Ajker Patrika

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত হয়েছি: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ২৮
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে আশাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘অনেকে আশান্বিত হয়েছেন। আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটা রূপ রেখে দেবেন।’

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি, কারণ নির্বাচন দিলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় যায় বা না যায়—সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু আজকে যারা ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, তারা তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে।’

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংস্কার আমরা চাই না শুধু, আমরা সংস্কার শুরু করেছি। সংস্কার আমরা অবশ্যই চাইব এবং সংস্কার আমরা করব। আপনারা দয়া করে জিনিসটা যেভাবে সুন্দর হয়, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেভাবে এগিয়ে যান। আমরা এখনো পর্যন্ত আপনাদের কোনো বাধা সৃষ্টি করিনি। উল্টো আপনাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।’

সচিবালয়ে স্বৈরাচারীর দোসরেরা বসে আছে মন্তব্য করে সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘কীভাবে কাজ করবেন আপনি? আপনি কাদের দিয়ে সংস্কার করবেন। এরা তো সংস্কার করতে দেবে না আপনাকে।’

শাসনব্যবস্থা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওই দিকে একটু লক্ষ্য দিতে হবে। এমনভাবে দেশ চালান যেন মানুষ স্বস্তি পায়, শান্তি পায়। স্বস্তির কারণ নাই। দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে, তাতে তো শান্তি পাওয়ার কোনা কারণ নাই। তা-ও দেশের মানুষ মেনে নিচ্ছে। তাদের প্রত্যাশা আপনারা তাঁদের সুন্দর একটা জিনিস দেবেন। সেটাকে দৃশ্যমান করেন যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সিন্ডিকেটগুলোকে ভাঙার চেষ্টা করেন।’

সংস্কার প্রসঙ্গে ফখরুল আরও বলেন, ‘সংস্কারের জন্য এই সরকার অনেক কমিশন গঠন করেছে। তাদের প্রতি আমাদের এবং জনগণের আস্থা আছে। কিন্তু আমরা চাইব, সেটা দ্রুত শেষ করে নির্বাচনকেন্দ্রিক যে সংস্কারব্যবস্থা, সেটির মাধ্যমে আমরা আলোর দিকে এগিয়ে যাব।’

নির্বাচন যত দেরি হবে তত বিতর্ক সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেরি হলে বাংলাদেশের শত্রুরা সংগঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরও দুই বছর আগেই ৩১ দফা সংস্কারের কথা বলেছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও আগে থেকেই এই সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাই আমরা অবশ্যই সংস্কার চাই এবং সেই সময়টা যেন অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে হয়। যেন মনে না করে যেন তারাই ক্ষমতায় থেকে যাবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে সভায় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত