গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে নুর-রাশেদ, অগঠনতান্ত্রিক বলছেন রেজাপন্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩, ২৩: ০৯
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, ০০: ৩৯

নানান নাটকীয়তা শেষে গণ অধিকার পরিষদের প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নুরুল হক নুর সভাপতি ও রাশেদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তবে কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র অমান্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে এই কাউন্সিল অগঠনতান্ত্রিক এবং অবৈধ বলে জানিয়েছেন দলের রেজাপন্থীরা। 

দুপুর ১টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১০টায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশন আরিফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার তোফাজ্জল হোসেন ও তৌফিক শাহরিয়ার। সভাপতি পদে মোট ভোট পড়েছে ১৫৪ টি। যা মোট ভোটের ৭১ দশমিক ২৯ শতাংশ। নুরুল হক নুর পেয়েছেন ১৩৫টি ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ভোট পড়েছে ১৬৩ টি। এখানে হাসান আল মামুন পেয়েছেন ৪৩ ভোট এবং রাশেদ খান পেয়েছেন ১০৯ ভোট। 

সভাপতি নুরুল হক নুর ছাড়াও দলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুস সাকিব, বায়জিদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে রাশেদ খান ও হাসান আল মামুন ছাড়াও বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান ও জিলু খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

এ ছাড়াও উচ্চতর পরিষদের নির্বাচনে মোট ভোট দিয়েছেন ৮৩ জন। এখানে ১৩টি পদে ভোটের মাধ্যমে সদস্য নির্বাচনের কথা থাকলেও ৮টি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত ৮ জন হলেন-আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, হানিফ খান সজিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী ও জসিম উদ্দিন। এখানে মোট প্রার্থী ছিলেন ১৮ জন। 

সোমবার সকাল ১০টা থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উচ্চতর পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। উচ্চতর পরিষদের ১৩টি পদে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করার গঠনতান্ত্রিক বিধান থাকলেও এখানে ৮টি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পরবর্তীকালে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শে তাদের পদায়ন করা হবে।

দলের নবনির্বাচিত উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারের ক্ষমতাসীন। তিনি চাইলে যেকোনো বিধান পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন করতে পারে। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার এটা করেছে। 

তবে দলের গঠনতন্ত্রে এমন কিছু উল্লেখ নেই। গঠনতন্ত্রের ৪৮ ধারার গঠনতন্ত্রের সংযোজন, বিয়োজন বা আংশিক সংশোধনের ক্ষেত্রে জাতীয় কাউন্সিলের সংশোধনীর প্রস্তাব আনার কথা উল্লেখ রয়েছে। গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক (রেজা) ফারুক হাসান আজকের পত্রিকা অভিযোগ করে বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো কিছুই হয়নি। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো কাউন্সিল করেছে। 

উচ্চতর পরিষদের ৮ পদে ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে ফারুক হাসান বলেন, এটা অগঠনতান্ত্রিক। নির্বাচন কমিশনার এটা করতে পারে না। গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিমার্জন করতে হলে জাতীয় কাউন্সিলে সংশোধনী প্রস্তাব আনতে হবে এবং তা দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে পাশ করাতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত