স্বাধীনতা দিবসে সীমান্তে হত্যা প্রমাণ করে দেশের সার্বভৌমত্ব চরম সংকটে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৬: ৪৭
Thumbnail image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা এবং আরেকজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে গেল, কিন্তু ‘ডামি সরকার’ ও সরকারের মন্ত্রীরা নিশ্চুপ হয়ে রইলেন। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ দূরে থাক, টুঁ শব্দটি পর্যন্ত তাঁরা করেননি। দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা এবং লালমনিরহাটে লিটন মিয়া নামে আরেকজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে বিএসএফ একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে, আরেকজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে।’

মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এসব ঘটনা মেনে নিচ্ছে এমন দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তাঁবেদার সরকার।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সবকিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দু ছাড় দেবে না। দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’

একমাত্র অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত