সম্পাদকীয়
ছোট্ট একটি সংবাদ। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা বাজার নিয়ে কথা। সেখানে ফুটপাত দখল করে বসে গেছে দোকানিরা। ফলে যা হবার তাই হয়েছে, বিপাকে পড়েছে পথচারীরা। ফুটপাতই নেই, হাঁটবে কোন দিক দিয়ে?
ঘটনা এমন নয় যে এই প্রথম এরকম একটি সংবাদ দেখতে হলো। কালিয়াকৈরের মানুষেরাই প্রথম ফুটপাতে দোকান বসিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখাবার চেষ্টা করেনি। এই কাণ্ড বহু আগে থেকে বহু জেলায় বহু ফুটপাতে বহুদিন আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে। কেন দেখা যাচ্ছে, সেটাই হলো ব্যাপার।
এ কথা না বলে দিলেও চলে, শ'য়ের ওপর যে দোকানিরা ফুটপাত দখল করে বসেছে, তাদের এত ক্ষমতা হয়ে যায়নি যে, সরকারি জায়গা দখল করে তারা দোকান সাজিয়ে বসবে! কোন এক বাঁশিওয়ালার অদৃশ্য সুর তাদের মোহগ্রস্ত করেছে। এই সুরের বিনিময় মূল্য এক শ থেকে দেড় শ টাকা। প্রতিদিন ব্যবসার লাভের অংশ থেকে এই টাকাটা বাঁশিওয়ালাদের দিয়ে দিলেই কেল্লাফতে! কেউ আসবে না তাদের সরিয়ে দিতে। কার আছে এত বুকের পাটা?
কে সেই বাঁশিওয়ালা, সেটা নিয়ে ভাবতে হলে ধাঁধায় পড়ার কোনো সুযোগ নেই। হয় সরকারি দলের মাসলম্যানরা, অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো অশুভ চক্রের হাতেই রয়েছে সেই বাঁশি। এদের ভিত্তিমূল এতটাই শক্ত যে, দিনের পর দিন এরা ফুটপাত দখল করে রাখলেও কেউ টুঁ শব্দটি করতে পারবে না।
যে কেউ ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ করলেই এরকম শত শত ফুটপাতের বাজার দেখতে পাবেন। সবখানেই রয়েছে সেই বাঁশিওয়ালাদের দৌরাত্ম্য। সমাজে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি তাদের কাজটা ঠিক ভাবে করে, তাহলে তাদের মধ্যে থাকা অশুভ চক্র অথবা ক্ষমতাসীনদের মাস্তান বাহিনী ফুটপাত দখল করতে পারে না। এখনো যে পারছে, তার অর্থ একটাই, তারা ঠিকভাবে কাজ করছে না।
আগের কালে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এমন কিছু মানুষ থাকত, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার হতো। সরকার তাদের কথার মূল্য দিত। ইদানিং সেটাও চোখে পড়ছে কম। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ঘটনা দিনে দিনে কমছে। এটা কোনো শুভ লক্ষণ নয়। এই বাঁশিওয়ালারা যত দিন দাপটের সঙ্গে টিকে থাকবে, তত দিন দেশের সকল মানুষকেই ফুটপাতে গড়ে ওঠা বাজারকে সমীহ করেই চলতে হবে। অন্যথা হতে পারে শুধু পাশার দান উল্টে গেলে। হঠাৎ করে এই বাঁশিওয়ালার বাঁশিটি কেড়ে নিলেই ফুটপাত দিয়ে হাঁটবে পথচারী।
সেই সম্ভাবনা আছে কি নেই, সে প্রশ্ন কাকে করতে হবে, সেটাও এক মস্ত ধাঁধা। এই ধাঁধার ঘোরে থাকতে থাকতেই বাঁশিওয়ালার কর্তৃত্বে আরও কিছু নতুন দখলদারিত্বের খবর পড়ার জন্য মনকে প্রস্তুত করা ছাড়া উপায় আছে কি?
ছোট্ট একটি সংবাদ। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা বাজার নিয়ে কথা। সেখানে ফুটপাত দখল করে বসে গেছে দোকানিরা। ফলে যা হবার তাই হয়েছে, বিপাকে পড়েছে পথচারীরা। ফুটপাতই নেই, হাঁটবে কোন দিক দিয়ে?
ঘটনা এমন নয় যে এই প্রথম এরকম একটি সংবাদ দেখতে হলো। কালিয়াকৈরের মানুষেরাই প্রথম ফুটপাতে দোকান বসিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখাবার চেষ্টা করেনি। এই কাণ্ড বহু আগে থেকে বহু জেলায় বহু ফুটপাতে বহুদিন আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে। কেন দেখা যাচ্ছে, সেটাই হলো ব্যাপার।
এ কথা না বলে দিলেও চলে, শ'য়ের ওপর যে দোকানিরা ফুটপাত দখল করে বসেছে, তাদের এত ক্ষমতা হয়ে যায়নি যে, সরকারি জায়গা দখল করে তারা দোকান সাজিয়ে বসবে! কোন এক বাঁশিওয়ালার অদৃশ্য সুর তাদের মোহগ্রস্ত করেছে। এই সুরের বিনিময় মূল্য এক শ থেকে দেড় শ টাকা। প্রতিদিন ব্যবসার লাভের অংশ থেকে এই টাকাটা বাঁশিওয়ালাদের দিয়ে দিলেই কেল্লাফতে! কেউ আসবে না তাদের সরিয়ে দিতে। কার আছে এত বুকের পাটা?
কে সেই বাঁশিওয়ালা, সেটা নিয়ে ভাবতে হলে ধাঁধায় পড়ার কোনো সুযোগ নেই। হয় সরকারি দলের মাসলম্যানরা, অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো অশুভ চক্রের হাতেই রয়েছে সেই বাঁশি। এদের ভিত্তিমূল এতটাই শক্ত যে, দিনের পর দিন এরা ফুটপাত দখল করে রাখলেও কেউ টুঁ শব্দটি করতে পারবে না।
যে কেউ ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ করলেই এরকম শত শত ফুটপাতের বাজার দেখতে পাবেন। সবখানেই রয়েছে সেই বাঁশিওয়ালাদের দৌরাত্ম্য। সমাজে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি তাদের কাজটা ঠিক ভাবে করে, তাহলে তাদের মধ্যে থাকা অশুভ চক্র অথবা ক্ষমতাসীনদের মাস্তান বাহিনী ফুটপাত দখল করতে পারে না। এখনো যে পারছে, তার অর্থ একটাই, তারা ঠিকভাবে কাজ করছে না।
আগের কালে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এমন কিছু মানুষ থাকত, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার হতো। সরকার তাদের কথার মূল্য দিত। ইদানিং সেটাও চোখে পড়ছে কম। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ঘটনা দিনে দিনে কমছে। এটা কোনো শুভ লক্ষণ নয়। এই বাঁশিওয়ালারা যত দিন দাপটের সঙ্গে টিকে থাকবে, তত দিন দেশের সকল মানুষকেই ফুটপাতে গড়ে ওঠা বাজারকে সমীহ করেই চলতে হবে। অন্যথা হতে পারে শুধু পাশার দান উল্টে গেলে। হঠাৎ করে এই বাঁশিওয়ালার বাঁশিটি কেড়ে নিলেই ফুটপাত দিয়ে হাঁটবে পথচারী।
সেই সম্ভাবনা আছে কি নেই, সে প্রশ্ন কাকে করতে হবে, সেটাও এক মস্ত ধাঁধা। এই ধাঁধার ঘোরে থাকতে থাকতেই বাঁশিওয়ালার কর্তৃত্বে আরও কিছু নতুন দখলদারিত্বের খবর পড়ার জন্য মনকে প্রস্তুত করা ছাড়া উপায় আছে কি?
কয়েক দিন আগে অর্থ আত্মসাতের একটি খবর পাঠ করলাম। অবশ্য তা আমাদের দেশের নয়। দেশের অর্থ আত্মসাতের খবর প্রতিদিন কাগজে ছাপা হয়, পড়ি আর বিস্মিত হই। ক্ষুব্ধ হই। অসহায়ত্ব প্রকাশ করি। এই প্রেক্ষাপটে যখন ভিন্ন দেশের খবর পড়ি, তখনো কিছুটা অবাকই হই।
৯ ঘণ্টা আগেসাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা আমেরিকার প্রভাবশালী দ্বিদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থার বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও অনেকেই ভেবেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দফার জয় একটি বিচ্যুতি। তারপর অবশ্য ট্রাম্পের দ্বিতীয় বিজয় বা যাকে ট্রাম্প-২.০ বলা হচ্ছে, সেই নির্বাচন একটি বিষয় নিশ
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বাম আন্দোলনের বিকাশ ও ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল কিন্তু তাকে কাজে লাগানো যায়নি। এই সংকট নিয়ে অনেক আলোচনা-বিশ্লেষণ হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সংকট না কমে বরং বেড়েছে। বাম দলগুলোও আরও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রভাব ও আকৃতির দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও যা আছে তা নিয়ে এভাবে নিজেদে
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আন্তক্যাডার বৈষম্য নিয়ে দ্বন্দ্ব ৫ আগস্টের পর ব্যাপকভাবে প্রকাশ্যে আসা শুরু করে। বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করা সরকারের ২৬টি ক্যাডারে সবাই একই পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রবেশ করলেও ধীরে ধীরে ক্যাডারভেদে বৈষম্য প্রকট হয়ে ওঠে।
৯ ঘণ্টা আগে