সম্পাদকীয়
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সম্প্রতি দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে। শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। পাঁচ রোগীর শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যদিও তাঁদের বড় কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এখনই উদ্বেগের কিছু নেই বলেও নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রিওভাইরাস মূলত একধরনের শ্বাসতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রজনিত সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এটি হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে রোগটি মারাত্মক রূপ নিলে নিউমোনিয়া কিংবা মস্তিষ্কের প্রদাহের মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষত, শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ভাইরাস গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
আইইডিসিআর ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণার অংশ হিসেবে সংগৃহীত ৪৮ জনের নমুনা বিশ্লেষণে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। এর আগে নিপাহ ভাইরাস শনাক্তকরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নিয়মিত এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছিল। দেশের জলবায়ু ও জনস্বাস্থ্যের প্রেক্ষাপটে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। বাংলাদেশে এখনো এনসেফালাইটিসের কারণ হিসেবে নির্দিষ্ট জীবাণু শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি। এ আবিষ্কার এসব রোগীর চিকিৎসায় নতুন দিক উন্মোচন করবে।
রিওভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে এবং এটি সাধারণত শীতকালে সক্রিয় হয়। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী এলসেভিয়ারের তথ্যমতে, বিশ্বের অনেক দেশেই এটি শ্বাসতন্ত্রজনিত সংক্রমণের জন্য পরিচিত। তবে ভাইরাসটি কীভাবে নতুন পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে এখনো গবেষণা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে খেজুরের কাঁচা রসের কারণে প্রতিবছর নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। রিওভাইরাস সংক্রমণের পেছনে একই ধরনের কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এ ধরনের প্রাথমিক শনাক্তকরণ আরও সুদূরপ্রসারী গবেষণার পথ দেখাবে।
ভাইরাসটি বর্তমানে গুরুতর ঝুঁকি তৈরি না করলেও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, শীতকালে বিশেষ সতর্কতা এবং শ্বাসতন্ত্রজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া আইইডিসিআরের মতো সংস্থাগুলোর নিয়মিত নজরদারি এবং গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা জরুরি।
এ ঘটনা দেশের জনস্বাস্থ্য খাতে গবেষণার গুরুত্বকে আরও সামনে নিয়ে এসেছে। নতুন ভাইরাস শনাক্তকরণ থেকে এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। দেশে গবেষণাগার এবং প্রশিক্ষিত জনবল বৃদ্ধি, বৈশ্বিক গবেষণা সহযোগিতা এবং জনস্বাস্থ্য শিক্ষার ওপর জোর দিলে এ ধরনের রোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রিওভাইরাসের আবিষ্কার দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি শুধু সংক্রমণ প্রতিরোধ নয়, বরং গবেষণার মাধ্যমে আমাদের চিকিৎসা ও প্রতিরোধব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করতে সাহায্য করবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা এবং বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা কার্যক্রম একসঙ্গে চালিয়ে গেলে বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফল হতে পারবে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সম্প্রতি দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে। শনিবার আজকের পত্রিকায় ‘দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। পাঁচ রোগীর শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যদিও তাঁদের বড় কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এখনই উদ্বেগের কিছু নেই বলেও নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রিওভাইরাস মূলত একধরনের শ্বাসতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রজনিত সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এটি হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে রোগটি মারাত্মক রূপ নিলে নিউমোনিয়া কিংবা মস্তিষ্কের প্রদাহের মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষত, শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ভাইরাস গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
আইইডিসিআর ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণার অংশ হিসেবে সংগৃহীত ৪৮ জনের নমুনা বিশ্লেষণে এই ভাইরাস পাওয়া যায়। এর আগে নিপাহ ভাইরাস শনাক্তকরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নিয়মিত এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছিল। দেশের জলবায়ু ও জনস্বাস্থ্যের প্রেক্ষাপটে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। বাংলাদেশে এখনো এনসেফালাইটিসের কারণ হিসেবে নির্দিষ্ট জীবাণু শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি। এ আবিষ্কার এসব রোগীর চিকিৎসায় নতুন দিক উন্মোচন করবে।
রিওভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে এবং এটি সাধারণত শীতকালে সক্রিয় হয়। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী এলসেভিয়ারের তথ্যমতে, বিশ্বের অনেক দেশেই এটি শ্বাসতন্ত্রজনিত সংক্রমণের জন্য পরিচিত। তবে ভাইরাসটি কীভাবে নতুন পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে এখনো গবেষণা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে খেজুরের কাঁচা রসের কারণে প্রতিবছর নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। রিওভাইরাস সংক্রমণের পেছনে একই ধরনের কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এ ধরনের প্রাথমিক শনাক্তকরণ আরও সুদূরপ্রসারী গবেষণার পথ দেখাবে।
ভাইরাসটি বর্তমানে গুরুতর ঝুঁকি তৈরি না করলেও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, শীতকালে বিশেষ সতর্কতা এবং শ্বাসতন্ত্রজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া আইইডিসিআরের মতো সংস্থাগুলোর নিয়মিত নজরদারি এবং গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা জরুরি।
এ ঘটনা দেশের জনস্বাস্থ্য খাতে গবেষণার গুরুত্বকে আরও সামনে নিয়ে এসেছে। নতুন ভাইরাস শনাক্তকরণ থেকে এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। দেশে গবেষণাগার এবং প্রশিক্ষিত জনবল বৃদ্ধি, বৈশ্বিক গবেষণা সহযোগিতা এবং জনস্বাস্থ্য শিক্ষার ওপর জোর দিলে এ ধরনের রোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রিওভাইরাসের আবিষ্কার দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি শুধু সংক্রমণ প্রতিরোধ নয়, বরং গবেষণার মাধ্যমে আমাদের চিকিৎসা ও প্রতিরোধব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করতে সাহায্য করবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা এবং বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা কার্যক্রম একসঙ্গে চালিয়ে গেলে বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফল হতে পারবে।
গণমাধ্যমের খবর, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ ইত্যাদি নিবন্ধন এবং ইউনিক আইডিসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার একটি স্থায়ী নাগরিক নিবন্ধন কমিশন (সিআরসি) গঠন করতে যাচ্ছে (আজকের পত্রিকা, ৫ মার্চ ২০২৫)।
৭ ঘণ্টা আগেনারীর প্রতি সহিংসতা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তার সঙ্গে আছে অধিকার বঞ্চনা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাপনা ও তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ধর্মীয় গোঁড়ামি নারীকে প্রতি পদে পদে অবদমিত, লাঞ্ছিত করার অন্যতম কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ফলে নিপীড়ন, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা, বৈষম্য ইত্যাদি নৃশংস ও মর্মান্তিক ঘটনা নারীর
৭ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় অতিপরিচিতি শব্দ হলো ফ্যাঁকড়া। যাপিত জীবনে কমবেশি আমরা সবাই ফ্যাঁকড়ায় পড়েছি। কখনো ফ্যাঁকড়া থেকে উত্তীর্ণ হতে পেরেছি, আবার কখনো ফ্যাঁকড়াতেই জীবন অতিবাহিত করছি। কিন্তু আমরা কি জানি ফ্যাঁকড়া শব্দটির মূল অর্থ কী? কীভাবে শব্দটি বাংলা ভাষায় এমন নেতিবাচক রূপ লাভ করেছে?
৭ ঘণ্টা আগেমাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল। তার নিথর দেহ আমাদের কাছে শুধু একটি হৃদয়বিদারক শোক সংবাদ নয়, বরং আমাদের সমাজের গভীর অসুখের একটি নগ্ন উদাহরণ। একটি শিশুর প্রতি এই বর্বরতা, তার যন্ত্রণা, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসকদের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচাতে না পারার অসহায়
৭ ঘণ্টা আগে