নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে সংলাপ নিয়ে ভাবছে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিদেশি বন্ধুরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং সরকারও সেই ধরনের নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঐতিহাসিক ছয় দফা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভিসা নীতিতে আছে—নির্বাচনে যারা বিশৃঙ্খলা করবে, সন্ত্রাস করবে, যারা নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনে বাধা দেবে তাঁদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। তাঁরা কারা? তাঁরা বিএনপি। বিএনপির সব নেতার গলা শুকিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এখন কথার ছলে আমু ভাই কী এক সংলাপের কথা বলেছে। তাঁরা এটাকে আসল কথা ভেবে, এখন সংলাপের মুলা দেখে আবারও তাঁদের জিহ্বা বেরিয়ে এসেছে। হবে না, হবে না। আপাতত আমরা ভাবছি না। ভাবব কি না, সেটা পরে দেখা যাবে। আপাতত আপনাদের সংলাপের মুলা ঝুলিয়ে টেবিলে বসাব? গতবারের কথা মনে আছে? একবার না দুই বার তাঁদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কি? জগাখিচুড়ি।
‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নিশ্চিত ছাড়া সংলাপ নয়’ মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেবের জিহ্বায় পানি আসছে। মনে করছেন ঠিক ঠিকই আওয়ামী লীগ তাঁদের সংলাপে ডাকবে। ওই সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। আপনার নেত্রী বলছে শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। আপনি শিশু আর পাগলের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করুন। তারপর দেখা যাবে।
দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না জানিয়ে বিএনপিকে মন খারাপ না করার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে ভেবে ভেবে মন খারাপ করে লাভ নেই। এটা আর আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। মরা কিছুকে জীবিত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা মারিনি, আদালতের আদেশে মরে গেছে। ফখরুল আপনি কেন বারবার আওয়ামী লীগের নামে এই অপবাদ দেন? আপনাকে সতর্ক করছি। আওয়ামী লীগের কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষিদ্ধ করেনি। এটা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।’
কাদের বলেন, ‘আজকে বিদেশি বন্ধুরা চায় নিরপেক্ষ নির্বাচন। তারা চায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের নেত্রী বারবার দেশে-বিদেশে আশ্বস্ত করে বলেছেন সেটা। এ নিয়ে কারও মাথা ব্যথার কারণ নেই। আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন করব।’
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের পরিস্থিতি কি হবে, সেই বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নির্বাচন ব্যবস্থা গিলে খেয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এবার যদি ক্ষমতা ফিরে পায়, তাহলে বিএনপি নামক এই বিষধর সাপের দল গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে। কাজেই দেশের মানুষ সাবধান।
এ সময় বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির কর্মসূচির কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বিএনপির শাসনামলে বিদ্যুতের শোচনীয় অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে ফখরুল সাহেব হঠাৎ পদযাত্রা মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ, মশার কয়েল, পাতিল পাতিল রান্না করে পিকনিক করে। সেই দিন চলে গেছে। কিছুদিন ঝিমিয়ে পড়ে এখন আবার লাফালাফি শুরু করেছে। নিজেরা বিদ্যুৎ দিতে পারেননি দিয়েছেন খাম্বা।
তিনি বলেন, ‘সংকট সারা বিশ্বে। এ জন্য আমাদের দেশে সংকট হয়েছে। এর আগে কোনো সময় বিদ্যুৎ গেছে? কোনো লোডশেডিং হয়েছে? এটা বাংলাদেশে একটা উদাহরণ, বিরাট দৃষ্টান্ত। আজকে আমরা সময় চেয়েছি। আমরা জনগণকে বলেছি ১০-১৫ দিন সহ্য করেন। সবাইকে বলছি, শেখ হাসিনা যা বলেন, তাই করেন। মুখে যা বলেন কাজে তা করেন। কাজেই তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখেন।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
নেতা–কর্মীদের বিশৃঙ্খলা
এদিকে সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি বিশৃঙ্খলা করেছেন কর্মীরা। দুই দফা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায়। পরে কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাবেশ শুরু হলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দিতে থাকেন। পৌনে ৪টার দিকে সমাবেশস্থলে আসেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় যুবলীগের নেতা–কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই সমাবেশের মধ্যস্থলে হঠাৎ করেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল বক্তব্য শুরু করলে বিশৃঙ্খলা শুরু হয় পৌনে ৪টার দিকে। একপর্যায়ে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এ সময় বক্তব্য বন্ধ করে দিয়ে মঞ্চ থেকে নেতারা মাইকে স্লোগান দিতে থাকেন এবং সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।
এরপর আবার বক্তব্য শুরু হলে দ্বিতীয় দফায় সোয়া ৪টার দিকে ফের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় সমাবেশের ঠিক মাঝখানে। এ সময় আবারও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য নেতা–কর্মীদের মাঝেও। তাঁরাও যে যার মতো ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তখন মঞ্চ থেকে বক্তব্য বন্ধ করে স্লোগান দেওয়া হয় এবং সবাইকে শান্ত হওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ সময় মঞ্চ থেকে মাইকে বলতে শোনা যায়, সমাবেশে বিএনপি-জামায়াতের অনুচররা ঢুকে বিশৃঙ্খলা করতে পারে, সেটি যাতে করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সমাবেশে আসা অনেকের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেরানীগঞ্জ–২ আসনের এমপি কামরুল ইসলাম এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেরানীগঞ্জ–২ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহীন আহাম্মেদের লোকজনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সবাইকে শৃঙ্খলা মেনে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। মঞ্চের একেবারে কাছে এসে স্লোগান দিতে থাকায় নেতা–কর্মীদের ধমক দেন তাঁরা।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মাহবুব উল আলম হানিফ বক্তব্য রাখতে গিয়ে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।
আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে সংলাপ নিয়ে ভাবছে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিদেশি বন্ধুরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং সরকারও সেই ধরনের নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঐতিহাসিক ছয় দফা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভিসা নীতিতে আছে—নির্বাচনে যারা বিশৃঙ্খলা করবে, সন্ত্রাস করবে, যারা নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনে বাধা দেবে তাঁদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। তাঁরা কারা? তাঁরা বিএনপি। বিএনপির সব নেতার গলা শুকিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এখন কথার ছলে আমু ভাই কী এক সংলাপের কথা বলেছে। তাঁরা এটাকে আসল কথা ভেবে, এখন সংলাপের মুলা দেখে আবারও তাঁদের জিহ্বা বেরিয়ে এসেছে। হবে না, হবে না। আপাতত আমরা ভাবছি না। ভাবব কি না, সেটা পরে দেখা যাবে। আপাতত আপনাদের সংলাপের মুলা ঝুলিয়ে টেবিলে বসাব? গতবারের কথা মনে আছে? একবার না দুই বার তাঁদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কি? জগাখিচুড়ি।
‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নিশ্চিত ছাড়া সংলাপ নয়’ মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেবের জিহ্বায় পানি আসছে। মনে করছেন ঠিক ঠিকই আওয়ামী লীগ তাঁদের সংলাপে ডাকবে। ওই সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। আপনার নেত্রী বলছে শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। আপনি শিশু আর পাগলের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করুন। তারপর দেখা যাবে।
দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না জানিয়ে বিএনপিকে মন খারাপ না করার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে ভেবে ভেবে মন খারাপ করে লাভ নেই। এটা আর আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। মরা কিছুকে জীবিত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা মারিনি, আদালতের আদেশে মরে গেছে। ফখরুল আপনি কেন বারবার আওয়ামী লীগের নামে এই অপবাদ দেন? আপনাকে সতর্ক করছি। আওয়ামী লীগের কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিষিদ্ধ করেনি। এটা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।’
কাদের বলেন, ‘আজকে বিদেশি বন্ধুরা চায় নিরপেক্ষ নির্বাচন। তারা চায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের নেত্রী বারবার দেশে-বিদেশে আশ্বস্ত করে বলেছেন সেটা। এ নিয়ে কারও মাথা ব্যথার কারণ নেই। আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন করব।’
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের পরিস্থিতি কি হবে, সেই বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নির্বাচন ব্যবস্থা গিলে খেয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এবার যদি ক্ষমতা ফিরে পায়, তাহলে বিএনপি নামক এই বিষধর সাপের দল গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে। কাজেই দেশের মানুষ সাবধান।
এ সময় বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির কর্মসূচির কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বিএনপির শাসনামলে বিদ্যুতের শোচনীয় অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে ফখরুল সাহেব হঠাৎ পদযাত্রা মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ, মশার কয়েল, পাতিল পাতিল রান্না করে পিকনিক করে। সেই দিন চলে গেছে। কিছুদিন ঝিমিয়ে পড়ে এখন আবার লাফালাফি শুরু করেছে। নিজেরা বিদ্যুৎ দিতে পারেননি দিয়েছেন খাম্বা।
তিনি বলেন, ‘সংকট সারা বিশ্বে। এ জন্য আমাদের দেশে সংকট হয়েছে। এর আগে কোনো সময় বিদ্যুৎ গেছে? কোনো লোডশেডিং হয়েছে? এটা বাংলাদেশে একটা উদাহরণ, বিরাট দৃষ্টান্ত। আজকে আমরা সময় চেয়েছি। আমরা জনগণকে বলেছি ১০-১৫ দিন সহ্য করেন। সবাইকে বলছি, শেখ হাসিনা যা বলেন, তাই করেন। মুখে যা বলেন কাজে তা করেন। কাজেই তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখেন।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
নেতা–কর্মীদের বিশৃঙ্খলা
এদিকে সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি বিশৃঙ্খলা করেছেন কর্মীরা। দুই দফা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায়। পরে কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টায় সমাবেশ শুরু হলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দিতে থাকেন। পৌনে ৪টার দিকে সমাবেশস্থলে আসেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় যুবলীগের নেতা–কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই সমাবেশের মধ্যস্থলে হঠাৎ করেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল বক্তব্য শুরু করলে বিশৃঙ্খলা শুরু হয় পৌনে ৪টার দিকে। একপর্যায়ে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এ সময় বক্তব্য বন্ধ করে দিয়ে মঞ্চ থেকে নেতারা মাইকে স্লোগান দিতে থাকেন এবং সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।
এরপর আবার বক্তব্য শুরু হলে দ্বিতীয় দফায় সোয়া ৪টার দিকে ফের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় সমাবেশের ঠিক মাঝখানে। এ সময় আবারও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য নেতা–কর্মীদের মাঝেও। তাঁরাও যে যার মতো ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তখন মঞ্চ থেকে বক্তব্য বন্ধ করে স্লোগান দেওয়া হয় এবং সবাইকে শান্ত হওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ সময় মঞ্চ থেকে মাইকে বলতে শোনা যায়, সমাবেশে বিএনপি-জামায়াতের অনুচররা ঢুকে বিশৃঙ্খলা করতে পারে, সেটি যাতে করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সমাবেশে আসা অনেকের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেরানীগঞ্জ–২ আসনের এমপি কামরুল ইসলাম এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেরানীগঞ্জ–২ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহীন আহাম্মেদের লোকজনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সবাইকে শৃঙ্খলা মেনে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। মঞ্চের একেবারে কাছে এসে স্লোগান দিতে থাকায় নেতা–কর্মীদের ধমক দেন তাঁরা।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মাহবুব উল আলম হানিফ বক্তব্য রাখতে গিয়ে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১৬ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১৮ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে