সম্পাদকীয়
তিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন। আহাদ বেঁচে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর পল্লবীর বাইগারটেক এলাকায়। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, আহাদ মোল্লা পেশায় বাসাবাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এবং তাঁর স্ত্রী রোজিনা আক্তার অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে কলহ ছিল না। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ঋণগ্রস্ত থাকার কারণে আহাদ মোল্লা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
ইদানীং অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং আর্থিক টানাপোড়েন পরিবারের শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। অভিভাবকদের আক্রোশ গিয়ে পড়ছে তাদের জীবনের ওপর। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, প্রতিশোধ কিংবা অপরাধ আড়াল করতে কখনো মা-বাবাসহ আপনজন হয়ে উঠছেন শিশুদের ঘাতক।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের স্বল্প আয়ে সংসার চালানো খুব কঠিন। এ শ্রেণির মানুষ দিনযাপনের বাড়তি টাকার জন্য ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার ঋণের টাকা পরিশোধের চাপ থাকে।
এ মানসিক চাপ সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। আহাদ মোল্লা হয়তো মানসিক চাপ সামাল দিতে না পেরে শিশুসন্তানদের হত্যা এবং নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে চাপমুক্ত হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো বাবাই কি তাঁর স্নেহাস্পদ সন্তানকে এভাবে হত্যা করতে পারেন?
আমরা ঘটনার পরম্পরায় রোহান ও মুসাকে হত্যার জন্য তাদের বাবাকে দায়ী করতে পারি। কিন্তু এই বাবা রাষ্ট্র আর সমাজকে একটা ধাক্কা দিলেন যেন। মনে করিয়ে দিলেন, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ বলে ১৪০ টাকা কেজি দরের টমেটো তো দূরের কথা, ৭০ টাকা দরের আলুও কিনে খেতে পারছি না। আহাদ মোল্লা কেন ঋণ করেছিলেন, তা স্পষ্ট না হলেও এটুকু বলা যায়, যে সন্তানদের লালনপালন করতে মা-বাবারা আয় করেন, তাদের মানুষ করতে অন্যের কাছে ঋণ করেন, সেইসব মা-বাবা হয়তো ‘মৃত্যু’কে সহজ মনে করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অন্যায়-অপরাধের পথ কখনোই সহজ হয় না।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কাছে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার দাবি থাকতেই পারে। এটা সবার অধিকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের এই প্রত্যাশা করা ও দাবি তোলা নিশ্চয়ই অমূলক নয়—অন্তত বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনুন, সব ক্ষেত্রের সিন্ডিকেট ভাঙুন, আগামী প্রজন্মের সুশিক্ষা নিশ্চিত করুন। তাহলে হয়তো কোনো মা কিংবা বাবাকে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মানসিক চাপ সহ্য করতে হবে না, সন্তানের গায়ে ফুলের টোকা দেওয়া তো দূরের বিষয়।
তিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন। আহাদ বেঁচে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর পল্লবীর বাইগারটেক এলাকায়। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় রোববার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, আহাদ মোল্লা পেশায় বাসাবাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এবং তাঁর স্ত্রী রোজিনা আক্তার অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে কলহ ছিল না। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ঋণগ্রস্ত থাকার কারণে আহাদ মোল্লা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
ইদানীং অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং আর্থিক টানাপোড়েন পরিবারের শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। অভিভাবকদের আক্রোশ গিয়ে পড়ছে তাদের জীবনের ওপর। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, প্রতিশোধ কিংবা অপরাধ আড়াল করতে কখনো মা-বাবাসহ আপনজন হয়ে উঠছেন শিশুদের ঘাতক।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের স্বল্প আয়ে সংসার চালানো খুব কঠিন। এ শ্রেণির মানুষ দিনযাপনের বাড়তি টাকার জন্য ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার ঋণের টাকা পরিশোধের চাপ থাকে।
এ মানসিক চাপ সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। আহাদ মোল্লা হয়তো মানসিক চাপ সামাল দিতে না পেরে শিশুসন্তানদের হত্যা এবং নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে চাপমুক্ত হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো বাবাই কি তাঁর স্নেহাস্পদ সন্তানকে এভাবে হত্যা করতে পারেন?
আমরা ঘটনার পরম্পরায় রোহান ও মুসাকে হত্যার জন্য তাদের বাবাকে দায়ী করতে পারি। কিন্তু এই বাবা রাষ্ট্র আর সমাজকে একটা ধাক্কা দিলেন যেন। মনে করিয়ে দিলেন, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ বলে ১৪০ টাকা কেজি দরের টমেটো তো দূরের কথা, ৭০ টাকা দরের আলুও কিনে খেতে পারছি না। আহাদ মোল্লা কেন ঋণ করেছিলেন, তা স্পষ্ট না হলেও এটুকু বলা যায়, যে সন্তানদের লালনপালন করতে মা-বাবারা আয় করেন, তাদের মানুষ করতে অন্যের কাছে ঋণ করেন, সেইসব মা-বাবা হয়তো ‘মৃত্যু’কে সহজ মনে করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অন্যায়-অপরাধের পথ কখনোই সহজ হয় না।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কাছে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার দাবি থাকতেই পারে। এটা সবার অধিকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের এই প্রত্যাশা করা ও দাবি তোলা নিশ্চয়ই অমূলক নয়—অন্তত বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনুন, সব ক্ষেত্রের সিন্ডিকেট ভাঙুন, আগামী প্রজন্মের সুশিক্ষা নিশ্চিত করুন। তাহলে হয়তো কোনো মা কিংবা বাবাকে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মানসিক চাপ সহ্য করতে হবে না, সন্তানের গায়ে ফুলের টোকা দেওয়া তো দূরের বিষয়।
আনু মুহাম্মদ অর্থনীতিবিদ ও অ্যাকটিভিস্ট। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক। দীর্ঘ সময় তিনি জাতীয় স্বার্থে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির অন্যতম সংগঠক।
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য দেড় শ সুপারিশ করেছে এ-সম্পর্কিত কমিশন—যেগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সত্যিই একটা গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব। যদিও কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া কঠিন।
৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরেও ফরিদপুরের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী খায়রুজ্জামান খাজার কর্মকাণ্ডের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাবেক মন্ত্রী আবদুর রহমানের কাছের লোক ছিলেন। এখন হয়েছেন যুবদল নেতা। ফলে তাঁর দাপট সমানতালে চলছে। এ নিয়ে ১৫ জানুয়ারি আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে!’ এটি একটি প্রবাদ বাক্য। আমরা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বোঝাতে গিয়ে প্রবাদ বাক্য ব্যবহার করে থাকি। যে বাক্য বা উক্তি সংক্ষিপ্ত আকারে এবং রূপক আকারে বিশেষ অর্থ বহন করে, যার মাঝে কোনো বাস্তব সত্য নিহিত রয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে লোকের মুখে মুখে চলে আসছে, তাকেই আমরা প্রবাদ...
১ দিন আগে