সম্পাদকীয়
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নানা কাণ্ড ঘটে গেল। সামনে রমজান এবং ঈদ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি, মজুত তেল দোকান পর্যন্ত আসছে না ইত্যাদি নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে কাটল নাটকীয় কিছুদিন। সরকারপক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের দিকেই দৃষ্টি দিতে বলা হলো, এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলো সিন্ডিকেটের কথা। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি তথ্য হলো, ক্রেতারা বাজারে-দোকানে ঘুরে তেলের সন্ধান পাননি এই কদিন।
নানা মাধ্যমে ক্রেতাদের মুখে তেল-বিষয়ক হতাশার কথা আমরা জেনেছি। হঠাৎ করেই বাজার থেকে উধাও হয়ে গেল তেল। কোথাও কোথাও খানিক চড়া দামে মিলতে লাগল। কেউ আবার শর্ত দিলেন, তেল পাওয়া যাবে বটে, কিন্তু সঙ্গে কিনতে হবে অন্য পণ্য।
অতীতেও আমরা দেখেছি, কোনো কিছুর দাম বেড়ে গেলে কিংবা কোনো কিছু বাজার থেকে উধাও হয়ে গেলে সরকারের তরফ থেকে যেনতেন একটা ব্যাখ্যা হাজির করা হয়। যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তাঁরা ভাঙা রেকর্ডের মতো সে কথাগুলোই বলতে থাকেন। ক্রেতার দরকার খেয়ে-পরে বাঁচার নিশ্চয়তা। আন্তর্জাতিক কিংবা দেশীয় ষড়যন্ত্রের কথায় তাঁদের মন বা পেট কিছুই ভরে না। বিগত সরকারের সময়ও করোনা এবং যুদ্ধের কারণে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। তার অনেকটাই সত্য ছিল। কিন্তু সেসব কথা উপলব্ধিতে নেয়নি জনগণ। তাদের চাহিদা খুব বেশি নয়। সে চাহিদা মেটানো যখন কঠিন হয়ে পড়ে, তখন সরকারের সমালোচনাই করে থাকে তারা।
আগস্টের পালাবদলের পর কারণ ছাড়াই ডিম, পেঁয়াজ, আলু যে খেল দেখাল, তাতে ক্রেতাসাধারণ বুঝতে পারল, ক্ষমতার একটা ম্যাজিক আছে। যাঁরা ক্ষমতায় যান, তাঁরা কীভাবে যেন মূল্যবৃদ্ধিকে জায়েজ করার একটা পথের সন্ধান পেয়ে যান। আলু যে ৭০ টাকায় স্থির হয়ে অনেকগুলো দিন হেসেখেলে কাটিয়ে দেবে, সেটা কে জানত? ডিমের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কোনো তাৎক্ষণিক সুরাহাও তো করা যায়নি। এরপর পেঁয়াজ-ডিমের দাম কিছুটা কমেছে বটে, কিন্তু আগের দামে ফিরে এসেছে, এমন আলামত পাওয়া যায়নি।
সয়াবিন তেলের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে, দাম বৃদ্ধির আগপর্যন্ত বড় মজুতদারেরা তেল ছাড়েননি। যারা তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের সঙ্গে সরকারি মহল আলোচনায় বসেছে ঠিকই, কিন্তু দাম বাড়ানোর আগপর্যন্ত সংকটের সুরাহা হয়নি। ভেবে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে, ব্যবসায়ী মহলের দাপটের কাছে কখনো কখনো আমাদের রাজনীতি নতজানু হয়।
কেউ কেউ সিন্ডিকেটের ব্যাপারটিকে পাত্তাই দিতে চাইছেন না। অথচ বিগত সরকারের আমলে এদেরই অনেকে সিন্ডিকেট ভাঙার প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন। তাহলে কি সরকারি গদিতে বসার সঙ্গে সঙ্গে সিন্ডিকেট-বিষয়ক অবস্থানেরও পরিবর্তন হয়ে থাকে? যে সিন্ডিকেট নিয়ে এত সমালোচনা হলো, এখনো তা টিকে আছে কী করে? কারা সিন্ডিকেট করেছিল বিগত সরকারের আমলে? কেন তাদের বিচার হচ্ছে না?
প্রশ্নগুলোর সঙ্গে সাধারণ ক্রেতার জীবন সরাসরি যুক্ত। প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নানা কাণ্ড ঘটে গেল। সামনে রমজান এবং ঈদ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি, মজুত তেল দোকান পর্যন্ত আসছে না ইত্যাদি নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে কাটল নাটকীয় কিছুদিন। সরকারপক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের দিকেই দৃষ্টি দিতে বলা হলো, এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলো সিন্ডিকেটের কথা। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি তথ্য হলো, ক্রেতারা বাজারে-দোকানে ঘুরে তেলের সন্ধান পাননি এই কদিন।
নানা মাধ্যমে ক্রেতাদের মুখে তেল-বিষয়ক হতাশার কথা আমরা জেনেছি। হঠাৎ করেই বাজার থেকে উধাও হয়ে গেল তেল। কোথাও কোথাও খানিক চড়া দামে মিলতে লাগল। কেউ আবার শর্ত দিলেন, তেল পাওয়া যাবে বটে, কিন্তু সঙ্গে কিনতে হবে অন্য পণ্য।
অতীতেও আমরা দেখেছি, কোনো কিছুর দাম বেড়ে গেলে কিংবা কোনো কিছু বাজার থেকে উধাও হয়ে গেলে সরকারের তরফ থেকে যেনতেন একটা ব্যাখ্যা হাজির করা হয়। যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তাঁরা ভাঙা রেকর্ডের মতো সে কথাগুলোই বলতে থাকেন। ক্রেতার দরকার খেয়ে-পরে বাঁচার নিশ্চয়তা। আন্তর্জাতিক কিংবা দেশীয় ষড়যন্ত্রের কথায় তাঁদের মন বা পেট কিছুই ভরে না। বিগত সরকারের সময়ও করোনা এবং যুদ্ধের কারণে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। তার অনেকটাই সত্য ছিল। কিন্তু সেসব কথা উপলব্ধিতে নেয়নি জনগণ। তাদের চাহিদা খুব বেশি নয়। সে চাহিদা মেটানো যখন কঠিন হয়ে পড়ে, তখন সরকারের সমালোচনাই করে থাকে তারা।
আগস্টের পালাবদলের পর কারণ ছাড়াই ডিম, পেঁয়াজ, আলু যে খেল দেখাল, তাতে ক্রেতাসাধারণ বুঝতে পারল, ক্ষমতার একটা ম্যাজিক আছে। যাঁরা ক্ষমতায় যান, তাঁরা কীভাবে যেন মূল্যবৃদ্ধিকে জায়েজ করার একটা পথের সন্ধান পেয়ে যান। আলু যে ৭০ টাকায় স্থির হয়ে অনেকগুলো দিন হেসেখেলে কাটিয়ে দেবে, সেটা কে জানত? ডিমের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কোনো তাৎক্ষণিক সুরাহাও তো করা যায়নি। এরপর পেঁয়াজ-ডিমের দাম কিছুটা কমেছে বটে, কিন্তু আগের দামে ফিরে এসেছে, এমন আলামত পাওয়া যায়নি।
সয়াবিন তেলের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে, দাম বৃদ্ধির আগপর্যন্ত বড় মজুতদারেরা তেল ছাড়েননি। যারা তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের সঙ্গে সরকারি মহল আলোচনায় বসেছে ঠিকই, কিন্তু দাম বাড়ানোর আগপর্যন্ত সংকটের সুরাহা হয়নি। ভেবে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে, ব্যবসায়ী মহলের দাপটের কাছে কখনো কখনো আমাদের রাজনীতি নতজানু হয়।
কেউ কেউ সিন্ডিকেটের ব্যাপারটিকে পাত্তাই দিতে চাইছেন না। অথচ বিগত সরকারের আমলে এদেরই অনেকে সিন্ডিকেট ভাঙার প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন। তাহলে কি সরকারি গদিতে বসার সঙ্গে সঙ্গে সিন্ডিকেট-বিষয়ক অবস্থানেরও পরিবর্তন হয়ে থাকে? যে সিন্ডিকেট নিয়ে এত সমালোচনা হলো, এখনো তা টিকে আছে কী করে? কারা সিন্ডিকেট করেছিল বিগত সরকারের আমলে? কেন তাদের বিচার হচ্ছে না?
প্রশ্নগুলোর সঙ্গে সাধারণ ক্রেতার জীবন সরাসরি যুক্ত। প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
২০২৪ সালটি চিহ্নিত হয়ে থাকবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের জন্য। সেনা অভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সরকারের পতন তো আরও কয়েকবার হয়েছে। মাঝে নব্বইয়ের ‘গণ-আন্দোলনে’ অবসান ঘটে সেনাশাসনের। তারপর আর সেনাশাসন না এলেও সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল।
১৫ ঘণ্টা আগেডিসেম্বর চলে যাচ্ছে। বছর শেষ হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে খেলাপি ঋণের হিসাবকিতাবও তৈরি হবে এই ডিসেম্বরেই। বছরে চারবার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই হিসাব করা হয়ে থাকে। মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে। ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় (গ্রেস পিরিয়ড) পরও যদি ঋণটি পরিশোধিত না হয়, তাহলে ঋণটিকে খেলাপি হিসেবে..
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরের শুরুতে সারা দেশে বসে বইমেলা। রাজধানী ঢাকা শহরে ফেব্রুয়ারি মাসে হয় মাসব্যাপী বইমেলা। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা শহরগুলোতেও এ সময়ে বইমেলার হিড়িক পড়ে। মেলা উপলক্ষে নির্ধারিত এলাকা অপূর্ব সাজে সেজে ওঠে।
১৫ ঘণ্টা আগেদেশের উন্নয়নের প্রধান সোপান হলো সুষ্ঠু নির্বাচন, যেখানে গণতন্ত্রের মজবুত ভিত্তি রচিত হয়। তবে শুধু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়; নির্বাচন-পূর্ববর্তী সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐক্য তার সহায়ক হাতিয়ার।
১৫ ঘণ্টা আগে