নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বর্তমানে পুরোপুরি বিপন্ন উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকেরা সত্য লিখলে তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন নেমে আসছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দৈনিক দিনকাল বন্ধের প্রতিবাদে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সত্য লিখতে গেলে বিশেষ করে সরকারের বিপক্ষে যায় এমন খবর ছাপলে হয় গণমাধ্যম বন্ধ করে দিচ্ছে, না হয় সাংবাদিকদের ওপর জুলুম নির্যাতন নেমে আসছে। বর্তমান সরকারের শাসনকালে পঞ্চাশেরও বেশি সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। বহু সম্পাদক ও সাংবাদিককে দেশান্তরী হতে হয়েছে। দেশের শীর্ষ পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে খুনের মামলা। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, গুম-খুনের কথা যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য দৈনিক দিনকাল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।’
দেশে চরম দুঃসময় চলছে জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার, তারা সরকারি জুলুমের শিকার হয়ে কেউ গুম হচ্ছেন, কেউ পঙ্গু হচ্ছেন, অথবা চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের ওপর ফ্যাসিবাদী জুলুম চালাচ্ছে।’
এই সরকারের গণতন্ত্র শুধুমাত্র মুখের কথায় সীমাবদ্ধ উল্লেখ করে ডা. জাহিদ বলেন, ‘এরা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রের শাসন কখনোই করে নাই। তাদের পূর্ব পুরুষেরাও করে নাই। এই সরকারের আমলে যত সংবাদপত্র বন্ধ, সাংবাদিক নির্যাতিত, নিপীড়িত এবং নিহত হয়েছেন, অন্য কোনো সরকারের আমলে এমন ঘটনা ঘটেনি।’
বর্তমান সরকার জনগণের ওপর শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নয় বরং নিজস্ব দলীয় বাহিনী দিয়েও অত্যাচার নির্যাতন করছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় করব। এই সংসদ বিলুপ্ত হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমকে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে এবং সাংবাদিকদের হত্যা ও নির্যাতন করে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা কালাকানুনের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিকাশ সাধিত হলেও বাংলাদেশে একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করা হচ্ছে। এসব কুকর্মের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বর্তমান সরকার ‘গণতন্ত্রের হন্তক’ খেতাব পেয়েছে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য লজ্জার।
কাদের গনি চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। মানুষের স্বাধীনতার মূল শর্ত হচ্ছে বাঁক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মধ্যে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।’
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীন ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমত উল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বর্তমানে পুরোপুরি বিপন্ন উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকেরা সত্য লিখলে তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন নেমে আসছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দৈনিক দিনকাল বন্ধের প্রতিবাদে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সত্য লিখতে গেলে বিশেষ করে সরকারের বিপক্ষে যায় এমন খবর ছাপলে হয় গণমাধ্যম বন্ধ করে দিচ্ছে, না হয় সাংবাদিকদের ওপর জুলুম নির্যাতন নেমে আসছে। বর্তমান সরকারের শাসনকালে পঞ্চাশেরও বেশি সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। বহু সম্পাদক ও সাংবাদিককে দেশান্তরী হতে হয়েছে। দেশের শীর্ষ পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে খুনের মামলা। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, গুম-খুনের কথা যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য দৈনিক দিনকাল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।’
দেশে চরম দুঃসময় চলছে জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার, তারা সরকারি জুলুমের শিকার হয়ে কেউ গুম হচ্ছেন, কেউ পঙ্গু হচ্ছেন, অথবা চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের ওপর ফ্যাসিবাদী জুলুম চালাচ্ছে।’
এই সরকারের গণতন্ত্র শুধুমাত্র মুখের কথায় সীমাবদ্ধ উল্লেখ করে ডা. জাহিদ বলেন, ‘এরা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রের শাসন কখনোই করে নাই। তাদের পূর্ব পুরুষেরাও করে নাই। এই সরকারের আমলে যত সংবাদপত্র বন্ধ, সাংবাদিক নির্যাতিত, নিপীড়িত এবং নিহত হয়েছেন, অন্য কোনো সরকারের আমলে এমন ঘটনা ঘটেনি।’
বর্তমান সরকার জনগণের ওপর শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নয় বরং নিজস্ব দলীয় বাহিনী দিয়েও অত্যাচার নির্যাতন করছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় করব। এই সংসদ বিলুপ্ত হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমকে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে এবং সাংবাদিকদের হত্যা ও নির্যাতন করে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা কালাকানুনের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিকাশ সাধিত হলেও বাংলাদেশে একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করা হচ্ছে। এসব কুকর্মের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বর্তমান সরকার ‘গণতন্ত্রের হন্তক’ খেতাব পেয়েছে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য লজ্জার।
কাদের গনি চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। মানুষের স্বাধীনতার মূল শর্ত হচ্ছে বাঁক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মধ্যে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।’
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীন ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমত উল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৫ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে