নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার নির্দেশ দিয়ে যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো আন্দোলনে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে গণহত্যাকারীদের চিহ্নিত করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করে দেশ ও জাতিকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
এ ছাড়া যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসহ সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মজলিসে শূরা।
মজলিসে শূরার উদ্বোধনী বক্তব্যে গত ১৫ বছর জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চরম নির্যাতন করা হয়েছে উল্লেখ করে সংগঠনটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েই জালিমরা ক্ষ্যান্ত হয়নি, বরং আলেমদের মুখ না খুলতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিগত সরকারের দুঃশাসনের সাড়ে ১৫ বছর আমাদের রাস্তায় নামতে দেওয়া হয়নি। মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করায় সরকারের অকথ্য জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদও আমরা করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকার ক্ষমতার লোভে জেদের বশবর্তী হয়ে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার শুধু স্থলভাগেই নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করেছে। স্বাধীন দেশে পরিচালিত এই গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে সাড়ে ১৫ বছর আমাদের সঙ্গে যে বৈরিতা করা হয়েছে, আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, অফিসগুলোতে তালা ঝোলানো হয়েছে, আমাদের স্বস্তির সঙ্গে চলতে দেওয়া হয়নি, দফায় দফায় আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে বিভিন্নভাবে। শেষ পর্যন্ত দিশাহারা সরকার শেষ মুহূর্তে আমাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের কলিজা ঠান্ডা করেছে। আমরা বলেছি আমরা প্রতিশোধ নেব না, এর মানে হচ্ছে আমরা নিজের হাতে আইন তুলে নেব না। কিন্তু যিনি সুনির্দিষ্ট অপরাধ করেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং তাকে শাস্তি পেতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং গত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব অপরাধ করা হয়েছে, তার বিচার করতে হবে।’
দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের পরিচালনায় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার নির্দেশ দিয়ে যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো আন্দোলনে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে গণহত্যাকারীদের চিহ্নিত করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করে দেশ ও জাতিকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
এ ছাড়া যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসহ সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মজলিসে শূরা।
মজলিসে শূরার উদ্বোধনী বক্তব্যে গত ১৫ বছর জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চরম নির্যাতন করা হয়েছে উল্লেখ করে সংগঠনটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েই জালিমরা ক্ষ্যান্ত হয়নি, বরং আলেমদের মুখ না খুলতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিগত সরকারের দুঃশাসনের সাড়ে ১৫ বছর আমাদের রাস্তায় নামতে দেওয়া হয়নি। মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করায় সরকারের অকথ্য জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদও আমরা করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকার ক্ষমতার লোভে জেদের বশবর্তী হয়ে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার শুধু স্থলভাগেই নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করেছে। স্বাধীন দেশে পরিচালিত এই গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে সাড়ে ১৫ বছর আমাদের সঙ্গে যে বৈরিতা করা হয়েছে, আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, অফিসগুলোতে তালা ঝোলানো হয়েছে, আমাদের স্বস্তির সঙ্গে চলতে দেওয়া হয়নি, দফায় দফায় আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে বিভিন্নভাবে। শেষ পর্যন্ত দিশাহারা সরকার শেষ মুহূর্তে আমাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের কলিজা ঠান্ডা করেছে। আমরা বলেছি আমরা প্রতিশোধ নেব না, এর মানে হচ্ছে আমরা নিজের হাতে আইন তুলে নেব না। কিন্তু যিনি সুনির্দিষ্ট অপরাধ করেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং তাকে শাস্তি পেতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং গত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব অপরাধ করা হয়েছে, তার বিচার করতে হবে।’
দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের পরিচালনায় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১৫ ঘণ্টা আগেনাছিম বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি, অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়...
১৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলে চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর...
১৮ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা করেন তিনি। পরে বিকেল ৪টার আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি...
১৯ ঘণ্টা আগে