সম্পাদকীয়
সমাজের মধ্যে কিছু মানুষ বিনা পরিশ্রমে সম্পত্তির মালিক হতে চান। সেটা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ব্যাপক মাত্রায় বিস্তৃত হয়েছে। ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার খবর অহরহ প্রকাশ পাচ্ছে এখন। এসব কাজ করে সম্পদের মালিক হচ্ছেন আমাদের দেশের একশ্রেণির প্রভাবশালী মানুষ। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে কেউ কেউ সে প্রক্রিয়ায় টাকার মালিক হতে পারেন না বলে সম্ভবত গুপ্তধনের বদৌলতে সম্পদের মালিক হতে চান।
এ রকমই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে। লেবু মিয়া নামের এক যুবক মাটি কাটার সময় গ্রেনেডকে গুপ্তধন ভেবে বাড়িতে এনে কখনো বিছানায় আবার কখনো বালিশের নিচে রেখেছেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ৩ ডিসেম্বর একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সম্পদের লোভ কার না থাকে! ছোটবেলায় অনেকের রূপকথার সে গল্প শোনারও অভিজ্ঞতা আছে। সোনার হাঁড়ি খুঁজে পাওয়ার গল্পও আমরা শুনেছি দাদা-দাদির মুখে। কিন্তু বাস্তবে গুপ্তধন ভেবে কেউ যদি গ্রেনেড পেয়ে যায়, সেটা একটা দুঃখের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
মাসখানেক পর লেবু মিয়া যখন পাওয়া বস্তুটি ভাঙার চেষ্টা করেন, তখনই আসল ব্যাপারটি তিনিসহ তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছে উন্মোচিত হয়ে যায়। বারবার ভাঙার চেষ্টার পর যখন সেটি আর ভাঙা সম্ভব হয় না, তখন বুঝতে পারেন, বস্তুটি আসলে গুপ্তধন নয়। সেটা বোমাসদৃশ কোনো বস্তু। অবশেষে তাঁরা বিজিবির সাহায্য নিয়ে জানতে পারেন বস্তুটি আসলে একটি গ্রেনেড। ঘটনাটি তাঁরা না লুকিয়ে বিজিবির সাহায্য নিয়ে বুদ্ধিমত্তারই পরিচয় দিয়েছেন। মরচেপড়া গ্রেনেডটি হয়তো মুক্তিযুদ্ধ বা তার আগের কোনো এক সময়ের পতিত গ্রেনেড। কিন্তু যেকোনো যুদ্ধের প্রাচীন এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্রটি যে এত দিন লেবু মিয়ার বালিশের নিচে ছদ্মবেশে শুয়ে ছিল, তা ভাবলে সত্যিই গা শিউরে ওঠে।
ঘটনাটি যেমন হাস্যরসাত্মক, তেমনি শিক্ষণীয়ও। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রতিটি প্রাপ্তিই ভালো নয়। বিশেষত, মাটির নিচ থেকে পাওয়া বিশেষ বস্তুগুলো যে গুপ্তধন হবে, তা নয়। এগুলো বিপজ্জনক, এমনকি প্রাণঘাতীও হতে পারে।
সামাজিক বাস্তবতায় এমন ঘটনা নতুন নয়। লোককথার প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণ কখনো কখনো যুক্তি আর বাস্তবতাকে ম্লান করে দেয়। তবু আমাদের এমন কাণ্ডকারখানার মাঝে একরাশ রোমাঞ্চ আর অদ্ভুত সুন্দর গল্প লুকিয়ে থাকে। নবীনগরের এই ঘটনা নিশ্চয় লেবু মিয়ার জীবনের অন্যতম ‘গুপ্তধন স্মৃতি’ হয়ে থাকবে। তবে আমাদের সবার এ থেকে বিশেষ কিছু শিক্ষণীয় ব্যাপার আছে।
ঘটনাটি শিক্ষণীয় গল্প হিসেবে নিলে সবারই লাভ হবে। কারও জীবনে এমন প্রাপ্তি ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করাই হবে যৌক্তিক। নতুবা গুপ্তধনের জায়গায় যদি আপনি সত্যিকার গ্রেনেড বা বোমা পেয়ে যান, তাহলে সেটা হয়তো লাভের বদলে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!
সমাজের মধ্যে কিছু মানুষ বিনা পরিশ্রমে সম্পত্তির মালিক হতে চান। সেটা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ব্যাপক মাত্রায় বিস্তৃত হয়েছে। ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার খবর অহরহ প্রকাশ পাচ্ছে এখন। এসব কাজ করে সম্পদের মালিক হচ্ছেন আমাদের দেশের একশ্রেণির প্রভাবশালী মানুষ। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে কেউ কেউ সে প্রক্রিয়ায় টাকার মালিক হতে পারেন না বলে সম্ভবত গুপ্তধনের বদৌলতে সম্পদের মালিক হতে চান।
এ রকমই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে। লেবু মিয়া নামের এক যুবক মাটি কাটার সময় গ্রেনেডকে গুপ্তধন ভেবে বাড়িতে এনে কখনো বিছানায় আবার কখনো বালিশের নিচে রেখেছেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ৩ ডিসেম্বর একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সম্পদের লোভ কার না থাকে! ছোটবেলায় অনেকের রূপকথার সে গল্প শোনারও অভিজ্ঞতা আছে। সোনার হাঁড়ি খুঁজে পাওয়ার গল্পও আমরা শুনেছি দাদা-দাদির মুখে। কিন্তু বাস্তবে গুপ্তধন ভেবে কেউ যদি গ্রেনেড পেয়ে যায়, সেটা একটা দুঃখের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
মাসখানেক পর লেবু মিয়া যখন পাওয়া বস্তুটি ভাঙার চেষ্টা করেন, তখনই আসল ব্যাপারটি তিনিসহ তাঁর পরিবারের লোকজনের কাছে উন্মোচিত হয়ে যায়। বারবার ভাঙার চেষ্টার পর যখন সেটি আর ভাঙা সম্ভব হয় না, তখন বুঝতে পারেন, বস্তুটি আসলে গুপ্তধন নয়। সেটা বোমাসদৃশ কোনো বস্তু। অবশেষে তাঁরা বিজিবির সাহায্য নিয়ে জানতে পারেন বস্তুটি আসলে একটি গ্রেনেড। ঘটনাটি তাঁরা না লুকিয়ে বিজিবির সাহায্য নিয়ে বুদ্ধিমত্তারই পরিচয় দিয়েছেন। মরচেপড়া গ্রেনেডটি হয়তো মুক্তিযুদ্ধ বা তার আগের কোনো এক সময়ের পতিত গ্রেনেড। কিন্তু যেকোনো যুদ্ধের প্রাচীন এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্রটি যে এত দিন লেবু মিয়ার বালিশের নিচে ছদ্মবেশে শুয়ে ছিল, তা ভাবলে সত্যিই গা শিউরে ওঠে।
ঘটনাটি যেমন হাস্যরসাত্মক, তেমনি শিক্ষণীয়ও। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রতিটি প্রাপ্তিই ভালো নয়। বিশেষত, মাটির নিচ থেকে পাওয়া বিশেষ বস্তুগুলো যে গুপ্তধন হবে, তা নয়। এগুলো বিপজ্জনক, এমনকি প্রাণঘাতীও হতে পারে।
সামাজিক বাস্তবতায় এমন ঘটনা নতুন নয়। লোককথার প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণ কখনো কখনো যুক্তি আর বাস্তবতাকে ম্লান করে দেয়। তবু আমাদের এমন কাণ্ডকারখানার মাঝে একরাশ রোমাঞ্চ আর অদ্ভুত সুন্দর গল্প লুকিয়ে থাকে। নবীনগরের এই ঘটনা নিশ্চয় লেবু মিয়ার জীবনের অন্যতম ‘গুপ্তধন স্মৃতি’ হয়ে থাকবে। তবে আমাদের সবার এ থেকে বিশেষ কিছু শিক্ষণীয় ব্যাপার আছে।
ঘটনাটি শিক্ষণীয় গল্প হিসেবে নিলে সবারই লাভ হবে। কারও জীবনে এমন প্রাপ্তি ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করাই হবে যৌক্তিক। নতুবা গুপ্তধনের জায়গায় যদি আপনি সত্যিকার গ্রেনেড বা বোমা পেয়ে যান, তাহলে সেটা হয়তো লাভের বদলে বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!
পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষায় এ রকম ব্যত্যয় আছে কি না জানি না। আমাদের দেশেরই গারো সম্প্রদায়ের ভাষায় ‘ধর্ষণ’ বলে কোনো শব্দ নেই। ভাষাটিতে নতুন করে এমন কোনো শব্দ তৈরি হয়নি—এই জনগোষ্ঠীর আবির্ভাবের পর থেকেই—সেটি হাজার বছর হতে পারে, আবার শত বছরও হতে পারে।
১ দিন আগেবাংলা ভাষার সঙ্গে ইংরেজি বা অন্য ভাষার সংমিশ্রণ, যা আজ আধুনিকতায় পরিণত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষা বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। ভাষা হলো মানুষের মনের ভাব প্রকাশক মৌলিক একক। প্রত্যেক জাতির ভান্ডারে তার স্বতন্ত্র মাতৃভাষা রয়েছে। যে মাতৃভাষায় ভাব প্রকাশ করে সেই জাতির প্রতিটি মানুষ। ভাষার প্রতি ভালোবাসা ব
১ দিন আগেবাংলা ভাষায় একটি অতিপরিচিত শব্দ হলো ধুরন্ধর। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে কমবেশি আমরা সবাই শব্দটি ব্যবহার করেছি; কখনোবা এ শব্দের প্রায়োগিক ব্যবহারের স্বীকার হয়েছি। বিশেষ করে ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে আমরা শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। উল্লেখ্য শব্দটির বর্তমান ব্যবহার স্পষ্টতই
১ দিন আগেসেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যে বক্তব্য দিয়েছেন গত মঙ্গলবার, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে। ২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায়
১ দিন আগে