সম্পাদকীয়
কারও মজা, কারও মৃত্যু বা চিরজীবনের কান্না। কারও খামখেয়ালিপনা, অন্যের সারা জীবনের অঙ্গহানি। যারা এ মজা বা খামখেয়ালিপনা করে অন্য মানুষের জীবনে কান্না নিয়ে আসে, তারা জানে না যে মজার ছলে তারা যা করে, এটি রীতিমতো অপরাধ। যে অপরাধ অমার্জনীয়।
বলছি চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার অপরাধ নিয়ে। বাংলাদেশে যুগের পর যুগ ধরে চলছে এ অন্যায়। এ ব্যাধি কমছে না; বরং বাড়ছে। দেশের একটি বা দুটি জায়গায় নয়; এই পাথর ছোড়ার ঘটনা এখন ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত গত আট মাসে মোট ৮৬টি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ট্রেনের ৭৯টি গ্লাস ভেঙেছে। আহত হয়েছেন মোট ২১ জন।
আর পাথর ছোড়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে টঙ্গী, গাজীপুর, নরসিংদী, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া, গফরগাঁও, সরিষাবাড়ী, দেওয়ানগঞ্জ, সিলেট, পার্বতীপুর, পঞ্চগড়, সৈয়দপুরসহ অন্তত ৩০টি স্থানে। তালিকা থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি অপ্রতিরোধ্যভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়। এই পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় যাঁরা আহতদের বেশির ভাগই চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন।
যেমন ৩ সেপ্টেম্বর ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার মো. কাওছার আহমেদ ট্রেন চালিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার পথে ভৈরব স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের শিকার হন। ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে ঢুকে পড়ে কাওছারের চোখে। ট্রেন থামিয়ে দ্রুত তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকার একটি হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসায় চোখ ফিরে পেলেও এখনো তিনি চোখে সমস্যা বোধ করছেন এবং আতঙ্কে আছেন।
একইভাবে গত ১৫ আগস্ট নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় চলন্ত ট্রেনে ছোড়া পাথরের আঘাতে আজমির ইসলাম নামের এক শিশুর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে শিশুটির এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যেতে পারে!
জানা যায়, স্থানীয় উঠতি বয়সীরা খেলার ছলে ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারে। আবার রেললাইনের আশপাশে গড়ে ওঠা বস্তির লোকজন এ ধরনের কার্যকলাপ করে থাকে। তা ছাড়া, ওই সব এলাকার মাদক সেবনকারীরাও ট্রেনে পাথর ছুড়ে থাকে।
যুগের পর যুগ ধরে চলা এ অপকর্ম কি থামানোর কোনো পথ নেই? এরা কি এতটাই বেপরোয়া আর অপ্রতিরোধ্য যে, কেউই তাদের থামাতে পারছে না? আমরা মনে করি, এটা কমিয়ে এনে একপর্যায়ে তা থামানো সম্ভব। এ জন্য প্রথম কাজ হবে পরিবারের, অভিভাবকদের। তাঁরা তাঁদের সন্তানদের বোঝাবেন। ইমাম, পুরোহিত, শিক্ষকেরা এসব এলাকার মানুষ ও উঠতি ছেলেদের এর কুফল বুঝিয়ে সচেতন করতে পারেন।
যারা এ অপরাধে জড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর মাদকসেবীদের পাঠানো যায় নিরাময় কেন্দ্রে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত এলাকাগুলোয় সচেতনতামূলক প্রচারণার কর্মসূচি নিতে পারে। পুরো বিষয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগও করতে হবে। একটি সভ্য সমাজে অনন্তকাল কারও মজার জন্য কারও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলতে পারে না।
কারও মজা, কারও মৃত্যু বা চিরজীবনের কান্না। কারও খামখেয়ালিপনা, অন্যের সারা জীবনের অঙ্গহানি। যারা এ মজা বা খামখেয়ালিপনা করে অন্য মানুষের জীবনে কান্না নিয়ে আসে, তারা জানে না যে মজার ছলে তারা যা করে, এটি রীতিমতো অপরাধ। যে অপরাধ অমার্জনীয়।
বলছি চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ার অপরাধ নিয়ে। বাংলাদেশে যুগের পর যুগ ধরে চলছে এ অন্যায়। এ ব্যাধি কমছে না; বরং বাড়ছে। দেশের একটি বা দুটি জায়গায় নয়; এই পাথর ছোড়ার ঘটনা এখন ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত গত আট মাসে মোট ৮৬টি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ট্রেনের ৭৯টি গ্লাস ভেঙেছে। আহত হয়েছেন মোট ২১ জন।
আর পাথর ছোড়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে টঙ্গী, গাজীপুর, নরসিংদী, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া, গফরগাঁও, সরিষাবাড়ী, দেওয়ানগঞ্জ, সিলেট, পার্বতীপুর, পঞ্চগড়, সৈয়দপুরসহ অন্তত ৩০টি স্থানে। তালিকা থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি অপ্রতিরোধ্যভাবে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়। এই পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় যাঁরা আহতদের বেশির ভাগই চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন।
যেমন ৩ সেপ্টেম্বর ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার মো. কাওছার আহমেদ ট্রেন চালিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার পথে ভৈরব স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের শিকার হন। ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে ঢুকে পড়ে কাওছারের চোখে। ট্রেন থামিয়ে দ্রুত তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকার একটি হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসায় চোখ ফিরে পেলেও এখনো তিনি চোখে সমস্যা বোধ করছেন এবং আতঙ্কে আছেন।
একইভাবে গত ১৫ আগস্ট নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় চলন্ত ট্রেনে ছোড়া পাথরের আঘাতে আজমির ইসলাম নামের এক শিশুর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে শিশুটির এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যেতে পারে!
জানা যায়, স্থানীয় উঠতি বয়সীরা খেলার ছলে ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারে। আবার রেললাইনের আশপাশে গড়ে ওঠা বস্তির লোকজন এ ধরনের কার্যকলাপ করে থাকে। তা ছাড়া, ওই সব এলাকার মাদক সেবনকারীরাও ট্রেনে পাথর ছুড়ে থাকে।
যুগের পর যুগ ধরে চলা এ অপকর্ম কি থামানোর কোনো পথ নেই? এরা কি এতটাই বেপরোয়া আর অপ্রতিরোধ্য যে, কেউই তাদের থামাতে পারছে না? আমরা মনে করি, এটা কমিয়ে এনে একপর্যায়ে তা থামানো সম্ভব। এ জন্য প্রথম কাজ হবে পরিবারের, অভিভাবকদের। তাঁরা তাঁদের সন্তানদের বোঝাবেন। ইমাম, পুরোহিত, শিক্ষকেরা এসব এলাকার মানুষ ও উঠতি ছেলেদের এর কুফল বুঝিয়ে সচেতন করতে পারেন।
যারা এ অপরাধে জড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর মাদকসেবীদের পাঠানো যায় নিরাময় কেন্দ্রে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত এলাকাগুলোয় সচেতনতামূলক প্রচারণার কর্মসূচি নিতে পারে। পুরো বিষয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগও করতে হবে। একটি সভ্য সমাজে অনন্তকাল কারও মজার জন্য কারও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলতে পারে না।
তথ্যের অফুরন্ত ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও আজ লেখাটির ইতি টানব। আশা করব, ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের কেউ একজন আমার হাত থেকে রিলে রেসের ব্যাটনটি তুলে নেবেন এবং ইতিহাসের এই স্বল্প আলোকপাত করা বিষয়টি নিয়ে গভীর গবেষণা করবেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে বিজয় দিবস এক অনন্য দিন। স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের সব দিন সমান গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিজয় দিবস সবচেয়ে বেশি গৌরবের। কেন জানি না, দিনটি তেমনভাবে উদ্যাপিত হয় না। তেমন আলোড়নও দেখি না, যা সত্যিকার অর্থে ছিল বিজয়ের প্রাপ্য। অথচ আমি এমন দুজন বিদেশির কথা জানি, যাঁরা আমার সঙ্গে...
১৩ ঘণ্টা আগেবিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রতিবছর উদ্যাপনের যেমন উদ্যোগ-আয়োজন দেখা যায়, এবার তেমন দেখা যায়নি। আমার কাছে অন্তত তা-ই মনে হয়েছে। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পালাবদল কি সত্যি আমাদের চিন্তাচেতনায় বড় পরিবর্তন এনেছে? গণতন্ত্রের ঢং দেখিয়ে টানা ক্ষমতায় থাকা শাসকগোষ্ঠীকে পরাভূত করা নিশ্চয়ই গৌরবের। কিন্তু সে গৌরব কি...
১৩ ঘণ্টা আগে১৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে এক মাতাল চালকের গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ নিহত হন। আহত হন মেহেদী হাসান খান ও অমিত সাহা নামের বুয়েটের সিএসই বিভাগের আরও দুই শিক্ষার্থী। মেহেদী রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ
১৩ ঘণ্টা আগে