সম্পাদকীয়
লেখালেখি করবেন, এমনটা ভাবেননি কখনো। হাতের লেখা ভালো ছিল বলে স্কুলের দেয়াল পত্রিকায় অন্যদের লেখাগুলো সুন্দর করে নিজের হাতে লিখে দিতেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। পরে নাট্যকার হিসেবে খ্যাতি পাওয়া মামুন বিপদে পড়েই তাঁর প্রথম নাটকটি লিখেছিলেন। ঘটনাটা ছিল এমন:
স্কুলে প্রতিবছরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বার্ষিক এই অনুষ্ঠানে নাচ হয়, কবিতা আবৃত্তি হয়, গান হয়, তাহলে নাটক হবে না কেন? ছাত্রদের মনে জাগা এই প্রস্তাব নিয়ে মামুনই গেলেন শিক্ষকের কাছে। শিক্ষক বললেন, ‘ঠিক আছে, তবে শর্ত হচ্ছে নাটকটা তোমাদের মধ্য থেকেই কেউ লিখবে আর নাটকে কোনো নারী চরিত্র থাকবে না।’
স্যার তো বলেই খালাস। কিন্তু নাটক লিখবে কে? বন্ধুরা আবদুল্লাহ আল-মামুনকেই ধরে বসল। কীভাবে নাটক লিখতে হয়, সেটা তো মামুন জানেন না। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন তাঁর বাবা। বললেন, ‘এমন একটা গল্প ঠিক করো, যেখানে দ্বন্দ্ব আছে।’ বাবাই সরকারি কর্মকর্তা নিয়ে একটা গল্প বললেন মামুনকে। এই কর্মকর্তা চাকরি করে বড় হওয়ার পর নিজের বাবাকে বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেননি। সেই ঘটনাকেই ক্লাইমেক্স করে লিখে ফেললেন জীবনের প্রথম নাটক। নির্দেশনাও দিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মঞ্চনাটকের জোয়ার দেখা দিয়েছিল। নাগরিক, আরণ্যক তখন নাটক করছে। মামুন কাজ করতেন টেলিভিশনে। সেখানে নাট্যকারদের নাটকগুলো সম্পাদনাও করে দিতেন। কিন্তু বুঝতেন, সেখানে চালাকির অনেক সুযোগ আছে। মঞ্চনাটক চালাকির জায়গা নয়। দল গড়লেন ১৯৭২ সালে, কিন্তু প্রথম নাটক করলেন ১৯৭৪ সালে। তাঁরা ঠিক করলেন, নিজেরাই নাটক লিখবেন, আর তার ভার পড়ল মামুনের ওপর। সমসাময়িক ঘটনা বেছে নিলেন তাঁরা। মামুন লিখলেন, ‘সুবচন নির্বাসনে’। প্রবাদবাক্যগুলো যে এ জমানায় অর্থ হারিয়েছে, তা নিয়েই লেখা। নাটকটি মনে ধরেছিল দর্শকদের।
সূত্র: আলাপনে আবদুল্লাহ আল-মামুন, থিয়েটারওয়ালা, অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০০৬
লেখালেখি করবেন, এমনটা ভাবেননি কখনো। হাতের লেখা ভালো ছিল বলে স্কুলের দেয়াল পত্রিকায় অন্যদের লেখাগুলো সুন্দর করে নিজের হাতে লিখে দিতেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। পরে নাট্যকার হিসেবে খ্যাতি পাওয়া মামুন বিপদে পড়েই তাঁর প্রথম নাটকটি লিখেছিলেন। ঘটনাটা ছিল এমন:
স্কুলে প্রতিবছরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বার্ষিক এই অনুষ্ঠানে নাচ হয়, কবিতা আবৃত্তি হয়, গান হয়, তাহলে নাটক হবে না কেন? ছাত্রদের মনে জাগা এই প্রস্তাব নিয়ে মামুনই গেলেন শিক্ষকের কাছে। শিক্ষক বললেন, ‘ঠিক আছে, তবে শর্ত হচ্ছে নাটকটা তোমাদের মধ্য থেকেই কেউ লিখবে আর নাটকে কোনো নারী চরিত্র থাকবে না।’
স্যার তো বলেই খালাস। কিন্তু নাটক লিখবে কে? বন্ধুরা আবদুল্লাহ আল-মামুনকেই ধরে বসল। কীভাবে নাটক লিখতে হয়, সেটা তো মামুন জানেন না। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন তাঁর বাবা। বললেন, ‘এমন একটা গল্প ঠিক করো, যেখানে দ্বন্দ্ব আছে।’ বাবাই সরকারি কর্মকর্তা নিয়ে একটা গল্প বললেন মামুনকে। এই কর্মকর্তা চাকরি করে বড় হওয়ার পর নিজের বাবাকে বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেননি। সেই ঘটনাকেই ক্লাইমেক্স করে লিখে ফেললেন জীবনের প্রথম নাটক। নির্দেশনাও দিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মঞ্চনাটকের জোয়ার দেখা দিয়েছিল। নাগরিক, আরণ্যক তখন নাটক করছে। মামুন কাজ করতেন টেলিভিশনে। সেখানে নাট্যকারদের নাটকগুলো সম্পাদনাও করে দিতেন। কিন্তু বুঝতেন, সেখানে চালাকির অনেক সুযোগ আছে। মঞ্চনাটক চালাকির জায়গা নয়। দল গড়লেন ১৯৭২ সালে, কিন্তু প্রথম নাটক করলেন ১৯৭৪ সালে। তাঁরা ঠিক করলেন, নিজেরাই নাটক লিখবেন, আর তার ভার পড়ল মামুনের ওপর। সমসাময়িক ঘটনা বেছে নিলেন তাঁরা। মামুন লিখলেন, ‘সুবচন নির্বাসনে’। প্রবাদবাক্যগুলো যে এ জমানায় অর্থ হারিয়েছে, তা নিয়েই লেখা। নাটকটি মনে ধরেছিল দর্শকদের।
সূত্র: আলাপনে আবদুল্লাহ আল-মামুন, থিয়েটারওয়ালা, অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০০৬
তথ্যের অফুরন্ত ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও আজ লেখাটির ইতি টানব। আশা করব, ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের কেউ একজন আমার হাত থেকে রিলে রেসের ব্যাটনটি তুলে নেবেন এবং ইতিহাসের এই স্বল্প আলোকপাত করা বিষয়টি নিয়ে গভীর গবেষণা করবেন।
১ দিন আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে বিজয় দিবস এক অনন্য দিন। স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের সব দিন সমান গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিজয় দিবস সবচেয়ে বেশি গৌরবের। কেন জানি না, দিনটি তেমনভাবে উদ্যাপিত হয় না। তেমন আলোড়নও দেখি না, যা সত্যিকার অর্থে ছিল বিজয়ের প্রাপ্য। অথচ আমি এমন দুজন বিদেশির কথা জানি, যাঁরা আমার সঙ্গে...
১ দিন আগেবিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রতিবছর উদ্যাপনের যেমন উদ্যোগ-আয়োজন দেখা যায়, এবার তেমন দেখা যায়নি। আমার কাছে অন্তত তা-ই মনে হয়েছে। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পালাবদল কি সত্যি আমাদের চিন্তাচেতনায় বড় পরিবর্তন এনেছে? গণতন্ত্রের ঢং দেখিয়ে টানা ক্ষমতায় থাকা শাসকগোষ্ঠীকে পরাভূত করা নিশ্চয়ই গৌরবের। কিন্তু সে গৌরব কি...
১ দিন আগে১৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে এক মাতাল চালকের গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ নিহত হন। আহত হন মেহেদী হাসান খান ও অমিত সাহা নামের বুয়েটের সিএসই বিভাগের আরও দুই শিক্ষার্থী। মেহেদী রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ
১ দিন আগে