সম্পাদকীয়
করোনার কারণে দেড় বছর ধরে সবকিছু অচল ছিল। সবকিছুর মতো বন্ধ ছিল সব ধরনের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাও। এই সময়ে লাখ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণীর সময় কেটেছে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায়। আশা ছিল একটি চাকরি পেলে পরিবারের হাল ধরবেন, অভাব-অনটন কাটিয়ে সংসারে সচ্ছলতা আনার চেষ্টা করবেন। এ জন্য তীর্থের কাকের মতো তাঁরা যেকোনো একটি নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। যখনই সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করল, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষারও সময়সূচি ঘোষণা করতে থাকলেন নিয়োগকর্তারা।
তবে সমস্যা যেটা হলো, প্রায় সব নিয়োগকর্তাই তাঁদের নিয়োগ পরীক্ষা একই সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে দেওয়া শুরু করলেন। এতে লাখো চাকরিপ্রত্যাশী বিপাকে পড়েন। তাঁরা কোনটা রেখে কোনটা ছাড়বেন, এমন অবস্থা হয়েছে। অথচ প্রতিটি চাকরির পরীক্ষাই তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয়। এ জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন, পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট দিয়েছেন। অভাবের মধ্যেও তাঁদের বেশ কিছু টাকা পকেট থেকে চলে গেছে। অথচ তাঁরা একই সময়ে পরীক্ষার সময় নির্ধারিত থাকায় সব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না।
এমনই এক খবর হয়েছে আজকের পত্রিকায়। তাতে জানা যায়, গত তিন শুক্রবার বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং মন্ত্রণালয়ের ৪৪টি চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল ২১টি পরীক্ষা। ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পাঁচটি পরীক্ষা। আর ১ অক্টোবর হয় ১৮টি পরীক্ষা। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ অক্টোবর হতে যাচ্ছে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা। এর মধ্যে রয়েছে তিতাস গ্যাস, বিসিএসআইআর, সিভিল এভিয়েশন, পল্লী বিদ্যুৎ, এনএসআই, বিজিএফসিএল, সাধারণ বীমা, জালালাবাদ গ্যাস, বিএডিসি, ব্রি, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, পিডিবি ও পদ্মা অয়েলের মতো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা। এসব পরীক্ষায় পাঁচ লাখের বেশি প্রার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আপাতত সপ্তাহের দুই দিন শুক্র ও শনিবার কোনো নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এটা একদিকে ভালো। যাঁদের এই দুই দিনে অন্য পরীক্ষা আছে, তাঁরা সেগুলো দিতে পারবেন। তবে যাঁরা চাকরিজীবী, তাঁদের জন্য পিএসসির পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ সংকুচিত হতে পারে। তার পরও এটি বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীর জন্য কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে আপাতত মনে হচ্ছে।
আসলে পুরো বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও পর্যালোচনা করা দরকার। কারণ একই দিনে যদি অনেকগুলো পরীক্ষা হয়, তাহলে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য তা খুবই হতাশার। কারণ তাঁরা একটি বা দুটির বেশি পরীক্ষায় হয়তো অংশ নিতে পারবেন না। ফলে তাঁদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে যায়। এ জন্য নিয়োগকর্তারা সমন্বিতভাবে চাকরির পরীক্ষা নিতে পারেন কি না বা নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর সময়সূচিতে আরও কোনো পরিবর্তন-সংশোধন আনা যায় কি না, তা ভেবে দেখতে পারেন। একটু সমন্বয় বা কোনো উদ্ভাবনী কৌশল নিলেই সমস্যাটি কেটে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
করোনার কারণে দেড় বছর ধরে সবকিছু অচল ছিল। সবকিছুর মতো বন্ধ ছিল সব ধরনের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাও। এই সময়ে লাখ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণীর সময় কেটেছে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায়। আশা ছিল একটি চাকরি পেলে পরিবারের হাল ধরবেন, অভাব-অনটন কাটিয়ে সংসারে সচ্ছলতা আনার চেষ্টা করবেন। এ জন্য তীর্থের কাকের মতো তাঁরা যেকোনো একটি নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। যখনই সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করল, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষারও সময়সূচি ঘোষণা করতে থাকলেন নিয়োগকর্তারা।
তবে সমস্যা যেটা হলো, প্রায় সব নিয়োগকর্তাই তাঁদের নিয়োগ পরীক্ষা একই সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে দেওয়া শুরু করলেন। এতে লাখো চাকরিপ্রত্যাশী বিপাকে পড়েন। তাঁরা কোনটা রেখে কোনটা ছাড়বেন, এমন অবস্থা হয়েছে। অথচ প্রতিটি চাকরির পরীক্ষাই তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয়। এ জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন, পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট দিয়েছেন। অভাবের মধ্যেও তাঁদের বেশ কিছু টাকা পকেট থেকে চলে গেছে। অথচ তাঁরা একই সময়ে পরীক্ষার সময় নির্ধারিত থাকায় সব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না।
এমনই এক খবর হয়েছে আজকের পত্রিকায়। তাতে জানা যায়, গত তিন শুক্রবার বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং মন্ত্রণালয়ের ৪৪টি চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল ২১টি পরীক্ষা। ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পাঁচটি পরীক্ষা। আর ১ অক্টোবর হয় ১৮টি পরীক্ষা। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ অক্টোবর হতে যাচ্ছে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা। এর মধ্যে রয়েছে তিতাস গ্যাস, বিসিএসআইআর, সিভিল এভিয়েশন, পল্লী বিদ্যুৎ, এনএসআই, বিজিএফসিএল, সাধারণ বীমা, জালালাবাদ গ্যাস, বিএডিসি, ব্রি, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, পিডিবি ও পদ্মা অয়েলের মতো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা। এসব পরীক্ষায় পাঁচ লাখের বেশি প্রার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আপাতত সপ্তাহের দুই দিন শুক্র ও শনিবার কোনো নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এটা একদিকে ভালো। যাঁদের এই দুই দিনে অন্য পরীক্ষা আছে, তাঁরা সেগুলো দিতে পারবেন। তবে যাঁরা চাকরিজীবী, তাঁদের জন্য পিএসসির পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ সংকুচিত হতে পারে। তার পরও এটি বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীর জন্য কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে আপাতত মনে হচ্ছে।
আসলে পুরো বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও পর্যালোচনা করা দরকার। কারণ একই দিনে যদি অনেকগুলো পরীক্ষা হয়, তাহলে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য তা খুবই হতাশার। কারণ তাঁরা একটি বা দুটির বেশি পরীক্ষায় হয়তো অংশ নিতে পারবেন না। ফলে তাঁদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে যায়। এ জন্য নিয়োগকর্তারা সমন্বিতভাবে চাকরির পরীক্ষা নিতে পারেন কি না বা নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর সময়সূচিতে আরও কোনো পরিবর্তন-সংশোধন আনা যায় কি না, তা ভেবে দেখতে পারেন। একটু সমন্বয় বা কোনো উদ্ভাবনী কৌশল নিলেই সমস্যাটি কেটে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে নীতিনির্ধারণী একটি বিষয় অগ্রাধিকার বিবেচনার জন্য অপেক্ষমাণ আছে, আর তা হলো, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন করা, নাকি যথাশিগগির নির্বাচন আয়োজন করা? অনেক ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সংসদের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না।
১১ ঘণ্টা আগেকিছু কিছু বিতর্ক তৈরি করা হয় সমসাময়িক বিষয় থেকে দৃষ্টি দূরে সরিয়ে রাখার জন্য। পুরো পাকিস্তান আমলেই রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে বিতর্ক জারি রাখা হয়েছিল। আমলাতন্ত্র আর সামরিক আমলাতন্ত্র মিলে পাকিস্তান নামক দেশটায় যে স্বৈরশাসন কায়েম করে রেখেছিল, সেদিকে যেন সচেতন মানুষের চোখ না যায়, সে অভিসন্ধি থেকেই রবীন্দ্রনাথ
১১ ঘণ্টা আগেএকটি কলা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। একটি সাধারণ কলা, যা নিলামে বিক্রি হলো ৭৪ কোটি টাকায়। এটি শিল্প, না কৌতুক, না সামাজিক শ্লেষ—নাকি তিনটির মিশেল? ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটালানের এই ‘কমেডিয়ান’ আমাদের শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আর বাজারজাত সৃজনশীলতার প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
১১ ঘণ্টা আগে‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১ দিন আগে