সম্পাদকীয়
আজকের পত্রিকার বিনোদন ডেস্ক মারফত একটি দারুণ তথ্য জানা গেল। ১৯৭১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিটলস গ্রুপ-খ্যাত জন লেনন একটি চিঠি লিখেছিলেন সুগায়ক ও গিটারিস্ট এরিক ক্ল্যাপটনকে। তত দিনে বিটলস ছেড়েছেন লেনন, নতুন স্ত্রী ইয়োকো ওনোর সঙ্গে কাটাচ্ছেন রোমান্টিক সময়। গান নিয়ে মগ্ন আছেন। আর খবরটি থেকে এ কথাও জানা যাচ্ছে, এরিক ক্ল্যাপটন একসময় লেননের সঙ্গে বাজিয়েছেন গিটার। ছিলেন লিড গিটারিস্ট। ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল সেই সম্পর্কের স্থিতি। এরপর আলাদা হয়ে যান তাঁরা। একাত্তরে এসে আবার লেনন এগিয়ে আসেন মাদকাসক্ত ক্ল্যাপটনের সাহায্যার্থে। সে সময়ই ক্ল্যাপটনকে ৮ পৃষ্ঠার চিঠিটি লেখেন লেনন।
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে এই চিঠি লেখার আগেই লেননের সঙ্গে দেখা হতে পারত এরিক ক্ল্যাপটনের। ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ নামের যে কনসার্টটির আয়োজন করেছিলেন রবি শঙ্কর ও আরেক বিটল জর্জ হ্যারিসন মিলে, তাতে লেননকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এরিক ক্ল্যাপটনকেও। লেনন এই কনসার্টে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু তাঁর ছিল এক শর্ত—লেননের সঙ্গে ইয়োকো ওনোকেও কনসার্টে অংশ নিতে দিতে হবে। এই শর্ত মেনে নেননি জর্জ হ্যারিসন। অনেকেই মনে করে থাকেন, ষাটের দশকে বিশ্ব মাতিয়ে দেওয়া ব্রিটিশ ছোকরা চতুষ্টয়ের তৈরি বিটলস ব্যান্ডটি ষাটের শেষে ভেঙে যাওয়ার একটি বড় কারণ ছিল ইয়োকো ওনোর সঙ্গে লেননের সম্পর্কের বিষয়টি। জর্জ হ্যারিসন, জন লেনন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টার যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে, তখনই ভেঙে গেল দলটি। কিন্তু ইংরেজি গানের যাঁরা ভক্ত, তাঁরা বিটলসের মনমাতানো পারফরম্যান্সের কথা ভোলেন না।
১৯৭১ সালের পয়লা আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এসেছিল কনসার্ট দেখার জন্য। একটি নয়, দুটি কনসার্ট করা হয়েছিল সেদিন। প্রায় আড়াই লাখ ডলার উঠেছিল সে কনসার্ট থেকে। কনসার্টে যে সাংবাদিকেরা এসেছিলেন পত্রিকার পক্ষ থেকে, তাঁরা বিনে পয়সায় কনসার্ট দেখেননি। তাঁরাও একটি মোটা অঙ্কের টাকা তুলে দিয়েছিলেন কনসার্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ইউনিসেফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আমরা জানি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ব জনমত তৈরিতে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। জন লেনন যদি সে কনসার্টে অংশ নিতেন, তাহলে তা বিটলস-ভক্তদের মন ভরিয়ে দিত। আর সেখানেই দেখা হয়ে যেতে পারত জন লেননের সঙ্গে এরিক ক্ল্যাপটনের। তাহলে হয়তো লেনন এই বিশাল চিঠিটি লিখতেন না ক্ল্যাপটনকে। তার আগেই তাঁরা সামনাসামনি কথা বলে নিতে পারতেন।
এই চিঠির সূত্রে ১৯৭১ সালকে আবার অনুভব করা গেল। কত ঘটনাই না ঘটে থাকে পৃথিবীতে। যে ঘটনা স্পর্শ করে মনকে, তার রেশ থেকে যায় আজীবন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ এক অনন্য নাম। সেই সালটিতে যা যা ঘটেছে, তার সঙ্গে নিজেদের ইতিহাস মিলিয়ে দেখতে ভালো লাগে।
আজকের পত্রিকার বিনোদন ডেস্ক মারফত একটি দারুণ তথ্য জানা গেল। ১৯৭১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিটলস গ্রুপ-খ্যাত জন লেনন একটি চিঠি লিখেছিলেন সুগায়ক ও গিটারিস্ট এরিক ক্ল্যাপটনকে। তত দিনে বিটলস ছেড়েছেন লেনন, নতুন স্ত্রী ইয়োকো ওনোর সঙ্গে কাটাচ্ছেন রোমান্টিক সময়। গান নিয়ে মগ্ন আছেন। আর খবরটি থেকে এ কথাও জানা যাচ্ছে, এরিক ক্ল্যাপটন একসময় লেননের সঙ্গে বাজিয়েছেন গিটার। ছিলেন লিড গিটারিস্ট। ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল সেই সম্পর্কের স্থিতি। এরপর আলাদা হয়ে যান তাঁরা। একাত্তরে এসে আবার লেনন এগিয়ে আসেন মাদকাসক্ত ক্ল্যাপটনের সাহায্যার্থে। সে সময়ই ক্ল্যাপটনকে ৮ পৃষ্ঠার চিঠিটি লেখেন লেনন।
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে এই চিঠি লেখার আগেই লেননের সঙ্গে দেখা হতে পারত এরিক ক্ল্যাপটনের। ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ নামের যে কনসার্টটির আয়োজন করেছিলেন রবি শঙ্কর ও আরেক বিটল জর্জ হ্যারিসন মিলে, তাতে লেননকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এরিক ক্ল্যাপটনকেও। লেনন এই কনসার্টে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু তাঁর ছিল এক শর্ত—লেননের সঙ্গে ইয়োকো ওনোকেও কনসার্টে অংশ নিতে দিতে হবে। এই শর্ত মেনে নেননি জর্জ হ্যারিসন। অনেকেই মনে করে থাকেন, ষাটের দশকে বিশ্ব মাতিয়ে দেওয়া ব্রিটিশ ছোকরা চতুষ্টয়ের তৈরি বিটলস ব্যান্ডটি ষাটের শেষে ভেঙে যাওয়ার একটি বড় কারণ ছিল ইয়োকো ওনোর সঙ্গে লেননের সম্পর্কের বিষয়টি। জর্জ হ্যারিসন, জন লেনন, পল ম্যাকার্টনি আর রিঙ্গো স্টার যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে, তখনই ভেঙে গেল দলটি। কিন্তু ইংরেজি গানের যাঁরা ভক্ত, তাঁরা বিটলসের মনমাতানো পারফরম্যান্সের কথা ভোলেন না।
১৯৭১ সালের পয়লা আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এসেছিল কনসার্ট দেখার জন্য। একটি নয়, দুটি কনসার্ট করা হয়েছিল সেদিন। প্রায় আড়াই লাখ ডলার উঠেছিল সে কনসার্ট থেকে। কনসার্টে যে সাংবাদিকেরা এসেছিলেন পত্রিকার পক্ষ থেকে, তাঁরা বিনে পয়সায় কনসার্ট দেখেননি। তাঁরাও একটি মোটা অঙ্কের টাকা তুলে দিয়েছিলেন কনসার্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ইউনিসেফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আমরা জানি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ব জনমত তৈরিতে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। জন লেনন যদি সে কনসার্টে অংশ নিতেন, তাহলে তা বিটলস-ভক্তদের মন ভরিয়ে দিত। আর সেখানেই দেখা হয়ে যেতে পারত জন লেননের সঙ্গে এরিক ক্ল্যাপটনের। তাহলে হয়তো লেনন এই বিশাল চিঠিটি লিখতেন না ক্ল্যাপটনকে। তার আগেই তাঁরা সামনাসামনি কথা বলে নিতে পারতেন।
এই চিঠির সূত্রে ১৯৭১ সালকে আবার অনুভব করা গেল। কত ঘটনাই না ঘটে থাকে পৃথিবীতে। যে ঘটনা স্পর্শ করে মনকে, তার রেশ থেকে যায় আজীবন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ এক অনন্য নাম। সেই সালটিতে যা যা ঘটেছে, তার সঙ্গে নিজেদের ইতিহাস মিলিয়ে দেখতে ভালো লাগে।
আওয়ামী লীগের অন্ধভক্ত অনেকেই এখনো গলাবাজি করে চলেছেন যে হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে বাংলাদেশে প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জিত হয়েছে। এসব গলাবাজি যাঁরা করেন তাঁরা প্রকৃতপক্ষে অর্থনীতি সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল নন।
১১ ঘণ্টা আগেদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরুদ্বিগ্ন একজন মানুষও বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। অর্থনৈতিক, সামাজিক, আইনশৃঙ্খলা—সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আপাতদৃষ্টিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক বেশি রকম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
১১ ঘণ্টা আগেদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি জটিল ও অস্থির হয়ে ওঠার লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের কর্মকাণ্ড, এই সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন-সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে একধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেমুখপুস্তক বা ফেসবুক আমাদের জনগোষ্ঠীর মনের অবস্থা বোঝার ক্ষুদ্র জানালা হলেও অগুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার-এক্স বা থ্রেডস নয়, এ দেশের আমজনতার কাছে জনপ্রিয় হলো ফেসবুক। তারা এর ভেতর দিয়ে নিজেকে অবিরত প্রকাশ করে, আবার খবরাখবরও সংগ্রহ করে,
১ দিন আগে