সম্পাদকীয়
কোথায় যে কখন কী ঘটছে, তার সব খবর কি আর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়? গুরুত্ব আছে, এমন অনেক সংবাদ যেমন পত্রিকায় আসে, তেমনি অনেক সংবাদ বাদও পড়ে যায়। শেরপুরের নালিতাবাড়ীর একটি বিয়োগান্ত ঘটনার খবর কিন্তু পত্রিকায় এসেছে এবং তা পড়ে সব পাঠকই শোকাহত হয়েছেন।
ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবি দেখে একজন ‘হা হা’ প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। সেটা দেখে নাখোশ হয়েছিলেন ছবির মালিক। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে টেলিফোনে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। সে-ও এক মাস আগের কথা। সে সময়ই ছবির মালিক সবুজ মিয়া ‘হা হা’ রিয়্যাক্ট বা প্রতিক্রিয়া দেওয়া নাঈম ইসলামকে শাসিয়ে বলেন, বাড়ি ফিরে এই ঘটনার একটা হেস্তনেস্ত করবেন। সবুজ মিয়া গাজীপুরে এক গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন। নাঈম থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। দুজনেই কবি সুকান্তের ভাষায় দুঃসহ ‘আঠার বছর’ বয়সের তরুণ।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে সবুজ মিয়া ডেকে পাঠান নাঈমকে। আবার কথা-কাটাকাটি। ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি এবার কাজে পরিণত করেন তিনি। ছুরি চালিয়ে দেন নাঈমের শরীরে। এলাকাবাসী নাঈমকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান, এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঈদের আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হয় শোকে। নাঈমের খুনি সবুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি পরিবারেই এবার ঈদ আর হলো না। কত তুচ্ছ ঘটনাকে কতটা বেদনাময় করে তোলা যায়, তার উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য ঘটনাটির বিস্তারিতভাবে বলা হলো।
একটা প্রশ্ন মাঝে মাঝেই মনে জাগে—যোগ্য হয়ে ওঠার আগে কারও হাতে এমন কিছু কি তুলে দেওয়া উচিত, যে জিনিস ব্যবহার করতে গিয়ে কেউ বেসামাল হয়? আজকাল ফেসবুকে ঢুকলেই বোঝা যায়, ফেসবুকটি কখনো কখনো ‘অপাত্রে কন্যাদান’-এর মতো হয়ে গেছে। এ ধরনের স্থূল মানসিকতা নিয়েই যে এরা বছরের পর বছর কাটিয়ে দিয়েছে এবং এখনো দিচ্ছে, সেটা ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম না এলে জানার কোনো সুযোগই ছিল না। এখন প্রত্যেকেই ‘অথরিটি’ হয়ে গেছে। কিছু মেনে চলার দরকার তাই আর পড়ে না।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসে কিংবা ছবিতে কে কোন প্রতিক্রিয়া দিল, সেটা কি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ? সবগুলো লেখা বা ছবিতে প্রতিক্রিয়া দিতেই বা হবে কেন? কেনইবা কেউ গভীর মনোযোগের সঙ্গে গুনতে থাকবে, কে কটা প্রতিক্রিয়া দিল, কে দিল না? কেউ কেউ তো এ রকম তর্কও করে, ‘আমি তোর লেখায় ভালোবাসার চিহ্ন দিয়েছি, তুই শুধু লাইক দিয়েছিস!’ কিংবা, এর লেখায় তো তুই লাইক দিলি, আমার লেখায় তোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখলাম না!’
জীবনকে সহজ করতে গিয়ে কি আরও কঠিন করে দিল ডিজিটাল দুনিয়া?
বোধ হয় না। আসলে কোন জিনিস কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেটা জানতে হবে এবং তা ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। নইলে ‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে।’
কোথায় যে কখন কী ঘটছে, তার সব খবর কি আর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়? গুরুত্ব আছে, এমন অনেক সংবাদ যেমন পত্রিকায় আসে, তেমনি অনেক সংবাদ বাদও পড়ে যায়। শেরপুরের নালিতাবাড়ীর একটি বিয়োগান্ত ঘটনার খবর কিন্তু পত্রিকায় এসেছে এবং তা পড়ে সব পাঠকই শোকাহত হয়েছেন।
ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবি দেখে একজন ‘হা হা’ প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। সেটা দেখে নাখোশ হয়েছিলেন ছবির মালিক। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে টেলিফোনে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। সে-ও এক মাস আগের কথা। সে সময়ই ছবির মালিক সবুজ মিয়া ‘হা হা’ রিয়্যাক্ট বা প্রতিক্রিয়া দেওয়া নাঈম ইসলামকে শাসিয়ে বলেন, বাড়ি ফিরে এই ঘটনার একটা হেস্তনেস্ত করবেন। সবুজ মিয়া গাজীপুরে এক গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন। নাঈম থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। দুজনেই কবি সুকান্তের ভাষায় দুঃসহ ‘আঠার বছর’ বয়সের তরুণ।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরে সবুজ মিয়া ডেকে পাঠান নাঈমকে। আবার কথা-কাটাকাটি। ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি এবার কাজে পরিণত করেন তিনি। ছুরি চালিয়ে দেন নাঈমের শরীরে। এলাকাবাসী নাঈমকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান, এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঈদের আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হয় শোকে। নাঈমের খুনি সবুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি পরিবারেই এবার ঈদ আর হলো না। কত তুচ্ছ ঘটনাকে কতটা বেদনাময় করে তোলা যায়, তার উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য ঘটনাটির বিস্তারিতভাবে বলা হলো।
একটা প্রশ্ন মাঝে মাঝেই মনে জাগে—যোগ্য হয়ে ওঠার আগে কারও হাতে এমন কিছু কি তুলে দেওয়া উচিত, যে জিনিস ব্যবহার করতে গিয়ে কেউ বেসামাল হয়? আজকাল ফেসবুকে ঢুকলেই বোঝা যায়, ফেসবুকটি কখনো কখনো ‘অপাত্রে কন্যাদান’-এর মতো হয়ে গেছে। এ ধরনের স্থূল মানসিকতা নিয়েই যে এরা বছরের পর বছর কাটিয়ে দিয়েছে এবং এখনো দিচ্ছে, সেটা ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম না এলে জানার কোনো সুযোগই ছিল না। এখন প্রত্যেকেই ‘অথরিটি’ হয়ে গেছে। কিছু মেনে চলার দরকার তাই আর পড়ে না।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসে কিংবা ছবিতে কে কোন প্রতিক্রিয়া দিল, সেটা কি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ? সবগুলো লেখা বা ছবিতে প্রতিক্রিয়া দিতেই বা হবে কেন? কেনইবা কেউ গভীর মনোযোগের সঙ্গে গুনতে থাকবে, কে কটা প্রতিক্রিয়া দিল, কে দিল না? কেউ কেউ তো এ রকম তর্কও করে, ‘আমি তোর লেখায় ভালোবাসার চিহ্ন দিয়েছি, তুই শুধু লাইক দিয়েছিস!’ কিংবা, এর লেখায় তো তুই লাইক দিলি, আমার লেখায় তোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখলাম না!’
জীবনকে সহজ করতে গিয়ে কি আরও কঠিন করে দিল ডিজিটাল দুনিয়া?
বোধ হয় না। আসলে কোন জিনিস কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেটা জানতে হবে এবং তা ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। নইলে ‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে।’
আশেকা ইরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক চেয়ারপারসন। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র জেন্ডার, ভূ-কৌশলগত ও আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়ে। ফিলিস্তিন পরিস্থিতিতে আরব বিশ্বের ভূমিকা...
৬ ঘণ্টা আগেরাজনীতি যদি মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক হয়, তবে তা শুধু ঢাকার পিচঢালা রাস্তায় নয়, প্রতিটি ইউনিয়নের মাটির পথে প্রতিফলিত হতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতি যেন একটি দূরবর্তী বিষয়—শুধু খবরের কাগজে থাকে, জীবনের ভেতরে তা প্রবেশ করে না।
৬ ঘণ্টা আগেবেছে বেছে এ বিষয়টি নিয়ে সম্পাদকীয় লেখার একটা বিশেষ কারণ আছে। ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি কী করে আমাদের হয়েছিল, সে কথা প্রত্যেকে বুঝতে পারলে ভালো হতো। দুঃখের বিষয় হলো, সেটা সবাই বুঝতে পারে না।
৬ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাজাগানিয়া একটি খবর প্রচারিত হওয়ার পর দেশব্যাপী বেশ আলোচনা চলছে। ৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউ থান শিউ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা...
১ দিন আগে