নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়ার দাবিসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়ে এসেছে বিএনপি। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নির্বাচন সরকারের এক নম্বর প্রায়োরিটি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এনআইডি কার্ড স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেওয়ার জন্য যে আইন করা হয়েছে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে তা বাতিল করতে বলেছি। তা ছাড়া, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যেন কখনো নির্বাচন সংস্কার কমিটিতে না যায়, সেই কথা বলেছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ২০১৪, ’১৮ এবং ’২৪ সালের নির্বাচনে যেসব প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার ছিল তাদের ভুয়া, ব্যর্থ ও পক্ষপাতমূলক নির্বাচন করার অভিযোগে তাদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।
নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য মূল হোতা বিচারপতি খায়রুল হক দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার মূল নায়ক ছিলেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।
প্রশাসনে যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হয়ে কাজ করেছে, সহায়তা করেছে, লুটপাট, অনাচার, অত্যাচার, গুম-খুনে জড়িত তাদের বেশির ভাগ এখনো স্ব স্ব জায়গায় বহাল আছে, তাদের অবিলম্বে সরিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্বে আনার কথা বলেছি।
তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত জেলা প্রশাসক কীভাবে নিয়োগ পেয়েছে, তা বিএনপি জানতে চেয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল করতে বলেছি। যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে ফিট লিস্ট করতে বলেছি। চুক্তিভিত্তিক কিছু নিয়োগ বাতিল করতে বলেছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দু-এক জন আছেন, যাঁরা বিপ্লবের মূল স্প্রিরিটকে ব্যাহত করছেন। তাঁদের সরানোর কথা বলেছি। গত ১৫ বছরের পদোন্নতি বঞ্চিত সরকারি কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে বিএনপি প্রস্তাব করেছে বলে জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বেশির ভাগ নিয়োগই ছিল দলীয় ভিত্তিতে। প্রায় ৩০ জন বিচারক এখনো বহাল তবিয়তে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। দলকানা বিচারকদের অপসারণ করতে বলেছি। অতি দ্রুত পিপি-জিপি নতুন করে নিয়োগ করতে বলেছি।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের (দুর্নীতি, হত্যা) জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা উদ্বেগজনক। এটা দেখতে বলেছি। ২০০৭ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আমলের দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা, গায়েবি, ভুয়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাজানো মামলা প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
বিগত সরকারের মন্ত্রী, সাবেক আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা কীভাবে পালাচ্ছেন, কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে। তা দেখার জন্য বলেছি।
আরেকটা বিষয় আমরা জোর দিয়ে বলেছি, পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। সেখানে থেকে তাঁকে কেন্দ্র করে যেসব প্রচার চলছে, অপপ্রচার চলছে, এ বিষয়ে ভারত সরকারর সঙ্গে আলোচনার জন্য এবং ওই অবস্থা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে বলেছি। তারা ভারত সরকারকে অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অস্থিরতার চেষ্টা হচ্ছে। বলেছি এটা আরও গভীরভাবে দেখে, কারা এ ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউল আহসান ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অবিলম্বে সকলে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে বলেছি। ব্যবস্থা নিতে বলেছি। জাতিসংঘের একটি দল এসেছে বাংলাদেশে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের সহযোগিতা করছে না সংশ্লিষ্টরা।
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কিছু সনাতনী মানুষ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উসকে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, অত্যাচার হচ্ছে বলে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। এটা মিথ্যা। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এটাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়ার দাবিসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়ে এসেছে বিএনপি। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নির্বাচন সরকারের এক নম্বর প্রায়োরিটি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এনআইডি কার্ড স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেওয়ার জন্য যে আইন করা হয়েছে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে তা বাতিল করতে বলেছি। তা ছাড়া, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যেন কখনো নির্বাচন সংস্কার কমিটিতে না যায়, সেই কথা বলেছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ২০১৪, ’১৮ এবং ’২৪ সালের নির্বাচনে যেসব প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার ছিল তাদের ভুয়া, ব্যর্থ ও পক্ষপাতমূলক নির্বাচন করার অভিযোগে তাদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।
নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য মূল হোতা বিচারপতি খায়রুল হক দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার মূল নায়ক ছিলেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।
প্রশাসনে যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হয়ে কাজ করেছে, সহায়তা করেছে, লুটপাট, অনাচার, অত্যাচার, গুম-খুনে জড়িত তাদের বেশির ভাগ এখনো স্ব স্ব জায়গায় বহাল আছে, তাদের অবিলম্বে সরিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্বে আনার কথা বলেছি।
তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত জেলা প্রশাসক কীভাবে নিয়োগ পেয়েছে, তা বিএনপি জানতে চেয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল করতে বলেছি। যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে ফিট লিস্ট করতে বলেছি। চুক্তিভিত্তিক কিছু নিয়োগ বাতিল করতে বলেছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দু-এক জন আছেন, যাঁরা বিপ্লবের মূল স্প্রিরিটকে ব্যাহত করছেন। তাঁদের সরানোর কথা বলেছি। গত ১৫ বছরের পদোন্নতি বঞ্চিত সরকারি কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে বিএনপি প্রস্তাব করেছে বলে জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বেশির ভাগ নিয়োগই ছিল দলীয় ভিত্তিতে। প্রায় ৩০ জন বিচারক এখনো বহাল তবিয়তে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। দলকানা বিচারকদের অপসারণ করতে বলেছি। অতি দ্রুত পিপি-জিপি নতুন করে নিয়োগ করতে বলেছি।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের (দুর্নীতি, হত্যা) জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা উদ্বেগজনক। এটা দেখতে বলেছি। ২০০৭ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আমলের দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা, গায়েবি, ভুয়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাজানো মামলা প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
বিগত সরকারের মন্ত্রী, সাবেক আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা কীভাবে পালাচ্ছেন, কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে। তা দেখার জন্য বলেছি।
আরেকটা বিষয় আমরা জোর দিয়ে বলেছি, পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। সেখানে থেকে তাঁকে কেন্দ্র করে যেসব প্রচার চলছে, অপপ্রচার চলছে, এ বিষয়ে ভারত সরকারর সঙ্গে আলোচনার জন্য এবং ওই অবস্থা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে বলেছি। তারা ভারত সরকারকে অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অস্থিরতার চেষ্টা হচ্ছে। বলেছি এটা আরও গভীরভাবে দেখে, কারা এ ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউল আহসান ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অবিলম্বে সকলে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে বলেছি। ব্যবস্থা নিতে বলেছি। জাতিসংঘের একটি দল এসেছে বাংলাদেশে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের সহযোগিতা করছে না সংশ্লিষ্টরা।
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কিছু সনাতনী মানুষ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উসকে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, অত্যাচার হচ্ছে বলে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। এটা মিথ্যা। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এটাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের মানুষ ‘খুব ভালোবাসে ও সম্মান দেয়’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর উদ্দেশে বলেছেন, ‘একটাই অনুরোধ করব, আপনার জায়গাটা কোনোভাবে নষ্ট যেন না হয়, সেদিকে সজাগ থাকবেন।’
৮ ঘণ্টা আগেদেশের জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
৯ ঘণ্টা আগেন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর–রুনি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার ১১ মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসাইনের বেঞ্চ এসব মামলা বাতিল
১৪ ঘণ্টা আগে