Ajker Patrika

‘মার্চ ফর ইউনিটি’

নতুন সংবিধান তৈরি করতে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি

  • ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দিতে হবে।
  • গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দ্রুত করতে হবে।
  • সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে হবে।
ঢাবি প্রতিনিধিআজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৫৩
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অনেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অনেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বদলে গেছে দেশ। নতুন সেই বাংলাদেশের জন্য চাই নতুন সংবিধান। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই তৈরি করবেন নতুন সংবিধান। এজন্য আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন।

এ গণপরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।

‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে বক্তৃতায় এমন দাবিই তুলেছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল মঙ্গলবার এ কর্মসূচি পালিত হয়। ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ পাঠ উপলক্ষে এ কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছিল। কিন্তু সবাইকে নিয়ে সরকার নিজেই ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্র আন্দোলন আর ঘোষণাপত্র দিল না।

গতকাল কর্মসূচি থেকে সরকারকে তাদের কাজের জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।

‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দুদিন ধরে নানা আলোচনা চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। ঘোষণাপত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানা তর্কবিতর্ক শুরু হলে সরকার ঘোষণা দেয়, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে। পরে সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গতকাল সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরাদের। এ সময় ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন তাঁরা। প্রদর্শিত হয় জুলাই বিপ্লবের ডকুমেন্টারি।

বিকেল ৪টায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশ্যে ১ মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি। এ সময় আন্দোলনে শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভির বাবা মো. আবুল হাসান বলেন, ‘খুনি হাসিনা যে আমার ছেলেসহ দুই হাজার সন্তানকে হত্যা করেছে। খুনি হাসিনাকে দেশে এনে তার সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।’ একই সঙ্গে তিনি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুচিকিৎসার দাবি জানান।

১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘খুনি হাসিনার আর এ দেশে পুনর্বাসন হবে না। গত ১৬ বছর খুনি হাসিনা প্রতিটি রাজনৈতিক শক্তিকে নির্যাতন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা এই হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। সরকারকে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয় নাই, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হয় নাই। আমরা এখনো ১৬ বছরের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে পারিনি।’

দেশের মানুষ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র চায়, নতুন সংবিধান চায়, সংস্কার চায়—এ মন্তব্য করেন গণপরিষদ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, নতুন সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হবে। আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। এই গণপরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘যদি আমাদের ন্যায্যতার ভিত্তি, আমাদের রক্তের কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে আগত ঘোষণাপত্রে না পাই, তাহলে আমরা বসে থাকব না। সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে সক্রিয় হোন। যদি তা না পারেন, তাহলে জুলাইয়ের বাঘের বাচ্চারা আইন হাতে তুলে নেবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের সামনে এখনো খুনিরা উন্মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে। তাদের বিচার হতে হবে। গোপালগঞ্জে কীভাবে এখনো আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করা হয়। পুলিশের উদ্দেশে বলতে চাই, ‘আপনারা নিরাপত্তা দিতে না পারলে ওই চেয়ারে বসে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। যে স্বপ্ন নিয়ে এত মানুষ জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন সেই রক্তের সঙ্গে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করার চেষ্টা করে, তাদের সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ৫ মাস পরও জুলাই প্রক্লেমেশনের কোনো উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উদ্যোগ নেওয়ার পর সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারকে বলতে চাই, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে প্রক্লেমেশন ঘোষণা করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এ প্রক্লেমেশন নিয়ে আমরা কোনো কালক্ষেপণ চাই না। আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের প্রতি ন্যায়বিচার হয় নাই।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত আল মাহমুদ, রিফাত রশীদ, মাহিন সরকার, নুসরাত তাবাসসুম, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নাঈম আবেদীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কোবরা, শহীদ মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মির্জা আব্বাস, আমান উল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত
মির্জা আব্বাস, আমান উল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় নাশকতার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুই মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এই আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনের পৃথক দুই থানার মামলায় শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আমরা তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।’

অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাকা-১২ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সেক্রেটারি হাবিবুর রশিদ হাবিব।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ২০১৩ সালের মার্চে পুলিশের উপপরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৬ মার্চ পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ ছাড়া একই অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফ আলী মামলা করেন। ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. রুহুল আমিন মুন্সি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে দুই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল আগেই অব্যাহতি পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের জন্য বিএনপির অভ্যর্থনা কমিটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে আর সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সূত্র বলছে, অভ্যর্থনা কমিটিতে বিএনপির ১০ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অভ্যর্থনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। এ বৈঠকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করেন। এর আগের দিন সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। ওই সভায় তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে এ তথ্য। তারেক রহমান নিজেও ওই তারিখে দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন। বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে তারেক রহমানের। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ওই দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীরা সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত থাকবেন। বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাবেন।

তারেক রহমানের ঢাকায় আসার পর গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন বলেও জানিয়েছে সূত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামছুল ইসলাম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৬
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ নিযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দলের পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহিল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিমিত্তে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আগেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের নিরাপত্তা বিষয়ক টিমের চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন।

এদিকে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরা উপলক্ষে তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি এই অনুরোধ জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: মঈন খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সভায় বক্তব্য দেন ড. আবদুল মঈন খান।  ছবি: আজকের পত্রিকা
সভায় বক্তব্য দেন ড. আবদুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘৫৪ বছরে আমাদের অর্জন কী? আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা না পারলে এত কিছু করে কী লাভ? মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে কিন্তু কথা না বলে থাকতে পারে না।’

আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সাম্প্রতিক হিসেবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ৩ কোটি ৬৬ লাখ মানুষ বসবাস করে। ২০৫০ সালে ঢাকা শহর হবে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ বৃহত্তম শহর। তবে সেই শহরকে আমরা কীভাবে পরিচালনা করব সেটি ভাবার বিষয়। আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখনো শক্তিশালী না হলেও ইনফরমাল ইকোনমি দিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন তাদের এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে। যে কাজ মাত্র সাড়ে তিন বছরে করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশ সেবার পরিবর্তে আত্মসেবা শুরু করেছিলে। যাকে অলিগার্কি ব্যবস্থা বলা যায়। তারা মূলত সমাজের ধনী লোকদের দিয়ে অলিগার্ক কায়েম করেছিল। ফলে দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছেন।’

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও গণতন্ত্র খুঁজে ফিরি। এই গণতন্ত্রের জন্য তো একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলে। দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার তথা মুক্তির জন্য তো মানুষ যুদ্ধ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যারা অতীতে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বর্তমানে দিচ্ছেন তাদের এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে তারা কেন ব্যর্থ? ভবিষ্যতে যারা নেতৃত্ব দেবেন তাদের সেই প্রতিশ্রুতি বা আশার কথা বলবেন যে তারা ক্ষমতায় গেলে এসবের সমাধান করবেন।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য অবিরাম যুদ্ধ চলছে। মনে হয় চিরন্তন সংগ্রাম। আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে তারা সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে স্বাপ্নিক দেশে পরিণত করবে। তবে সংস্কার হলো চলমান প্রক্রিয়া। এটা থেমে থাকেনি। সংস্কারের মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা একবিংশ শতাব্দীতে এসে পৌঁছেছি।’

মঈন খান বলেন, ‘মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কাজ হবে না। আমরা আবারও ফ্যাসিবাদী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হতে চাই না। অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়ে যাব ইনশা আল্লাহ। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে যখনই কোনো স্বৈরশাসক দেশের মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে তখনই কিন্তু বিদ্রোহ হয়েছে। প্রতিবার প্রতিবাদ করেছে। আজকে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা হলো নিষ্ঠুর। কারণ মানুষের অনুভূতিরে ভোঁতা করে দেয়। মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের সে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।’

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসান, এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আবুল কেনান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. খালেকুজ্জামান দীপু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত