নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নাকচ না করে অন্য কোনো উপায়ে করলে তা টেকসই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে যদি ক্যান্সেল করে দিতে চান অন্য কোনোভাবে, এগুলো টিকে থাকে না। আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল করতে হবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস আয়োজিত ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, এখন আমাদের সবাইকে মিলে একটি দেশ গড়তে হবে। বিএনপি শুধু বিপ্লব নয়, বিএনপি সংহতি। বিএনপি জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের কথা বলছে। আমরা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে যেটা প্রতিষ্ঠিত করব, সেটাই থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল করে দিতে চান অন্য কোনোভাবে, এগুলো টিকে থাকে না। আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল করতে হবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে। ফ্যাসিস্টকে ক্যান্সেল করবেন ভোটের মাধ্যমে, চরমভাবে পরাজিত করে। অন্য কোনোভাবে ক্যান্সেল করতে গেলে সুফল বয়ে আনে না।’
জনগণকে বাইরে রেখে যে বয়ান তৈরি করা হচ্ছে, তা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের একটা বয়ান ছিল, স্বৈরাচারের একটা ছিল এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটা বয়ান ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বলেছিল-উন্নয়নের ওপরে গণতন্ত্র। কিন্তু উন্নয়ন গণতন্ত্রের সঙ্গে হাতে হাত মিলে চলতে হয়। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে হবে লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচার উন্নয়ন। গনতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে পকেটের উন্নয়ন হয়। এখন একমাত্র বয়ান হবে-নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। এর বাইরে নতুন বয়ান শুনতে চাই না।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের আস্থা নিয়ে সংস্কার করবে হবে। সেটা একমাত্র সম্ভব নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। অনির্বাচিত কোনো সরকার তাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা ও দর্শনের সেভাবে সংস্কার করা সুযোগ নেই। যে সমস্ত সংস্কার ঐকমত্যে আছে সেগুলো বাস্তবায়নে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জানিয়ে আমীর খসরু আরও বলেন, ‘১৬ বছরে জ্বলে-পুড়ে বিএনপি খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। ত্যাগ-জুলুমের মধ্যে দিয়ে বিএনপি নতুন বিএনপিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ত্যাগ করতে শিখেছে, রক্ত দিতে শিখেছে ও জীবন দিতে শিখেছে। আমরা গণতন্ত্রের লড়াই, মানবাধিকার লড়াই ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লড়াই থেমে থাকব না।’
হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশের মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি জনগণের মনের ভাব বুঝতে পারবে না, তারা বেশি দূর এগোতে পারবে না। আমরা স্বাধীন মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। দেশকে সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটসের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন-শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সহকারী অধ্যাপক ড. এম মুজিবুর রহমান।
নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নাকচ না করে অন্য কোনো উপায়ে করলে তা টেকসই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে যদি ক্যান্সেল করে দিতে চান অন্য কোনোভাবে, এগুলো টিকে থাকে না। আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল করতে হবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস আয়োজিত ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, এখন আমাদের সবাইকে মিলে একটি দেশ গড়তে হবে। বিএনপি শুধু বিপ্লব নয়, বিএনপি সংহতি। বিএনপি জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের কথা বলছে। আমরা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে যেটা প্রতিষ্ঠিত করব, সেটাই থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল করে দিতে চান অন্য কোনোভাবে, এগুলো টিকে থাকে না। আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল করতে হবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে। ফ্যাসিস্টকে ক্যান্সেল করবেন ভোটের মাধ্যমে, চরমভাবে পরাজিত করে। অন্য কোনোভাবে ক্যান্সেল করতে গেলে সুফল বয়ে আনে না।’
জনগণকে বাইরে রেখে যে বয়ান তৈরি করা হচ্ছে, তা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের একটা বয়ান ছিল, স্বৈরাচারের একটা ছিল এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার একটা বয়ান ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বলেছিল-উন্নয়নের ওপরে গণতন্ত্র। কিন্তু উন্নয়ন গণতন্ত্রের সঙ্গে হাতে হাত মিলে চলতে হয়। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে হবে লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচার উন্নয়ন। গনতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করলে পকেটের উন্নয়ন হয়। এখন একমাত্র বয়ান হবে-নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া। এর বাইরে নতুন বয়ান শুনতে চাই না।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের আস্থা নিয়ে সংস্কার করবে হবে। সেটা একমাত্র সম্ভব নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। অনির্বাচিত কোনো সরকার তাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা ও দর্শনের সেভাবে সংস্কার করা সুযোগ নেই। যে সমস্ত সংস্কার ঐকমত্যে আছে সেগুলো বাস্তবায়নে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জানিয়ে আমীর খসরু আরও বলেন, ‘১৬ বছরে জ্বলে-পুড়ে বিএনপি খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। ত্যাগ-জুলুমের মধ্যে দিয়ে বিএনপি নতুন বিএনপিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ত্যাগ করতে শিখেছে, রক্ত দিতে শিখেছে ও জীবন দিতে শিখেছে। আমরা গণতন্ত্রের লড়াই, মানবাধিকার লড়াই ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লড়াই থেমে থাকব না।’
হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশের মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি জনগণের মনের ভাব বুঝতে পারবে না, তারা বেশি দূর এগোতে পারবে না। আমরা স্বাধীন মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। দেশকে সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটসের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন-শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সহকারী অধ্যাপক ড. এম মুজিবুর রহমান।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১৫ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১৯ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগে