নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দল ও মতকে দমনে সরকার কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধী নেতাদের ফোন হ্যাক করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটি এই সভার আয়োজন করে।
সভায় উদ্বেগের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ইসরায়েল একটা ডিভাইস আবিষ্কার করেছে। এই ডিভাইসটার নাম তারা দিয়েছে পেগাসাস। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো মানুষের যেকোনো টেলিফোন তার মধ্যে কী কথা হচ্ছে—কী টেক্সট পাঠাচ্ছে, সেসব নিয়ে নিতে পারে। বিরোধী দলকে দমনের জন্য, বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এই প্রযুক্তি নিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) এখন বিরোধী নেতাদের ফোন হ্যাক করছে।’
এর কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশ হতে পারে না। গণতন্ত্র, রাজনীতি—এটা আমার অধিকার। এখানে সরকার ইচ্ছা করলেই আমার সবকিছু হরণ করতে পারে না।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে—এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা খবর পাচ্ছি—তারা বিরোধী দলকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আবারও চক্রান্তে মেতে উঠেছে। এখন তারা (আওয়ামী লীগ) সব কাজ করছে—কীভাবে বিরোধী দলকে আটকে রাখা যায়। কীভাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচন থেকে বেআইনি ঘোষণা করা যায় বেআইনি আইনের মধ্য দিয়ে। কীভাবে দেশে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করা যায়, যাতে করে বিরোধী দল নির্বাচনে না আসতে পারে।’
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে ফখরুল বলেন, ‘গত এক মাসে বিএনপির প্রায় ৮ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি। এটা গণতন্ত্রের লক্ষণ, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনের লক্ষণ! এটা প্রমাণ করে তাদের পরিষ্কার লক্ষ্য তারা আবারও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে পুরোপুরি বিরাজনীতিকরণ করবে। নির্বাচন করবে বিরোধী দল ছাড়াই এবং বিরোধী দলের নেতারা যেন কেউ নির্বাচন করতে না পারে।’
সময় বেশি নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এনপিপি, জাতীয় পার্টি, জাগপা—গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে সরকারের বিরুদ্ধে তারা আজকে সবাই ঐক্যবদ্ধ একটি বিষয়ে, আমাদের খুব পরিষ্কার কথা, এ দেশে আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, নির্বাচন ছাড়া তো গণতন্ত্র টিকবে না কিন্তু সেই নির্বাচনটা অবশ্যই হতে হবে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে। সেটা হতে হবে এই সরকারকে পদত্যাগ করে। কারণ, এরা অবৈধ সরকার।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে বলছে যে এদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে সমঝোতা করলে হয় না? এদের সঙ্গে সমঝোতা করে তো কোনো লাভ হবে না। এবার আবার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করবে। যারা অন্যের অধিকারে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাদের সঙ্গে কী আলাপ করব?’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে অতীতে সংলাপের অভিজ্ঞতা তিক্ত ছিল জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘২০১৮-তে দেশের স্বার্থে আমরা তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে সংলাপ করেছি। ওই সংলাপে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির মামলা আমরা করি নাই, করব না। আমার ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনে আসেন। অবাধ, সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যারা জয়ী হবে, তারা ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে—তার পরে পরেই শুরু হলো গায়েবি মামলা। একই সঙ্গে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়তে থাকল। পরে যা ঘটল—আগের রাতেই ভোট করে তারা ক্ষমতায় গেল।’
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১১ সালের ১০ মে বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন করা যেতে পারে। কিন্তু সরকার এ নিয়ে ডাহা মিথ্যাচার করছে। কারণ, তারা দেখেছে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হলে ভোট পাবে না।’
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দল ও মতকে দমনে সরকার কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধী নেতাদের ফোন হ্যাক করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটি এই সভার আয়োজন করে।
সভায় উদ্বেগের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ইসরায়েল একটা ডিভাইস আবিষ্কার করেছে। এই ডিভাইসটার নাম তারা দিয়েছে পেগাসাস। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো মানুষের যেকোনো টেলিফোন তার মধ্যে কী কথা হচ্ছে—কী টেক্সট পাঠাচ্ছে, সেসব নিয়ে নিতে পারে। বিরোধী দলকে দমনের জন্য, বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এই প্রযুক্তি নিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) এখন বিরোধী নেতাদের ফোন হ্যাক করছে।’
এর কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশ হতে পারে না। গণতন্ত্র, রাজনীতি—এটা আমার অধিকার। এখানে সরকার ইচ্ছা করলেই আমার সবকিছু হরণ করতে পারে না।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে—এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা খবর পাচ্ছি—তারা বিরোধী দলকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আবারও চক্রান্তে মেতে উঠেছে। এখন তারা (আওয়ামী লীগ) সব কাজ করছে—কীভাবে বিরোধী দলকে আটকে রাখা যায়। কীভাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচন থেকে বেআইনি ঘোষণা করা যায় বেআইনি আইনের মধ্য দিয়ে। কীভাবে দেশে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করা যায়, যাতে করে বিরোধী দল নির্বাচনে না আসতে পারে।’
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে ফখরুল বলেন, ‘গত এক মাসে বিএনপির প্রায় ৮ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি। এটা গণতন্ত্রের লক্ষণ, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনের লক্ষণ! এটা প্রমাণ করে তাদের পরিষ্কার লক্ষ্য তারা আবারও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে পুরোপুরি বিরাজনীতিকরণ করবে। নির্বাচন করবে বিরোধী দল ছাড়াই এবং বিরোধী দলের নেতারা যেন কেউ নির্বাচন করতে না পারে।’
সময় বেশি নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এনপিপি, জাতীয় পার্টি, জাগপা—গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে সরকারের বিরুদ্ধে তারা আজকে সবাই ঐক্যবদ্ধ একটি বিষয়ে, আমাদের খুব পরিষ্কার কথা, এ দেশে আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, নির্বাচন ছাড়া তো গণতন্ত্র টিকবে না কিন্তু সেই নির্বাচনটা অবশ্যই হতে হবে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে। সেটা হতে হবে এই সরকারকে পদত্যাগ করে। কারণ, এরা অবৈধ সরকার।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে বলছে যে এদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে সমঝোতা করলে হয় না? এদের সঙ্গে সমঝোতা করে তো কোনো লাভ হবে না। এবার আবার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করবে। যারা অন্যের অধিকারে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাদের সঙ্গে কী আলাপ করব?’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে অতীতে সংলাপের অভিজ্ঞতা তিক্ত ছিল জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘২০১৮-তে দেশের স্বার্থে আমরা তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে সংলাপ করেছি। ওই সংলাপে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির মামলা আমরা করি নাই, করব না। আমার ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনে আসেন। অবাধ, সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যারা জয়ী হবে, তারা ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে—তার পরে পরেই শুরু হলো গায়েবি মামলা। একই সঙ্গে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়তে থাকল। পরে যা ঘটল—আগের রাতেই ভোট করে তারা ক্ষমতায় গেল।’
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১১ সালের ১০ মে বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুটি নির্বাচন করা যেতে পারে। কিন্তু সরকার এ নিয়ে ডাহা মিথ্যাচার করছে। কারণ, তারা দেখেছে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হলে ভোট পাবে না।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব গ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন কমিশন কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দলটি
১৭ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ চেয়ে তাঁর নিয়োগ দেওয়া নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা
১৯ ঘণ্টা আগেড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২ দিন আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২ দিন আগে