মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ২২: ২২
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০০: ২২

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঢাকার উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে আদালতে হাজির করার পর আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

রাতে মির্জা ফখরুলকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। তবে শুনানির সময় তাকে এজলাসে নেওয়া হয়নি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। 

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিনের আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুপুর ১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ওই মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে পুলিশ রমনা থানায় মামলা দায়ের করে।

এর আগে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে তাকে আদালতে নেওয়া হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীতরাত সোয়া ৯ টার দিকে মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। ৪০ মিনিট শুনানি হয়।

তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন মেজবাহসহ ৫০ জনেরও বেশি আইনজীবী।

জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু ও রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ফকির।

শুনানিতে মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মির্জা ফখরুলকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারে ঘটনাস্থলে মির্জা ফখরুল উপস্থিত ছিলেন এই ধরনের কোনো কথা উল্লেখ নেই। মির্জা ফখরুল অসুস্থ। তাকে আজ রোববার গুলশানের বাসভবন থেকে আটক করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই।

পক্ষান্তরে রাষ্ট্রপক্ষে পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, গতকাল সমাবেশ নিয়ে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র করে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশ হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। এই দায়-দায়িত্ব মির্জা ফখরুল এড়াতে পারেন না। তার পরিকল্পনায় এই ঘটনা ঘটেছে।

আদালতে হট্টগোল: মির্জা ফখরুলের পক্ষে বিএনপি সমর্থক একজন আইনজীবী শুনানি করতে গিয়ে বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। তারা হামলা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়েছে। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা হইচই শুরু করেন। পরে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরাও চিৎকার শুরু করেন। এদিকে মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবিতে আইনজীবীরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মিছিল সমাবেশ করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

ভারত ও তরুণ প্রজন্মের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রসঙ্গে যা বললেন মির্জা ফখরুল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত