধুময় নয়।
তারুণ্যের ধর্ম হচ্ছে ভাঙা, প্রতিষ্ঠানের ধর্ম হলো নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলা। এই দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত হওয়া যায় না। তাই খুঁজে নিতে হয় এমন কোনো পথ, যেখানে দুজনের একটা মিলনরেখার সন্ধান মেলে। সেটা তৈরি হয় দুই পক্ষের সম্পর্ক প্রগাঢ় হলে। সেখানেই সম্ভবত সবচেয়ে বড় ফাঁকটা রয়েছে।
‘ডিসিপ্লিন’ বা ‘নিয়মানুবর্তিতা’র রচনা বমির মতো করে পরীক্ষার খাতায় ঢেলে দিলে তো জীবনে নিয়মানুবর্তিতা আসে না, সেটা আসে অভ্যাস আর চর্চার মাধ্যমে। শিক্ষার্থীরা যে সময়টুকু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকবে, সে সময়ে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মানার অভ্যাস তৈরি করবে, এটাই সংগত।
শিক্ষকদের দায়িত্ব, শিক্ষার্থীদের সেভাবে গড়ে তোলা এবং অবশ্যই তা ভালোবাসা ও মমত্ব দিয়ে। শিক্ষকের কার্যাবলি যদি শিক্ষার্থী মহলে সম্মান জাগাতে না পারে, তাহলে শিক্ষক হিসেবেও তিনি ব্যর্থ। চুল কাটার সংস্কৃতি বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভালোবেসে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করুন, নাপিতকে নাপিতের কাজ করতে দিন।
শিক্ষক ছাত্রদের মাথায় ঘ্যাচ ঘ্যাচ কাঁচি চালাচ্ছেন। কাঁচি হাতে ছাত্রদের চুল কেটে তাদের নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষা দেওয়া কোনো কাজের কথা নয়। এ ঘটনা বুঝিয়ে দেয়, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক সম্পর্ক হয়ে ওঠেনি। মানসিক এই দূরত্ব শিক্ষাদান ও শিক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও প্রভাব ফেলে কি না, তা নিয়ে গবেষকেরা ভেবে দেখতে পারেন।
যেকোনো প্রতিষ্ঠানই কিছু নিয়ম-নীতি তৈরি করে, যা মেনে চলতে হয়। সে প্রতিষ্ঠানের জন্য সেই নিয়ম-নীতি অবশ্যপালনীয়। এ কথা মনে রেখে এগোলে দেখা যাবে, স্কুল-কলেজ তথা বিদ্যাপীঠেরও কিছু নিয়মকানুন আছে। যেমন কোনো কোনো স্কুল-কলেজে ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক। সেখানে ইউনিফর্ম পরে যাওয়াই নিয়ম। যদি স্কুলে নির্দেশ থাকে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য চুল ছোট করে আসতে হবে, তাহলে সেটাই সেখানকার রীতি। যদি এমন কোনো নিয়ম থাকে, যা আদতে শিক্ষার মূল সুরের ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে সে নিয়ম পরিবর্তন করাও জরুরি কাজ।
কথাগুলো বলা হলো এই কারণে যে, শিক্ষার্থীজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সবাই জানে, ওই বয়সে নিয়ম ভাঙার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। ফলে যা কিছু স্কুলের নিয়ম, তা ভাঙার আনন্দ ভর করে তাদের কাজে। স্কুল পালিয়ে সিনেমা হল অথবা খেলার মাঠে যাওয়ার ঘটনা যে কত সহস্র-কোটি শিক্ষার্থী ঘটিয়েছে, তার কি ইয়ত্তা আছে? ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর একটা অলিখিত দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। পড়াশোনার চাপের মধ্যে সেই প্রতিযোগিতার অনেক কিছুই মধুময় হয়, অনেক কিছুই হয়ে ওঠে তিক্ত। আমরা পরপর কিছুদিনের মধ্যে ছাত্রদের চুল কাটা নিয়ে যে দুটি অভিজ্ঞতার সামনে দাঁড়ালাম, তা মোটেই মধুময় নয়।
তারুণ্যের ধর্ম হচ্ছে ভাঙা, প্রতিষ্ঠানের ধর্ম হলো নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলা। এই দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত হওয়া যায় না। তাই খুঁজে নিতে হয় এমন কোনো পথ, যেখানে দুজনের একটা মিলনরেখার সন্ধান মেলে। সেটা তৈরি হয় দুই পক্ষের সম্পর্ক প্রগাঢ় হলে। সেখানেই সম্ভবত সবচেয়ে বড় ফাঁকটা রয়েছে।
‘ডিসিপ্লিন’ বা ‘নিয়মানুবর্তিতা’র রচনা বমির মতো করে পরীক্ষার খাতায় ঢেলে দিলে তো জীবনে নিয়মানুবর্তিতা আসে না, সেটা আসে অভ্যাস আর চর্চার মাধ্যমে। শিক্ষার্থীরা যে সময়টুকু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকবে, সে সময়ে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মানার অভ্যাস তৈরি করবে, এটাই সংগত।
শিক্ষকদের দায়িত্ব, শিক্ষার্থীদের সেভাবে গড়ে তোলা এবং অবশ্যই তা ভালোবাসা ও মমত্ব দিয়ে। শিক্ষকের কার্যাবলি যদি শিক্ষার্থী মহলে সম্মান জাগাতে না পারে, তাহলে শিক্ষক হিসেবেও তিনি ব্যর্থ। চুল কাটার সংস্কৃতি বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভালোবেসে তাদের কাছ থেকে কাজ আদায় করুন, নাপিতকে নাপিতের কাজ করতে দিন।
তথ্যের অফুরন্ত ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও আজ লেখাটির ইতি টানব। আশা করব, ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের কেউ একজন আমার হাত থেকে রিলে রেসের ব্যাটনটি তুলে নেবেন এবং ইতিহাসের এই স্বল্প আলোকপাত করা বিষয়টি নিয়ে গভীর গবেষণা করবেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে বিজয় দিবস এক অনন্য দিন। স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের সব দিন সমান গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিজয় দিবস সবচেয়ে বেশি গৌরবের। কেন জানি না, দিনটি তেমনভাবে উদ্যাপিত হয় না। তেমন আলোড়নও দেখি না, যা সত্যিকার অর্থে ছিল বিজয়ের প্রাপ্য। অথচ আমি এমন দুজন বিদেশির কথা জানি, যাঁরা আমার সঙ্গে...
৫ ঘণ্টা আগেবিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রতিবছর উদ্যাপনের যেমন উদ্যোগ-আয়োজন দেখা যায়, এবার তেমন দেখা যায়নি। আমার কাছে অন্তত তা-ই মনে হয়েছে। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পালাবদল কি সত্যি আমাদের চিন্তাচেতনায় বড় পরিবর্তন এনেছে? গণতন্ত্রের ঢং দেখিয়ে টানা ক্ষমতায় থাকা শাসকগোষ্ঠীকে পরাভূত করা নিশ্চয়ই গৌরবের। কিন্তু সে গৌরব কি...
৫ ঘণ্টা আগে১৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে এক মাতাল চালকের গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ নিহত হন। আহত হন মেহেদী হাসান খান ও অমিত সাহা নামের বুয়েটের সিএসই বিভাগের আরও দুই শিক্ষার্থী। মেহেদী রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ
৫ ঘণ্টা আগে