সম্পাদকীয়
আজকের পত্রিকায় সংবাদ শিরোনামটি যথার্থ, ‘শচীনের কদর মাত্র দুই দিন।’ হ্যাঁ, শচীন দেববর্মনের কথাই বলা হচ্ছে। শুধু কি গান গেয়েছেন তিনি? সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবেও তো আকাশ ছুঁয়েছেন। একসময় সুররাজ্য ছিল যে মানুষটির নিয়ন্ত্রণে, বাংলা গানে যিনি যোগ করেছিলেন ভিন্ন মাত্রা, সেই শচীন কর্তার মৃত্যুবার্ষিকীকে উপলক্ষ করে কুমিল্লায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে দুই দিনের শচীন মেলা বসে ৩০ ও ৩১ অক্টোবর। শচীন দেববর্মন মারা গেছেন ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর। তাঁর বাড়িটি আংশিক দখলমুক্ত করার পর থেকে ধারাবাহিকভাবেই এই মেলা হচ্ছে। এবার শচীন দেববর্মনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলো।
শচীন ১৯৪৪ সালে পেশার কারণে চলে গিয়েছিলেন কলকাতা। এরপর বম্বে। কুমিল্লায় আর ফিরে আসেননি। কিন্তু তত দিনে তিনি এতটাই বিখ্যাত হয়ে গেছেন যে পৈতৃক বাড়ির চেয়েও বিশাল সংগীতের বাড়ি তখন তাঁর হাতের মুঠোয়। কুমিল্লার মানুষ তাঁকে নিয়ে গর্ব করে।
দেশভাগ হওয়ার পর পরিত্যক্ত ছিল কুমিল্লার চর্থায় অবস্থিত বাড়িটি। পাকিস্তান সরকার বাড়িটিকে করে রেখেছিল মুরগির খামার। ২০১৪ সালে এসে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আংশিকভাবে বাড়িটি দখলমুক্ত করেছে। বাড়িটি সংস্কারের পর এখানে শচীনের জন্ম-মৃত্যুদিনে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হয়। প্রতিবছর শচীন মেলা করার জন্য সরকারি একটা বরাদ্দও থাকে, এ বছর বিভিন্ন কারণে সে বরাদ্দ পাওয়া না গেলেও জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংস্কৃতিসেবীরা মিলে আয়োজন করেছেন শচীন মেলার।
শচীন দেববর্মনের সংগীতে প্রস্তুতির কথা একটু বলে নেওয়া দরকার। শৈশব থেকেই লোকসংগীতের প্রতি ছিল তাঁর ভালোবাসা। বহু লোকসংগীত সংগ্রহ করেছেন এবং রাগসংগীতের সঙ্গে তা মিশিয়ে সৃষ্টি করেছেন নতুন সুরজাল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। এরপর ত্রিপুরার রাজদরবারে চাকরি করেন। চাকরি ছেড়ে চলে আসেন কলকাতায়। সেখানে ওস্তাদ বাদল খাঁ, আলাউদ্দিন খাঁ, ফৈয়াজ খাঁ, আব্দুল করিম খাঁ, ভীষ্মদেব, কানা কৃষ্ণ প্রমুখ সংগীতবিশারদের কাছে রাগসংগীতে আনুষ্ঠানিক তালিম নেন।
‘নিশীথে যাইও ফুলবনে’, ‘শোনো গো দখিন হাওয়া’, ‘তুমি আর নেই সে তুমি’, ‘তুমি এসেছিলে পরশু’সহ কত যে গান করেছেন, তার ইয়ত্তা নেই। এই মানুষটিকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। কিন্তু কীভাবে?
সেটাই মূল প্রশ্ন। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখা যেতে পারে কুমিল্লার এই বাড়িটিতে। পুরো বাড়িটিকেই দখলমুক্ত করে শচীন দেববর্মনের স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্র রাখা যেতে পারে এখানে। থাকতে পারে তাঁর আলোকচিত্র। বাড়িটি হয়ে উঠতে পারে শচীন জাদুঘর। কুমিল্লার সাংস্কৃতিক কর্মীদের তীর্থস্থান হতে পারে এটি। বসতে পারে গানের আসর। চলতে পারে মহড়া। কেউ যদি এই বাড়িতে আসেন, তাহলে তিনি যেন সংগীতের আবহে অবগাহন করে উঠতে পারেন। সংস্কৃতি যে মানুষের আত্মপরিচয়ের মৌলিক একটি দিক, সেটা যেন উপলব্ধি করতে পারে মানুষ।
শচীন দেববর্মন আমাদের সম্পদ। সুরমূর্ছনায় তিনি ছড়িয়ে আছেন আমাদের অস্তিত্বে। তাঁকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো যাবে তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ করতে পারলে। সেটাই করা হোক।
আজকের পত্রিকায় সংবাদ শিরোনামটি যথার্থ, ‘শচীনের কদর মাত্র দুই দিন।’ হ্যাঁ, শচীন দেববর্মনের কথাই বলা হচ্ছে। শুধু কি গান গেয়েছেন তিনি? সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবেও তো আকাশ ছুঁয়েছেন। একসময় সুররাজ্য ছিল যে মানুষটির নিয়ন্ত্রণে, বাংলা গানে যিনি যোগ করেছিলেন ভিন্ন মাত্রা, সেই শচীন কর্তার মৃত্যুবার্ষিকীকে উপলক্ষ করে কুমিল্লায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে দুই দিনের শচীন মেলা বসে ৩০ ও ৩১ অক্টোবর। শচীন দেববর্মন মারা গেছেন ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর। তাঁর বাড়িটি আংশিক দখলমুক্ত করার পর থেকে ধারাবাহিকভাবেই এই মেলা হচ্ছে। এবার শচীন দেববর্মনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলো।
শচীন ১৯৪৪ সালে পেশার কারণে চলে গিয়েছিলেন কলকাতা। এরপর বম্বে। কুমিল্লায় আর ফিরে আসেননি। কিন্তু তত দিনে তিনি এতটাই বিখ্যাত হয়ে গেছেন যে পৈতৃক বাড়ির চেয়েও বিশাল সংগীতের বাড়ি তখন তাঁর হাতের মুঠোয়। কুমিল্লার মানুষ তাঁকে নিয়ে গর্ব করে।
দেশভাগ হওয়ার পর পরিত্যক্ত ছিল কুমিল্লার চর্থায় অবস্থিত বাড়িটি। পাকিস্তান সরকার বাড়িটিকে করে রেখেছিল মুরগির খামার। ২০১৪ সালে এসে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আংশিকভাবে বাড়িটি দখলমুক্ত করেছে। বাড়িটি সংস্কারের পর এখানে শচীনের জন্ম-মৃত্যুদিনে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হয়। প্রতিবছর শচীন মেলা করার জন্য সরকারি একটা বরাদ্দও থাকে, এ বছর বিভিন্ন কারণে সে বরাদ্দ পাওয়া না গেলেও জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংস্কৃতিসেবীরা মিলে আয়োজন করেছেন শচীন মেলার।
শচীন দেববর্মনের সংগীতে প্রস্তুতির কথা একটু বলে নেওয়া দরকার। শৈশব থেকেই লোকসংগীতের প্রতি ছিল তাঁর ভালোবাসা। বহু লোকসংগীত সংগ্রহ করেছেন এবং রাগসংগীতের সঙ্গে তা মিশিয়ে সৃষ্টি করেছেন নতুন সুরজাল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। এরপর ত্রিপুরার রাজদরবারে চাকরি করেন। চাকরি ছেড়ে চলে আসেন কলকাতায়। সেখানে ওস্তাদ বাদল খাঁ, আলাউদ্দিন খাঁ, ফৈয়াজ খাঁ, আব্দুল করিম খাঁ, ভীষ্মদেব, কানা কৃষ্ণ প্রমুখ সংগীতবিশারদের কাছে রাগসংগীতে আনুষ্ঠানিক তালিম নেন।
‘নিশীথে যাইও ফুলবনে’, ‘শোনো গো দখিন হাওয়া’, ‘তুমি আর নেই সে তুমি’, ‘তুমি এসেছিলে পরশু’সহ কত যে গান করেছেন, তার ইয়ত্তা নেই। এই মানুষটিকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। কিন্তু কীভাবে?
সেটাই মূল প্রশ্ন। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখা যেতে পারে কুমিল্লার এই বাড়িটিতে। পুরো বাড়িটিকেই দখলমুক্ত করে শচীন দেববর্মনের স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্র রাখা যেতে পারে এখানে। থাকতে পারে তাঁর আলোকচিত্র। বাড়িটি হয়ে উঠতে পারে শচীন জাদুঘর। কুমিল্লার সাংস্কৃতিক কর্মীদের তীর্থস্থান হতে পারে এটি। বসতে পারে গানের আসর। চলতে পারে মহড়া। কেউ যদি এই বাড়িতে আসেন, তাহলে তিনি যেন সংগীতের আবহে অবগাহন করে উঠতে পারেন। সংস্কৃতি যে মানুষের আত্মপরিচয়ের মৌলিক একটি দিক, সেটা যেন উপলব্ধি করতে পারে মানুষ।
শচীন দেববর্মন আমাদের সম্পদ। সুরমূর্ছনায় তিনি ছড়িয়ে আছেন আমাদের অস্তিত্বে। তাঁকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো যাবে তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ করতে পারলে। সেটাই করা হোক।
বিএনপির একসময়ের ডাকসাইটে নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একটি বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তারেক রহমানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে খালেদা জিয়া নীরব থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সা কা চৌ বলেছিলেন, আগে কুকুর লেজ নাড়ত, এখন লেজ...
১০ ঘণ্টা আগেএকেই বোধ হয় বলে কপাল। ছিলেন জিরো, হয়ে গেলেন হিরো। বলছি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের আগে জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ছিল...
১০ ঘণ্টা আগে১৯৯২ সালে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি পাবলিক কলেজিয়েট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরুর পর বর্তমানে ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৩২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২ হাজার ২৫৭টি অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর কার্যক্রম চলছে।
১০ ঘণ্টা আগেধর্মবিশ্বাস মানুষকে সৎ ও মানবিক হতে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিছু প্রতারক চক্র মানুষের এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে নির্মমভাবে প্রতারণা করছে। সৎ ও মানবিক হওয়ার পথ দেখিয়ে তারাই করছে অসততা ও অমানবিক কাজ। সম্প্রতি ‘বার্ডস আই হেলিকপ্টার অ্যান্ড হজ কাফেলা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে...
১১ ঘণ্টা আগে