সম্পাদকীয়
অবশেষে আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখরিত হবে শিক্ষার্থীদের উচ্ছলতায়। দীর্ঘ অবকাশের পর আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠবে শ্রেণিকক্ষগুলো। তারুণ্যের দীপ্তিতে উদ্ভাসিত হবে, আলোকিত হবে শিক্ষায়তন। এই দীর্ঘ বিরতির পর যখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে, তখন আমরা কী আশা করব? কোন ধরনের খবরের জন্ম দেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো? জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সমাজে আলোড়ন তোলার মতো যোগ্য হয়ে কি উঠবে শিক্ষার্থীরা? শিক্ষকেরা কি তাঁদের শ্রেষ্ঠ অর্জনটুকু ঢেলে দেবেন ক্লাসে, যেন শিক্ষার্থীর উপকার তো হয়ই, তার মাধ্যমে উপকৃত হয় গোটা সমাজ?
নোট আর কোচিং সম্বল করে ওপরে ওঠার সিঁড়ি যখন আলোকিত হয়ে ওঠে, তখন সত্যিকার জ্ঞানের বিকাশ হয় না। নোট আর কোচিংই তো সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়, সেখান থেকেই নির্দিষ্ট ‘জ্ঞান’ গিলে পরীক্ষার সময় তা বমি করে দিতে পারলেই মুশকিল আসান। এসএসসি আর এইচএসসিতে এমনি ধারায় এগোলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নিজের চিন্তাধারা মেলে ধরার ক্ষমতা অর্জন করা খুব কঠিন। তারপরও যাঁরা সেই কঠিন কাজটি করে যাচ্ছেন, তাঁদের সাধুবাদ জানাতে কার্পণ্য করা উচিত নয়। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষায় যে পরিবর্তন আসছে, তা আদৌ শিক্ষার্থীর সৃজনশীল ক্ষমতা বিকাশে সহায়ক হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কী ধরনের সংবাদ মূলত আমরা শুনে অভ্যস্ত? মোটাদাগে বললে বলতে হয়, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অবাক করা কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি, নিয়োগ নিয়ে ঝাপসা কায়কারবার, থিসিস রচনায় চৌর্যবৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজে লুটপাট কিংবা যেনতেনভাবে কাজ গছিয়ে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বচসা, কখনো কখনো মারপিট। শিক্ষার্থীকে যদি পড়াশোনার পাশাপাশি এই সংকট নিয়ে ভাবতে হয়, তাহলে তার বিকাশের পথটি সংকীর্ণ হয়ে যায়।
সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ, চলচ্চিত্র সংসদ, স্বেচ্ছাসেবী কার্যাবলিসহ আরও কিছু খবরও মাঝে মাঝে আসে, যা বুঝিয়ে দেয় সাংস্কৃতিক মন ও মনন এখনো টিকে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়।
শিক্ষা ও গবেষণার সমন্বয় থাকতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে, এ রকম একটি কথা ২০০ বছর আগে বলে গিয়েছিলেন শিক্ষাবিদ ভিলহেম ভন হামবোল্ট। সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলিত হন। তাঁদের নানা ধরনের চিন্তাধারার মিলন কিংবা দ্বন্দ্ব থেকেই গড়ে উঠতে পারে সচল একটি জীবনধারা।
শিক্ষাঙ্গনে জ্ঞান ও বৃদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের পথটি খোলা রাখতে হবে। শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা যেন প্রকৃত অর্থেই সম্মান করতে পারে, সে আলোচনাও ফেলনা নয়। দলবাজ, দুর্নীতিপরায়ণ শিক্ষক আর যা-ই হোক, একজন শিক্ষার্থীকে সৎ থাকার পরামর্শ দিতে পারেন না। পড়াশোনা ও গবেষণার প্রকৃত পথটি দেখিয়ে দিলে শিক্ষকের সঙ্গে সঙ্গে লাভবান হবে শিক্ষার্থী এবং সেই পথ ধরে গোটা সমাজ ও রাষ্ট্র।
বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, এই আনন্দের শরিক আমরাও। শেষে মনে করিয়ে দিতে চাই, আমাদের দেশেই এমন অনেক শিক্ষক জন্মেছেন, যাঁদের প্রতি এই জাতির শ্রদ্ধা রয়েছে অনিঃশেষ। সে ধারাটিকেই সংহত করতে হবে।
অবশেষে আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখরিত হবে শিক্ষার্থীদের উচ্ছলতায়। দীর্ঘ অবকাশের পর আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠবে শ্রেণিকক্ষগুলো। তারুণ্যের দীপ্তিতে উদ্ভাসিত হবে, আলোকিত হবে শিক্ষায়তন। এই দীর্ঘ বিরতির পর যখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে, তখন আমরা কী আশা করব? কোন ধরনের খবরের জন্ম দেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো? জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে সমাজে আলোড়ন তোলার মতো যোগ্য হয়ে কি উঠবে শিক্ষার্থীরা? শিক্ষকেরা কি তাঁদের শ্রেষ্ঠ অর্জনটুকু ঢেলে দেবেন ক্লাসে, যেন শিক্ষার্থীর উপকার তো হয়ই, তার মাধ্যমে উপকৃত হয় গোটা সমাজ?
নোট আর কোচিং সম্বল করে ওপরে ওঠার সিঁড়ি যখন আলোকিত হয়ে ওঠে, তখন সত্যিকার জ্ঞানের বিকাশ হয় না। নোট আর কোচিংই তো সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়, সেখান থেকেই নির্দিষ্ট ‘জ্ঞান’ গিলে পরীক্ষার সময় তা বমি করে দিতে পারলেই মুশকিল আসান। এসএসসি আর এইচএসসিতে এমনি ধারায় এগোলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নিজের চিন্তাধারা মেলে ধরার ক্ষমতা অর্জন করা খুব কঠিন। তারপরও যাঁরা সেই কঠিন কাজটি করে যাচ্ছেন, তাঁদের সাধুবাদ জানাতে কার্পণ্য করা উচিত নয়। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষায় যে পরিবর্তন আসছে, তা আদৌ শিক্ষার্থীর সৃজনশীল ক্ষমতা বিকাশে সহায়ক হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কী ধরনের সংবাদ মূলত আমরা শুনে অভ্যস্ত? মোটাদাগে বললে বলতে হয়, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অবাক করা কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি, নিয়োগ নিয়ে ঝাপসা কায়কারবার, থিসিস রচনায় চৌর্যবৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজে লুটপাট কিংবা যেনতেনভাবে কাজ গছিয়ে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বচসা, কখনো কখনো মারপিট। শিক্ষার্থীকে যদি পড়াশোনার পাশাপাশি এই সংকট নিয়ে ভাবতে হয়, তাহলে তার বিকাশের পথটি সংকীর্ণ হয়ে যায়।
সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ, চলচ্চিত্র সংসদ, স্বেচ্ছাসেবী কার্যাবলিসহ আরও কিছু খবরও মাঝে মাঝে আসে, যা বুঝিয়ে দেয় সাংস্কৃতিক মন ও মনন এখনো টিকে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়।
শিক্ষা ও গবেষণার সমন্বয় থাকতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে, এ রকম একটি কথা ২০০ বছর আগে বলে গিয়েছিলেন শিক্ষাবিদ ভিলহেম ভন হামবোল্ট। সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলিত হন। তাঁদের নানা ধরনের চিন্তাধারার মিলন কিংবা দ্বন্দ্ব থেকেই গড়ে উঠতে পারে সচল একটি জীবনধারা।
শিক্ষাঙ্গনে জ্ঞান ও বৃদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের পথটি খোলা রাখতে হবে। শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা যেন প্রকৃত অর্থেই সম্মান করতে পারে, সে আলোচনাও ফেলনা নয়। দলবাজ, দুর্নীতিপরায়ণ শিক্ষক আর যা-ই হোক, একজন শিক্ষার্থীকে সৎ থাকার পরামর্শ দিতে পারেন না। পড়াশোনা ও গবেষণার প্রকৃত পথটি দেখিয়ে দিলে শিক্ষকের সঙ্গে সঙ্গে লাভবান হবে শিক্ষার্থী এবং সেই পথ ধরে গোটা সমাজ ও রাষ্ট্র।
বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, এই আনন্দের শরিক আমরাও। শেষে মনে করিয়ে দিতে চাই, আমাদের দেশেই এমন অনেক শিক্ষক জন্মেছেন, যাঁদের প্রতি এই জাতির শ্রদ্ধা রয়েছে অনিঃশেষ। সে ধারাটিকেই সংহত করতে হবে।
তথ্যের অফুরন্ত ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও আজ লেখাটির ইতি টানব। আশা করব, ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের কেউ একজন আমার হাত থেকে রিলে রেসের ব্যাটনটি তুলে নেবেন এবং ইতিহাসের এই স্বল্প আলোকপাত করা বিষয়টি নিয়ে গভীর গবেষণা করবেন।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে বিজয় দিবস এক অনন্য দিন। স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের সব দিন সমান গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিজয় দিবস সবচেয়ে বেশি গৌরবের। কেন জানি না, দিনটি তেমনভাবে উদ্যাপিত হয় না। তেমন আলোড়নও দেখি না, যা সত্যিকার অর্থে ছিল বিজয়ের প্রাপ্য। অথচ আমি এমন দুজন বিদেশির কথা জানি, যাঁরা আমার সঙ্গে...
৯ ঘণ্টা আগেবিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রতিবছর উদ্যাপনের যেমন উদ্যোগ-আয়োজন দেখা যায়, এবার তেমন দেখা যায়নি। আমার কাছে অন্তত তা-ই মনে হয়েছে। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পালাবদল কি সত্যি আমাদের চিন্তাচেতনায় বড় পরিবর্তন এনেছে? গণতন্ত্রের ঢং দেখিয়ে টানা ক্ষমতায় থাকা শাসকগোষ্ঠীকে পরাভূত করা নিশ্চয়ই গৌরবের। কিন্তু সে গৌরব কি...
৯ ঘণ্টা আগে১৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে এক মাতাল চালকের গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ নিহত হন। আহত হন মেহেদী হাসান খান ও অমিত সাহা নামের বুয়েটের সিএসই বিভাগের আরও দুই শিক্ষার্থী। মেহেদী রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ
৯ ঘণ্টা আগে