নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারাই খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে দিয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁরা এসেছিলেন। তখন আর নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলেননি। তখন আর খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলেননি। এখনো বলেন না। খালেদা জিয়াকে তাঁরা ভুলে গেছেন।’
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ‘২ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসব’–এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাপস এসব কথা বলেন।
বিএনপির আর খালেদা জিয়ার দরকার নেই উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘তারা এখন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে। কিন্তু একসময় তারাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার মানেনি। তারা একেক সময় একেক কথা বলে। তারা এখন বলে, আমরা নাকি পাঁচটি আসনও পাব না। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সর্বসাকল্য ৮টি আসন পেয়েছিল। ১০টি আসনও জুটে নাই। সুতরাং, এসব কথা বলে বাঙালিকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।’
যারা তিনবার ক্ষমতায় থেকেও কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, তারাই আজ কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আজকে অনেকেই অনেক কথা বলেন। আজকে তাদের চোখে উন্নয়ন দেখা যায় না। যারা জীবনে উন্নয়ন করেনি, উন্নয়ন করতে পারেনি, তারা কীভাবে উন্নয়ন দেখবে? যারা উন্নয়ন করে, উন্নয়ন করতে পারে তারাই উন্নয়ন দেখবে। সাধারণ জনগণ—যারা উন্নয়ন চায়, তারা দেশের উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সে প্রত্যাশা পূরণ করছেন।
মেয়র তাপস আরও বলেন, তারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারা মেট্রোরেল দিতে পারেনি, পদ্মা সেতু দিতে পারেনি। সুতরাং, তারা উন্নয়ন চোখে দেখতে পাবে না। তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চিন্তাও করতে পারে না। মাতারবাড়ী (গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র), রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র—এসব তাদের কল্পনায়ও আসে না। তারা শুধু চিন্তা করে নিজেদের উন্নয়ন, নিজেদের পেট ভরা। আর বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সুতরাং, তাদের চোখে কোনো দিন উন্নয়ন দেখা যাবে না। উন্নয়ন দেখতে হলে সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে উন্নয়ন দেখতে হবে।
২০০৮ সালে চারদলীয় জোটের অপকর্ম, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, একসময় তারা বলেছিল, ‘আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আজ তারা কান্দে। এখন ভাবে, ১০০ বছরেও বুঝি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না।’ তারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ২০০৮ সালে বাঙালি জাতি তাদের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, অপকর্মের বিরুদ্ধে শিক্ষা দিয়ে তাদের আসন দিয়েছিল মাত্র ২৯টি। ৩০টি আসনও তারা পায়নি।
ভরাডুবির আশঙ্কায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে আসতে চায় না মন্তব্য করে তাপস বলেন, এবার তারা যদি নির্বাচনে না আসে—তার মানে হলো, তারা বুঝে গেছে যে নির্বাচনে আসলে তারা শূন্য আসন পাবে। সে জন্য নির্বাচনে আসতে চায় না। যেটা তারা ২০১৪ সালে করেছিল। আগুনে পুড়ে মানুষ মেরেছিল। সে জন্য ২০১৪ সালে লজ্জায় আর নির্বাচনে আসেনি।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র ২ নম্বর ওয়ার্ডে গত ৩ বছরে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে গোড়ান খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা, এসটিএস নির্মাণ, রাস্তাঘাটসহ নানাবিধ উন্নয়ন করা হয়েছে বলে জানান। এ সময় ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মকছুদ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াসমিন বিপ্লবীসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারাই খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে দিয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁরা এসেছিলেন। তখন আর নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলেননি। তখন আর খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলেননি। এখনো বলেন না। খালেদা জিয়াকে তাঁরা ভুলে গেছেন।’
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ‘২ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসব’–এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাপস এসব কথা বলেন।
বিএনপির আর খালেদা জিয়ার দরকার নেই উল্লেখ করে তাপস বলেন, ‘তারা এখন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে। কিন্তু একসময় তারাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার মানেনি। তারা একেক সময় একেক কথা বলে। তারা এখন বলে, আমরা নাকি পাঁচটি আসনও পাব না। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা সর্বসাকল্য ৮টি আসন পেয়েছিল। ১০টি আসনও জুটে নাই। সুতরাং, এসব কথা বলে বাঙালিকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না।’
যারা তিনবার ক্ষমতায় থেকেও কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি, তারাই আজ কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আজকে অনেকেই অনেক কথা বলেন। আজকে তাদের চোখে উন্নয়ন দেখা যায় না। যারা জীবনে উন্নয়ন করেনি, উন্নয়ন করতে পারেনি, তারা কীভাবে উন্নয়ন দেখবে? যারা উন্নয়ন করে, উন্নয়ন করতে পারে তারাই উন্নয়ন দেখবে। সাধারণ জনগণ—যারা উন্নয়ন চায়, তারা দেশের উন্নয়ন প্রত্যাশা করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সে প্রত্যাশা পূরণ করছেন।
মেয়র তাপস আরও বলেন, তারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারা মেট্রোরেল দিতে পারেনি, পদ্মা সেতু দিতে পারেনি। সুতরাং, তারা উন্নয়ন চোখে দেখতে পাবে না। তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চিন্তাও করতে পারে না। মাতারবাড়ী (গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র), রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র—এসব তাদের কল্পনায়ও আসে না। তারা শুধু চিন্তা করে নিজেদের উন্নয়ন, নিজেদের পেট ভরা। আর বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সুতরাং, তাদের চোখে কোনো দিন উন্নয়ন দেখা যাবে না। উন্নয়ন দেখতে হলে সাধারণ মানুষের চোখ দিয়ে উন্নয়ন দেখতে হবে।
২০০৮ সালে চারদলীয় জোটের অপকর্ম, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, একসময় তারা বলেছিল, ‘আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আজ তারা কান্দে। এখন ভাবে, ১০০ বছরেও বুঝি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না।’ তারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ২০০৮ সালে বাঙালি জাতি তাদের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, অপকর্মের বিরুদ্ধে শিক্ষা দিয়ে তাদের আসন দিয়েছিল মাত্র ২৯টি। ৩০টি আসনও তারা পায়নি।
ভরাডুবির আশঙ্কায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে আসতে চায় না মন্তব্য করে তাপস বলেন, এবার তারা যদি নির্বাচনে না আসে—তার মানে হলো, তারা বুঝে গেছে যে নির্বাচনে আসলে তারা শূন্য আসন পাবে। সে জন্য নির্বাচনে আসতে চায় না। যেটা তারা ২০১৪ সালে করেছিল। আগুনে পুড়ে মানুষ মেরেছিল। সে জন্য ২০১৪ সালে লজ্জায় আর নির্বাচনে আসেনি।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র ২ নম্বর ওয়ার্ডে গত ৩ বছরে প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে গোড়ান খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা, এসটিএস নির্মাণ, রাস্তাঘাটসহ নানাবিধ উন্নয়ন করা হয়েছে বলে জানান। এ সময় ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মকছুদ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াসমিন বিপ্লবীসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।
মনোনয়নপত্র সশরীরে জমা দেওয়া, দল নিবন্ধন নবায়ন, দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানো, ঋণখেলাপি ও হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে সদস্যপদ বাতিলসহ অন্তত ১০টি দাবি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে তুলে ধরেছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে
১০ ঘণ্টা আগেবিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকের পক্ষে নয় এবং এই নীতিটি সংবিধানে সংযুক্ত করার পক্ষেও দলটি একমত। সংবিধান সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অসন্তুষ্ট নয় বিএনপি। বরং রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য তাঁরা সর্বাত্মক...
১১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গতকাল তাদের সুপারিশমালা জমা দেওয়ার পর কয়েকটি সুপারিশ নিয়ে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার এবং ভরণপোষণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগেসংস্কারের বিষয়ে আর কোনো সংকট দেখছে না বিএনপি। এই অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলে মনে করছে দলটি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে কোনো সংকট নেই। সবাই সবার মতামত দিয়েছে। ঐকমত্য কোথায় কোথায় হয়েছে, তা জানতে এক সপ্তাহের...
১২ ঘণ্টা আগে