সম্পাদকীয়
চালের বাজার এখন যেন এক রহস্যময় জাদুর বাক্স! আপাতদৃষ্টিতে দেখলে হয়তো মনে হবে সরকার ও ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে চাল আমদানি, মজুত এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের মন্ত্র পাঠ করছেন। কিন্তু সেই মন্ত্রের জাদু সাধারণ মানুষের থালায় চালের পরিমাণ বাড়াতে পারছে না, বরং দিন দিন সংকুচিতই হচ্ছে। ১৭ মার্চ আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘মজুত বেড়েছে, দামও চড়েছে’ শিরোনামের সংবাদটি পড়ে এসব তথ্য যাচাই করে নিতে পারেন পাঠক।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গুদামভর্তি চাল। আমদানি হচ্ছে প্রচুর, অথচ বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিক। ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ব্যাপারটা এমন যে মেঘ দেখে বৃষ্টি আশা করেছিল সবাই, কিন্তু এখানে মেঘ জমেছে, গরমও বাড়ছে, শুধু বৃষ্টি নামছে না!
ব্যবসায়ীদের মতে, ধানের ঘাটতির কারণে সরু চালের দাম বাড়ছে। আবার সরকারি হিসাব বলছে, দেশে পর্যাপ্ত চালের মজুত আছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে, এই চাল যাচ্ছে কোথায়? গুদামে চাল থাকলে বাজারে এর প্রভাব পড়ে না কেন? বাজার যেন এক অতল গহ্বর, যেখানে সরকারি মজুতের কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। চাহিদা বেশি এবং সরবরাহ কম হলে অনেক সময় কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু এখন তো চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি নেই। তাহলে চালের দাম বাড়ে কেন?
গত ছয় মাসে চালের দাম বেড়েছে তিন দফায়। রোজার মধ্যেও কিছু কিছু চালের দাম বেড়েছে দুই-তিন টাকা। এদিকে বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কাউসার আজমের কাছ থেকে আশ্বাস মিলছে যে বোরো ধান এলেই দাম কমবে। এ তো ওই গল্পটির মতো—সামনের মাসে বেতন বাড়বে, কিন্তু সেই সামনের মাস আর আসে না! দাম কমার প্রতিশ্রুতি যেন এমন এক মরীচিকা, যা ধরা দিতে দিতেই মিলিয়ে যায়।
সরকার ওএমএস কার্যক্রমের মাধ্যমে খোলাবাজারে চাল বিক্রির চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটা সীমিত পরিমাণে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার তদারকি বাড়াতে হবে, ব্যবসায়ীদের মজুতের ওপর নজরদারি করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ব্যবসায়ীরা তদারকির আগেই দাম বাড়িয়ে ফেলেন, ফলে সরকার যখন ব্যবস্থা নিতে যায়, ততক্ষণে জনগণের কপালে পড়ে নতুন চিন্তার ভাঁজ।
বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা অনুসরণ করা গেলে চালের বাজারে ‘ম্যাজিক শো’ বন্ধ করা যেতে পারে। সেই শো এমন যেখানে ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, সরকার—সবাই নিজেদের মতো করে শোডাউন করে চলছে আর সাধারণ মানুষ এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে খালি হাতে, হাততালি দেওয়া ছাড়া তাদের যেন আর কোনো উপায় নেই!
এ ক্ষেত্রে অন্তত সরকার একাই পারে মুশকিল আসান করে দিতে। সরকারের তরফ থেকে ওএমএসসহ অন্যান্য খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বাড়ালে পণ্যবাজারে প্রভাবটা ইতিবাচক পড়বে। আরও বেশি মানুষ যদি সরকারের কাছ থেকে কম দামে চাল ও অন্যান্য পণ্য পেতে পারে, তাহলে মানুষ যেমন স্বস্তি পাবে, বাজারব্যবস্থাও কিছুটা শান্ত হয়ে আসতে পারে।
চালের বাজার এখন যেন এক রহস্যময় জাদুর বাক্স! আপাতদৃষ্টিতে দেখলে হয়তো মনে হবে সরকার ও ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে চাল আমদানি, মজুত এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের মন্ত্র পাঠ করছেন। কিন্তু সেই মন্ত্রের জাদু সাধারণ মানুষের থালায় চালের পরিমাণ বাড়াতে পারছে না, বরং দিন দিন সংকুচিতই হচ্ছে। ১৭ মার্চ আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘মজুত বেড়েছে, দামও চড়েছে’ শিরোনামের সংবাদটি পড়ে এসব তথ্য যাচাই করে নিতে পারেন পাঠক।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গুদামভর্তি চাল। আমদানি হচ্ছে প্রচুর, অথচ বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিক। ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ব্যাপারটা এমন যে মেঘ দেখে বৃষ্টি আশা করেছিল সবাই, কিন্তু এখানে মেঘ জমেছে, গরমও বাড়ছে, শুধু বৃষ্টি নামছে না!
ব্যবসায়ীদের মতে, ধানের ঘাটতির কারণে সরু চালের দাম বাড়ছে। আবার সরকারি হিসাব বলছে, দেশে পর্যাপ্ত চালের মজুত আছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে, এই চাল যাচ্ছে কোথায়? গুদামে চাল থাকলে বাজারে এর প্রভাব পড়ে না কেন? বাজার যেন এক অতল গহ্বর, যেখানে সরকারি মজুতের কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। চাহিদা বেশি এবং সরবরাহ কম হলে অনেক সময় কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু এখন তো চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি নেই। তাহলে চালের দাম বাড়ে কেন?
গত ছয় মাসে চালের দাম বেড়েছে তিন দফায়। রোজার মধ্যেও কিছু কিছু চালের দাম বেড়েছে দুই-তিন টাকা। এদিকে বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কাউসার আজমের কাছ থেকে আশ্বাস মিলছে যে বোরো ধান এলেই দাম কমবে। এ তো ওই গল্পটির মতো—সামনের মাসে বেতন বাড়বে, কিন্তু সেই সামনের মাস আর আসে না! দাম কমার প্রতিশ্রুতি যেন এমন এক মরীচিকা, যা ধরা দিতে দিতেই মিলিয়ে যায়।
সরকার ওএমএস কার্যক্রমের মাধ্যমে খোলাবাজারে চাল বিক্রির চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটা সীমিত পরিমাণে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার তদারকি বাড়াতে হবে, ব্যবসায়ীদের মজুতের ওপর নজরদারি করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ব্যবসায়ীরা তদারকির আগেই দাম বাড়িয়ে ফেলেন, ফলে সরকার যখন ব্যবস্থা নিতে যায়, ততক্ষণে জনগণের কপালে পড়ে নতুন চিন্তার ভাঁজ।
বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা অনুসরণ করা গেলে চালের বাজারে ‘ম্যাজিক শো’ বন্ধ করা যেতে পারে। সেই শো এমন যেখানে ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, সরকার—সবাই নিজেদের মতো করে শোডাউন করে চলছে আর সাধারণ মানুষ এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে খালি হাতে, হাততালি দেওয়া ছাড়া তাদের যেন আর কোনো উপায় নেই!
এ ক্ষেত্রে অন্তত সরকার একাই পারে মুশকিল আসান করে দিতে। সরকারের তরফ থেকে ওএমএসসহ অন্যান্য খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বাড়ালে পণ্যবাজারে প্রভাবটা ইতিবাচক পড়বে। আরও বেশি মানুষ যদি সরকারের কাছ থেকে কম দামে চাল ও অন্যান্য পণ্য পেতে পারে, তাহলে মানুষ যেমন স্বস্তি পাবে, বাজারব্যবস্থাও কিছুটা শান্ত হয়ে আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট ২০২৪ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের পর সংবিধান সংস্কারের জন্য যে কমিশন গঠন করেছিল, তারা গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওয়েবসাইটে তাদের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন...
২১ ঘণ্টা আগেসংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে টানাপোড়েন আগে থেকেই চলে এসেছে। তারপর যত দিন যাচ্ছে ততই এই বিষয় নিয়ে দেশের রাজনীতিতে নতুন একটি মেরুকরণের সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। নতুন এই মেরুকরণের এক মেরুতে বিএনপি। সংস্কার ও নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে শতভাগ সহমত পোষণ করে অন্য কোন কোন দল তাদের সঙ্গে থাকবে...
২১ ঘণ্টা আগেঈদে ঢাকা ছাড়বে অন্তত এক কোটি মানুষ। বিমান, রেলগাড়ি, লঞ্চ বা স্টিমারে এই যাত্রীদের একটা অংশ ঢাকা ছাড়বেন ঠিকই, কিন্তু মূল চাপটি থাকবে স্থলপথে। প্রতিবারের মতোই ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথগুলোয় ভোগান্তিতে পড়তে পারে শিকড়ের টানে বাড়ি ফেরার পথে থাকা মানুষ। এ নিয়ে ২০ মার্চ আজকের পত্রিকায় মূল শিরোনাম হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেআমরা আমাদের সমাজকে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছি, যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার কোনো পথ আর নেই। কোন জায়গায় নিয়ে এসেছি? যে জায়গায় গণতান্ত্রিক চর্চা শূন্যের কোঠায়, যেখানে প্রতিক্রিয়াশীলতার বাড়বাড়ন্ত। একদিকে গণতন্ত্র খুঁজে পাওয়ার জন্য আমাদের মরিয়া প্রচেষ্টা, অপরদিকে নারীরা সমাজে ধর্ষিত, যারপরনাই নিগৃহীত ও নিষ্পেষিত।
২ দিন আগে