নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুই দফা বৈঠক করেছে জাতীয় পার্টি। অনানুষ্ঠানিক এসব বৈঠকে নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। নির্বাচন ইস্যুতেই কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে মুখ খুলছেন না জাপার নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক কথা বলবেন বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, দুই বৈঠকেই জাতীয় পার্টির নেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল সমঝোতার ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগি। কিন্তু আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা মেলেনি।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় দলের ছয় কো–চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যান জিএম কাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেখা করতে যান। অল্প সময়ের এই বৈঠকে তাঁরা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতার ভিত্তিতে আসন ছাড় দেওয়া নিয়ে কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রধান তাঁদের বলেন, আসন নিয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
এ বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতারা মুখ খুলছেন না।
আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির দুই নেতা গুলশানে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতার বাসায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
বৈঠকের পর জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছে, তারা তাদের নির্বাচন করবে। আমরা আমাদের প্রার্থী দিয়েছি, আমরা আমাদের নির্বাচন করব।’ তবে জোট গঠন বা আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা কত দূর এগুলো, সে প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জাতীয় পার্টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করবে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জাতীয় সংসদে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।’
বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠক দুটিতে। এ সময় দীর্ঘদিনের মিত্র হিসেবে এবার সর্বোচ্চ আসনে ছাড় বা সমঝোতা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে, কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। দেখা যাক...।’
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতির ভিন্নমত থাকাটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। ১৪ দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, দু–এক দিনের মধ্যে আসনের বিষয়টি ঠিক হবে। আর জাতীয় পার্টি একসময় আমাদের মহাজোটে ছিল। তারা নির্বাচন করছে। সুতরাং আলোচনা হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
এর আগের দিন মঙ্গলবার জোটগতভাবে নির্বাচন করার কথা জানিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগি নির্ধারিত হবে। জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুই দফা বৈঠক করেছে জাতীয় পার্টি। অনানুষ্ঠানিক এসব বৈঠকে নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। নির্বাচন ইস্যুতেই কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে মুখ খুলছেন না জাপার নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক কথা বলবেন বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, দুই বৈঠকেই জাতীয় পার্টির নেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল সমঝোতার ভিত্তিতে আসন ভাগাভাগি। কিন্তু আওয়ামী লীগের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা মেলেনি।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় দলের ছয় কো–চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যান জিএম কাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেখা করতে যান। অল্প সময়ের এই বৈঠকে তাঁরা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতার ভিত্তিতে আসন ছাড় দেওয়া নিয়ে কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রধান তাঁদের বলেন, আসন নিয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
এ বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতারা মুখ খুলছেন না।
আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির দুই নেতা গুলশানে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতার বাসায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
বৈঠকের পর জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছে, তারা তাদের নির্বাচন করবে। আমরা আমাদের প্রার্থী দিয়েছি, আমরা আমাদের নির্বাচন করব।’ তবে জোট গঠন বা আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা কত দূর এগুলো, সে প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জাতীয় পার্টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করবে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জাতীয় সংসদে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।’
বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠক দুটিতে। এ সময় দীর্ঘদিনের মিত্র হিসেবে এবার সর্বোচ্চ আসনে ছাড় বা সমঝোতা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে, কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। দেখা যাক...।’
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনীতির ভিন্নমত থাকাটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। ১৪ দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, দু–এক দিনের মধ্যে আসনের বিষয়টি ঠিক হবে। আর জাতীয় পার্টি একসময় আমাদের মহাজোটে ছিল। তারা নির্বাচন করছে। সুতরাং আলোচনা হওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
এর আগের দিন মঙ্গলবার জোটগতভাবে নির্বাচন করার কথা জানিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগি নির্ধারিত হবে। জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের মানুষ ‘খুব ভালোবাসে ও সম্মান দেয়’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর উদ্দেশে বলেছেন, ‘একটাই অনুরোধ করব, আপনার জায়গাটা কোনোভাবে নষ্ট যেন না হয়, সেদিকে সজাগ থাকবেন।’
১০ ঘণ্টা আগেদেশের জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
১১ ঘণ্টা আগেন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর–রুনি মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতার ১১ মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসাইনের বেঞ্চ এসব মামলা বাতিল
১৬ ঘণ্টা আগে